“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।
বিস্তারিত»“হরতাল”-একটি সামাজিক উৎসব
সূচনাঃ হরতাল একটি সর্বধর্মীয় সার্বজনীন সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি সাধারণত প্রধান বিরোধীদলের দলীয় স্বার্থ রক্ষার্থে পালন করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত নির্বাচনের আড়াই থেকে তিন বছর পর থেকে বিরোধী দল কারণে অকারণে হরতাল ঘোষণা করে জনগণের জন্য এক্সট্রা ছুটি ও অবসরের আয়োজন করে।
প্রকৃতিঃ হরতাল সবসময়ই বিরোধী দল কর্তৃক ডাকা হয়। এই দিনে রাস্তায় প্রচুর পুলিশ, র্যাব, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কর্মী দেখা যায়।
বিস্তারিত»একটা রামছাগলের কাহিনী…
“একটা রামছাগলের কাহিনী …”
লিখেছেন – Asif Namer Cheleti
আজ আপনাদের একটা রামছাগলের কাহিনী শুনাব……
একদেশে ছিল এক রামছাগল…সরি…বাংলাদেশে ছিল এক রামছাগল। বাড়ি উত্তরবঙ্গে । (আগেই বলে নেই উত্তরবঙ্গের কাউকে হার্ট করতে চাইনি)।
তা রামছাগলের বুদ্ধি না থাকলেও বিদ্যার অভাব ছিল না । বোধহয় বুদ্ধিতে যতটুকু ঘাটতি ছিল, বিদ্যা দিয়েই সে তা পুরনের চেষ্টায় ব্যাস্ত ছিল ।
বিস্তারিত»আসুন শিখি: ব্যবহৃত মোজা দ্বারা বল তৈরির পদ্ধতি (নব্য ও ভবিষ্যৎ ক্যাডেটদের অবশ্যপাঠ্য ব্লগ)
সেই ইন দি ইয়ার অফ নাইন্টিন সিক্সটিনাইন মানে ২০০২ সালের ৭ মে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রাঙ্গণে যোগদান করিয়াছিল এক নাদান আলাভোলা বাচ্চা। কলেজে ছয় বছর অবস্থানকালে সে শিখিয়াছে অনেক। তবে ৬ বৎসর কলেজে অবস্থানকালে উক্ত বালক দুর্গন্ধময় ব্যবহৃত মোজার সদ্ব্যবহার সম্পর্কিত যে বিশেষ বিদ্যা অর্জন করিয়াছে তাহার কোন তুলনা নাই। :grr:
কলেজে প্রথম ৭ দিন অবস্থানকালে একদা বালক ডাস্টবিনের আড়ালে এক আজিব কাপড়ের তৈরি গোলাকার বস্তু আবিষ্কার হেতু বড়ই চিন্তাগ্রস্ত হইয়া পরিল।
বিস্তারিত»মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….
বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।
যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,
অধরা ফাইনাল
আমার মা বলেন ছেলেদের সৌন্দর্য আচরনে আর কাজে। আমি অবশ্যই এই কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেই সব সময়।
দুপুরে খেলা দেখতে যাবো,এই উত্তেজনায় সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। মিষ্টি আর পরোটা দিয়ে জম্পেশ একটা খাওয়া দিলাম। পলাশি মোড়ের দোকানগুলো একটু ময়লা হলেও খাবার বানায় বেশ। পেট ডলতে ডলতে সবাইকে ফোন দিলাম। সবাই রেডি।
আমি সাবান ডলে গোসল করে,গায়ে ২-৩ টা স্প্রে ছিটায় নেমে পড়লাম রাস্তায়।
বিস্তারিত»আ’মরি বাংলা ভাষা
আমরা যে হুজুগে বাঙালি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাঙালির হুজুগ নিয়ে গল্প কেচ্ছারও শেষ নেই। শেষ হবেও না। সৈয়দ মুজতবা আলীর গাঁজা নিয়ে একটা মজার গল্প আছে। অনেকেই পড়েছেন হয়তো। যারা পড়েননি তাদের জন্য স্মৃতি থেকে একটু তুলে দিচ্ছি। দেশভাগের পর কোন এক নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ থেকে ভারতে গাঁজা রপ্তানি বন্ধ। (সাধুসন্ন্যাসীদের আবার এই মহার্ঘ বস্তুটি না হলে চলে না। আমাদের লাল মিয়া ওরফে সুলতানের নাকি দৈনিক ৫০০ টাকার গাঁজা লাগতো।
বিস্তারিত»আমি এবং অতসীর দাদু
(চরিত্র কাল্পনিক……ঘটনা সত্য হইলেও হইতে পারে……:D)
আজ ১৬ জানুয়ারী। গত কয়েকদিন আগ থেকেই ঠিক করে রেখেছি অতসীর সাথে দেখা করব। ওর বাপ-মা আবার খুব্বি কড়া। মেয়েকে সবসময় চোখে চোখে রাখে। গত ১ তারিখ থেকে তার কলেজ বন্ধ (উল্লেখ্য, সে ক্যাডেট কলেজে পড়ে)।সে থাকে শহরে, আর আমি গ্রামে। তার বাসায় কখনও যাওয়া হয়নি, তার বাসাও আমি চিনিনা……খালি জানি তার বাসাটা কোথায়। এতদিন তার সাথে পুরা শহর ঘুরেছি,
বিস্তারিত»আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড ৭)
১) ১৭তম ব্যাচের স্টাডিট্যুর। বাসের ভিতর হঠাৎ ভাইয়াদের চ্যাচামেচি শুরু হল। গাড়ি থামাও, টয়লেট করব। স্যারেরা কেউ পাত্তা দিল না । এবার শুরু হল বাস থামাও মুতব। এডজ্যুটান্ট স্যার উঠে দাড়ালেন। চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জনৈক ভাইয়ার সিরিয়াস জোরে চাপছে। পিছনের সিটের জানালা খুলে, অন করে দিছে ট্যাপ। বাকিরা লাফাইয়া সরে গেল। কিন্তু হঠাৎ ভাইয়ারা খেয়াল করল বাসের ঠিক পিছনেই যে ট্রাকটা ছিল। ট্রাক ড্রাইভার তার ওয়াইপার চালু করে দিছে।
বিস্তারিত»উল্টা-পাল্টা-উল্টা
অপরাধ মার্জনীয়
অনেক কথাই মনে আসছে। লিখতেও ইচ্ছা করছে অনেক বিষয়েই। কিন্তু নানান ঝামেলায় থাকার কারণে লেখা আর হচ্ছে না। কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি। ঘটনার তো অভাব নেই।
কিছুদিন আগে কোন এক ফেসবুক গ্রুপের বা ব্লগের লেখা কোন এক (ঐ ব্লগটি চরম জামাতপন্থী ও মৌলবাদীদের) লেখা ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করা হয়। এই মহৎ প্রচারে উদ্যোগ নেয় কতিপয় ক্যাডেট (বুঝে বা না বুঝে) ক্যাডেটদের বিভিন্ন গ্রুপ (ফেসবুক) আমার কাছে উদ্দেশ্যবিহীন,
বিস্তারিত»আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড-৫)
আবার কলেজের কয়েকটা ঘটনা।
১) শাফিন ভাই, রাতের বেলা। স্লিপিং স্যূট পড়ে ডাব পাড়তে গাছে উঠছে। কিছু দূর গাছে ওঠার পর নাইট ড্রেসের পাজামার ফিতা ছিড়া গেছে। ভাইয়ার দুই হাতে গাছ জড়াইয়া ধরে আছে। ফলাফল শাফিন ভাই গাছের মাথায় আর পায়জামাটা গাছের তলায়।
২) আমরা তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎ লিডিং ব্যাচ কলেজ অথরিটির বিরুদ্ধে আন্দলোন শুরু করল। তার একটা ওয়ে হিসেবে কলেজের এরিয়ায় কয়েকটা কুকুর ধরে তাদের গলায় বিভিন্ন জনের নাম লিখে ঝুলিয়ে দেয়া হল।
বিস্তারিত»আঙ্কেল……
২ বছর কঠিন প্রশিক্ষন শেষে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী হতে সদ্য কমিশন লাভ করেছে রিয়ান । ইউনিটে যোগদান করার পূর্বে ১৫ দিনের ছুটি পেয়েছে। এ দুবছরের যত কষ্ট আছে তা দূর করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ১৫ দিন ছুটির প্রতিটা মূহুর্ত উপভোগের যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার সদ্য কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বন্ধুদের মাঝে তার এখন আলাদা কদর। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে তার সময়গুলো দারুনভাবে পার হচ্ছিল। সমস্যা দেখা দিল ছুটির শেষ দিন বসুন্ধরা সিটিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে……
বিস্তারিত»জগতের সকল নারী সুখী হোক !!! এপিসোডঃ ২
আবার বসলাম লিখতে। যারা আগের লেখাটা পড়ছেন তারা নিচের প্যারাটা না পড়লেও হবে। ঠিক করছি ধারাবাহিক নাটকের শুরুর নাম দেখানোর মত এই সিরিজের প্রতি পর্বেই এটুকো দিয়ে দিব।
এটা আমার নিজের গল্প।[ অন্য কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় !!]
আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। বিশ্বাস করেন একটাই। আমাদের অনেক দিনের রিলেশন। প্রায় ৭বছর হল আমরা প্রতিাদিন ঝগড়া করি। প্রতিদিনই প্রায়।
বিস্তারিত»ক্যাঁনে ক্যাঁনে
আমাদের এক math এর স্যর ছিলেন, স্যার খালি বলতেন, “এ্যাঁ:, এঁটা করস ক্যাঁনে, ওটা করস ক্যাঁনে”
একদিন ক্লাস নাইন এ principal inspection এর আগে স্যার এসেছেন আমাদের রুমে, পাশের রুম থেকে মফিজুর এসেছিল তখন আমাদের রুমে যেন কি কারনে।
স্যার মফিজুরকে দেখেই বলে উঠলেন “মফিশ, এখানে এসেশো ক্যাঁনে, যাও নিজের রুমে যাও”।
মফিজুর চলে গেল, স্যারও চলে গেলেন।
আমাদের রুমগুলোর ছিল দুইটা দরজা,
বিস্তারিত»ভালবাসা (দুই)
দৌড়ে এসে আর এভাবে লাফ দিয়ে ভুঁড়ির উপর বসবি না। পিলে চমকে যাবে, ভুঁড়ি গলে যাবে।আরে এখন কি আর সেই বয়স আছে নাকি, দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে ভুঁড়ির উপর বসে পরা! ওজন বেড়েছে,বড় হয়েছিশ্ না, তুইতো দিনে পঞ্চাশবার বলিস বয়স হয়েছে। আরে তোর বয়সে আমার মা তিন তিনটি সন্তানের মা হয়েছিলেন। ধাড়ী খুকী!
আরাম করে পেটের ওপর সেটেল হয়ে বসে প্রশ্নের ঝাঁপি খুলে দিল আমার রাজকুমারী।