শাহবাগের শিশু পার্কের সামনে হইতে ন্যাদা সাইজের দুই পিচ্চি, তাহাদের মাতা সহ বিশাল গুম্ফ বিশিষ্ট এক ভদ্রলোক তড়িঘড়ি করিয়া বাসে উঠিলেন। বলাই বাহুল্য, উনিই বিচ্ছু ( সম্ভবত জমজ) শিশুদ্বয়ের পিতা। ভদ্রলোক যতই গাম্ভীর্য বজায় রাখার চেষ্টা করিতেছিলেন , শিশুদ্বয় তাহার ঢোলকের ন্যায় ভুঁড়িতে সুড়সুড়ি আর গুম্ফ ধরিয়া টানাটানিতে তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিতেছিল। তাহাদের মাতা বার দুয়েক বালকগণ কে মৃদু তিরস্কার করিয়াছিলেন বটে কিন্তু শিশুগণ বড়ই বেহায়া। হঠাত পিতার মুঠোফোনে একটা কল আসিল। কথোপকথন বিস্তারিত কহিতে পারিব না,তবে সারমর্ম এই যে কোন আত্মীয় হয়ত বা তাহাদের বাড়িতে আসতে চাহিয়াছিলেন, অনিবার্য কারনবশত লোকটি হয়ত তাহা চান নাই দেখিয়া মিথ্যা করিয়া বলিয়াছিলেন, ছেলেদের নিয়া শিশু পার্কে বেড়াইতে যাইতেছি, ফিরিতে রাত্রি হইবে। একটি শিশু অমনি পাশে থেকে চিৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, বাবা তখন যে বলিলে বাড়ি যাইতেছি।মিথ্যা বলিতেছ কেন? 😮 আরেকটি শিশু বলিল, আমরা কি এখন তবে আবার শিশু পার্কে যাইব? :goragori: তাহাদের মাতা তৎক্ষণাৎ তাহাদিগের ইশারা করিলেন চুপ করিতে, কিন্ত ততক্ষনে পিতা বেচারি ঘটনার আকস্মিকতায় তোতলাইতেছেন আর বলিতেছেন, ননাআ, মানে,ইয়ে আরকি,হয়েছে কি আসলে , :bash: বাসে ও ততক্ষনে হাসির রোল পড়িয়াছে !
এই ঘটনা অবলোকন করিয়া আমি যখন হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিয়াছিলাম,বিধাতাও বুঝি তখন মুচকি হাসি দিয়াছিলেন । দিন দুয়েক পরে দুপুরবেলায় অফিস ফাঁকি মারিবার মনোবাসনায় গুলশান হইতে মতিঝিলের পথ না ধরিয়া মিরপুরের পথ ধরিলাম। :goragori: কি একটা কাজে আমার স্যার কল দিয়া জিজ্ঞাসিলেন, কোথায় আপনি? আমি নির্বিকার মুখে মিথ্যা বলিলাম, স্যার এখনও গুলশান পৌছাইতে পারিনাই, কি যেএএএএএ জ্যাম না স্যার !!! ;)) আর হতভাগা বাস কন্ডাকটর তক্ষুনি বাস চাপড়াইয়া হাঁকাইয়া উঠিল, ওই শ্যামলী ,শ্যামলী, যারা নামবেন গেটে আসেন । :chup: আমার ততক্ষনে কর্ণ দিয়া ধোয়া বাহির হইতেছে x-( । স্যার চিবিয়ে চিবিয়ে বলিলেন,কাল অফিসে আসুন,কথা আছে।
আমি এবং আমার ছোট বোন খোশগল্প করিতে করিতে বাসে যাইতেছিলাম। কিছুদূর যাইবার পর খেয়াল করিলাম, গরম বেশি লাগিতেছে, কারণ অনুসন্ধান করিয়া বের করিলাম, সামনের সিটের যাত্রী জানালাটা পুরাই ঠেলিয়া পিছনের দিকে বন্ধ করিয়া তাহার পার্শ্ব উন্মুক্ত করিয়া হাওয়া খাইতেছে হা করিয়া। আমরা জানলাটা মাঝামাঝি রাখার বারকয়েক চেষ্টা করিতেই সেই ব্যক্তি নাক ফুলাইয়া ঝগড়া করিতে থাকিল ;;; আমরা ভদ্র বালিকার ইমেজ বজায় রাখিতে এক্কেবারে স্পিকটি নট হইয়া রাগে গরগর করিতে লাগিলাম।এর মাঝে দেখি আমার বোন ব্যাগ হইতে একখানি মার্কার বাহির করিয়া ছোট নোটবুকের পেজে কিসব হাজিবাজি লিখিতে লাগিল। লেখা শেষ হইলে তাহা একের লেজে এক স্ট্যাপলার পিনের সাহায্যে জোড়া লাগাইয়া বিশালাকার লেজ বানাইল। সামনের ঝগড়ুটে লোকটির ঢুলুনির সুযোগে শার্টের পিছনে কলারের ঝুলন্ত অংশে সেফটিপিন দিয়া সাবধানে আটকাইয়া দিল। পরের স্টপেজে যখন লোকটি নামিল, বাসের অন্যান্য যাত্রীরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করিল, লোকটার পিছে মার্কার দিয়ে লেখা –
” হাট্টিমাটিম টিম আমি বাসে পাড়ি ডিম
এতক্ষন দিলাম তা, ফুটবে এবার ছা ” :awesome:
=)) =)) ছড়ার এহেন ব্যবহার বিদিক (কলেজের ভাষা) লাগল... পরের পর্বের অপেক্ষায়...
ঝুলি খালি হইয়া গেসে রে দোস্ত 😛
:khekz: :khekz: :khekz: হাসতে হাসতে আক্ষরিক অর্থেই গড়াগড়ি খাচ্ছি... চালিয়ে যাও :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😀 😀
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
৩ প্যারা দেখেই ভীষণ মজা পাইলাম । তবে ২য় প্যারা পড়ে বুঝলাম যেমন কর্ম তেমন ফল । আপনি ১ম প্যারায় একজন এর বিপদে হাসছিলেন , ২য় প্যারায় এসে আপনি নিজেই ধরা খাইলেন সুষমা আপা 😛
আর আমি ধরা খাইসি দেইখা তুই যে এতগুলান হাসির ইমো দিলি :((
কখনই না । আমি তো আপনার পোস্ট দেখে এতো গুলো হাসির ইমো দিছি ।
আর আপনার ধরা খাওয়ার লেইগা একটা ( 😛 ) ইমো দিছি । 😀
ইলিয়াস কাঞ্চন কে নিয়ে ফাইজলামিটা ভাল পাইলাম না। দুঃখিত...
সম্পাদিত 🙂
গরমে ইদানিং মস্তিস্কের অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা পানির স্ফুটনাঙ্কের কাছাকাছি থাকতেছে...এই সিরিজটা প্রিয়তে যোগ করলাম...মস্তিস্কে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাইতে যখন তখন কাজে লাগবে... :khekz:
হুম সাকিব আমারও প্রিয় তে এই সিরিজ 😀
গর্বিত 😀
সাধুর টোনটার চেয়ে চলতিটা ভালো লেগেছে বেশী
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভাইয়া, একটা এক্সপেরিমেন্ট চালাইলাম আর কি 😛 🙂
সুষমা আপা একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে আপনার কোন প্রিয় পোস্ট নাই । কাহিনী কি ? 😀
বিকেলবেলা আমার মাথাতেও এই চিন্তা টা আসছিল। পরে আমি কারণ অনুসন্ধান করে দেখলাম, আমি অতি অলস , আলসেমির চোটে বেশিরভাগ ব্লগে কমেন্ট ও করা হয়না, প্রিয়তেও নেয়া হয়না 😕
হাহাহা ... বাসের অভিজ্ঞতাগুলো মজার। সাধুতে কিঞ্চিৎ হোঁচট খাইছি মাঝে মাঝে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
পরের পর্ব লিখলে চলতিতেই লিখব 🙂
বাসে চড়া আজকাল বাঁশে চড়ার মতই হয়েছে। দিবাটা এত শয়তান...
তুই কি তাইলে রংপুর আসছিলি ...... ?? :grr:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
😮
দিদি, খেক খেক :)) , আমি তাইলে ডেইলি বাঁশে চড়ি 😛 , দিবা তো তোমার বোন হিসেবে বেশি মানায় 😛 😀 গুন্ডি বেটি
বাহ্, ভাল একটা সিরিজ হচ্ছে তো... :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
থ্যাঙ্কু ভাইয়া 🙂
:khekz:
😀 😀 🙂 🙂
যাক, এই বাঁদরঝোলার যানবাহনে এত কষ্টে চলাফেরার মধ্যেও আপনি রস-কস খুঁজে বের করতে পারেন আপু। ...... চালায় যান 😀
কি আর করা ভাইয়া, আমার এমন দিন ও যায়, মিরপুর থেকে টঙ্গী, টঙ্গী থেকে মতিঝিল,মতিঝিল থেকে ধানমন্ডি যাওয়া লাগে 🙁 , সারাদিন বাসেই থাকি। তাই বাসের ঘটনা থেকেই বিনোদন খুঁজি 😛 😛
=))
ভাল সিরিজ।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😀
নিজে দেখুন এবং জানুন