পচন ধরে মাথা থেকেই। আমাদেরও পচন ধরেছে একেবার শীর্ষ থেকে।সমাজপতি অধিপতি যাদের কে বলে আর কি!
তারাও প্রায় পুরো মাথাই খুইতে বসেছে।আমেরিকা-কানাডা-ওস্ট্রেলিয়ায় মাথা বন্ধক রেখে, ধড় ফেলে রখেছে এদেশে। একমাত্র কাজ, যতটুকু হাতিয়ে নেয়া যায়।
আঁখেরের শান্তিতো ওই দেশেই, এখানে একটু কষ্ট করে রাস্তাঘাট গরম করা,কালো-ধলা বিড়াল খুঁজে বেড়ানো, বিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকার মূলধনে একশ কোটি টাকার ব্যবসা ফাঁদা, ব্যাংক ম্যানেজার কে ম্যনেজ করে ভোল্ট হাতিয়ে নেয়া, মাল্টি লেভেল বাটপারী, জমিজিরাত মায় দেশ পর্যন্ত লিজ দেয়া।এইতো কাজ এদেশে!
তারপরতো ওঁ শান্তি!
পৃথিবীর স্বর্গপ্রাপ্তি। সাকী সূরা বেল্লেলাপনা সব পাওয়ার দেশ। শুধু টাকার প্রয়োজন ছিল, সেতো দুঃখিনী মা’ই দিয়েছে!
আরো অনেক উন্নত মাথা আছে। বড় সড় মগজ ফিট করা! কচি মগজগুলি ধোলাই করা যাদের পেশা।
দূরদর্শন যন্ত্রে প্রতিবেদনে দেখেছিলেম, কি করে নালার নোংরা জলে কাপড় কেঁচে, ক্যমিকেলের গুনে ঝক ঝকে সাদা করে কড়কড়ে নতুনের রুপ দিচ্ছে! দৃশ্যটি মনে পড়লো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় মাথা গুলির কীর্তিকলাপ খবরে কাগজে পড়ে।
“রাধা কৃষ্ণের লীলা খেলা,সাধারনের জন্যে পাপ”।সর্বোচ্চ বিদ্যা নিকেতনের অধিপতিদের ব্যাপার সেপারই আলাদা। তারা আক্ষরিক অর্থেই রাধা-কৃষ্ণের উচ্চতায় বাস করে।প্রধান মন্ত্রীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া, তাদের নাগাল পায়, কে আছে এই মর্তে??
আমাদের মত আম জনতা ভেবে পাইনা, এই সব বেহায়া বেলেল্লা শিক্ষকদের থেকে কি শিক্ষাগ্রহন করার থাকতে পারে? নৈতিকতা-ধর্ম ভিরুতা নিশ্চয়ই নয়? নইলে চাকরি, সর্বোচ্চ ডিগ্রী গ্রহনের জন্যে শিক্ষার্থিনীদের কায়িক পরিশ্রমের রম রমা কাহিনী, নিশ্চয়ই ফলাও করে সংবাদ শিরোনাম হতোনা !
“বাতি নিভিবার আগে দপ করিয়া জ্বলিয়া উঠে”।ছোট বেলায় আদর্শলিপিতে পড়ে তখন এর মর্মার্থ বুঝিনি।
এখন ডাক্তার ভাইদের কৃপায় কিছুটা বুঝি। পড়তি বয়সে ‘প্রোস্টেট’ নামক সমস্যায় কিছু পুরুষ দিক নির্দেশনা হারিয়ে ঘাট-ওঘাট এক করেন।এবং এই বেহায়াপনা লোক দেখিয়ে ইন্দ্রিয় সুখানুভুতির ও একটা তাগিদ অনুভব করেন।আর সে পুরুষ যদি দেবতুল্য সর্বোচ্চ বিদ্যা নিকেতনের অধিপতিরা হন!
আমরা ‘আম সাধারন’ যীশুর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে শুধু এটুকুই বলতে পারি, ” প্রভু ওরা জানেনা, ওরা কি করছে, তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও”!!!
পার্ট অফ লাইফ...ব্যাপার না ভাই। ক্ষমা করে দিয়েন।
"লাইফের পার্টে" তো তুমি আমিও আছি, যারা সাধারন ছাপোষা মানুষ। তারা যীশু নয় যে ক্ষমা করতে পারবে।ওদের জন্যে শুধু করুণা আর শুধরানোর জন্যে প্রার্থনা করতে পারি।
ভাল থেকো!
Smile n live, help let others do!
প্রভু ক্ষমা করবেন কিনা জানি না...তবে আমাদের দেশপতি নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ,
হিন্দিতে একটি প্রবাদ আছেঃ উপর ওয়ালার ঘরে "দেরি" আছে অবশ্যই, কিন্তু "আধেরি" নেই!
( উপর ওয়ালার বিচার আসতে দেরি হতে পারে, কিন্তু হবেই!)
তোমাকে ধন্যবাদ।ভাল থেকো।
Smile n live, help let others do!