আষাঢ় মাসের বিশ্বকাপ

কার্লোস বোকানেগ্রা বুঝতেই পারছেন না মাঠে নেমে কেন কষ্ট করতে হবে। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় এবার হাড়কাঁপানো শীত। এই শীতে মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার চেয়ে হোটেল রুমে বিয়ার খেতেই যত মজা। কিন্তু উপায় নেই। মাঠে নামতেই হবে। হোটেল লবিতে দেখা হয়ে গেল লেন্ডন ডোনাভানের সঙ্গে। তাঁরও নাকি মাঠে নামতে ইচ্ছা করছে না। লেন্ডন তো বলেই খালাস, কিছু করতে চাইলে তাঁকেই করতে হবে। কারণ, কার্লোসই দলের ক্যাপ্টেন।
প্রেসিডেন্টকে সরাসরি ফোন করা ঠিক হবে কি না,

বিস্তারিত»

কাই বৃত্তান্ত ২

আমার এক দোস্ত (নাম বললে চিনে ফেলবেন….) কাই-রে ডেকে আগের লেখাটা দেখাইছে। কাই খুবই ক্ষিপ্ত এতে। সে আমারে রিসেন্টলি ‘জান কবজ’ করার হুমকি দিছে। আমি নাকি অনেক চাপা মারছি…(তাও নাকি কথ্য বাংলায়………শুদ্ধ বাংলায় নাকি চাপা টের পাওয়া যায় না)…আর যদি ভবিষ্যতে লিখি এইরকম কিছু তাইলে নাকি আমার কুলখানিতে সবাইরে দাওয়াত দেওয়া লাগবে! তা আপনাদের দাওয়াত রইল। কিন্তু কি আর করা! হাতে কোনো কাজ নাই। কিছু তো লিখতে হবে।

বিস্তারিত»

ফাউ প্যাঁচাল ০৪-“কাই” বৃত্তান্ত

বহুদিন হইয়া যাইতেছে সিসিবিতে নতুন রম্য দিতেছিনা। যাহাই হউক সম্প্রতি আমার সকল গভীর প্যাঁচাইন্যা রচনাসমূহ(কাব্য ও ছোটগল্প) পড়িয়া যাহারা নাভিশ্বাস ফেলিতেছেন, তেনাদের জন্য সুসংবাদ……নির্মল বাতাসে মুক্তির শ্বাস নিন। তবে আজিকে রম্য লিখিব চলিত ভাষায়। তাহা হইলে শুরু করিয়া দেই……

আমার বন্ধু ‘কাই’; ক্লাস সেভেন থেকে ওরে আমরা আদর করে ‘কাউয়া’ও ডাকি। সে মোটেও কোনো সাধারণ পোলা না। সবাই যদি ডাইনে যায় তাইলে কেউ কেউ বাঁয়ে যাইতে পারে,

বিস্তারিত»

নস্টালজিক বিশ্বকাপ ২০০৬ আর অপ্টিমিস্টিক বিশ্বকাপ ২০১০!

২। অপ্টিমিস্টিক বিশ্বকাপ ২০১০:

……বিশ্বকাপ-জ্বরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। এই জ্বর থার্মোমিটারে মাপা যায় না, অনুভব করতে হয়। বাঙ্গালীরাও পিছিয়ে নেই। ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা স্বপ্লের জাল বুনি, কিন্তু ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলা আর লোডশেডিং-জর্জরিত বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হওয়া একই কথা। তারপরও ফুটবলই এদেশে জনপ্রিয়। বাপ-চাচারা সবাই ’৮৬-তে ম্যারাডোনার খেলা দেখে আর্জেন্টিনার ভক্ত, ভাই-বেরাদাররা অবশ্য রোমারিও-বাজ্জিও-বালাকদের খেলা দেখে দ্বিধাবিভক্ত। আমি প্রথম থেকেই ব্রাজিল-ভক্ত, কেননা যখন থেকে ফুটবল বুঝি,

বিস্তারিত»

হেকমত আলিদের দিন

কদিন ধরেই বাঁ চোখের পাতাটা নাচছে হেকমত আলির। লক্ষণটা নাকি শুভ কিন্তু শুভ ভাবার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এই অবসর প্রাপ্ত আমলা। সেই পাকিস্তান আমলে সরকারী চাকুরিতে ঢুকেছিলেন, বাংলাদেশ হওয়ার সময় ট্রেনিং এ ছিলেন ইংল্যান্ডে। তারপর স্বাধীন দেশের ফাঁকা পদে এসে ফেঁদে বসেছেন। একে ওকে এটা ওটা বুঝিয়ে নিজের পকেটটা ভরানোর কায়দাটা ভালোই জানতেন। হল জীবনে এই করেই তো কত বন্ধুর ঘাড় ভেঙ্গে খেয়েছেন!

বিস্তারিত»

অভিনন্দনবার্তা আর শাহী ডায়লগস ফ্রম দ্য গেরাম মোক্তারপুর-২

ঃ অভিনন্দনবার্তাঃ
…..খোমাখাতা বন্ধ করে দিয়ে সরকার আমাদের ভার্চুয়াল সামাজিকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি। বাধা যখন দেয়া হয়,সেটা অতিক্রম করার দ্বারও উন্মোচিত হয়। যেভাবেই হোক,নিষিদ্ধ হবার পর খোমাখাতাতে ঢুকতে কেন জানি ‘ক্যাডেট কলেজের নিয়ম ভাঙ্গা’ ধরনের অনুভূতি হচ্ছে। সরকারের নামে সিসিবি-তে মাংস ভক্ষণ করলেও খোমাখাতাতে করার সাহস আমার নাই। করলে কালকের দুপুরের খাবার জেলে খেতে হতে পারে! কি যে দিনকাল পড়ল! গণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের মধ্যে আছি!……

বিস্তারিত»

আমার ফেসবুকিং আটকায় কে??

সরকার ফেসবুক বন্ধ করসে খুব ভাল করসে!পোলাপাইনের কাম নাই-কাজ নাই…সারাদিন এই ফাউল সাইটে বইসা গ্যাজায়!শুধুশুধু সময়ের অপচয়…এই কথা আমিও বিশ্বাস করি।কিন্তু ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও শান্তি পাই না!কলেজ থেকে বের হইসি গত ২৪ তারিখ,পোলাপাইনরে খুব মিস করি!তবু খুব মজা লাগে সবাই ফেসবুকে দেখা সাক্ষাত করতে!কিন্তু কী থেকে কী হলো সন্ধ্যা থেকে ঢুক্তে পারতেসি না…প্রথমে বুঝি নাই কাহিনী কি!বুঝলাম সামুতে ঢুকে।তখন থেকেই হাজার হাজার পোস্ট কেমনে এফবি তে ঢোকা যায়!এর মধ্যে সবচেয়ে ইজি প্রসেস আসতে রাত ২ টা বাজছে।খালি এক সেকেন্ডের মামলা…http এর পর খালি একটা s বসায়া দেন!মানে এড্রেসটা হবে https://www.facebook.com …এই তো!আমি ফেসবুকে ঢুকসিলাম বাট মজা নাইক্কা!কজ পোলাপাইনই নাই।ওরা তো আর জানে না…মোবাইল দিয়া ঢোকে কিছু পাবলিক আছে…যাই হোক যারা ফেসবুক মিস করতেসেন ……আসেন…সরকার তো ফেসবুক আটকাইতে চায়…কিন্তু এইটা তো আর ক্যাডেট কলেজ না।আর ক্যাডেটদের আটকানো যায় নাকি?…চামে আমার প্রোফাইলটাও দিয়ে দেই…পারলে একটা রিকোয়েস্ট মাইরেন!

বিস্তারিত»

একটা ভূতমুখর সন্ধ্যা

মেডিকেল এ যেবার কেবল ভর্তি হয়েছি সেবারের কথা।

আমরা ৩ রুমমেট। আমি, সাব্বির আর রকিব। মাশাল্লাহ ৩জন ই পিস। তারমধ্যে রকিব হইলো পুরা মেডিকেল ইতিহাসের অংশ (কেন ও কিভাবে তা বলব, আস্তে আস্তে, ঘটনা তো আর ১টা ২টা না)।

এটা ২০০৫ বা ২০০৬ এর ঘটনা হবে। শবে বরাত এর রাতের কাহিনী। নেক্সড দিন কলেজ বন্ধ। পুরা মৌজ মৌজ ভাব এ আছি ।

বিস্তারিত»

“ফেইসবুক জ্বর”- the fever

ফেইসবুক। আমাদের মত কিছু অকর্মার ঢেকিদের কাছে বিশাল উপাদেয় একটা বস্তু এইটা। Specially আল্ট্রা-বোরিং ক্লাসগুলোতে একেবারে পেছনের লাইনে আজাইরা বসে না থেকে এই book-e ঘুতাঘুতি কইরাও শান্তি। ক্লাস ৪-৫ এর পিচ্চিরাও আজকাল facebook ইউজ করে (লোকমুখে শুনছি, দেখি নাই)। সেই দিন আর দূরে নাই, যখন আমাদের দাদা-দাদী, নানা নানীরাও fb-fever এ আক্রান্ত হয়ে যাবে , নিশ্চিত। মোটা ফ্রেমের চশমা ভেদিয়া তেনারা মোবাইলের স্ক্রীনে fb-এর স্বর্গীয় সুখ পাইতে ব্যস্ত থাকবে।

বিস্তারিত»

ছারপোকা সমাচার-২

ছারপোকা সমাচার-১এর পর থেকে

…ঘটিতে থাকিল নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।ছারপোকা পিন্টুর জীবন অতিষ্ট করিয়া তুলিল।শুধু তারই না,সকলেরই।একদা এক হলমেট খাট পিছনের বারান্দায় লইয়া দাউ দাউ করিয়া আগুন ধরায় দিল আর তার পাশে দাঁড়াইয়া হা হা করিয়া হাসিতে লাগিল।নিন্দুকেরা রটাইল, ‘মাথা গিয়াছে!’ কিন্তু খাট আধপোড়া করিয়া সেদিন সে যে শান্তির ঘুম দিল তাহা দেখিয়া অনেকেই পরবর্তী এক সপ্তাহ ‘অগ্নিছ্যাঁকা’ দিয়া ছারপোকা তাড়াইল!কিন্তু এর কুফল পাওয়া গেল যেদিন একজন তার আধপোড়া খাট ভাঙ্গিয়া ভূপাতিত হইল!….খাট হইতে ছারপোকা হয়ত আগুন দিয়া তাড়ানো গেল,কিন্তু তাই বলিয়া কি আর টেবিল,চেয়ার,আলমারি পোড়ানো সম্ভব!…।তাই কেরোসিন অথবা মোমবাতি ক্রয় করিয়া কষ্ট করিয়া খাট পোড়ানোর তরিকা ধীরে ধীরে সবাই পরিহার করিল।।…..

বিস্তারিত»

বউরে ডরায় না কেডা?

করিম সিদ্ধান্ত নিছে জীবনেও সে বিয়ে করবে না। একদিন সবাই গিয়া ধরলো, কেন বিয়া করবা না। করিমের জবাব, ভয়ে। বিবাহে তার ভয় নাই, ভয় বৌকে। যে জীবনেও বিবাহ করে নাই তার আবার বৌকে ভয়? কেমনে কী?
করিম বললো, অনেক আগে একবার বন্ধুর বিয়ে খাইতে গেছিলাম। ভীড়ের মধ্যে হঠাৎ এক মহিলার শাড়ীর আঁচলে পা পইরা গেলো। সেই মহিলা ঘুইরাই কইলো, চোখের মাথা খাইছো? দেইখ্যা হাঁটতে পারো না?

বিস্তারিত»

ছারপোকা সমাচার-১

[… সেদিন আমার এক বন্ধু বলল, ”প্রতিটা ক্যাডেট ইচ্ছা করলে একেকটা আত্মজীবনী লিখে ফেলতে পারে,কাহিনী তো কম করা হয় না।” আমি বললাম, ”ক্যাডেট লিখবে আত্মজীবনী!তাইলেই হইছে,পরীক্ষার খাতাতে লিখতে গিয়েই মনে হয়, ধুর এত্ত লিখে কী হবে,মরতে তো একদিন হবেই…(কপিরাইটঃ জুনা ভাই,যদিও সবারই মনের কথা)।এমনিতেই ডজিং এর উপর বিনা সার্টিফিকেটে ডিগ্রী নেই সবাই,তার উপর ক্যাডেটদের আত্মজীবনী ক্যাডেটরাই পড়বে,আর কেউ পড়লে বউ-প্রেমিকারা পড়তে পারে!” তারপর সে বলে,

বিস্তারিত»

দোয়েল বৃত্তান্ত ও পাদুকাপুরাণ

তারিক হাউসের সম্মুখের বাগিচায় একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটেরা তাহাদের জুতা ও মোজা শুকাইতে দিত। এই ঐতিহ্য বহুদিনের পুরনো বটে, বিধায় বাগিচার প্রায় ২০ বর্গমিটার ক্ষেত্র ক্যাডেটদের জুতার সুবাসে নির্দয় মৃত্যুভূমিতে পরিণত হইয়াছিল। তাই অত্র এলাকায় বৃক্ষকুলের শ্যামলিমা অনুপস্থিত ছিলো, একটি মাত্র অর্ধমৃত পামট্রি ছাড়া; যে কিনা বিপুল বিক্রমে বাঁচিয়া রহিয়াছিল একাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটদের পাদুকাসুবাস এবং ইত্যকার পারলৌকিক আহবান প্রত্যক্ষ করিয়াও। কিন্তু ২০০৫ সালে ৩৭তম ব্যাচ একাদশ শ্রেণীতে পদার্পণ করিলে বৃক্ষটি ইহলোক ত্যাগ করিয়া যায়;

বিস্তারিত»

এক বিবাহিত মেয়ের প্রতি

সেই বয়সের কথা। এক বালিকার সাথে তুমুল প্রেম করি। সেই বালিকা একদিন আবেগঘন হইয়া কইল, বিয়ার পরেও কি তুমি আমারে এইভাবে ভালবাসবা?
আমি কইলাম, অবশ্যই বাসবো। আমি বিবাহিত মেয়েদেরই সবচেয়ে বেশি ভালবাসি। 😡

বালিকা এই কথার অর্থ কী বুঝলো কে জানে। একদিন আইসা কইলো তার আমেরিকা যাইতে মন চায়। সে চইলা যাইতাছে। তয় একা যাইতে কেমন লাগে, তাই বাধ্য হইয়া এক ছেলের সাথে যাইতাছে।

বিস্তারিত»

বাংলা সিনেমা নিয়ে হালকা চালে গভীর ভাবনা-১

[লেখাটা আমার দুইজন প্রিয় বন্ধু টিটো আর কামরুলকে উৎসর্গ করলাম।যে দুজন মানুষের সাথে আমি চলচ্চিত্রের অনেক ভাবনা শেয়ার করেছি,তা ভেবে অনেক স্বপ্ন্ব ও দেখেছি।তা অতীতের কথা কিন্তু এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,এই দুজন একসময় মহৎ কোন শিল্প তৈরী করবে।আর এই লেখাটা নিয়ে নানান হা-হা,হি-হি আর ইমোর মাঝে ভাবনার খোরাক যোগাক,এটাই আসল কথা। 😉 ]

বাংলা সিনেমা নিয়ে লোকে নাক সিঁটকায়,এ আর নতুন কিছু নয়।কোন ভালো গল্প নেই,ভালো চিত্রনাট্য নেই,টেকনিশিয়ানরা দক্ষ নন,সঙ্গীতের অবস্থা খুবই সঙ্গীন,অভিনয় যাচ্ছেতাই,গুণী পরিচালকের অভাব-এরকম বিস্তর অভিযোগ।কিন্তু তারচেয়েও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে-তথাকথিত রুচিশীল দর্শক বলে নিজেকে যারা উন্নত মনে করেন,তারা কি ভালো চলচ্চিত্রের কোন চাহিদা বাজারে তৈরী করতে পেরছেন?এওতো সত্য যে,দিনশেষে চলচ্চিত্র একটি পণ্য,যার ভিত্তি পুঁজির উপর দাঁড়িয়ে কিন্তু অন্য আর দশটা অর্থনৈতিক পণ্য থেকে এটি একটু আলাদা করা যায়,কারন এর একটা শিল্পগুণ রয়েছে যার সাথে কিছুটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে।তাই এই পণ্যটিকে বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুধু যোগানদাতার দোষ খুঁজলে হবেনা,চাহিদার দিকটাও দেখতে হয়।

বিস্তারিত»