গোলাম আজমের এসি চাই।

একজন আলেম বুজুর্গ ব্যক্তিকে ৯০বছরের জেল !!! আল্লাহর লানত পরবে। গজব আসবে, গজব। অতিশয় বৃদ্ধ, অসুস্থ, মৃতপ্রায় একজন আলেম মানুষের ওপর বড় জুলুম !!! আল্লাহ আমাদের এই অন্যায় থেকে রক্ষা করুন।

মানলাম আদালতে ওনার শাস্তি হইছে ৯০ বছরের জেল। সরকারের হয়ত কিছুই করার নাই, সবই আদালতের রায়। তাই বলে উনার জন্য তো সরকার এই ৯০বছর সামান্য আরাম আয়েসের ব্যবস্থা করতে পারে। পিজি তে ওনাকে এটাচ বাথ ওয়ালা কেবিন দেয়া হয়েছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সরকারের প্রতি। সে কেবিনে এসি থাকলেও তা নাকি নষ্ট, এটা হইল কিছু? শুধু ফ্যানের বাতাসে কি এই গরমে ওনার কলিজা জুড়ায়। আহারে, আমি এই শোকে আজ থেকে ফ্যান বন্ধ করে ঘুমাবো।

যাক, তাও যে সরকার বাহাদুর ওনার জন্য এক বেলা ওনার পছন্দের ছোটমাছের তরকারীর ব্যবস্থা রেখেছেন এ জন্য সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে একবেলা ফখরুদ্দিনের বিরীয়ানী এবং বিকেলের নাস্তায় পিজাহাটের গরম পিজা দেয়ার জন্য মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।

আমার দাবী অতি সত্ত্বর হুজুরের কেবিনের এসি ঠিক করে দেয়া হোক। ওনার সেবা করার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭ জন গণিমতের তেঁতুল সরবরাহ করা হোক। এবং প্রতিদিন ২-৪ জন এখনো জীবিত ভারতীয় দালাল তাকে পাঠানো হোক যাদের জবাই করে, বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে উনি শেষ বয়সে খানিক মানসিক শান্তি ও বিনোদন লাভ করতে পারেন। তবে ভারতীয় দালাল নির্বাচনের সময় প্রথম দিকে বীরউত্তম,বীরবিক্রম,বীরপ্রতিক এধরনের খেতাবধারীদের প্রেরন করতে হবে। অতি অবশ্য প্রতি সপ্তাহের পবিত্র জুম্মাবারে একজন করে বুদ্ধিজীবী ওনার কাছে প্রেরন করতে হবে ওনার নিজ হাতে হত্যা করার জন্য। যেন ওনার আজন্ম স্বপ্ন বাংলাদেশ নামের এই বিধর্মী নাছারার দেশটাকে ধ্বংস করার পবিত্র কাজটাকে উনি মৃত্যুর দিন পর্যন্ত করে যেতে পারেন।

আগামী শুক্রবারের ভিতর আমার এই দাবী সমুহ পুরোন না হলে বা পুরোনের আশ্বাস না পেলে শাহাবাগ চত্বরে আমি লাগাতার ৯০ বছরের অবস্থান ধর্মঘট পালন করব।

গোলাম আজম কেন হাসপাতালে?