ক্যাডেট কলেজ কড়চা-২

২০০২ থেকে ২০০৮।আমার ক্যাডেট লাইফ।ভালোয় মন্দে মিশিয়ে কেটেছে জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এই ছয়টি বছর।যেকোন ক্যাডেটের এই ছয়টি বছর কাটে অনেক ঘটনাবহুল।আমিও ব্যাতিক্রম না,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ক্যাডেট লাইফ একটু বেশিই উরা-ধুরা।কলেজের গল্প করতে কার না ভালো লাগে?ছয় বছরের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে আমার এই সিরিজ ‘ক্যাডেট কলেজ কড়চা’।আগেই বলে নেই ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো নয়।যেটা আগে মনে আসবে সেটাই লিখবো আগে।

(ডিসক্লেইমারঃধূমপান ক্যানসার সহ নানা প্রকারের দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে পারে)

বয়স তখন ১৩ কি ১৪।ক্লাস এইটের কোন এক ছুটি।দুই দুষ্টু (ক্যাডেট)বন্ধুর প্ররোচনায় সিগারেটে হাতেখড়ি।আমার ভাব তখন দেখে কে?২ দিনে মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি।অসম্ভব(!)স্মার্ট লাগতে লাগলো নিজেকে।তার উপর বিলবোর্ডে নেভির প্যাকেট সামনে রেখে জাহিদ হাসানের ছবি,লেখা “শেষ পর্যন্ত সিগারেটটা ধরেই ফেললাম”।ভ্যাকেশনে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খেতাম বাথরুমে,অনেক রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে।মাঝে মাঝে মিসটাইমিং হয়ে যেত।আম্মা বলতো রাতদুপুরে নাকি বিড়ির গন্ধ পায়।নানী এগিয়ে আসতো আমাকে বাঁচাতে,বলতো পাশের বাসার আঙ্কেল রাতে বিড়ি খায়।

একসময় ভ্যাকেশন শেষ হলো,এবার কলেজে ফিরবার পালা।ট্রেনে রংপুর যেতাম,মাঝখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেরীর পথ।ভাবলাম কবে আবার সিগারেট খেতে পারবো কে জানে তাই একটা খেয়ে নেই এখন।কেন জানি খুব লজ্জা লাগছিলো ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতার কাছ থেকে সিগারেট কিনতে।বন্ধু তৌহিদকে বললাম আমার এই সিক্রেটের কথা।ও হেসে দিয়ে বললো ও নাকি অনেক আগেই ট্রাই করেছে।দুজন মিলে দুইটা গোল্ড লিফ ধরিয়ে ফেরীর ছাদে বসে যমুনার হাওয়া আর গোল্ড লিফের ধোঁয়া একসাথে সেবন করতে লাগলাম।দুজন মিলে প্রতিজ্ঞা করলাম কলেজে কখনোই খাবোনা।

কলেজে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চলছিলো সব।আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র আশরাফুল ভাইয়ের সাথে আমাদের কয়েকজনের খুব ভালো সম্পর্ক।প্রায়ই আমাদের রুমে এসে গল্প করেন আর একটু পরপর সিগারেট খেতে বাথরুমে যান।তো একদিন সাহস করে বলে ফেললাম আমরাও সিগারেট খাই।উনি অনেকটা নিমরাজি অবস্থাতেই আমাদের সাথে সিগারেট খাওয়া শুরু করলেন।উনাদের ক্লাসমেট,আমাদের ক্লাসমেট,কলেজের সব সিনিয়রদের লুকিয়ে চলতো আমাদের এই লোমহর্ষক এডভেঞ্চার।একদিন উনি আমাদের অকুল পাথারে ভাসিয়ে দিয়ে কলেজ আউট হয়ে গেলেন,তাও আবার সিগারেট আনতে গিয়ে।সেই রাতের কথা আরেকদিন লিখবো।শুধু এটুকু বলে রাখি উনার মতো প্যাথেটিক ভাবে (ভাগ্যদোষে)কোন ক্যাডেট কখনো আউট হয়নি।

উনি চলে যাবার পর আমরা নিজেদের সোর্স নিজেরাই খুজে নিলাম।আস্তে আস্তে নাইনে উঠলাম,অপার স্বাধীনতা,ব্লক লিডার আমরা,একপাশের বাথরুমের পুরো কর্তৃত্ব আমাদের হাতে।তখন আমার আর তৌহিদের সাথে নতুন যোগ হয়েছে রহমান,ফরহাদ,সুলতান আর শামিম।আমাদের দুই ক্লাস সিনিয়ররা এসএসসি শেষে কলেজে ফিরলেন।নিউ ইলেভেন এর ভয়ে তখন বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়।কলেজে ত্রাহি ত্রাহি রব সর্বত্র।অন্য হাউজের আমাদের ক্লাসমেটরা অলরেডি অলটারনেটের কাছে বেশ কয়েকবার মাইর খেয়েছে কিন্তু আমাদের হাউজের ২ ক্লাস সিনিয়ররা তখনো আমাদের ক্লাসকে অফিসিয়ালি সাইজ করেন নাই।তাই বুঝতে পারছিলাম সেই শুভক্ষণ আসন্ন,দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা/শুধিতে হইবে ঋণ।

কোন এক বৃহস্পতিবারে আঁচ করতে পারলাম যে আজ কিছু হতে চলেছে।আমরা ধূমপায়ীরা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলাম।যেহেতু আমরা স্মোক করি তাই আজ না হোক কাল ধরা খাবোই অলটারনেটের কাছে,তখন আবার এক্সট্রা খাইতে হবে।তার চেয়ে একবারেই শেষ হোক। মাগরিবের নামাজের পর ডাক পড়লো টেবিল টেনিস রুমে।দোয়া-দরূদ পড়ে মাইর খাওয়া শুরু করলাম।কয়েক টার্ন শেষ হবার পর কানে আসলো সেই প্রত্যাশিত প্রশ্ন “কারা কারা স্মোক করিস?”।ভাইয়াদের অপ্রত্যাশিত ভাবে চমকে দিয়ে এগিয়ে আসলাম আমরা পাঁচজন।আরো কিছু এক্সট্রা ডোজ খেয়ে রুমে আসলাম।একটু পর অল্টারনেট সিনিয়রদের মধ্যে “মাইটিম্যান জুলু ভাই(জুলফিকার ভাই)” এসে হাজির।বললেন “চল সিগারেট খেয়ে আসি””।এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।বাথরুমে সিগারেট খেতে খেতে বললেন কলেজে স্মোক করা কতোটা রিস্কি অ্যান্ড টাফ।যাবার সময় বলে গেলেন উনার সাথে স্মোক করার মানে এই না যে আমাদের স্মোক করার ফ্রিনেস দেয়া হলো।সো মমিন,খুব খিয়াল কইরা।

জুলু ভাই সম্বন্ধে কয়েকটা কথা বলে নেই।উনি আমাদের কাছে ছিলেন একজন লিভিং লিজেন্ড।ক্যাডেট লাইফের ব্যাসিক শিক্ষাগুলো পাই উনার কাছ থেকে।যেমন টুয়েন্টি নাইন খেলা,তিন কার্ডের ফ্ল্যাশ খেলায় ট্রয় রান বা রানিং কি,সিগারেটের ধোঁয়া দিয়ে রিং বানানো,সিগারেট কোথায় লুকাতে হয়,কিভাবে পাইপ বেয়ে ছাদে উঠতে হয় ইত্যাদি।উনার যে কাহিনীটা আমি মরার আগে পর্যন্ত ভুলবোনা সেটা বলি।একবার উনি গভীর রাতে গ্রিল বেয়ে ছাদে উঠেছেন।বলে রাখা ভালো যে ৩ তলা থেকে গ্রিল বেয়ে ছাদে ওঠা নিডস সাম গাট।পা ফসকে গেলে না মরলেও পঙ্গু হয়ে যাবার চান্স অনেক বেশী।কিন্তু আমাদের জুলু ভাই এসবের ধার ধারতেননা।তো অনেক কষ্টে ছাদে উঠে একটা সিগারেট ধরিয়ে হাঁটছেন।হাঁটতে হাঁটতে ছাদের দরজার কাছে এসে দেখেন পাইপ বাওয়ার দরকারই ছিলোনা,ছাদের দরজা এমনিতেই খোলা।

কলেজে ম্যাচ বা লাইটার না থাকলে সিগারেট ধরানোর একমাত্র উপায় ফ্যানের রেগুলেটর খুলে তারে তার ঘষে আগুন জ্বালানো।হাতে থাকতো তুলা আর মুখে রেডি থাকতো সিগারেট।এই কাজ করতে করতে আমি প্রায় এক্সপার্ট হয়ে গেলাম,মাঝে মাঝে অন্য বন্ধুরাও ডেকে নিয়ে যেত।আমরা তখন একজামিনি।সারারাত পড়তে গেলে সিগারেট খেতেই হয়।একদিন রাতে ম্যাচ খুজে পাচ্ছিনা।এদিকে নতুন জেপিশিপ দেয়া হয়েছে অলটারনেটদের।তাই রিস্ক নেয়া যাবে না নিজেদের রুমে।জুনিয়র ব্লকের কোন একটা রুমে সিগারেট ধরিয়ে বাথরুমে যেতে হবে।শামিম আর তৌহিদকে বললাম তোরা যা বাথরুমে আমি বিড়িটা ধরিয়ে আসতেছি।রেগুলেটর খুলে সিগারেট ধরিয়ে একটা টান দিয়ে যেই না লাইক এ বস দরজাটা খুললাম দেখলাম জেপি আনোয়ার ভাই দাঁড়িয়ে সামনে।ঐ সময়ের অনুভূতি বলে বোঝানো যাবেনা।শুধু এটুকু বলি,স্বয়ং আজরাইলকে দেখলেও মনে হয় এত ভয় পেতাম না।ঐ রাতে অল্টারনেটদের সবাই আসলেন আমাদের ক্লাসের রুম চেক করতে।মজার ব্যাপার হলো আমাদের বিড়িপার্টির রুম বাদে প্রায় সবার রুমেই কিছু না কিছু (ওয়াকম্যান,সিডি,গুপ্ত,সিগারেট) পাওয়া গেল।

একজামিনির আরেকটা ঘটনা বলি।পিকনিক হচ্ছে তাজহাট জমিদার বাড়িতে।আমি আর ফরহাদ লাঞ্চের পর পান খেতে গেলাম বাইরে।মুখ লাল করার কোন প্ল্যান ছিলোনা তারপরও ভুলে চুন খেয়ে ফেল্লাম।যাইহোক যাবার সময় যেহেতু একজামিনিরা পিকনিক থেকে সবার আগে কলেজে ব্যাক করে তাই কলেজের পুরো সাপ্লাই বহন করার দায়িত্ব পড়লো আমাদের ব্যাচের কাঁধে।সবচেয়ে আলাভোলা ছেলেটি পর্যন্ত মিনিমাম ৪/৫ প্যাকেট ক্যারি করছে।কলেজ অথরিটি আমাদের বাসে ওঠানোর আগে ছোট্ট একটা খেলা খেলল।আমাদের এক লাইনে দাড় করিয়ে বলল একজামিনিদের চেক করা হবে।আমি ছিলাম ৩০/৩৫ জনের পর।এক একজন বাসে উঠছে আর বাসের গেটে স্টাফ হাতাপিতা করে মোজা,বেল্ট,আন্ডারওয়ার থেকে লাল লাল প্যাকেট বের করছে।একজন করে বাসে ওঠে আর আমি একজন একজন করে পেছাই।এরকম করতে করতে প্রায় ৪৫ নাম্বারে চলে আসলাম।এবার আমার পালা।

বাসে উঠতে যাবো এমন সময় পেট চেপে আমাদের ফর্মমাষ্টার হান্নান স্যারকে বললাম স্যার আমার প্রচণ্ড পেট ব্যাথা করছে।মুখে যথাসাধ্য ব্যাথার চিহ্ন রেখে আহ উহ করতে লাগলাম।এডজুটেনট স্যার এগিয়ে এসে তাঁর লাঠি দিয়ে আমার পেটে গুঁতো দিয়ে বললেন এনিথিং রং?বললাম স্যার ব্যাথায় মরে যাচ্ছি।স্যার স্টাফকে বললেন একে মেডিক্যাল অফিসারের কাছে নিয়ে যাও।এই ঘটনাগুলো যখন ঘটছে তখন দেখি বাস থেকে সব ক্লাসমেট অবাক হয়ে আমার এই সিনেমা উপভোগ করছে।মেডিক্যাল অফিসার আমাকে দেখে বললেন “পান খেলে তো পেট ব্যাথা করবেই,কলেজে গিয়ে হসপিটালে রিপোর্ট করবে”।আমি বললাম ওকে স্যার।স্টাফকে ডেকে বললেন তাড়াতাড়ি কলেজে নিয়ে যাও একে।চেক ছাড়াই আমি পেট ধরে ধরে বাসে উঠলাম।সিটে বসে আমার নিজেকে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট এর মতো মন হচ্ছিল।বাস চলা শুরু হলে আশরাফ স্টাফ আমার কাছে এসে মুচকি হেসে বললেন “কি হুমায়ুন,অপারেশন সাকসেসফুল?”।আমিও কিছু না বলে একটা মুচকি হাসি দিলাম।

শেষ করি ক্লাস টুয়েলভের একটা ঘটনা দিয়ে।আমরা সিএমএইচে পালা করে যেতাম সিগারেট আনতে।তো সেইবার টার্ন ছিল সুলতান আর শামিমের।কলেজে আসার পথে ওরা বিপুল পরিমান সিগারেট সমেত ধরা খেল।কড়া প্রিন্সিপাল সরাসরি কলেজ আউট করে দিলেন দুইজনকেই।সুলতান ছিল আমার একমাত্র রুমমেট আর শামিম আমার জিগরি দোস্ত।কলেজে মোবাইল আনতাম আমি আর সারাদিন প্রেম করতো ও,সেই লেভেলের জিগরি আর কি।তো ওরা দুজন চলে যাবার পর আমি মুষড়ে পড়ি।সিদ্ধান্ত নেই আর স্মোক করবোনা।প্রায় দুই সপ্তাহ সিগারেট না খেয়েই কাটিয়েছি বলা চলে।২০০৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ওদের কলেজে ফিরিয়ে আনা হয় এইচএসসি পরীক্ষার কথা চিন্তা করে।সেদিন মিল্কব্রেকে যাবার সময় দেখি হাউজ থেকে শামিম ডাকছে,হুমায়ূন হাউজে আয়।গ্রিল বেয়ে তাড়াতাড়ি উপরে উঠে দেখি ও কয়েকটা সিগারেট নিয়ে আসছে বাসা থেকে আসার সময়।ফোলা ফোলা গালদুটো প্রসারিত করে বললো “চলো বস হয়ে যাক দুই টান”

সামনে বাঁ থেকে ফরহাদ,সুলতান,আমিন,জাহাঙ্গীর,রহমান। পেছনে বাঁ থেকে শামিম আর তৌহিদ।

সামনে বাঁ থেকে ফরহাদ,সুলতান,আমিন,জাহাঙ্গীর,রহমান।
পেছনে বাঁ থেকে শামিম আর তৌহিদ।

১,৮৮০ বার দেখা হয়েছে

১০ টি মন্তব্য : “ক্যাডেট কলেজ কড়চা-২”

  1. নাফিস (২০০৪-১০)

    কলেজের সিগারেটের চেয়ে তৃপ্তিদায়ক বস্তু পৃথিবীতে নেই... অনেক কথা মনে পরে গেল ! কলেজে আমরা একবার সংকটকালীন সময়ে বিড়ি পর্যন্ত খেয়েছিলাম। আকিজ বিড়ি ! 😀 গুড ওল্ড ডেইজ !

    জবাব দিন
      • সিরাজ(১৯৯১-১৯৯৭)

        ভাইয়া তোমার লেখা পরে আমারো পুরাতন দিনের কথা মনে পরে গেলো।এখন মনে হয় যে কতই না বান্দর ছিলাম আমরা।শুধু সিগারেট কেন।কলেজের এমন কোন জিনিস নাই যে খাই নাই।আম,কাঁঠাল,আমলকি,কলা,জাম আর পেয়ারা আর সাথে বোনাস হিসাবে এক্সট্রা ড্রিল।কলার কাঁদি নিয়ে আসতাম ঘারে করে স্যারদের বাসার কাছ থেকে।৩নং ফুটবল গ্রাউনড এর পাশে যে খালটা আছে সেটা পার হয়ে স্যারদের হাউজিং এ যেতে হত।এখন মনে হয় পেয়ারা বাগানটা নাই।কত স্মৃতি জড়িয়ে যে আছে.......মাঝে মাঝে মনে হয় সে সময়টাই সবচেয়ে ভাল ছিল।


        যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি

        জবাব দিন
    • হুমায়ুন (২০০২-০৮)

      আশু আমি যদি খালি তোমার কথা লিখি তাইলেই এরকম ১৫টা পর্ব লিখতে পারবো।এই ব্লগে একটা কথা লিখতে ভুলে গেছি।
      ক্লাস টেন পর্যন্ত আশহাব(জ-১৩২৩) কে বিড়ি ধরানোর হেন চেষ্টা নাই আমি করি নাই,কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।অতি আশ্চর্যভাবে এই আশহাব ক্লাস ইলেভেন আর টুয়েলভে হয়ে উথলো দুঃসাহসী ধূমপায়ী। :))
      আই লাবিউ আশহাব 😡


      তুমি গেছো
      স্পর্ধা গেছে
      বিনয় এসেছে।

      জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    লেখা ভালো হইছে।
    একাদশের শেষ টার্মে আমার জিগিরি দোস্ত জুবায়ের আউট হয়ে গেলো। নতুন বছরের শুরুতে দেখি জুবায়ের নাই।
    আমি ও আর ও একসাথে ধূমপান করতাম। দুইজনে মিক্সচার খাইতাম,
    রিজলা, ডাচম্যান, বোরকাম, আর বঙ্গবন্ধুর প্রিয় এরিনমোর। আর পয়সায় টান পড়লে ক্যাপস্টান।
    ও আউট হয়ে যাওয়ায় বিশাল বিপদে পড়লাম। মোস্তাক আর হোসেনের সাথে গোল্ডলিফ আর বাংলা ফাইভ খাইত হইতো। প্রতিবার সিগারেটে টান দিতাম আর জুবায়েরের কথা মনে পড়তো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. আমি শখের সিগারেটখোর।যদিও আমি ক্যাডেট কলেজের কেউ না ,তবু আপনাদের লেখা পড়েই তো আরেকটা সিগারেট খাইতে মন চাইতেছে।যাই খেয়ে আসি আরেকটা গোল্ড লীফ, কাশি হইতেসে হোক :((

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।