ভালবাসা মানে
উঠতি কবির ভুলে ভরা কবিতা
ভালবাসা মানে
শীতের সকালে এক পশলা বৃষ্টি
ভালবাসা মানে
লাশের গায়ে ডুমো মাছির দল
ভালবাসা মানে
গ্রীষ্মের তাপদাহে চৌচির ধানের ক্ষেত
যে সীমান্তে শুধুই বসন্ত ! (২)
যে সীমান্তে শুধুই বসন্ত ! (১)
………………………………………………………………………………………………
১ বছর পর আকাশ আর নীলিমা কক্সবাজারের বালুকা বেলায় ~
সময় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি …
……………………………………………………………………………………………।
-
সিকোয়েন্স- ১। কথার পিঠে কথা ।
দৃশ্যপটঃ ১
ওপেনিং শট – সাগর আর আকাশ ঘুরে দুটো গাঙচিলের উড়ে চলা দেখিয়ে ফেড আউট।
জুম ইন-সাগর পাড়ের একটি কটেজ।
সেটঃ ইন্টেরিয়র-আকাশ-নীলিমা’র কটেজ।
মনমরণের ইতিবৃত্ত
মন মরে যাবার প্রক্রিয়ার সাথে আমি তেমন পরিচিত ছিলাম না।
বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে মানুষের বিদেহী আত্মার কথা শুনেছি কেবল
জেনেছি, কেউ কেউ মরে গেলে দেহ বিয়োজন ঘটে,
আর কোনো কোনো লাশের খবর থাকে না।
ঈর্ষা করেছি যারা আত্মা হয়ে গেছেন, চল্লিশ দিন
ঘুরে বেড়িয়েছেন ভরহীন অশরীরে।
দুঃখ-শোক-সন্তাপ-বিদুরিত-প্রাণে-অপ্রাণে
আর অনেক অনেক বছর পরে, বিদেহীদের পরিচয়
আমার কাছে আটপৌরে হয়ে গেলে,
একান্ত ব্যক্তিগত !!
আমি ধীরে ধীরে সিসিবি’র সাথে আমার মানসিক ভাবে জরিয়ে যাওয়া দেখতে পাচ্ছি। মাহমুদকে ধণ্যবাদ জানাই।
একটা কবিতা পোষ্ট করব বলে বসেছি। অতীতে লেখা।সবার জীবনেই যেমন কিছু মূহুর্ত আসে যখন মানুষ একটু করে বদলে
যায়, আমার তেমন একটি সময়ে লেখা।আমার খুব প্রিয় বন্ধুদের মনে করে লিখেছিলাম।
তোমাদের চোখে তাকিয়ে
আমি আমার বদলে যাওয়া দেখতে পাই।
হয়তো তোমরা আমার
নিজস্ব আয়নার মতো,
অভিমানী প্রেম

কথায় কথায় অভিমান করো
কথায় কথায় অফলাইন,
ভালোবাসার জোরে চালাও
স্বেচ্চাচারী আইন।
হুট করে নেই কোন কথা,
অজুহাত দাও শরীর খারাপ ,মাথা ব্যাথ্যা
একটু এদিক সেদিক হলে
মুখটা করে হাঁড়ি,
দুচোখের নীরব চাহনীতে
লক্ষ লক্ষ ঝাড়ি।
অতীত-বর্তমান
সে আমার নয়, ছিলো কি কখনো?
প্রেম এক বহমান নদী, বাঁকে বাঁকে যার
অসংখ্য পুরুষ – নারীর জন্য
আসংখ্য নারী – পুরুষের জন্য।
বাঁক থেকে বাঁকে তারা ছুটে ছুটে যায়।
পুরুষ ছুঁয়ে যায় কত নারী,
নারী স্পর্শ নেয় কত পুরুষের!
গতকাল ইতিহাস আজ, আগামী রহস্যে ভরা
কিন্তু বর্তমান আমার আশীর্বাদ।
তুমি আজ অন্যের বাহুডোরে,
কিন্তু জেনে রাখো,
বন্ধু, চিনে নিও
তোমা-আমায় বন্ধুত্ব জমছে দারুন ভালো
তোমার হাসি আমার প্রানে ছড়ায় রঙিন আলো
যখন তুমি সঙ্গে থাকো, দারুন হাসাহাসি
অযুত নিযুত কোথা মোদের,কত্তো রাশি রাশি
তোমার আমার দুষ্টুমি তে দুলছে চারিপাশ
সূর্য প্রথম শুকায় যেমন শিশির ভেজা ঘাস
গল্পে দুজন মেতে উঠি, যখন আসি কাছে
একটুখানি, সারাদিনের ব্যস্ততার ই মাঝে।
শুধু তোকে নিয়ে লেখা
তুই আর আমি,
যত বাঁদরামী
চিরকাল দুজন একসাথে,
যা হবে হোক
তোর আমার ঝোঁক
দুষ্টামী হাত রেখে হাতে।
হাতছানি
যতদূর এই চোখ চলে যায় নীল ,নীল শুধু নীল
দিগন্ত জুড়ে উড়ে চলে যেন এক ঝাঁক গাংচিল
শতযুগ ধরে পথে পথে মোরা করেছি অণ্বেষণ
শপথ নিয়েছি,সাগরের খোঁজ করে যাব আমরণ
আজকে যখন শুনতে পেয়েছি সমুদ্র দিল ডাক
না হয় সবাই ভুলবো বারণ বন্ধণ ছিঁড়ে যাক
আমার দু’চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ করে দিও
আমার দু’চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ করে দিও
হৃদয়টাকে হিঁচড়ে টেনে শূণ্য করে দিও
বোধের ঘরে নষ্ট ঘুণে
পুড়িয়ে দিও নীল আগুনে
জ্বালিয়ে দিও অস্থি-মজ্জা যেটুক থাকে বাকি
পারলে দিও নির্বাসনে একলা যেন থাকি!
কেউ যেন না পায় এ আমার নীরব প্রেমের জল
কেউ যেন না হয় আর অমন হঠাৎ বিহবল
তোমার প্রেমের অনন্তলোক
আমার আকাশ নিবদ্ধ হোক
কেবল যেন তোমায় আমি দেবী বলে মানি,
স্তুতি
নীল আকাশের বুকে ভাসে সাদা মেঘের ভেলা
আমার অবুঝ হিয়ার মাঝে রঙ সাজানর খেলা
মেটে রঙের দেশের মাটি, মেটে মায়ের বুক
দেশের মাটির মেটে আভায় উজলা সবার মুখ
আমার দেশের মানুষগুলোর চোখে আলকছটা
স্বপ্ন দেখা অমনি চোখ কে দেখেছে কটা?
সবুজ সবুজ চারিটাদিক সদাই দেখে দেখে
সবার মনে কচি সবুজ রঙ গিয়েছে মেখে
গাছের নতুন পাতার মতই কোমল সবার মন
আবার গভীর,
হঠাৎ করে মনে হলো ভুল করেছি ভালোবাসায়

হঠাৎ করে মনে হলো ভুল করেছি ভালোবাসার
শুকনো হ্রদে নাও ভাসিয়ে
কপাল বেয়ে নেমে আসা স্বেদের ধারা স্ফুলিঙ্গ হয়
ভিজিয়ে দেয় ক্লান্ত প্রহর শ্যামল ছাতের নিওন বাতি
প্রবাহমান আলোর রেখা
সবুজ আলোয় হাত পুড়িয়ে ভুল করেছি ভালোবাসার
নীল হাওয়াতে উড়িয়ে ঘুড়ি
স্বপ্নস্রোতের রাজফটকে পেন্সিল হাতে দ্বারপ্রহরী
খসড়া আঁকে নাটাই হাতে এক বালকের উদাস চোখের
আগুন যত গুমড়ে মরে বুকের ভেতর
মাটির চুলোয় মন পুড়িয়ে ভুল করেছি ভালোবাসার
লালচে ঠোঁটে চুমু খেয়ে
কালকে রাতে চাঁদের সাদা জোৎস্না মাঠে খেলতেছিল
মেঘের সাথে,সেই সুযোগে এই দু’জনার হাটাহাটি
সমস্ত রাত আবছা ছায়ায় হাতটি ধরে গল্প বলা
বিদায়ক্ষণে আলতো ছুঁয়ে ভুল করেছি,ভুল করেছি!
স্বপ্ন
যখন আমি স্বপ্ন দেখি, মনে যে হয় জেগে আছি,
উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াই, প্রজাপতির সাথে হারাই..
ফুল বাগানের মধ্যে দেখা, আকাশ পরি একা একা
চুপটি করে বসে আছে, বেলি ফুলের সাথে মিশে
কাঁদছে একা করুন সুরে, আমি তখন একটু দূরে–
কাছে গেলাম কৌতুহলে, জিজ্ঞাসিনু খেলার ছলে
বলল, সে যে রাজকুমারী, পাষান হৃদয় পিতা তারি,
দুঃখ পেলাম ঋণ
শূন্যতা
মাথার ভিতরে হলুদ চিন্তা আর ঘুণেপোকার কিট কিট আওয়াজ…
চোখে বুঁজে আসে মাদকতায়……
আমি চোখের মনিতে আলপিন গেঁথে বেঁকে যাওয়া নদীর আর্তনাদ শুনি…
বাতাসে উড়ে বেড়ায় লালপেড়ে ঘুড়ি।
নদীর বাঁকে রমন ক্লান্ত শরীর ঘিরে থাকে প্রিয়তমার ঘ্রানে
হলুদ-হলুদ চিন্তা মিশে মিশে যায়।
ঘুম আসে না।
যে যাবার সে চলে যায় অবলীলায়।
পড়ে থাকে শুধু মায়া।
