রাত্রিস্নান

আজকাল অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি।
কেন যেন ঘুম ধরে না
কোলবালিশটা আঁকড়ে ধরে-
এপাশ-ওপাশ করতে থাকি।
কখনো পাশে শোয়ানো মোবাইলটা তুলে
সময়টা জেনে নেই, আচ্ছা-
গভীর রাতে সময়টা শ্লথ হয় কেন?
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার কোনো-

বিস্তারিত»

অভিশাপ নারে আশীর্বাদ দিমু

তোমরা আমারে চিনবানা, আমার গলাত
ঝুলানি কোন চিকচিকা পরিচয়পত্র নাই।
একটা পাও নাইক্কা আমার – পঙ্গু অহন,
এর থিকা পষ্ট আর কি পর্‌মান চাই?
অহন কোন কিছুতেই ধরে না তেমন জ্বালা,
আমি য্যান এ্যাক্কারে পাথ্‌থর হয়্যা গেছিগা।

দামাল আছিলাম সত্যই; নাইলে কি কামে কিসের টানে ,
বেবাক ভুইল্যা মাইত্যা উঠছিলাম আমি বিষম অভিমানে!
দ্যাখতে দ্যাখতে এতডি বছর হইয়্যা গেল পার,

বিস্তারিত»

মন খারাপ কাব্য-১

অমন গভীর মায়াঘেরা স্নিগ্ধ বিকেল আর হবে না
অমন ভালোবাসা মাখা স্মৃতিগুলো আর রবে না
সবুজ ঘাসের নরোম বুকে পাখিগুলো হাটবে না আর
দিনের আলো মিলিয়ে সেথায় রইবে পড়ে গাঢ় অন্ধকার!

যাদের চোখে স্বপ্ন এখন সেগুলো আর না হোক ধূসর
স্বপ্ন রঙিন জড়িয়ে বুকে কাটবে দেখো খুব অবসর
দীঘল কালো চুলের বেণী দুলিয়ে সে নাই বা এলো
তবু কেবল স্বপ্ন দেখো,দুঃখগুলো পুড়বে না আর!

বিস্তারিত»

ফিলসফি

আঁধপোড়া সিগারেট পড়ে ছিল
রাস্তার ওপর।
ইতিউতি করে আশপাশে দেখে
তুলে নিলাম হাতে।
ফিল্টারের ধুলা সরিয়ে
ঠোঁটে গুঁজে নিয়ে ধরালাম ওটা।
মনে মনে বললাম আজ নাহয়
একটা সিগারেটের টাকা বাঁচাই।

বিস্তারিত»

জলকিশোরী,জলকিশোরী

জলকিশোরীর চুল
ফিনফিনে ঠিক ফিঙের মতন কালো
খোঁপায় জবা ফুল
অন্ধকারে ছড়ায় রাঙা আলো!

জলকিশোরীর হাত
মোমের মতন ফরসা,আদর ভরা
নরোম,রেখাপাত
আর্দ্র,যেন উষ্ণ শিশির ঝরা!

বিস্তারিত»

হারানো অনুভূতি

সন্ধ্যা যায় তারপর যায় রাত
তবু আজকাল আর অকারণে দেখা হয় না
রাতের আকাশ।

কখনও পূর্ণিমাতে চাঁদের ফোকলা হাসি দেখা,
আবার ক্ষয় হওয়া পূর্ণিমা যেন মনে হত
তার মাথায় হাত,
আর অমাবস্যাটা ছিল নিকষ আধাঁরে

বিস্তারিত»

‘দ্য ফলিং ম্যান’ ও অন্যান্য

নিজেদের পরিণতি তখন জেনে গেছে ওরা
তবুও সে কী এক আশ্চর্য তাড়নায়
সব্বাই হয়তো সে মূহুর্তে বের করে এনেছিল
মুঠোফোন … হায়! কতগুলো প্রাণকে ছোঁয়া যাবে
এই অভিশপ্ত সময়ে, কতটা মায়া জড়িয়ে
ইথারে ছড়িয়ে কন্ঠস্বর বা যাণ্ত্রিক বার্তায়
বলেছিল ওরা “ভালবাসি, প্রিয়।”

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু – ৫

জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনো না কিংবা কিনো না ফুল
ভালবাসা কিনে করিও একটি ভুল।
——————————-
যতদূর যাও ততদূর পাশে চলা
রেলের লাইন মেশে না তবু কি থামে
হৃদয়ের কথা একদিন হবে বলা।
——————————-
নীরবে সয়েছি নীরবে সহিয়া যাই
তুমি যা পেরেছ আমি তাহা পারি নাই
রুদ্ধ ঝিনুক দুঃখের মুক্তা বুকে।

বিস্তারিত»

যাও ফিরে যাও দেবী!

তুমি যাও ফিরে যাও দেবী,যাও ফিরে যাও,মন
আমার থেকে;দুঃখ রেখে
নিয়ে যাও সব স্মৃতির ডালা
অশ্রুমালা!
তুমি যাও ফিরে যাও,দেবী-

ফাগুন দিনের ফুলের কাছে,
অতুচ্চ্য সব ভুলের কাছে
দু’হাত পেতে কী লাভ এখন?
যাও,ফিরে যাও মন!

বিস্তারিত»

ব্যাপক তামাশা !

প্রকৃতির বর্ণিল আয়োজনে
রাতের আঁধারে চক্রাকারে
রঙীন বাতির অসহিষ্ণুতা,
আমাদের সলজ্জ অপেক্ষা!

যাদুকর তখনও আসে নি; আর
বাবা ছেলেকে দিচ্ছেন শান্তনা।
মা মেয়েকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন
ঘড়ির কাটায় এ সময়ের ক্ষয়।

বড় ভাই ছোট’কে ফিসফিসিয়ে
শুনিয়ে যায় যাদুবিদ্যায় কারবার-
রুমাল পায়রা হয়ে ডানা ঝাপ্টায় তো
লাল কাগজ নীল হয়ে যায় তার হাতে …

বিস্তারিত»

Rainy city never runs!

বর্ষায় ফুলে যাওয়া কোলাব্যাঙের আঠালো জিভ থেকে
নিরাপদ দূরত্বে ম্যাচ বাক্স, আগুনের সূতিকাগার।

মেট্রোবর্ষায় পরকীয়া ভিজে গেছে বাস সার্ভিসে,
চালশে প্রেমে মধু মেশানো আদিরস!
আঠালো জিভ লম্বা হয়ে ওঠে
জিনতত্ত্ব ভুলে কিছুটা মাংসাশী
তরুণীর শ্বাসে আরো প্রাণিজ হয়ে ওঠে মধ্যবিত্ত।

বিস্তারিত»

প্রেম-যুদ্ধ-সুখ ১

আয় পাষাণী,আয় না করি যুদ্ধের আয়োজন
তুমুল ভীষণ যুদ্ধ হবে,আমরা এ দু’জন-
আস্ত্রধারী যোদ্ধাবেশে শত্রু হয়ে লড়ি,
প্রমাণ হবে কার চেয়ে কে বেশী ঘৃণা করি!

বিস্তারিত»

ছোট্ট চাওয়া

দেহ যদি কালাই করব,
তবে তার বিনিময়?
কত কর্ম আর তার কত ধর্ম,
সবই ঝরাবে কত যে ঘর্ম।
চলবে জীবণ, গড়বে বাড়ি-গাড়ি
ধ্বংস হবে ক্ষন, ক্ষয় হবে নাড়ি।

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ জন ক্লেয়ারের কবিতা ‘To Mary’

[ইংরেজ কবি জন ক্লেয়ার জন্মগ্রহন করেন ১৭৯৩ সালে আর মৃত্যু ১৮৬৪।দরিদ্রতার কারণে পড়াশুনায় বেশীদূর এগুতে পারেন নি।মাত্র সাত বছর বয়সেই তাকে পশুপালনের মত কঠিন কাজে নামতে হয়!যদিও এটি কবিতা লেখার মত উপযোগী পরিবেশ তাকে দেয় নি,কিন্তু এ সময়ই তিনি পেয়ে যান আরেক ব্রিটিশ কবি জেমস থমসনেদ্যা সিজন আর এটাই তাকে ভবিষ্যতে কবি হতে সহায়তা করে!

বিস্তারিত»

স্তোত্র-১

অভাগিনী,কী দিই তোরে দান?
আমার সকল গান-
অসাড় আজি জীর্ণ-অচল আমার কলতান!
ঢেউ তোলে না অবশ বুকে
সুখ ঢালে না কারুর দুঃখে
চুপটি করে যায় সয়ে তার সকল অপমান!

তোর লাগি সুর বেঁধেছিলাম গভীর মমতায়
কোন সে অসুর,আমার সেসব সুর কেড়েছে হায়
তোর পূজাতে জ্বেলেছিলাম গন্ধবিধূর ধূপ
চাঁদের হতে ধার করেছি শঙ্খশাদা রূপ!
তোর প্রতিমায় সে রূপ জুড়ে-
দেবার বেলায় হৃদয় পুড়ে-
তৈরি হলো বুকে আমার বিষের অতল কূপ!

বিস্তারিত»