ভ্যাকেশন শুরু হল কাল!ঈদের ছুটি!কিন্তু মাত্র ১৩ দিনের ছুটি!তারপরই কলেজ আর ২ দিন পরই টেস্ট!কী যে ব্যস্ততা!আর বাসায় আসতেই আম্মার চিল্লাচিল্লি “পড়তে বস!
কলেজে থাকতে শুধু প্লান করি,ভ্যাকেশনে গিয়ে এই করবো,ওই করবো!বাসায় আসতেই সব হাওয়া!শেষে একবার সব পরিকল্পনা ডায়েরীতে লিখে রাখতাম…কিন্তু বাসায় এসে সেদিকে আর মন থাকে না!তবুও স্বপ্ন দেখি…কলেজের বিরক্তিকর দিনগুলোতে অপেক্ষায় থাকি ছুটির!
আর বাসায় আসলে,প্রথম দু একদিন খুব উত্তেজিত থাকি…তারপর আবার কলেজের ফ্রেন্ডদের মিস করতে শুরু করি!তবুও ভ্যাকেশন ভাল!আর মাত্র একটা ভ্যাকেশন বাকি আছে ক্যাডেট লাইফে!
সিসিবি’তে আমার যাত্রা হলো শুরু
ইতিবৃত্ত
পেশায় ডাক্তার বিধায় ইন্টারনেটে আমার অগাধ দখল। মানে নেটে বসাই হয়না বললে চলে। ক্যাডেট কলেজ ব্লগে প্রবেশ বন্ধুবর মাহমুদের উৎসাহে। অসাধারণ সাইট। লেখালেখি নেশা নয় পেশাও নয়। বুদ্ধিজীবি তো নইই। কখনও লিখি নিতান্তই প্রানের আবেগে। ব্লগের লেখাগুলো মান সম্পন্ন।আমার লেখার মান সম্পর্কে আমার ধারনা নেই।
মাহমুদের উৎসাহ ও বাকি সবাই প্রত্যাখ্যান করবেননা এই আশায় প্রথম লেখাটি পাঠালাম।
শুভেচ্ছা।
অসীম।
প্রার্থনা
প্রার্থনা তোমার জন্য …
হে নিঃসঙ্গ গ্রহচারী মানব মানবী;
প্রার্থনা নির্ঘুম চিন্তাগ্রস্তের জন্য,
কল্পবিলাসীর জন্য..
স্বপ্নালু, ঘুমকাতুরে কোন একজনের জন্য…
একঘেয়েমীতায়
মহাজাগতিক ইশারায়
মহাকাশে চলে গ্রহদের
অবিরাম প্রদক্ষিণ।
বাড়ন্ত বেলায় দেখি
প্রতিশ্রুতিময় সকাল,
ক্লান্ত দুপুর -অবসন্ন বিকেল,
একাকী সন্ধ্যা আর নির্জন রাত।
কবিতা-সিরিজঃ সে
অনেকদিন হয় আমি দীর্ঘ লেখা লিখি না, অনেক গভীর রাত জাগি না একা একা। অনেকের মনের সুখ আমাকে এখনও দোলায়, আমি নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করে ছিঁড়ে বেরিয়ে একা একা হতে পারি না। এইসব অনভ্যাস আমাকে জংধরা ধাতব বানিয়েছে, আমি সেই মরফোসিস দেখেও নীরব ছিলাম। নীরবতা হিরন্ময় শুনেছি। চুপ থাকাই ভালো, কারণ সবাই বদলে যাবেই। বদলানোর পরের দিন ঘুম ভেঙে সবাই একটা নতুন পৃথিবী তৈরি করবে।
বিস্তারিত»ঝড়ো রাতের ভালোবাসা

এমন ঝড়ো বরষার রাতে
তুমি যদি থাকো সাথে,
মাথা রেখে তোমার বুকে
কি যেন এক অজানা সুখে,
মিশে যাবো তোমার মাঝে
সময় হারাবো সন্ধ্যা সাঁঝে
দাদু ভাইয়ের গপ্পো
দাদু ভাই… দাদু ভাই সুর তুলে ছুটে আসে
সাত বছর বয়েসী দাদু ভাইয়ের চোখের মনি।
আহলাদী কন্ঠে সবুজ শুধায় –
আজ কোন গল্প বলবে দাদু ভাই?
ডায়েরী লেখা থামিয়ে চোখ তুলে তাকান বৃদ্ধ।
একটু মুচকি হেসে উত্তর দেন-
কেন দাদা ভাই; ঐ যে সেবার যুদ্ধে গেলাম…সেই টা বলি?
এদিক-ওদিক মাথা নাড়ে সবুজ।
সেতো বলেছো দাদু ভাই।
পূর্নিমার রাতে
কাল রাতে ঘুম এল না
জানালার পর্দা ভেজিয়ে দিয়েও
তোমায় আড়াল করা গেল না ।
পশ্চিম আকাশের রাঙ্গা মেঘ
নিঙড়ে এসে আমার ঘরের ছাদে
দখল নিল ।
তোমার সোনায় ঝলসানো বাহূর
রশ্মি আমার মেঘের ঢাল ছিন্ন করে
আমায় জাপটে নিলো ।
…অবিন্যস্ত কথামালা…
আমি চারপাশে নিকষ আঁধারের মাঝে বসে আছি
একটা টিউব লাইট জ্বেলে।
পড়ার ঘর, কোণার টি.টি. রুমটা, তাও পুরো হয়নি
আলোকিত। বাইরে তাকাই……রাস্তার ধারের বাতির আলো
চোখে লাগে আবছা আবছা। অনেক দূরের কয়েকটা বড় গাছ
দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চল, দোল খায়না সামান্যও; হঠাৎ দেখে
কেমন যেন ভূতুড়ে মনে হয়। আগামীকালটাকে সুন্দর করে পেতে
আমি এখন রাতের পর রাত জাগি, তবুও বুঝি তৃপ্তি নেই…….
বিহঙ্গ বিলাস
মেঘে মেঘে তো অনেক বেলাই হলো,
এবার গুছিয়ে নেওয়ার পালা, একমুখী পথ…
গন্তব্যে নিরন্তর ছুটে চলা।
ছুটে চলাই নিজের লক্ষ্য,
তবে কেন মায়ার শৃংখলে নিজেকে বাঁধা?
একটু একটু করে নয়, একেবারে ছিন্ন করব সব বন্ধন,
আকাশের নীল রঙে নিজেকে রাঙাব বলে
আবেগের কিছুক্ষণ … একটি কবিতা
অলির কথা শুনেছ তুমি?
রয়ে গেছে যা মোর হৃদয় মাঝে, বলা হয়নি তোমায়।
নোঙর করতে দেখেছ কোন জাহাজকে কখনও?
অধীর আমি, তোমার পরাণ মাঝে নোঙর ফেলবো বলে।
রংধনু দেখেছ আকাশপটে?
নোলকের ছটায় তুমি আরো বর্ণিল, ঐ সপ্তধনুর চেয়েও।
অন্ধকার দেখেছ তুমি?
রয়ে যায় তা হৃদয় গহীনে আর,
নোনা জলে মিশে যায় আমার অশ্রুজল।।
স্পর্শহীন অনুভব
একেকটি রাত কাটে নিদ্রাহীনতায়
সঙ্গোপনে ফেলি চোখের জল
আমার হৃদয়ের জ্বলন্ত আগুনটা
আমি নিভিয়ে ফেলতে চাই
দু’চোখের সমস্ত অশ্রু দিয়ে।
কিন্তু আমার অশ্রুগুলো বড় নিষ্ঠুর
আগুন না নিভিয়ে আরও বাড়িয়ে দেয়।
ভাসমান
স্বপ্নগুলো কখনো কখনো অধরা হয়ে রয়
কল্পনার ক্যানভাসে
বিমলিন আর্তনাদ ভেসে যেতে চায়
জোয়ারের উন্মত্ততায়
বিবর্ণ অনুনাদতাকে ঠেকিয়ে রাখে
হয়তো বিপুল কোন প্রত্যাশায়
হৃদয়ভাঙার গভীর আবেশে
ময়ুরাক্ষীর গুঞ্জন হাতছানি দেয়
হয়তো নতুন কোন আবেগে……
বাসর
(সিসিবির বিবাহযোগ্য বড় ভাইদের উৎসর্গ করে ব্লগে আমার প্রথম কবিতা)
হালছাড়া জীবনের ইতি টেনে আজ
হঠাৎ গিয়েছি থেমে ভেংগে ফেলে লাজ ,
বসে আছি আজ তাই কারো মুখোমুখি
দেড় হাত ঘোমটার ফাকে দিয়ে উকি
অবাক বিষ্ময়ে
চেয়ে আছি যুগ যুগ চোখ ক্ষয়ে ক্ষয়ে ।
দৃশ্যকর্মী
১,
বড়ো বেখাপ্ ঝুলে আছো ছয়তলার ওপরে বিমর্ষ
তবু হাসিমুখ, দেখি তোমার। ঝুলে থাকা থোকা থোকা
হাসিমুখ। রোদে ঝলসে গেছে সেইচোখমুখ, হাসি।
উল্টোবাদুড় ঝোলা হয়ে দুলছো সরল দোলক।
দেখতে লাগছে বেশ, হাসিটি উল্টে গিয়ে বিষণ্ণতা ঝুলছে
বিষাদের ধর্ম নয় তেমন স্থির, সুতরাং ঝুলে ঝুলে নেমে
আসছে রোদার্ত-ক্ষোভ আর ভয়াটে মোমজ জল,
অশ্রুজল। অভিকর্ষ বড়ো প্রয়োজন, প্রিয়তম আকর্ষণটি
উলম্ব।