অভিশাপ নারে আশীর্বাদ দিমু

তোমরা আমারে চিনবানা, আমার গলাত
ঝুলানি কোন চিকচিকা পরিচয়পত্র নাই।
একটা পাও নাইক্কা আমার – পঙ্গু অহন,
এর থিকা পষ্ট আর কি পর্‌মান চাই?
অহন কোন কিছুতেই ধরে না তেমন জ্বালা,
আমি য্যান এ্যাক্কারে পাথ্‌থর হয়্যা গেছিগা।

দামাল আছিলাম সত্যই; নাইলে কি কামে কিসের টানে ,
বেবাক ভুইল্যা মাইত্যা উঠছিলাম আমি বিষম অভিমানে!
দ্যাখতে দ্যাখতে এতডি বছর হইয়্যা গেল পার,
তাও এই দ্যাশটার ভাও পারলানা বদলাইবার।
আহারে ! কত মাইনষে অহন হইছে মুক্তিযুদ্ধা,
ভালা খুব ভালা; হেই সব শালারেই আছে চিনা ।
তহন বাইরের থন মানুষ আইস্যা করছিল সব ছারখার।
অহন দেহি নিজেরাই কাইজ্জা করো, ঐ একই কারবার!

আবাদ কইরা ঠইকা মরে গেরামের চাষা,
সারি সারি গাড়ি্ বাড়ি ম্যালা রং তামাশা।
নয়া দালান নয়া কানুন নয়া নয়া কামলা,
ধুইকা ধুইকা কান্দে আমার সোনার বাংলা।
ডাইনে-বায়ে যেহানে দেহি সবতেই ধান্ধায়,
এ্যার ঠ্যালা হ্যারে মারে-কে কারে কামড়ায়।

তয় খবর রাহি, কেউ কেউ অহনও তোমাগো ভিতর থিহা,
জ্বইলা পুইড়া কানতে থাহে – আন্ধার কালা রাইত জাইগা ।
ভাবতে আছো বুকে আমার বেজায় কষ্টের ছাপ,
তোমাগো বেলাজ বজ্জাতি দেইখা দিমু অভিশাপ?
নারে পাগল, ভুল বুঝিস না ম্যালা দেরী হইছে আমার,
আইজকা আমি আইছি খালি তোগো আশীর্বাদ দিবার।

বাজারী তোরা! পিঠ দেয়ালে ঠ্যাকছে তোগো, বেবাক গেছিস মইরা
হ ,সময় হইছে এই বেলায় তোরা মানুষ হবি, লে উল্টা ঘুইরা দাঁড়া।
এই লাইগ্যা আমি বেজায় খুশী, পরাণে আমার বাজতিছে বাঁশি।
ছানি পড়া চক্ষে চাইয়া থাহি- কালা কান আমি পাইতা আছি।
বারুদ ফাইটা আগুন জ্বলবো, বাংলার সোনা ফিইরা আইবো ।
নয়া নয়া খোয়াব বুনা হইবো, দেখুম আবার মা’র মুখত হাসি।।

১,৩০১ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “অভিশাপ নারে আশীর্বাদ দিমু”

  1. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    সানা ভাইয়ের রওশন ভাইরে নিয়ে লেখাটি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে ছিল অনেকক্ষন।

    তারপর এই কবিতাটা এখানে দিতে মন চাইলো।
    ইতিহাস স্বাক্ষী - আমরা আসলেই অভিশাপের যোগ্য।
    কিংবা আগামী'র জন্য আশীর্বাদ।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।