একুশ আমার একুশ

একুশ আমার বিজয় বেদীতে আরক্ত কিংশুক
একুশ আমার রোদন রূপসী বাংলার শ্যামা মুখ
একুশ আমার শোকের পোষাকে পিকাসোর কবুতর
একুশ আমার একান্ত ভিটে সূর্যদিঘল ঘর।

একুশ আমার কিশোর ক্রান্তি একুশে পদার্পণ
একুশ আমার বেলা অবেলায় দখিনের বাতায়ন
একুশ আমার জ্যোৎস্না প্লাবনে মাতাল হাওয়ার রাত
একুশ আমার তিলোত্তমার কাঁকন হারানো হাত।

একুশ আমার রুদ্র কন্ঠে চৌচির চিৎকার
একুশ আমার বাউল বাহুতে বিদ্রোহী হাতিয়ার
একুশ আমার শাণিত সাহস যুদ্ধে যাবার গান
একুশ আমার রুদ্ধ দুয়ারে মুক্তির কলতান।

বিস্তারিত»

বিশ্বাস করো সত্যি বলছি….

যখন তুমি আমার ছিলেনা,
রমনা পার্কের শ্যাওলা ধরে যাওয়া পুরনো বেঞ্চিটা তখনো ওখানেই ছিল।
মর্নিং ওয়াকে কিংবা এলোমেলো হাটার সময় যখন বেঞ্চিটার পাশে দিয়ে হেটে যেতাম,
প্রতিবারই পাশে দাড়িয়ে থাকা বকুল গাছটিকে ছুঁয়ে গিয়েছি আমি।

সত্যি বলছি, বিশ্বাস করো একটুও মিথ্যা নয়-
বুড়ো হয়ে যাওয়া ঐ বকুল গাছটির সুঘ্রান আর কখনো এতটা আবেগ্লাপ্লুত করেনি আমায়।

যখন তুমি আমার ছিলেনা,

বিস্তারিত»

প্রিয়তমা

তানভীরের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে জানতে পারলাম কাল ছিল কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন। অনেকের মত আমারো প্রিয় কবি তিনি। কবিতা খুব কমই পড়ি, সবচেয়ে বেশি যার কবিতা পড়েছি তিনি জীবনান্দ দাশ। প্রিয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই অ-কবির কবিতাটি সাহস করে ব্লগে দিলাম। যে জীবন দোয়েলের ফড়িংয়ের, সে জীবনে এত ভয় পাওয়ার কি আছে?

তুমি আমার মনের কোনে
একটি মাত্র তারা
তোমার কথা ভেবে আমি
সদাই আত্মহারা।

বিস্তারিত»

৬ ফাল্গুনঃ শুভ জন্মদিন কবি

এই সব ভালো লাগে

(এই সব ভালো লাগে) : জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের সোনালি রোদ এসে
আমারে ঘুমাতে দেখে বিছানায়, — আমার কাতর চোখ, আমার বিমর্ষ ম্লান চুল –
এই নিয়ে খেলা করে: জানে সে যে বহুদিন আগে আমি করেছি কি ভুল
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাহীন গাঢ় এক রূপসীর মুখ ভালোবেসে,
পউষের শেষ রাতে আজো আমি দেখি চেয়ে আবার সে আমাদের দেশে
ফিরে এল;

বিস্তারিত»

কেউ কি শুনতে পাচ্ছো?

হে পৃথিবী,
তুমি কি কখনো আমার কান্নার শব্দ শুনতে পাও না ?
যখন আমার মত শত গরিবের শীর্ণক্লিষ্ট দেহের উপর
বয়ে যায় ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর বঞ্চনার স্টিম রোলার।
নির্বাক আমি অসহায় চোখে শুধুই তাকিয়ে থাকি-
তোমার ঐ নিষ্ঠুর বিস্তৃত মুখের দিকে।

হে পৃথিবী,
তোমার বুক বুঝি আলোড়িত হয় উচ্ছাসে,
যখন আমারই বয়সী হৃষ্টপুষ্ট পুস্পিত শিশুরা-
কলরবে মুখরিত করে তোলে তোমার আঙ্গিনা।

বিস্তারিত»

ইহাকে কি কবিতা বলা যায়……???

আজ হটাৎ বৃষ্টিতে ভেজা একটা অভিমানী গান …
হিমেল হাওয়ার হু-হু সুরের মাতাল-বেতাল টান….
এই পিচঢালা রাজপথে যান্ত্রিকতার আলোর ছটা….
বৃষ্টি-স্নাত সদ্য-ফোটা সন্ধ্যা বেলার একটি ঘন্টা …
………………দিলাম-তোমায়……………………

এই ব্যস্ত ঢাকার ব্যস্ততা আর মানুষ-বাহন জট…..
বৃষ্টি শেষে হটাৎ পাওয়া এক চিলতে মিষ্টি রোদ……
নীলাকাশের বুকে উড়ন্ত কয়েক টুকরো সাদা মেঘ …..
তোমার-তরে ছুটন্ত পাগল মন-ঘোড়ার দুরন্ত বেগ …

বিস্তারিত»

ভ্যালেন্টাইনের কবিতা

ক্লাসের সময় চুপটি করে
তোমার দিকে তাকাই
ছাদে তুমি হাঁটতে গেলে
মোড়ের টোঙে চা খাই

না পেয়ে ওই হাতটি হাতে
গাছটা ধরে ঝাকাই,

বিস্তারিত»

আমি অন্তত কাঁদতে এসেছি আজ……..

৭৫-এর ১৫আগষ্ট নাকি কেউ কাঁদেনি, কাঁদেনি কেউ
তোরা নাকি ছিলি সব একেকজন সূর্যসন্তান
৩২-নম্বর থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে লেগেছিল
কত কত ঘন্টা…….অথচ আরাধ্য কাজ শেষ করেছিলি
১টা ঘন্টারও কম সময়ে……
পুষ্পবৃষ্টি নেমেছিল নাকি তোদের উপর…….
‘দেশবাসী’ নাকি স্বস্তির শ্বাসটুকু ফেলেছিল বড্ড আয়েশে……

বিস্তারিত»

স্মৃতিগুলো ফিরে আসে

আজ অনেকদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। পড়ালেখার চাপ আর খানিকটা অভিমানের জন্যই এ পথটা সাধারণত মাড়াতাম না। আজ হঠাৎ করে ফেসবুকের একটা লিঙ্ক থেকে সিসিবিতে ঢুকি। সময়টা আজ দুপুর ১ টা। সেই তখন থেকে সিসিবিতে পড়ে আছি, লাঞ্চ-ডিনার কোনটাই হয়নি 🙁 (একটু পর তেহারী খাইতে যামু 😀 ) । কারন, আলম ভাই আর রহমান ভাইয়ের পোস্টগুলো পড়তে পড়তে কখন যে সময় পার হয়ে গেছে, বুঝতেই পারিনি।

বিস্তারিত»

আরো একবার

আরো একবার ফিরে আসবো লোকালয়ে
যখন দুঃখ দুঃখকে ছোঁবেনা,
সুখ সুখকে
মাথার ওপর আকাশ থাকবেনা,
পায়ের নীচে শিশির
গোধুলী শেষে গোকুল ফিরবেনা,
থাকবেনা চুলোর ওপর কলমিলতার গন্ধ।

আরো একবার ফিরে আসবো তোমাদের কপাটে
যখন যুদ্ধ ফেরত স্বপ্নেরা
ডানা মেলবেনা,
শহীদের ভালবাসার ফুল কাঁদবে
শুধু’ই এক বীরাঙ্গনার হাতে,
তাকে বাঁচাতে তোমাদের ছেলেরা
আর কখোনো যুদ্ধে যাবেনা।

বিস্তারিত»

শীতের আমেজে………..

এই হাড়কাঁপানো শীতের বিকেলে
গোসলটা দুই ডুবে সেরে
চাচার চায়ের দোকানের আড্ডা
উফ! কল্পনায় হিমালয়ের পাদদেশে
বসে চায়ের ভাড়ের উষ্ণতা খুঁজে পাই।

বিস্তারিত»

একটু উষ্ণতার জন্য

একটু উষ্ণতার জন্য, হে খোদা
রাস্তার মোড়ে টায়ার পোড়ে,
ছিন্নমূল শিশু জ্বালায় ছেঁড়া কাগজ।

একটু উষ্ণতার জন্য, হে খোদা
ভাসমান শ্রমিকেরা কাওরানবাজারে
ঝুড়িতে শোয় শরীর প্লাস্টিকে মুড়ে।

বিস্তারিত»

ঈপ্সিতা

দ্বন্দ- দ্বিধায় পূর্ণ হৃদয়
সবটুকু
হিসেব নিকেশ করেই কাটায়
দিনটুকু
সব পাওয়া তার পূর্ণ হৃদয়
কি জানে?

বিস্তারিত»

অন্ধকারে বসে

জানো এষা আজ
আমার এখানে বড় বেশী অন্ধকার
আদিম কিছু মানুষ বুকে জিঘাংসা নিয়ে
রক্তচক্ষ বেড়ায় ঘুরে হিংস্রমতন!

জানো এষা এই
আমরা যেন ফিরে যেতেছি আদিম যুগের ষাট প্রহরায়
কেন যেন এই পিছে ফিরে চলা অন্ধ আমরা
চক্রমশ চলেছি অতীতের কোন বরফের দেশে!

বিস্তারিত»

প্রেম যুদ্ধ সুখ-৪

কিশোরী জানে না আমি এক অন্ধ অবোধ বালক
আমার হাতে পতাকা ধরিয়ে একটি লোক
মিছিলে টানে যুদ্ধে টানে!
আমার প্রেমিকা যুদ্ধ বোঝে না,প্রেম চায় শুধু
বিপ্লবে নয়,কাব্যে জানে সে
শিল্পীর মন দ্রবীভূত হয়!
আমি তবু থাকি বড়ো নিশ্চুপ বুকে বিপ্লব
পতাকা নিয়ে,উজ্জ্বল রঙ প্লাকার্ড নিয়ে
মিছিলে দাঁড়াই!
আগুনের লাল মশাল জ্বেলে আধাঁরে দাঁড়াই
তখন বারুদে ঘন অবরোধে নিঃশ্বাস দায়
আমার প্রেমিকা যন্ত্রনা দেয় আরো!

বিস্তারিত»