প্রকৃতির বর্ণিল আয়োজনে
রাতের আঁধারে চক্রাকারে
রঙীন বাতির অসহিষ্ণুতা,
আমাদের সলজ্জ অপেক্ষা!
যাদুকর তখনও আসে নি; আর
বাবা ছেলেকে দিচ্ছেন শান্তনা।
মা মেয়েকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন
ঘড়ির কাটায় এ সময়ের ক্ষয়।
বড় ভাই ছোট’কে ফিসফিসিয়ে
শুনিয়ে যায় যাদুবিদ্যায় কারবার-
রুমাল পায়রা হয়ে ডানা ঝাপ্টায় তো
লাল কাগজ নীল হয়ে যায় তার হাতে …
যুবকেরা তাদের প্রেয়সীদের হাতে হাত রেখে
আশ্বাস দেয় আগামীর দিনের স্বপ্নীল সূর্যোদয়ের।
এভাবেই চলে এই শহরের জীবন যাপন।
পালা বদলে ভিন্ন ভিন্ন যাদুকর আসেন;
দর্শকের যাদু দেখার আকুলতা ফুরায় না।
এই তফাতে পৃথিবী ঘুরতে থাকে কক্ষপথে
জমাট বরফ গলা নদী মিশতে থাকে সাগরে।
দর্শকের আশা বা প্রতীক্ষা কোনটাই ফুরায় না।
তারপর একদিন, হলরুমে আলো নিভে যায়
নিয়ন সাইনে বিজ্ঞাপনের ঝলকের সাথে
মঞ্চ হাঁকিয়ে ঝকমারী শেরওয়ানী পড়ে
স্বনামধন্য যাদুকর অবশেষে এলেন মঞ্চে।
কিন্তু, ঘটনা কী ! এ কিরূপ তামাশা ?
ওস্তাদ যে এসেছেন সম্পূর্ণ খালি হাতে!
এমন কি তিনি কোন যাদুও দেখাচ্ছেন না।
তিনি এক পেপস জেল মার্কা হাসি ঝুলিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে
ফাঁকা বুলির ফুলঝুরি সাজিয়ে কেবলই কালক্ষেপনে ব্যস্ত।
উৎকন্ঠিত প্রানগুলি তখন খুব উদ্ভ্রান্ত।
এরপর পরই পর্দায় ভেসে উঠলো- ‘করতালি’।
আগত দর্শক তখন বড্ড আবেগী হয়ে ওঠে।
কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাদের আজ।
নিয়তি মেনে নিয়ে তারা করতালি দিতে ব্যস্ত।
অহেতুক উচ্ছ্বাসে মেতে থাকে গোটা হলরুম !!
🙂 😀
🙂 :clap:
সৈয়দ সাফী
🙂
🙂
সৈয়দ সাফী
darun laglo boss ....... :clap: :clap: :clap: :boss: :boss: :boss:
তোমায় ধন্যবাদ স্বপ্নচারী।
🙂
শুভেচ্ছা নাও।
সৈয়দ সাফী
আমাদের যাদুকরেরা সবসময়ই একই রকম থাকেন। পালাবদলের সাথে সাথে একই চেহারায় আবির্ভূত হন তারা।
ভালো লাগল কবিতাটা। :thumbup:
তামাশাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
টিক বলেছো তুমি। এ নিয়তি মেনে নিয়েই বেঁচে আছি আমরা।
🙁
ভাল থেকো ভাইয়া।
সৈয়দ সাফী
যাদুকর মানে কি রাজনৈতিক নেতা দের কথা বোঝানো হয়েছে?
বিজ্ঞ পাঠকের গনতান্ত্রিক অধিকার আছে -
তিনি যেভাবে চাইবেন সেইভাবেই লেখার মর্মার্থ নির্ধারন করবেন।
সৈয়দ সাফী
কবি,
তুই এমুন ক্যান?
ক্যামনে লিখস?????
বন্ধু,
তোকে সরব দেখে খুব ভাল লাগলো।
🙂
সামনে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
অনেক শুভেচ্ছা নিস।
সৈয়দ সাফী