সাথীদের উদ্দেশ করে কহে দুঃশাসন,
আমা হস্তেই হৃত হোক এর বসন।
কেন নয়, কেন নয়! এক্ষুণি খোলো
কে আগে কে পরে — যুধিষ্ঠির বলো
অর্জুনই পয়লা যাক রেজিস্ট্রির জোরে
বাকী সবে পরে কোরো মনপ্রাণ ভরে
রাত্রির কি সাধ্য সে শ্রীকৃষ্ণ হয়
সদাঁত চাঁদ জেগে পুরোটা সময়
দ্রৌপদী রক্তে ভাসে পাটক্ষেত্র জুড়ে
ভারত-বীরেরা সব নাচে ঘুরে ঘুরে
Sadhu sadhu (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কি ব্যাপার ভাইয়া, নিজেকে বদলাচ্ছেন নাকি? নতুন ধরনের লেখা দেখছি 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এটা আসলে অনেক আগের লেখা। অন্তত দশ বছর তো হবেই।
সাধু, সাধু।
তবু মনে হল করন না থাকলে মহাভারতের কি জানি নাই মনে হয়!
বেয়াদবি মাপ করবেন।
সিরিজ হতে পারে।
তবে কি এই সত্ত না মরে নারির মুক্তি নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
শকুনির পাশাখেলা আর দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় তো কর্ণ ছিলোনা। কর্ণ মাতৃস্নেহ বঞ্চিত সন্তান, আদর্শবান পুরুষ, বীর।তাই কর্ণের কথা আলাদা। বাকী সব পুরুষ এক, যুধিষ্ঠির হোক কি দুঃশাসন।
নারিবাদ নিআও যে কবিতা হতে পারে তা দেখলাম।
আবারও সাধু সাধু।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:clap:
🙂 🙂
না-বলেও বলা কথাগুলো ভাল্লাগছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
🙂 🙂
ধন্যবাদ মাহমুদ।
গুরু, (লাল) সালাম!
ব্যাপক লজ্জা পেলাম আলীম ভাই।
দুর্দান্ত! উপমা, ছন্দ, মাত্রা, ভাষা ব্যবহার, মিল পড়ে অতি সাধারণ পাঠক হিসেবে উপলব্ধি, কবিতাটা সময়কে অতিক্রম করেছে, যেন বর্তমান সময়ের কুরুক্ষেত্র! কবিরাজী ছেড়ে পুরোদস্তুর কবি হয়ে যান, নূপুর'দা - মেধার অপচয় ঠিক না। কবিতায় মুন্সিয়ানা চাট্টিখানি ব্যাপার না।
চলুক :thumbup:
আমার বন্ধুয়া বিহনে
এটা অনেক আগের লেখা রাব্বী।
কিন্ত লেখাটা নিয়ে আমার দ্বিধা যায়না।
স্বামী পঞ্চপাণ্ডব আর দুর্যোধন-দুঃশাসনকে সহযোগী ধর্ষকের ভূমিকায় দেখা --- মহাভারতের এই পাঠ আর কোথাও দেখিনা। নারীর আর কে আছে, সে নিজে ছাড়া --- এই প্রশ্ন আমাকে বড় ভাবায়।
নূপুর ভাই অনেক দিন পরে ! একটু স্মৃতিকাতর হলাম।অনেক দিন আগে মহাভারত পড়েছিলাম,এখন ভাসাভাসা মনে আছে। এরকম আরো কিছু চলুক :thumbup: (সম্পাদিত)
কেমন আছো তানভীর।
মহাভারত যদি পড়তে হয় তাহলে রাজশেখর বসুরটা পড়ো, সহজভাবে সব গল্প সংকলিত আছে। আর বুদ্ধদেব বসুর গবেষণামূলক বইখানা, তার নামও 'মহাভারত'। সেখানে বুদ্ধদেব বসু বলছেন, মহাভারত মূলতঃ অনেক সময় ধরে অনেক ব্যক্তির দ্বারা লিখিত।
এসব পৌরাণিক গল্পকথায় ইতিহাসের অজস্র উপাদান আছে। জীবনের যে কোন অনুষঙ্গের খোঁজ মহাভারতে মিলে যায় বলে এর সাহিত্যমূল্য আমার কাছে অতিউচ্চ বলে মনে হয়।
সবসময়ের মতই দারুন লাগলো নূপুরদা... যদিও মহাভারতের কাহিনি গুলো জানা নে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আকাশ।
মহাভারতের কাহিনীসমূহ বড়ই জটিল, তাই ইন্টারেস্টিং-ও।
এ লেখার পেছনের ভূমিকাটি এরকম হতে পারে:
পাণ্ডবেরা পাঁচভাই আর কৌরবেরা একশ'।
রাষ্ট্রক্ষমতার দখল নিয়ে তাদের কোন্দল বহু পুরনো।এটা এমন একটা সময় যখন 'ভগবান' শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং পৃথিবীতে মানুষরূপে উপস্থিত ছিলেন, আর যেহেতু পঞ্চপাণ্ডবের অধিকারই ন্যায়যুক্ত ছিলো, তাই এদের অনেকটা প্রকাশ্যেই তিনি সমর্থন আর পরামর্শ জুগিয়ে যাচ্ছিলেন।
প্রবঞ্চনামূলক পাশাখেলায় (কৌরবদের শকুনিমামার চক্রান্তে) পাণ্ডবদের সবচে' বড়ভাই যুধিষ্ঠির হারতে হারতে একসময় সব হারিয়ে দ্রৌপদীকেও পণ রাখলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয় এবং সবার সামনেই অন্তঃপুর থেকে টেনে এনে দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে উদ্যত হলে পঞ্চপাণ্ডব (যারা সবাই আবার দ্রৌপদীর স্বামী)-এর নিষ্ফল তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা। বাধ্য হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কিছু ম্যাজিক দেখাতে হয়, দ্রৌপদীর কাপড় টেনে নেয়ার পরও তা বাড়তেই থাকে দৈর্ঘ্যে, সীমাহীন লাঞ্চনা হলেও চরম অসম্মান থেকে বেঁচে যায় দ্রৌপদী।
এই ঘটনাই এই লেখাটির উপজীব্য। এখানে একটি কথা উল্লেখ্য: পাঁচস্বামী হলেও দ্রৌপদী মনে প্রাণে অধিক নিবেদিত ছিলো অর্জুনের প্রতি। এ লেখাটায় যে রেজিস্ট্রিকৃত স্বামী হিসেবে উঠে এসেছে, বাকী পাণ্ডবেরা এখানে হয়তো তার প্রেমিক বা বন্ধু। দুঃশাসন যথার্থই দুর্বৃত্ত, তাই কাপড়ে টান দেয়ার কাজটা সেই করে। কিন্তু বাকীদের নির্লজ্জ নপুংসকতা এবং ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরের নিরাবেগ নেতৃত্বদান, অর্জুনের শুধু শয্যার অধিকারটুকু হাসিল করে যাওয়া আর ফকফকে জোছনা রাতে শ্রীকৃষ্ণের মেয়েটিকে রক্ষা করার অনিবার্য ব্যর্থতা (রাতটি যখন জোছনা-প্লাবিত তখন ঘোর কৃষ্ণ আবার আঁধার কি করে তার আব্রু রক্ষায় এগিয়ে আসতে পারে?)-র পরিণাম হয় দ্রৌপদীর পাটক্ষেতে পড়ে থাকা।
স্বামী বা প্রেমিক তার বন্ধুদের নিয়ে দুর্বৃত্তের ভূমিকায় নেমে গেছে এমন কাহিনীও তো আমরা বহূ শুনেছি, শুনিনি? মহাভারতেও দেখি দ্রৌপদী সবপক্ষের হাতেই পণ্য।হায়, ক্ষমতার পাশাখেলায় তার সম্ভ্রম সবার আগে যায়। (সম্পাদিত)
অনেক ধন্যবাদ নূপুরদা কষ্ট করে কাহিনিটা বলার জন্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷