কি লিখবো?
উত্তাল হৃদয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ
কার তরে লিখবো? কে আছে মন দিয়ে শুনবে?
কে আছে আফ্রিকায় কাতরানো-
সেই শিশুটির মুখে তুলে দিবে এতটুকু খাবার,
ওষুধ আর
এতটুকু বস্ত্র?
কিংবা কার মনোযোগে আরশীনগরবাসী
অজ্ঞাত অসহায় অভুক্ত সেই প্রতিবেশী।
আমিই কি আছি?
নিজের অধিকার নিয়েই তো তটস্থ,
অস্থির আমি-
যোগাতে অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, ভালোবাসা-
লুটেরা, দুর্বৃত্ত আর প্রতারকের ভিড়ে
হয়তো নিজেও তাদের একজন,
কিংবা প্রতিবাদ যখন উদ্গত প্রায়,
তখনই শোনা যায়
একদল দুর্বলের ঐকতান,
আরেকটু ধৈর্য ধরো, আরেকটু স্যাক্রিফাইস,
ঠিক হয়ে যাবে সব, এইতো আর কটা দিন।
এভাবেই প্রবোধ, প্রশমন আর প্রতীক্ষা চলে,
বংশ পরম্পরে,
হয় না অবসান, আসেনা নতুন সূর্য,
জিজ্ঞাসুও না মন আরেকটু কতটুকু?
শুধু জানে এইতো আর কটা দিন।
মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
চোখে ভাসে কংকাল হাড্ডিসার অসহায়
অনিমেষ একজোড়া চোখ,
আর তার নিঃশব্দ আর্তনাদ
নিথর দেহ কোলে নিয়ে বসে আছে কোন এক মা,
খোলা মুখে মাছির ভনভন,
খুব চেনা লাগে চেহারাটা,
কষ্ট হয় ঝাপসা চোখে বুঝতে,
কিছুক্ষন পর বুকে একটা শেল এসে বিধেঁ,
এ আমারই সন্তান, পারিনা মেনে নিতে।
৯ টি মন্তব্য : “দুর্বল-সঙ্গীত”
মন্তব্য করুন
অসাধারণ... :clap:
🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লিখছেন ।আপনি থাকছেন বস ।
তুই তো ব্যাটা মীরাক্কেল দেখতে দেখতে ওখানকার বিচারকদের মত মন্তব্য করা শুরু করছিস...।। :khekz:
যাক ধন্যবাদ।
শিশির ভাই, শিরোনামে দুর্বল-সঙ্গীত হলেও ভিতরটা অনেক শক্ত। ভাল লাগল। অনেক ভাববার বিষয়। :boss: :boss: :boss:
তানভীর আহমেদ
অসংখ্য ধন্যবাদ তানভীর। আসলে এইটা দুর্বল মানুষের সংগীত। তাই নাম দিয়েছি দুর্বল-সংগীত।
এইটাও চমৎকার...
Thanks Reza.
Accha jarai appreciate korlo tader majhe ki kobitar message ta pouchhalo? Na pouchhanor ortho eti shundor holeo okkhom kobita...
Thanks Reza....