বোধহীন
খুব অদ্ভুত এক বোধ কদিন হলো পকেটে নিয়ে ঘুরছি, তোমরা যাকে
মানসিক ব্যধি বলতে পারো।
এই যেমন, পহেলা বৈশাখের সকালে
সিঁড়ি ধরে নামতে নামতেই
নিচতলার সিঁথি কাটা ছেলেটার সাথে দেখা হয়ে গেলো
ভেজা, বিচ্ছিন্ন ত্যানা দিয়ে
নিজের হাতের মত খরখরে সিঁড়ির ধাপগুলো
মুছে দিচ্ছিলো ছেলেটা- যাতে আমাদের,প্রভুদের,ঈশ্বরদের
ইউটোপিয়া থেকে নেমে আসতে তকলিফ না হয়।
হাজার হোক, বছরের প্রথম দিন আমার!
দশ বছরের সিঁথিকাটা, নোংরা চেহারা দেখে
আমি ক্ষুদ্ধ-বিরক্ত হই, ত্যানা, হাত আর একটা মৃত তেলাপোকাকে মাড়িয়ে
আমি আরেকটি নতুন বছরের দিকে ছুটে যেতে থাকি।
তারপর একটি পনেরো সেকেন্ড কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপনের মতো
আমার দিনটি কেটে যেতে থাকে, আমি
রবিগান, হ্যাংআউট, একগাদা বুফে কাফে নারীদেহ
গিলে খাই, সুখী হতে থাকি, হাঁফাতে থাকি
আমার চোখ, আমার চিবুক বেয়ে
মাখনের মত সুখ ঝরে পড়ে।
মুখ-হাত-উদরভরা মাখন নিয়ে ফিরবার পথে, কেঁচিগেট দিয়ে
ঢুকতেই আবার ছেলেটির সাথে আমার দেখা হয়ে যায়।
সদ্য লন্ড্রী করে আনা একগাছা ফ্যান্সি কাপড় হাতে তাকে দেখে
আমি আবার ক্ষুদ্ধ হই, আমার নিজেকে প্রতারিত মনে হয়।
মনে হয়, বমি করে চৌদ্দশ উনিশ উগরে দেই।
একটাও ভুরু না কাঁপিয়ে আমি তবু উপরে উঠতে
থাকি, গলে পড়া মাখনে সিঁড়িটি আবার নোংরা হয়
একবার মনে হয়, ছেলেটিকে ধমকে দেই
নোংরা সিঁড়ির জন্য,
পরক্ষণে মনে পড়লো,
ধমক দিতে নাম জানা লাগে, আমি ছেলেটির নাম জানিনা।
-১৬/০৪/১২
চমৎকার হইছে.....................................
:clap: :clap: :clap:
মামা। চখাম... ::salute::
@Asif@
চমৎকার লাগলো। গদ্য কবিতার তানটা সবসময়ই ভালো পাই। নিয়মিত লিখবে এই প্রত্যাশা রইলো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..