এই কবিতাটা প্রায় এক দশক আগে কোনও এক পূর্ণিমার মাঝরাত্তিরে শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে বসে লেখা। জীবনবাবুর কোবতের অত্যধিক ছায়া থাকায় এতদিন ন্যাপথালিন দেয়া দেরাজে রেখে দিয়াছিলাম।
আজ জীবনবাবুর মৃত্যুদিবসে সে দেরাজ খুলে দিলাম। সকলের জীবন আনন্দময় হোক।
আমি এক নিঃসঙ্গ পিরামিড,
চারিদিকে ধু ধু মরুর মাঝে-
প্রবল বালিঝড়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা
এক নিঃসঙ্গ পাথুরে পিরামিড।
আমার মাঝখানে এক পাথুরে কফিনে,
সযত্নে রক্ষিত আছে আমার হৃদয়;
অবশ্য পিরামিডের রহস্য ভেদ করে
এখনো কোন প্রত্নতত্ত্ববিদ সেখানে পৌঁছতে পারেনি।
আমার মতই নিঃসঙ্গ পুরানো সঙ্গী চাঁদটা,
যখন জোছনার জোয়ারে খেলা করে,
আমার মমি করা হৃদপিণ্ডটা-
অন্ধকার কফিনে আটকা পড়ে ছটফটিয়ে ওঠে।
আমাকে ব্যাঙ্গ করে, আমারই পাদদেশে,
জোড়াখোলস ছেড়ে, নবযৌবনের আনন্দে
শিঁরদাঁড়া নেড়ে চলে যায়,
আলিঙ্গনাবদ্ধ যুগল সাপ।
মায়াবী জোছনায়, দূর মরুদ্যান থেকে যখন
ভেসে আসে হাসনাহেনার সুবাস, তখন-
অচিন প্রত্নতত্ত্ববিদের পথ চেয়ে বসে থাকা
বাক্সবন্দী হৃদয়, দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে মরুর বুকে।
দীর্ঘশ্বাসে তপ্ত বালির সাগরে ঝড় ওঠে,
বালিঝড়ে চাপা পড়ে যায় হাহাকার;
আমি আমার মমি করা হৃদয়ের কফিন
আগলে রাখি- নিঃসঙ্গ পিরামিডের মতন।
খুব ভালো লেগেছে 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
থেঙ্কু, মোস্তাফিজ ভাই। :shy:
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
কঠিন লাগসে।
😀 😀 কবির সার্টিফিকেট! :party: :party: আমি পাইলাম, ইহাকে পাইলাম!! :goragori: :goragori:
রকিব পোলাডা তো ধারে কাছে নাই, আপাতত অরূপদা'র দোকানের :teacup: খান!
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
শেষ দুটো স্তবক অসাধারণ হয়েছে।
থেঙ্কু, খায়রুল ভাই। :shy:
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...