আমি অশ্রু সজল নয়নে
অস্থির আজল বনপাংশুল এক প্রেমিক
তৃষ্ণিত সাম্পান আমার, তোমার নদীতে
চলছে দীর্ঘ দিন ঠিকঠিক ।
অথচ মাঝে মাঝেই তোমাকে হারিয়ে ফেলি
মহুয়ার প্রান্তরে, কোন এক কাশ বনে,
আবার প্রান্তরের গান নিয়ে মন্দিরা বাঁজিয়ে
তোমায় পেতে চাই আমার প্রাণে।
বিশ্বাস করো, কি আকুতি আমার
তোমাকে পাবার, তোমার কাছে থাকার;
উদাস আর নিদ্রাহীন রাত্রী ফেলে
তোমার হৃদয়ে ফিরে আসার।
অনাঘ্রাত কৈশর পেরিয়ে যৌবনের এক উচ্ছলতায়
তোমার আমার প্রণয়ের প্রথম দেখা,
সুরভিত সবুজ শাড়ী আর খয়েরী টিপে
যেন শ্যামল পৃথিবী আকাশের নীলে লেখা।
ভেবেছিলাম আমাদের আর কোন কষ্টই থাকবে না
তুমি একবার ঐ নীল চাঁদোয়ায় চোখ ফেরালে,
আমার আর কোন গ্লানিই থাকবে না,
তোমার অথই সাগর জলে ডুব দিলে।
কিন্তু কোত্থেকে কেন য্যানি আমার স্বপ্নভ্রম হলো
জাগতিক বিশ্বের কাছে আমার ভালোবাসা
মুখ ফেরালো, কোত্থেকে কি য্যানি হয়ে গেল,
সমস্ত শান্তি তছনছ করে চলে গেল।
আমার স্বপ্নভ্রম হলো,
কৃষ্ণ পক্ষের নীল চাঁদ তার আলো হারালো।
আমাদের জীবন প্রদীপ নিবু নিবু করেও
আজ অবধী প্রাণের আলোতে জ্বলে থাকলো।
অনেকদিন পর এলেন ব্লগে, ভাইয়া!
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে— এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়— হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হ'য়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
দোয়া করো আবার যেন লিখতে পারি ।
বাহ! দারুণ!
অনেকদিন পর এলেন আসলেই।
"আমাদের জীবন প্রদীপ নিবু নিবু করেও
আজ অবধী প্রাণের আলোতে জ্বলে থাকলো" - চমৎকার হয়েছে এ দুটো পংক্তি।
অবধী বানানটা অবধি হবে।