নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে কিছু করা। ঢালঢোল পিটিয়ে দিবস পালন করে এক বছর ভুলে থাকা। বিষয়টা আমার কাছে কেমন জানি লাগে। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে দিন ধরে কিছু করতে ইচ্ছে হল। এবারই খেয়াল করলাম প্রিয় বন্ধুর অন্তর্ধান এবং প্রিয় কবির প্রয়ান ঘটেছে ১৯ সেপ্টেম্বর। বন্ধু ফিরোজ কবীর নিখোজ হয় ২০০৬ সালে আর মাসাওকা শিকি মৃত্যুবরণ করেন ১৯০২ সালে। এঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে ঠিক করলাম অলপোয়েট্রিতে ইংরেজীতে কবিতা লিখব। প্রথমে ফিরোজকে নিয়ে যে কবিতা লিখব তার নাম ঠিক করলাম- Ballad for a Sailor. বিটিভিতে একটা প্রিয় অনুষ্ঠান ছিল- মুভি অফ দি উইক। ভাল ভাল অনেক মুভি দেখেছি। খুব সাধারণ গল্প, কিন্তু অসম্ভব সুন্দর একটি ছবি- Ballad for a soldier. ছবিটার কিছু দৃশ্য এখনও মনে পড়ে।যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ছুটি পেয়ে এক সৈনিক মায়ের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি যাচ্ছে। পথে অনেক ঝামেলা শেষে যখন বাড়ি পৌঁছায় তখনই আবার কর্মস্থলে রওনা দিতে হয়। মাকে I have to go back right away বলেই দৌড়। মা অপেক্ষায়ই থাকেন কিন্ত ছেলে আর ফিরে আসে না। কর্মস্থলে ফিরে সে যুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এত বছর পর দৃশ্যটার কথা মনে করে চোখ ভিজে গেল। যাক গে, সেই ছবির নাম থেকে ধারণা নিয়ে নামকরণ হয়ে গেল। গুগল জানাল নতুন নাম একেবারেই নতুন। এ নামে কোন ছবি বা গল্প থাকলেও সেটা গুগল জানে না। ফিরোজকে নিয়ে সিসিবিতে লিখেছি ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস এবং অপেক্ষার প্রহর। এ দুটো লেখার সাথে জুনাইদের লেখা বেপরোয়া নাবিক পড়ে নিলাম বেশ কয়েক বার। দু্ মাসের চেষ্টায় প্রায় তিনশত শব্দের একটা লেখা দাঁড়িয়ে গেল। যেটাকে কবিতা না বলে গল্পই বলা উচিত। ইংরেজীতে এত বড় লেখা কে পড়বে ? এত সময় কার আছে। এমনটা ভেবে একটু কাটছাট করে ছাপিয়ে নিলাম এক কপি। অলপোয়েট্রিতে পোস্ট করার সময় বিশাল এক সাজেশন চলে আসলো, লেখার মান ভাল করার জন্য । সেসব মাথায় নিয়ে আরও পরিমার্জিতরুপে প্রকাশ হল- Ballad for a Sailor. এতে শব্দ ১৫০ টি। অন্যদিকে মাসাওকা শিকির লেখা কিছু হাইকু এবং তানকার অনুবাদ প্রকাশ করেছি “ শিকির হাইকু এবং লুটেরা” তে। শিকি বিখ্যাত হাইকু লিখিয়ে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাইকু লেখলাম- Hototogisu. হতোতোগিসু হল জাপানী কোকিল। গলা দিয়ে রক্ত না উঠে আসা পর্যন্ত গান গায়। এর আরেক নাম শিকি। তাহলে এর বাংলা হতে পারে- রক্ত কণ্ঠ কোকিল।এই কোকিলের নাম লেখালেখিতে নিজের নাম হিসেবে ব্যবহার করেন- Masaoka Shiki. তাঁকে বলা হয় poet with bleeding throat. প্রথমে হাইকু Hototogisu পড়ুন তারপর গল্প/কবিতা- Ballad for a Sailor.
Hototogisu
Great Masaoka Shiki
Master of Haiku.
Arrogant, at the first sight
He was tall and thin
Like sugarcane
Rough and tough
But not mean.
Dashing as devil may care.
It was hard to over look
His stare and glare.
He was black in color
But diamond inside
With tremendous guts
He was a guardian
Of harmless guys.
Down the south west
Corner of Bangladesh
In the largest
Mangrove forest
Anchored a ship
BNS Shahid Farid.
Two thousand six the year
Day nineteen month September.
It’s the story of Feroz Kabir
Lieutenant Commander.
A cyclone accompanied
By tidal whirlpool
Hit the Sundarbans.
The rivers downstream
And the sea became turbulent
Passing through the storm
Engine of the ship conked
And the flotilla
Partially overturned.
In the bow the brave heart
Fought alone the cyclone
Saved his ship and all the crew
And disappeared in the blue.
Mother waits
for a phone call
that dropped
19 September 2006.
Author Note: Lieutenant Commander Feroz Kabir was captain of BNS Shahid Farid. He sacrificed himself in a cyclone to save his ship and crew on 19 September 2006. Rest in peace friend.
a ballad to build a bridge
like a gentle breeze
passing through present and thee
past that always glee
whether in pink or blue
randomly without clue
সেলাম লুৎফুল ভাই :salute:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ফিরোজ ভাইকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। :salute:
যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:hatsoff: জুনা।
কবিতায় ওর চরিত্রচিত্রণ কেমন হয়েছে তা তো বললি না ভাই।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ক্যাপ্টেইন'স কারেজিয়াস পড়ে তাঁর কথা জেনেছিলাম...
ফিরোজ ভাই, যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন...
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সুগভীর সহমর্মিতায় অসামান্য চরিত্র চিত্রণ।
মরহুম ফিরোজ কবীরের আত্মার মাগফেরাতের জন্য রইলো পবিত্র প্রার্থনা।
"Dashing as devil may care.
It was hard to over look
His stare and glare." - চমৎকার!
মান নিয়ে সংশয়ে ছিলাম ভাই। এবার স্বস্তি পেলাম 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল