১
স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।
মঙ্গলবারের খিচুরি নাকি
বৃহস্পতিবারের পুডিং
কাড়াকাড়ি করে খাওয়ার
সেই হরর মুভির শুটিং।
চাঁদের আলোয় ছাদে আড্ডা
নাকি ক্যান্টিনের আড়াইশ মিলি কোক
নাকি ইন্টার হাউসে দর্শক হয়ে
ট্যাং এ তৃপ্তির এক ঢোক।
পারি না, পারি না…
ছাড়া যায় না কিছু
করুণ চোখে তাকিয়ে বলি
“আমায় ক্ষমা কর প্রভু।”
দিতেই যদি চাও
দাও ভাসিয়ে দাও-
খাকীময় ওই ছয় বছরে
আমার পরজনমের নাও।
২
“ভাইয়া দুইডা ফুল নেন,
আফারে দেন,
খুশি অইব।”
– বলে মুখে হাসি,
অপরের ভালবাসায় কিবা যায় আসি!
দুটা ফুলে নিলে পরে
পাই যদি কিছু টাকা-
পেট না ভরুক,
ভাত না হোক, দু মুঠো শুকনো মুড়িই হোক,
পেট থাকবে না ফাকা।
“লাগবে না, যা
ফের যদি আসিস ফিরে-
দেব এক ঘা।”
“আহা! রাগছ কেন? নাও না।”
বলে নিজেই তুলে নেয়,
গোলাপ দু খানা।
বুঝত যদি সে,
দু খানা গোলাপে নয় শুধু ভালবাসা,
দু মুঠো মুড়ি,বেচে থাকার স্বপ্ন-আশা।
বাহহ ! ক্যাডেট কলেজের শত স্মৃতির গাছগুলো ঝাঁকিয়ে দিলে যেনো ।
"খাকীময় ওই ছয় বছরে
আমার পরজনমের নাও।"
আর দু'খানা গোলাপ !
"দু খানা গোলাপে নয় শুধু ভালবাসা,
দু মুঠো মুড়ি,বেচে থাকার স্বপ্ন-আশা।"
🙂 🙂
ভালো লেগেছে ইশরাক।
ভালো লাগলো 😐
আবার ফিরেগেলাম ৬ বছরের সেই জীবনে....
গোলাপ দু'খানা ও মনে ধরলো।
তানভীর আহমেদ
১।
পূর্ণিমা রাতে সিরাজী হাউসের সিঁড়ির চিলেকোঠার (সাড়ে ৩ তলা) নির্জনতার সাথে কোনও কিছু বদলাতে আগ্রহী না।
২।
হুমম... আবেগঘন লেখা... শেষটুকু চমৎকার লাগল।
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
"দিতেই যদি চাও
দাও ভাসিয়ে দাও-
খাকীময় ওই ছয় বছরে
আমার পরজনমের নাও" - সবার মনের কথা। এসব স্মৃতির, কিছুই যায়না ফেলা, কিছুই যায়না ভোলা!