(উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলি রচিত এই কবিতাটা অনুবাদের আগ্রহ জাগে Invictus সিনেমাটি দেখার পর। মূল কবিতার স্বাদ অনুবাদে রইল কতটুকু তা নিয়ে যদিও সন্দিহান। )
কুমেরু থেকে সুমেরু নামছে রাত অবিরাম
সব ছেয়ে যায় নরকের আঁধারে
তারই গহ্বর হতে জপি ঈশ্বরের নাম
যিনি হয়তো দিয়েছেন অজেয় সত্তা আমারে।
দুঃসময়ের ছোবলে আহত হয়েছি বারবার
কিন্তু শিউরে উঠি নি আমি, ফেলি নি অশ্রু কখনো,
আচমকা চাবুকের তীব্র সব মার
ছিঁড়েখুঁড়ে করেছে রক্তাত্ত, তবু হইনি অবনত।
ক্রোধ আর কান্নাভেজা এই জমিনের ওপার
আবছা ডানা মেলে কেবলি আতঙ্কের ছায়া,
কিন্তু বিভীষিকার জগদ্দল ঘুরে-ফিরে প্রতিবার
দেখবে ঠায় দাঁড়িয়ে আমারই ভয়শূন্য কায়া।
যতই দুর্গম হোক মুক্তির পন্থা
নেমে আসুক যতই চাবুক-লাথি
আমার ভাগ্যের আমিই নিয়ন্তা
আমার আত্মার আমিই সারথি।
Invictus
By William Ernest Henley
Out of the night that covers me,
Black as the pit from pole to pole,
I thank whatever gods may be
For my unconquerable soul.
In the fell clutch of circumstance
I have not winced nor cried aloud.
Under the bludgeonings of chance
My head is bloody, but unbowed.
Beyond this place of wrath and tears
Looms but the Horror of the shade,
And yet the menace of the years
Finds and shall find me unafraid.
It matters not how strait the gate,
How charged with punishments the scroll,
I am the master of my fate,
I am the captain of my soul.
ইনভিক্টাস দেখে খুব ভালো লেগেছিলো। কবিতাটাও। তোমার অনুবাদটাও ভালো লাগলো।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
পাঠকপ্রিয় এবং বিখ্যাত কবিতার অনুবাদে একধরনের আশঙ্কা থাকে।
ভাইয়া, আপনার ভালো লাগা অনুপ্রাণিত করল। পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভাল অনুবাদ হয়েছে। শব্দচয়ন দুর্দান্ত লেগেছে। কয়েকবার পড়ে ফেললাম, মূলের ভাব পুরোটাই এসেছে ভাল মতন।
খুব ভাল লাগলো পড়ে।
:boss:
www.tareqnurulhasan.com
তারেক ভাই,
কয়েকবার পড়ার মতো ভালো যে লেগেছে আপনার, সে-জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। 🙂
সিসিবি মৃতপ্রায়। নতুন নতুন লেখা কিংবা অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো মন্তব্য/সমালোচনা - দুটিরই আকাল দেখা যাচ্ছে।
শুধু সিসিবি না, বাংলা ব্লগ জিনিসটাই বহুদিন ধরে ঝিমাচ্ছে। তবে এই চিন্তায় ব্লগ লেখালেখি থামিওনা। ব্লগের একটা বড় সুবিধা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলিনেস। ফেসবুক স্ট্যাটাস দুদিন পরই খুঁজে পাওয়া যায়না, কিন্তু দশ বছর আগের ব্লগও প্রাসঙ্গিক হলে খুঁজে পাওয়া যায়।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সিসিবি-র সেই পুরনো জৌলুস আর খুঁজে পাই না বলে মাঝে মাঝে দমে যাই।
তবে একই সাথে বিশ্বাস করি, জমে উঠবে আবারো। 🙂
বাহ, ভালই তো লাগল!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
ধন্যবাদ, ভাইয়া 🙂
মূল কবিতার স্বাদ অনুবাদে রইল কতটুকু তা নিয়ে যদিও সন্দিহান -- আমার বিবেচনায়, সামগ্রিকভাবে অনুবাদ কাজটা উৎরে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় খুব ভাল হয়েছে, কয়েকটা জায়গায় মূল থেকে দূরে সরে গেছে। নিজেই যদি আরও কয়েকবার পড়ো, হয়তো নিজের চোখেই কিছু কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়বে, সম্পাদনায় প্রবৃত্ত হবে এবং অনুবাদটিকে আরও মূলানুসারী করতে পারবে।
তবে, যতটুকু করতে পেরেছো, এটুকুও অনেকেরই অসাধ্য।
মূল্যবান পরামর্শের জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। 🙂
পরবর্তী প্রচেষ্টায় এগুলো মাথায় রেখেই এগোব।
সিসিবি মৃতপ্রায়। নতুন নতুন লেখা কিংবা অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো মন্তব্য/সমালোচনা - দুটিরই আকাল দেখা যাচ্ছে -- এই আকাল কাটাতে তোমার নিজস্ব অবদান কতটুকু রেখেছো?
আসসালামু আলাইকুম।
আমারও দায় আছে। বিনয়ের সাথে স্বীকার করছি।
সিসিবি-তে প্রতিদিন একবার ঢুঁ দেয়া এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
কিন্তু নতুন কিছু লিখতে সময় লেগে যায় প্রচুর।
তাই লেখকের চেয়ে পাঠক পরিচয়েই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
ওয়া আলাইকুম আস সালাম। আশাকরি পাঠক হিসেবেও অবদান রাখবে, অন্যের লেখা পড়ে তোমার মতামত জানিয়ে আসবে। এতে যতই ক্ষুদ্র হোক, মৃতপ্রায় সিসিবি কে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে ইতিবাচক অবদান রাখা হবে।
:clap: