সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।
দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন – স্থবির বাস্তব – অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি – যে রং এ আঁকি – কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।
অথচ নিজেই দেখিনা কী আঁকি!
.
জীবনের ক্যানভাসে আঁকা ছবিটায় ও কোন রং নেই।
ছবি জুড়ে শুন্যতা। শুন্যতা যেন হঠাৎ সারা পৃথিবীতে।
অনুভূতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে –
“আমি একা! বড্ড একা!”
আমাকে নি:সংগ করে রং গুলো সব
বারান্দার চড়ুইগুলির মতো পালিয়েছে।
.
আমার আকাশে ইচ্ছে ঘুড়িগুলোর কোনো রঙ নেই।
আকাশটা জানি নীল।
সেখানে কষ্টের বিষাক্ত নীলাভ আভা নিয়ে
দুঃখগুলো সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায়।
জানি পৃথিবী রঙে রঙে ভরা।
হরেক রঙের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি- বর্নান্ধ শিল্পী।
.
যে দূরে চলে গেছে, তবু এত কাছে,
তবু দূরে – অন্য কারো।
তার মুখ ক্যানভাসে আঁকি।
শেষ তৈলচিত্রে আঁকি
হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা – ভালো লাগা দিয়ে সেই হাসিমুখ।
এ কি ভালোবাসা! এ কি ভালোলাগা!
কেন অনুভুতি বলে না আমাকে!
তীব্র কষ্ট যেন হিমাংকের বহু নিচে নিয়ে যায় আংগুলগুলোকে।
তুলি এঁকে যায়।
সে কি ভুল রেখা ভুল রঙে আনন্দ আঁকে!
.
দিশেহারা লাগে।
আনন্দ নেই!
ক্যানভাসে শুধুই সাদাকালো কষ্টের ছাপ – তার মুখচ্ছবি!
একজন রঙ বিশেষজ্ঞের জীবনের শেষ ছবিটি – অজানা রঙে আঁকা।
.
অতিপরিচিত একদার আনন্দে উদ্ভাসিত হাসিমুখ
সে আজ কষ্টের তীব্রতায় বিবর্ণ, পাংশুটে।
রং নেই। রেখাগুলি কথা শুনবে না!
ক্যানভাসে আঁকি যেন তার কষ্টভরা মুখ নয়,
এক অহংকারী শিল্পীর ব্যর্থতার ছবি!
মূর্ত উপহাস!
ভালো লেগেছে বন্ধু।
ভালো লাগার অনুভূতি রেখে গেলে, অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
ভালো লাগার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো বন্ধু।
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
অসম্ভব ভাল লেগেছে ... খুবই সুন্দর।