বলতেই হবে,সুখে আছি,
গুঁজে আছি মাথা বেশ,
রাজা হল কে? ধুর মশাই,
ভাববো কেন অতশত?
ভাববার আছে, আরও যে ঢের!
কাজের ছেলে রেখেছি একটা,
বাজার করে সেই,
যেমন রেখেছি নেতা-পাতিনেতা,
চিন্তা করুক সেই।
বরং আমি মজে থাকি নিজে,
দেয়াল একটা তুলে।
বলতেই হবে, এই বেশ আছি,
সুখে আছি, এইতো বেশ ।।
আন্সারুল্লা বাংলা টিমের জন্য সহানুভূতি
( আমার জীবনের সবচেয়ে অশ্লীল লেখা। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। গালাগালি যত খুশি দিবেন দেন, আর কোপাইতে মঞ্চাইলে ডাইরেক্ট হালাহ পন্থায় জবাই দিয়া দিয়েন, কোপাকুপি এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। শুঞ্ছি হালাহ পন্থায় জবাই করা প্রানী সুজা বেস্তে যায়! আমার আবার হুর নিয়া মাস্তি করনের অনেক শখ! আর কিছু বানান ভুল ইচ্ছাকৃত)
অভিজিৎদাকে যখন কোপানো হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে আমি খুব বেশী দুরে না, যদিও তার কিছুই আমি তখনো জানিনা।
বিস্তারিত»পোনসাই বদলাবেই
১৯৬৫ ইংরেজীর মার্চ মাসের শুরু, বাংলা ১৩৭১ ফাল্গুনের শেষাশেষি। ২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ ভিত্তিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহ কে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব শাহীর বেসিক ডেমোক্রেসির দোর্দণ্ড শাসন চলছে। পাক-ভারত সীমান্তে টানটান উত্তেজনা , এই যুদ্ধ লেগে গেল বলে।আব্দুল মালেকের এসব খবর নেবার জো নেই।তার ভাবনায় অন্য কিছু।
বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল একেবারে সাধারন ঘরে। আব্দুল মালেকের অবস্হা ও তখন তাদের মতই ছিল।মেয়েরা উভয়েই প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সময় মারা যায়।বড় ছেলে তো আর ও আগেই অকাল প্রয়াত।বাধ্য হয়ে মেধাবী মেঝ ছেলে মনু মিয়া কে কয়েক বছর পূৃর্বে প্রাইমারি স্কুলের পাট চুকিয়ে তার সাথে চাষবাসের কাজে লাগিয়ে দেন।বাপ-বেটার উদয়াস্ত পরিশ্রমে আব্দুল মালেকের অবস্হা দ্রুত উন্নতির দিকে।
বিস্তারিত»অণু গল্পঃ শনিবারের দুপুর
প্যাটেল প্লাজায় শনিবারের উৎসবমুখর মধ্যাহ্ন। কুমড়োর ছক্কা রাঁধবেন বলে বাতের ব্যাথা শিকেয় তুলে প্রতিবেশীর সাথে বাজারে এসেছেন চাটুয্যে গিন্নী। কুমড়ো কেনার বাহানায় এলেও নারকোল, মামড়া, মেথি শাক আর বাসমতী চাল কিনলেন তিনি। মেয়েটা ইডলি খেতে বড় ভালবাসে তাই একটা ইডলি মেকারও নিলেন মনে করে। মিশিগান থেকে মেয়ে জামাই আর টোপলা গালের নাতনীটা আসছে যে কাল রাতের ফ্লাইটে।
মায়ের পাশে কুলফি হাতে কিশোরীটির কানে হেডফোন।
বিস্তারিত»সিসিবি-তে ব্লগিং নিয়ে একটি ব্লগ
আইডিয়াটা পেলাম এহসানের সাথে কথা বলার সময়ে।
কোন এহসান? কিসের কথা??
তখনও জানি না কোন এহসান। ওয়াপদা মাঠে XCL-এর ফাইনাল দেখছি। হঠাৎ এসে নিজ থেকে পরিচিত হতে চাইলো একজন। নাম, ক্যাডেট কলেজ ও পাসিং ইয়ার বলে এমন পরিচিত ভাবে কথা বলা শুরু করলো যে বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে নাম ছাড়া বাকি সব ভুলে একাকার।
বিস্ময় কেন?
অতি পরিচিত অনেককেই দেখলাম সবান্ধব একই মাঠে ঘুরে বেড়াতে,
মেয়েটি হৃদয়বতী ছিল না (চার পর্বের ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-এক )
অফিসের কাজে শাহবাগে আসতে হয়েছিল।
কাজ শেষে কি মনে করে বই মেলার ভিড়ে নিজেকে হারাতে ইচ্ছে হল রেজার। তাই বাংলা একাডেমীর ভিতরে এখন সে। কত মানুষ। নানা রঙের মানুষ। উচ্ছল প্রানবন্ত এক একজনের আনন্দিত মুখগুলোকে দেখছে। নিজেও ভালোলাগার আবেশে ভেসে যাচ্ছে।
কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হল।
এরা নবীন লেখক। এদের সবার বই বের হয়েছে। ওদের থেকে একটি করে বই কিনলো। খুশী মনেই।
অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু ও এইসব মানুষেরা
কাক কি কাকের মাংস খায়? কিংবা কুকুর কুকুরের? বহুদিন আগে আমার এক বন্ধুর প্রশ্নে কিছুটা চিন্তিত হয়ে গিয়েছিলাম। তাকে জানাই, বিষয়টা জেনে আমি জানাবো। জেনে বলতে বইপত্র ঘেঁটে নয়, কাক এবং কুকুর মানুষের খুব কাছাকাছি থাকায় চাইলেই এদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। আমার বন্ধু আলি খুব কাকপ্রিয় মানুষ। কাক সম্পর্কে আলিকে প্রশ্ন করতেই আলি জানায়, তুমি ভালো করে খেয়াল করে দেখো। কাকের মধ্যে ভালোবাসাবোধ অনেক।
বিস্তারিত»বাংলাস্তান সম্পর্কিত আলাপ
[ধর্মনুনুভূতি আহত হতে পারে। ঢুইকেন না। সত্য কথা তিতা লাগবে।]
বাংলাদেশের গলিতে গলিতে চিপায় চাপায় মসজিদ। প্রতি ওয়াক্তের নামাজে দুইচারজন বুড়োমানুষ আর হুজুর ছাড়া লোক হয় না। তবে জুম্মার দিন ভিড় উপচায় পড়ে। এতোই উপচে পড়ে, যে রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি চলে না।
অথচ এই দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন! ক্যামনে হইলো? যে দেশে এত ধার্ম্মিক, সেখানে দুর্নীতি হয় ক্যামনে?
তারপর ধরেন,
বিস্তারিত»বিশেষ দিনে- অগোছালো কিছু অনুভূতি

রাতে বাসায় ফিরেই বললাম চলো কনসার্ট দেখে আসি। আমার সহধর্মিণী বলল, না অনেক রাত হয়েছে, তা ছাড়া রাতে কারোরই খাওয়া দাওয়া করা হয়নি। বাসায় আমার পরিবার ছাড়াও আমার সহধর্মিণীর আপন বড় বোন, বোন জামাই ও তাদের বড় কন্যা মানে ভাগ্নি রয়েছে।
ভাগ্নি সবে ভার্সিটিতে ঢুকেছে আর আমার ছেলে ডিজিটাল যুগের স্ট্যান্ডার্ড থ্রিতে। কনসার্ট শুনে দুই জনেই সুর মিলায়ে চোখের পলকের মধ্যে রেডি হয়ে আমার সামনে।
বিস্তারিত»বাঁচতে হলে লিখতে হবে!
অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)
এদেশে এসেছিলাম এক বছরের ভিসা নিয়ে। তবে ভিসা হাতে পাওয়ার তিন মাস পরে এদেশে আসার কারনে হাতে আর সময় ছিল মাত্র নয় মাস। এর মাঝেই চাকরী-বাকরী খোঁজা, গোধূলির জন্ম, এসব করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো। তখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, পেয়ে গেলাম আরও চার বছরের জন্য। এই চার বছর যখন শেষ হবে তখন আমাদের এদেশে অবস্থানের সময়কাল হবে চার বছর নয় মাস।
বিস্তারিত»বেলা শেষের অবেলায়
সুর্যটা ডুবতে বসেছে।
সেই সাথে রাসেল ও। ত্রিশ বছরের জীবন এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে…
ডিমের কুসুমের আকার নিয়ে রক্তিম ভানু অস্তাচলে যাই যাই করছে। সামনে পিছনে আঁধারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এক অপুর্ব বিষাদময়তা লেজের মত অদৃশ্য রশ্মিতে বাঁধা! সামনে কেউ নেই। পেছনে অনেকে থেকেও নেই।
একা একজন মানুষ।
স্মৃতির মিনারে আজনম ক্লান্ত এক পথিক পথের শেষে এসে বিষন্ন প্রহর গুনছে!
কি করছে এখন রেবেকা?
বিস্তারিত»প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-৩
দু’হাতের মুঠোয় হৃদয়খানি ধরে যদি সামনে আসি,
এবারের মত গোলাপ না দিলেও চলবে??
আজ হাত ধরে হাঁটি যদি, মেঘ মিলায় যতদূরে;
কালকে আমার একটু দেরি সইবে তো?
কথা ভুলে গিয়ে যদি বোকার মত হেসে ফেলি,
বুঝে নিও, সে তোমার হাসি দেখে।
সন্ধ্যাবেলায় আমার পাশে থেকো না আর।
নাহয় বিলুপ্ত করে দাও, সকল সোডিয়াম বাতি।
হলদে আলোর মায়া তোমায় ছাড়তে দেয় না।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “
অনেকদিন পর সি সি বি তে এলাম। সাময়িক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে এক ঝাঁক নতুন লেখকদের দেখে বেশ ভালো লাগছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশ পেয়েছে আমার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ” নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই”।
সিসিবির কাছে আমার অনেক ঋণ। আমার সেই অপরিপক্ক লেখাগুলো প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সিসিবি ছিলো প্রথম মাধ্যম। অনেকেই না না ভাবে সমালোচনা,
বিস্তারিত»ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ
স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।
বিস্তারিত»