আমাদের বাড়ীর কাছেই রুবি ফলস। এর আগেও বার কয়েক গেছি মাটির নিচের এই রূপের জলধারা দেখতে। এবারের জার্নিটা একটু অন্য রকম কারণ কানাডা থেকে ভাই-ভাবী এসেছেন, আর আমি তাদের গাইড হয়ে আমেরিকার রূপ বৈচিত্র্য দেখাতে বেরিয়েছি। হাজার উপায়ে আমাকে তো তাদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে রূপে গুণে কানাডার চাইতে আমার দেশটি উত্তম! আমাদের বাড়ী থেকে মাত্র দুশো কিলোমিটার দূরে এই মেঘ পাহাড়ের দেশ। সবাই মিলে গল্প করতে করতে যখন টেনেসি পৌঁছুলাম আলো ঝলমলে একটি দিনের শুরু হয়েছে সবে।
বিস্তারিত»আমেরিকা আবিষ্কার (ভানু ই প্রথম)
উপস্থাপক: আচ্ছা ভানুবাবু, কানাঘুষা শুনলাম আপনি নাকি দাবী করেছেন যে, কলম্বাস নয় আপনিই প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন?
ভানু: কি কইতাছেন কানাঘুষা! না না, এগুলা আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য কেউ কেউ বইলা থাকেন। আমি কানাঘুষায় বিশ্বাসী না, আমি পাবলিকের কানে ঘুসা মাইরা মাইরা তত্ত্বকথা ঢুকাইতে বেশি পছন্দ করি।
উপস্থাপক: সে কি? আপনি এরকম মাস্তানদের মত গায়ের জোরে …
ভানু: আরে রাখেন আপনার গায়ের জোর!
ইশকুল
[প্রাইমারী স্কুলের কথা ভেবে লেখা]
মনে পড়ে ইশকুল, টিফিনের ঘন্টা
ছুটি শেষে হুল্লোড়, হা হা হি হি মনটা
ঘুণে ধরা জানালায় কড়ামিঠে রোদ্দুর
বেঞ্চিতে উসখুস, টিফিনের কদ্দূর ?
মা’র দেয়া দু’টাকায় কিনে খাওয়া চালতা
মনে পড়ে সেই মেয়ে, যার পায়ে আলতা।
অডিও ব্লগঃ তিন
১ আমার মা তার জমানো সব সিকি আর আঁধুলী দিয়ে আমাদের জন্য একদিন হারমোনিয়াম কিনে নিয়ে এলেন। ওস্তাদজী সুনীল ধর এলেন আমাদের দুই বোনের তালিম দিতে। সপ্তাহে দুইদিন ওস্তাদজী আসেন সন্ধ্যার পর। ঐ দুইদিন আমাদের পড়াশোনা মাফ। বড় আপা আর আমি প্রতিদিন ভোরবেলা রেওয়াজ করতাম। ওস্তাদজী এলে বাবা চায়ের কাপ হাতে নিজেও বসতেন আমাদের পাশে, পান চিবোতে চিবোতে আঁচল টেনে মাও এসে বসতেন বাবার পাশে।
বিস্তারিত»ঢাবিকে নিয়ে এক কিস্তি…
ভাবছিলাম এটা নিয়ে কিছু বলবো না, কিন্তু আর থাকতে পারলাম না। লিখেই ফেললাম আমার প্রিয় ঢাবিকে নিয়ে।
একবার ক্লাস শেষে ডাকসুর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। কোন এক বাম দলের ‘বিরাট’ মিটিং হচ্ছে। কংক্রিটের রাস্তায় বসা দুইজন শ্রোতার চেয়ে মঞ্চে উপবিষ্টের সংখ্যা বেশি। মাইক বাজছে তারস্বরে। রাস্তা খোড়া শুরু হলেও বাঙ্গালী দাঁড়িয়ে যায় মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য। আর সেখানে এত জ্বালাময়ী বক্তৃতা! আমি তো বাঙ্গালীই!
বিস্তারিত»অডিও ব্লগঃ দুই
রাগঃ দরবারী কানাড়া
ঠাটঃ আশাবরী
সময়ঃ মধ্যরাত
রাগ দরবারী কানাড়া কে কখনো কখনো শুধুমাত্র দরবারী নামেও ডাকা হয়। ফার্সি শব্দ দরবার (কোর্ট) থেকে হিন্দী দরবারী শব্দটি এসেছে। কর্ণাটক ঘরানায় এই রাগের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।
ষোড়শ শতকে সম্রাট আকবরের দরবারের সঙ্গীতজ্ঞ মিয়া তানসেন এই রাগের প্রচলন ঘটান উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতে। দরবারী কানাড়া কে রাজার রাগ অথবা রাগের রাজা বলে অভিহিত করা হয়!
বিস্তারিত»দুই চাকার দিনলিপি- ১ (ট্যুর ডি কুয়াকাটা)
[বিচ্ছিরি রকমের বড় ব্লগ। ছবি বড় করে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে]
১.
সিদ্ধান্তটা নেয়া হলো হুট করেই। শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে প্রাত্যহিক রুটিনের অংশ হিসেবে আমরা ফুচকা খাচ্ছিলাম। আমরা বলতে আমিন ভাই, এহসান ভাই, ইমতিয়াজ, জামান এবং আমি। ঈদের ছুটি তখন আসি আসি করছে, আর মাত্র কয়েকদিন। আমিন ভাই খেতে খেতে হঠাৎ বলে উঠলো – “ধূর মিয়া, তোমাদের দিয়া কিছু হইবোনা।”
Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৩য় সংস্করণঃ জীবনের গল্প।
(১) প্রেমটা করার আগে বলতে গিয়েও পারিনি যে আমার এর আগে আরো একবার বিয়ে হয়েছিল। এই দেশে মেয়ে হিসেবে “আগে বিয়ে হয়েছিল” বিয়ে বাজারে বিশাল বড় লালকালির দাগ। মন্দের ভাল পারিবারিক চাপে করা বিয়ে মাসখানেকের সমঝোতায় শেষ করে বের হয়ে এসেছিলাম। গত সপ্তাহে যখন বললাম ততদিনে রাজনের সাথে সম্পর্ক অনেকদূর গড়িয়েছে। বলার পরে রাজনকে হতাশ হবার চেয়ে চিন্তিত হতে দেখে জানা আশংকাই মাথায় চেপে বসলো।
বিস্তারিত»ছায়াছন্দ! ছায়াছন্দ!!
গীতিকার লিখে গান
সুরকার দেয় সুর
শিল্পীর ছন্দে
মনের আনন্দে
হয়ে উঠে সুমধুর।
সুমধুর সুমধুর সুমধুর…
আমার বেড়ে ওঠা বিটিভি যুগে। সেসময় এখনকার মত টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখার থেকে চ্যানেল বদলানোর পিছনে বেশি সময় খরচ হতো না, বরং দূপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতো টিভিতে কিছু দেখতে হলে আর ছুটির দিনের একটা বিশেষ আকর্ষন ছিল সকালের টিভি অনুষ্ঠান।
বিস্তারিত»অডিও ব্লগঃ এক
আহসান আকাশের আইডিয়া আর পারভেজ ভাইয়ার অনুপ্রেরণায় অডিও ব্লগ লিখলাম অবশেষে! 🙂
এখানে আমার কোনই কৃতিত্ব নাই। আমি কেবল সিসিবির জন্য আমার ফেলে আসা দেশটিকে স্মরণ করে চোখের জলে বাজালাম “ধনধান্য পুষ্প ভরা”। সবিনয়ে বলি, আমি গান বাজাতে শিখি নাই। বহুদিন আগে ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল বাজাতাম আমার কন্যার সাথে, তারই রেশ হয়তো রয়ে গেছে কোথাও! আমি একজন ভুলে যাওয়া পিয়ানিস্ট, সুতরাং ভুলত্রুটি মার্জনীয়!!
বিস্তারিত»পাঁচটা মিষ্টি প্রেমাণুকাব্য (একটু বেশি মিষ্টি )
১।
লোডশেডিং এর অন্ধকারে
পাশের বাসার খন্দকারে
একলা ছাদে, নির্বিবাদে
শেখায় প্রেমের ছন্দ কারে?!
অণু ব্লগঃ দুই
ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।
বিস্তারিত»প্রেমের পদ্য
গালের টোলে কাব্যদীঘি
চোখের কোলে মুক্তো
ঠোঁটের কোণে হাসির রকম
বোঝা বড় শক্ত।
কপট ক্রোধে গভীরতর
গণ্ডদেশের লাল
জানান দেয় ভালোবাসায়
জিভ ছোঁয়ালেই ঝাল।।
———————————————————-
অন্তত বছর কুড়ি তো হবেই। ছন্দ মিলিয়ে মোটামুটি দীর্ঘ একটা কিছু লিখেছিলাম।
তার থেকে এ ক’টা লাইনই মনে আছে। সিসিবিতে প্রেমের পদ্যের জোয়ারে
আমিও খানিক ভেসে গেলাম না হয়।
টিউটোরিয়ালঃ কীভাবে ফোন হারিয়ে গেলে পুরাতন নাম্বার ফিরে পাবেন।
বেশ কয়েকদিন পরে ব্লগে লিখতে আসলাম। এর মধ্যে মোবাইল চুরি যাওয়াতে সবার নাম্বার হারিয়ে ফেলেছিলাম। একটু চেষ্টা করে GOOGLE থেকে সেগুলো আবার উদ্ধার করেছি।
অনেকেই হয়তো গুগল এর “Account sync” সম্পর্কে জানেন এবং নাম্বার হারিয়ে গেলে কিভাবে ফিরে পেতে হয়, তাও জানেন। যারা জানেন তাদের এই ব্লগ পড়ে সময় নষ্ট করার দরকার নাই।
যারা জানেন না তারা দেখতে পারেন।
বিস্তারিত»