ছায়াছন্দ! ছায়াছন্দ!!

গীতিকার লিখে গান
সুরকার দেয় সুর
শিল্পীর ছন্দে
মনের আনন্দে
হয়ে উঠে সুমধুর।
সুমধুর সুমধুর সুমধুর…

আমার বেড়ে ওঠা বিটিভি যুগে। সেসময় এখনকার মত টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখার থেকে চ্যানেল বদলানোর পিছনে বেশি সময় খরচ হতো না, বরং দূপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতো টিভিতে কিছু দেখতে হলে আর ছুটির দিনের একটা বিশেষ আকর্ষন ছিল সকালের টিভি অনুষ্ঠান।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ এক

 

আহসান আকাশের আইডিয়া আর পারভেজ ভাইয়ার অনুপ্রেরণায় অডিও ব্লগ লিখলাম অবশেষে! 🙂 

এখানে আমার কোনই কৃতিত্ব নাই। আমি কেবল সিসিবির জন্য আমার ফেলে আসা দেশটিকে স্মরণ করে চোখের জলে বাজালাম “ধনধান্য পুষ্প ভরা”। সবিনয়ে বলি, আমি গান বাজাতে শিখি নাই। বহুদিন আগে ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল বাজাতাম আমার কন্যার সাথে, তারই রেশ হয়তো রয়ে গেছে কোথাও! আমি একজন ভুলে যাওয়া পিয়ানিস্ট, সুতরাং ভুলত্রুটি মার্জনীয়!!  

বিস্তারিত»

পাঁচটা মিষ্টি প্রেমাণুকাব্য (একটু বেশি মিষ্টি )

১।
লোডশেডিং এর অন্ধকারে
পাশের বাসার খন্দকারে
একলা ছাদে, নির্বিবাদে
শেখায় প্রেমের ছন্দ কারে?!

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ দুই

ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।

বিস্তারিত»

প্রেমের পদ্য

গালের টোলে কাব্যদীঘি
চোখের কোলে মুক্‌তো
ঠোঁটের কোণে হাসির রকম
বোঝা বড় শক্ত।

কপট ক্রোধে গভীরতর
গণ্ডদেশের লাল
জানান দেয় ভালোবাসায়
জিভ ছোঁয়ালেই ঝাল।।

———————————————————-
অন্তত বছর কুড়ি তো হবেই। ছন্দ মিলিয়ে মোটামুটি দীর্ঘ একটা কিছু লিখেছিলাম।
তার থেকে এ ক’টা লাইনই মনে আছে। সিসিবিতে প্রেমের পদ্যের জোয়ারে
আমিও খানিক ভেসে গেলাম না হয়।

বিস্তারিত»

টিউটোরিয়ালঃ কীভাবে ফোন হারিয়ে গেলে পুরাতন নাম্বার ফিরে পাবেন।

বেশ কয়েকদিন পরে ব্লগে লিখতে আসলাম। এর মধ্যে মোবাইল চুরি যাওয়াতে সবার নাম্বার হারিয়ে ফেলেছিলাম। একটু চেষ্টা করে GOOGLE থেকে সেগুলো আবার উদ্ধার করেছি।

অনেকেই হয়তো গুগল এর “Account sync” সম্পর্কে জানেন এবং নাম্বার হারিয়ে গেলে কিভাবে ফিরে পেতে হয়, তাও জানেন। যারা জানেন তাদের এই ব্লগ পড়ে সময় নষ্ট করার দরকার নাই।

যারা জানেন না তারা দেখতে পারেন।

বিস্তারিত»

ভাই রে ভাই!

আমি তখন অনেক ছোট, খুলনা শহর তখনও সিটি কর্পোরেশন হয়নি। তো, সেবার খুলনা পৌরসভার ইলেকশনে আমাদের পাশের বাড়ীর দবীর চাচা(ছদ্মনাম) কমিশনার পদে দাঁড়ালেন। তাঁর মার্কা হল উড়োজাহাজ, এরোপ্লেন। খুলনার আঞ্চলিক টানে অনেকেই বলতেন “আইরো পেলেন” – মানে বাঁকা প্লেন, কিছু দুষ্টু লোকেরা আবার ওটাকে “আইঢ়ে পেলেন” বলেও ডাকতেন (একথার অর্থ এখানে লেখা যাবে না)।

প্রতিদিন বিকালে পাড়ার ছেলেপুলেরা “তোমার ভাই – আমার ভাই,

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ ২য় সংস্করণ

(১) কাস্টডিয়াল সার্ভিসের সহকর্মীরা একজন বাদে সবাই মার্কিনি। বয়সের হিসেবে ওরা সবাই বেশ ছোট বলা চলে। ১৯৯৪ সালে গায়ে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে যখন প্রথমবারের মত ব্রাজিল-ইতালীর ফাইনালে “অনেকগুলো পেনাল্টি” দেখছি তখন ওদের অনেকেই হয়তো মায়ের কোলে হাস্যোজ্জ্বল ১৬-১৮ মাসের শিশু। প্রতিদিন আমার খাবারে গন্ধ শুঁকে বায়না ধরলো কিছু একটা বানিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কষ্ট করে হলেও কাবাব বানালাম। বাসাবাড়িতে মায়েরা সেদ্ধ মাংসের যেই কাবাব বানায় সেটি।

বিস্তারিত»

খপ্পরে পড়া

আমাদের কলেজ জীবনে বন্ধুদের মাঝে “খপ্পরে পড়া” নামে একটা বাগধারা বহুল প্রচলিত ছিল। প্রচলিত বাংলায় কথাটি এক ধরনের বাজে, নেতিবাচক এবং ক্ষেত্র বিশেষে নোংরা অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন “ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়া”, “নারীখেকোর খপ্পরে পড়া” কিংবা “বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে পড়া”, ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের কাছে কথাটা সাধারণ্যে প্রচলিত অর্থের চেয়ে অনেক খানি ভিন্ন, কোন প্রকার নোংরামির সংশ্রবহীন, কিছুটা তামাসা মিশ্রিত মজাদার একটা অর্থ বহন করত। অনেক সময় “জীবনে একটু বৈচিত্র আনার আশায়”

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে-৩

মহাশয় হাউজ কাঁপিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠেন “চিয়ারের পাইয়া ধরে শুয়ে পড় বাপু ” অগত্যা হারাধনের তিন ছেলে নীল রঙা স্লিপিং ড্রেসে রঙ চটা সবুজ কার্পেটের জমিনে নিজের বুক বিছিয়ে দেয়, শক্তহাতে চেয়ারের পায়া ধরে দাঁত চেপে অপেক্ষা করে, শাল কাঠের বেতের বাড়ি খাওয়ার জন্য। ঘাস পোকাকে আমরা শয়তানের ঘোড়া বলতাম, গরমকালে যখন শয়ে শয়ে শয়তানের ঘোড়া আমাদের নাগালে এসে ধরা দিত, ধরে ধরে আমরা ভার্জিনের ক্যান ভর্তি করতাম।

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

অণু কবিতাঃ এক

এক

এক চুমুতে আগুন জ্বলে

দুই চুমুতে ধূপ

তিন চুমুতে রক্তে দ্রোহ

চার চুমুতে চুপ।।

দুই

ইলেকট্রিক কম্বল কত উষ্ণতা দেবে বলো

প্রেয়সী যখন দূরতম দ্বীপে একা??

তিন

চুমুর চকাসে নিস্তব্ধতা ভাঙে, ভোরের কুয়াশায়!

চার

পূর্বে কাজল চোখে জল,

পশ্চিমে নির্ঘুম রাত।।

বিস্তারিত»

মর্মান্তিক প্যাথেটিক

সামনেই রিইউনিওন। পুরোনো অনেক কথা মনে পড়তেছে বিভিন্ন সিচ্যুয়েসনে,গল্পে গল্পে। কিছু গল্প শোনা, বেশীর ভাগই প্রত্যক্ষ করা।

১) ক্লাস সেভেনের ১ম প্যারেন্টস ডে। সবার প্যারেন্টস আসল। শুধু আমি আর মুসফিক রুমে চুপচাপ বসে আছি। আমার খুবই মন খারাপ। প্যারেন্টস আসে নাই তাতে নাকি সবার প্যারেন্টস আসল শুধু আমার আসে নাই তাতে, কোনটা তে যে বেশী খারাপ লাগতেছে ঠিক বুঝতেছি না। আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসবে না সেটা আগেই জানানো ছিল।

বিস্তারিত»

“দি ভ্যালি অফ দি উল্ফ” – ইন বাংলাদেশ!!!

এইসব কেন লিখি? কিজন্য লিখি, কাদের জন্যই বা লিখি? হয়তো নিজের জন্যই শুধু লেখা। না লিখে চুপ করে থাকলে নিজেকে কেন যেন অপরাধী বলে মনে হয়। বোবা-মুখ হয়ে সময় পার করা? সেতো অনেকেই করছেন। যারা একটু উচ্চবাচ্য হবার চেষ্টা করছেন তাদেরকে গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা মানতে হচ্ছে, হয়রানী-হুমকি-ধামকিও সহ্য করতে হচ্ছে। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদও কেউ করছেন না সেইসবের। সবাই যেন গা বাঁচিয়ে চলতে চায়। পাছে আমাকেও অশ্রাব্য গালি শুনতে হয়!

বিস্তারিত»

রাধাকথন- ১১

চিঠির মতো দুস্তর কিছু না,
বর্তে যাই
মামুলি কিছু এসএমএস পেলে’-
চুমোয় ভরা ক’টা মিসকল
কি ক্ষতি দুচারটা লাইক
ফেস কিংবা বুকে

কী অসুখে
তোর হাত ছুঁলাম কালা!
হোস্টেলের বিছানায়
কবরী হয়ে গাইছি
‘সে যে কেন এলো না’

বিস্তারিত»