ভাই রে ভাই!

আমি তখন অনেক ছোট, খুলনা শহর তখনও সিটি কর্পোরেশন হয়নি। তো, সেবার খুলনা পৌরসভার ইলেকশনে আমাদের পাশের বাড়ীর দবীর চাচা(ছদ্মনাম) কমিশনার পদে দাঁড়ালেন। তাঁর মার্কা হল উড়োজাহাজ, এরোপ্লেন। খুলনার আঞ্চলিক টানে অনেকেই বলতেন “আইরো পেলেন” – মানে বাঁকা প্লেন, কিছু দুষ্টু লোকেরা আবার ওটাকে “আইঢ়ে পেলেন” বলেও ডাকতেন (একথার অর্থ এখানে লেখা যাবে না)।

প্রতিদিন বিকালে পাড়ার ছেলেপুলেরা “তোমার ভাই – আমার ভাই,

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ ২য় সংস্করণ

(১) কাস্টডিয়াল সার্ভিসের সহকর্মীরা একজন বাদে সবাই মার্কিনি। বয়সের হিসেবে ওরা সবাই বেশ ছোট বলা চলে। ১৯৯৪ সালে গায়ে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে যখন প্রথমবারের মত ব্রাজিল-ইতালীর ফাইনালে “অনেকগুলো পেনাল্টি” দেখছি তখন ওদের অনেকেই হয়তো মায়ের কোলে হাস্যোজ্জ্বল ১৬-১৮ মাসের শিশু। প্রতিদিন আমার খাবারে গন্ধ শুঁকে বায়না ধরলো কিছু একটা বানিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কষ্ট করে হলেও কাবাব বানালাম। বাসাবাড়িতে মায়েরা সেদ্ধ মাংসের যেই কাবাব বানায় সেটি।

বিস্তারিত»

খপ্পরে পড়া

আমাদের কলেজ জীবনে বন্ধুদের মাঝে “খপ্পরে পড়া” নামে একটা বাগধারা বহুল প্রচলিত ছিল। প্রচলিত বাংলায় কথাটি এক ধরনের বাজে, নেতিবাচক এবং ক্ষেত্র বিশেষে নোংরা অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন “ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়া”, “নারীখেকোর খপ্পরে পড়া” কিংবা “বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে পড়া”, ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের কাছে কথাটা সাধারণ্যে প্রচলিত অর্থের চেয়ে অনেক খানি ভিন্ন, কোন প্রকার নোংরামির সংশ্রবহীন, কিছুটা তামাসা মিশ্রিত মজাদার একটা অর্থ বহন করত। অনেক সময় “জীবনে একটু বৈচিত্র আনার আশায়”

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে-৩

মহাশয় হাউজ কাঁপিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠেন “চিয়ারের পাইয়া ধরে শুয়ে পড় বাপু ” অগত্যা হারাধনের তিন ছেলে নীল রঙা স্লিপিং ড্রেসে রঙ চটা সবুজ কার্পেটের জমিনে নিজের বুক বিছিয়ে দেয়, শক্তহাতে চেয়ারের পায়া ধরে দাঁত চেপে অপেক্ষা করে, শাল কাঠের বেতের বাড়ি খাওয়ার জন্য। ঘাস পোকাকে আমরা শয়তানের ঘোড়া বলতাম, গরমকালে যখন শয়ে শয়ে শয়তানের ঘোড়া আমাদের নাগালে এসে ধরা দিত, ধরে ধরে আমরা ভার্জিনের ক্যান ভর্তি করতাম।

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

অণু কবিতাঃ এক

এক

এক চুমুতে আগুন জ্বলে

দুই চুমুতে ধূপ

তিন চুমুতে রক্তে দ্রোহ

চার চুমুতে চুপ।।

দুই

ইলেকট্রিক কম্বল কত উষ্ণতা দেবে বলো

প্রেয়সী যখন দূরতম দ্বীপে একা??

তিন

চুমুর চকাসে নিস্তব্ধতা ভাঙে, ভোরের কুয়াশায়!

চার

পূর্বে কাজল চোখে জল,

পশ্চিমে নির্ঘুম রাত।।

বিস্তারিত»

মর্মান্তিক প্যাথেটিক

সামনেই রিইউনিওন। পুরোনো অনেক কথা মনে পড়তেছে বিভিন্ন সিচ্যুয়েসনে,গল্পে গল্পে। কিছু গল্প শোনা, বেশীর ভাগই প্রত্যক্ষ করা।

১) ক্লাস সেভেনের ১ম প্যারেন্টস ডে। সবার প্যারেন্টস আসল। শুধু আমি আর মুসফিক রুমে চুপচাপ বসে আছি। আমার খুবই মন খারাপ। প্যারেন্টস আসে নাই তাতে নাকি সবার প্যারেন্টস আসল শুধু আমার আসে নাই তাতে, কোনটা তে যে বেশী খারাপ লাগতেছে ঠিক বুঝতেছি না। আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসবে না সেটা আগেই জানানো ছিল।

বিস্তারিত»

“দি ভ্যালি অফ দি উল্ফ” – ইন বাংলাদেশ!!!

এইসব কেন লিখি? কিজন্য লিখি, কাদের জন্যই বা লিখি? হয়তো নিজের জন্যই শুধু লেখা। না লিখে চুপ করে থাকলে নিজেকে কেন যেন অপরাধী বলে মনে হয়। বোবা-মুখ হয়ে সময় পার করা? সেতো অনেকেই করছেন। যারা একটু উচ্চবাচ্য হবার চেষ্টা করছেন তাদেরকে গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা মানতে হচ্ছে, হয়রানী-হুমকি-ধামকিও সহ্য করতে হচ্ছে। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদও কেউ করছেন না সেইসবের। সবাই যেন গা বাঁচিয়ে চলতে চায়। পাছে আমাকেও অশ্রাব্য গালি শুনতে হয়!

বিস্তারিত»

রাধাকথন- ১১

চিঠির মতো দুস্তর কিছু না,
বর্তে যাই
মামুলি কিছু এসএমএস পেলে’-
চুমোয় ভরা ক’টা মিসকল
কি ক্ষতি দুচারটা লাইক
ফেস কিংবা বুকে

কী অসুখে
তোর হাত ছুঁলাম কালা!
হোস্টেলের বিছানায়
কবরী হয়ে গাইছি
‘সে যে কেন এলো না’

বিস্তারিত»

খান্দান

রূপার নানীজান সালেহা খাতুন উনিশ থেকে বিশ বলতে পারতেন না, বলতেন উনিশ থেকে বিনিশ! এই নিয়ে বাড়ীর বছুইরা কামলারা পর্যন্ত হাসাহাসি করে আড়ালে আবডালে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই! তার সামনে চোপা খুলবে এমন সাহস ছনকান্দা গ্রামে কারোরই নাই। নানীজান পান থেকে চূণ খসা বুঝাতে গেলেই বলছেন উনিশ থেকে বিনিশ!

শারীরিক উচ্চতায় খানিক ঘাটতি থাকলেও রূপার নানা জমির মুনশীকে রীতিমত সুপুরুষ বলা চলে। দুধ মাখন খাওয়া চকচকা শরীর তার।

বিস্তারিত»

বাঙ্গালনামা

অনেক অনেক দিন আগের কথা। রাম-রাবণের যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। স্বর্ণলঙ্কা পুড়ে ছাই। বিজয়ীরা কেউ রং ছিটাচ্ছে, কেউ পটকা ফোটাচ্ছে, কেউবা আবার রংমহলে আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা। চারিদিকে বিজয়ী পক্ষের বীরদেরকে নানান মাপের পুরষ্কার প্রদান ও গ্রহনের ছড়াছড়ি চলছে। আনন্দ আর উত্তেজনার আতিশয্যে দেবতাগনও একফাঁকে কয়েকজনকে অমর বর দিয়ে দিলেন। একবার এই বর পেলে তাঁকে আর কোনোদিন মরতে হবে না। হনুমান থেকে শুরু করে বিভীষণ পর্যন্ত অনেকেই পেয়ে গেলেন সেই অমূল্য বর।

বিস্তারিত»

ভালবাসার সুরভী

তুমি আমার সবুজ চায়ে সোনালী মধু
শীতের ভোরে পথের মোড়ে ভাঁপা পিঠা, তিলের নাড়ু 
তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া চুলের ফিতা
নাকছাবি আর আলতা চুড়ি, নখের পালিশ 
তুমি আমার মেঘের দুপুর, সবুজ পিরান, কাজলদানি 
পথ হারিয়ে আবার পাওয়া অচিনপুরে
তুমি আমার দুরন্ত চিল, এক লহমায় কোন সুদূর
তুমি আমার শুন্য ঘরে একলা থাকা ঝিম দুপুর
তুমি আমার ঘুঘুর ডাকে মন উদাসী,

বিস্তারিত»

বকর-ব্লগর

কিছু মানুষ অতীত নিয়ে পড়ে থাকে, অনেক চিন্তা করে দেখলাম আমিও মনে হয় সেই দলে। শীত আসছে, আর সেই সময়ে আমিও শীত আগে কেমন ছিল সেই চিন্তায় পড়ে আছি। সকাল বেলায় বের হতেই হালকা যেই বাতাসটা গায়ে লাগে সেই বাতাসটা কত বছর আগের ঠিক কোন সময়কার কথা মনে করিয়ে দেয় সেই হিসাব খুলে বসি। বলা চলে, নিজের অজান্তেই এসব শুরু হয়। শীতের শুরুর দিকে কলেজের স্টোর থেকে দুটো কম্বল দিত।

বিস্তারিত»

হৃৎপ্রাচীর

মাঝে মাঝে এমন ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ দিন আসে। ভোরের আলোর মোলায়েম পরশ থাকে না। স্লেটের মতো ছাইমাখা আকাশ ভয়ঙ্কর থমথমে চোখে চেয়ে থাকে। তার নিচেই ধাতব শীতল বাতাস এলোমেলো ঘুরতে থাকে। এমন দিনে রাস্তায় বেরুলে কোন মানুষ দেখবে না, দেখবে সারি সারি মৃত মুখ, নিস্প্রভ আলোহীন অবয়বে হেঁটে যাচ্ছে। সূর্যহীন আকাশের কারণে অবয়বগুলোর কোন ছায়া পড়ে না মাটিতে। তারা যেন মসৃণ কালো রাস্তার পাশ দিয়ে কিছুটা পিছলে পিছলে চলে যেতে থাকে।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ এক

আমার পড়শী শ্রীমতী ঊর্মিলা আর তার স্বামী শ্রীমান বলরাম সিং কে ছুটির দুপুরে দুটি ডাল ভাতের নিমন্ত্রন করেছিলাম। বিচিত্র কারণে এই দম্পতি আমাদের মা মেয়েকে খানিক স্নেহ করেন। উইকেন্ডে, জন্মদিনে অথবা পড়শীদের পটলাক পার্টিতে আমাদের কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ ঘটে।

ওদের একমাত্র পুত্র অজয় আসে নাই সাথে, ও জর্জিয়া টেকে পড়ে। ছুটির দুপুরে ক্যাম্পাসে গেছে গ্রুপ স্টাডি করতে।

মোরগ পোলাউ, ভেড়ার রেজালা আর রায়তায় আমাদের সাদামাটা আয়োজন।

বিস্তারিত»