অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৪: অথঃ ইমিগ্রেশান)
এদেশে এসেছিলাম এক বছরের ভিসা নিয়ে। তবে ভিসা হাতে পাওয়ার তিন মাস পরে এদেশে আসার কারনে হাতে আর সময় ছিল মাত্র নয় মাস। এর মাঝেই চাকরী-বাকরী খোঁজা, গোধূলির জন্ম, এসব করতে করতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো। তখন মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, পেয়ে গেলাম আরও চার বছরের জন্য। এই চার বছর যখন শেষ হবে তখন আমাদের এদেশে অবস্থানের সময়কাল হবে চার বছর নয় মাস।
বিস্তারিত»বেলা শেষের অবেলায়
সুর্যটা ডুবতে বসেছে।
সেই সাথে রাসেল ও। ত্রিশ বছরের জীবন এতো দ্রুত শেষ হয়ে যাবে…
ডিমের কুসুমের আকার নিয়ে রক্তিম ভানু অস্তাচলে যাই যাই করছে। সামনে পিছনে আঁধারের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এক অপুর্ব বিষাদময়তা লেজের মত অদৃশ্য রশ্মিতে বাঁধা! সামনে কেউ নেই। পেছনে অনেকে থেকেও নেই।
একা একজন মানুষ।
স্মৃতির মিনারে আজনম ক্লান্ত এক পথিক পথের শেষে এসে বিষন্ন প্রহর গুনছে!
কি করছে এখন রেবেকা?
বিস্তারিত»প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-৩
দু’হাতের মুঠোয় হৃদয়খানি ধরে যদি সামনে আসি,
এবারের মত গোলাপ না দিলেও চলবে??
আজ হাত ধরে হাঁটি যদি, মেঘ মিলায় যতদূরে;
কালকে আমার একটু দেরি সইবে তো?
কথা ভুলে গিয়ে যদি বোকার মত হেসে ফেলি,
বুঝে নিও, সে তোমার হাসি দেখে।
সন্ধ্যাবেলায় আমার পাশে থেকো না আর।
নাহয় বিলুপ্ত করে দাও, সকল সোডিয়াম বাতি।
হলদে আলোর মায়া তোমায় ছাড়তে দেয় না।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “
অনেকদিন পর সি সি বি তে এলাম। সাময়িক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে এক ঝাঁক নতুন লেখকদের দেখে বেশ ভালো লাগছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশ পেয়েছে আমার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ” নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই”।
সিসিবির কাছে আমার অনেক ঋণ। আমার সেই অপরিপক্ক লেখাগুলো প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সিসিবি ছিলো প্রথম মাধ্যম। অনেকেই না না ভাবে সমালোচনা,
বিস্তারিত»ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ
স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।
বিস্তারিত»পৌষের এক বিকেল
পৌষের এক বিকেল
——————–
সেদিন ছিল পৌষের এক ঝিম মারা বিকেল।
ধান কাটার পরের বিষন্নতাকে সাথী করে,
খড়কুটার নিস্তেজতা উড়ানো বাতাস
ভেসে এসে থমকে দাঁড়ায় আমার আঙিনায়!
এমনই এক বিকেল! যখন
সাদা বকেরা ঝিমায় কেবলি,
স্মৃতিতে ওদের জলভরা বিলের পুরনো সুখস্মৃতি।
গোবরে লেপা উঠান কৃষাণীর চোখের মত
ঝকমকে আলোর চমকে উদ্ভাসিত!
এখানে সেখানে পরে থাকা ধানের ছড়া
ঠুসি পরানো বলদের চোখে জাগায় লোভাতুর চাহনি।
প্রলাপ-১৩
থোকা থোকা বেগুনী সে-অর্কিডফুল
পোর্সেলিনের জল থেকে উন্মুখ
জানলাপ্রান্তে ঝুঁকে দেখে
তুষারের মোলায়েম গান –
দিনভর। অবিরাম।
অথচ জলের নির্বিবাদ কোলে
গাঢ়সবুজ তার পত্রাবলির সাথে
বেগুনী আভার সখ্যতা দেখে
জলার ধার ধরে
কি করে
সারসার জারুলের গাছ
মনে চলে আসে,
সবুজের হাত ধরে।
বরফের কনকনে কামড়
ফালাফালা করে দেবার আগে
নিমেষ জুড়ে
বাংলাদেশ।
শাহবাগ
মাঝে মধ্যে অবাক হইয়া ভাবি শাহবাগ যেন জোঁকের মুখে নুন হইয়া গেছে!
প্রায় তো দুই বছর হইতে চললো। তেরো সালের ফেব্রুয়ারি থেকে-
এখন অব্দি কম তো গালি খায় নাই শাহবাগ। নিরীহ মাসুম চৌরাস্তার মোড়টারে
কী পরিমাণ এবিউজের শিকার হইতে হইলো – ভাবলেই মায়া লাগে।
কে না তারে গালি দিছে! কাদের মোল্লার পুত্র থেকে গোলামাজমের পুত্র,
লন্ডনের বড়ো গণতন্ত্র থেকে ব্যারনেস ভার্সি,
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫
ভাইয়েরা, অতি উৎসাহী হয়ে কয়েকটা লাইন লিখে ফেললাম…ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন, আমি কোন বড় লেখক/ কবি নই…ঃ)
(প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষর মিলায় আমার কলেজের নাম হয়!)
***********************************************************
ব রিশালের বৃষ্টি মাখা, স্নিগ্ধ দিনের ভাঁজে
রি ণিঝিনি হাওয়ার তালে, মাতাল মাদল বাজে।
শা ন্তি আজি তারই মাঝে, খুঁজছে কোলাহল
ল ক্ষ্য পানে আসছে ছুটে বাঁধন ছেড়ার দল!
বিস্তারিত»
একজন বিসিসি১৭ এর চোখে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫ঃ
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর রিউনিয়ন থেকে ফিরে আসলাম ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সকালে। শুরুটা ছিলো ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ সন্ধ্যায় লঞ্চ যাত্রা এর মধ্য দিয়ে। সারারাত ধরে লঞ্চের কেবিন এ বসে জাতিকে উদ্ধার করার পর ভোরবেলা নামলাম বরিশাল শহরে!
বিস্তারিত»আত্মজৈবনিক
এবং কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলে খেয়াল হলো যে কবিতা লিখি না
মাথার ভেতর এই খেয়াল মাটিতে পড়ার আগেই আমি দুই ভাগ হয়ে
তর্কে নামলাম। এক ভাগ বলে ওঠে হয়তো আপ্নে কখনই
কবিতা লিখতে পারতেন না। শুনে অন্য ভাগ তেড়ে আসে,
বেশি বুঝেন ইচ্ছা হয় না তাই লিখি না নাহলে দেখিয়ে দিতাম।
আমি দুই ভাগের তর্ক শুনি, কমলার জুস খাই
জুস বেশ তেতো লাগলে ভাবি একটু চিনি মেশালে মন্দ হতো না।
ইতিহাসের ভিন্নপাঠ।। চেঙ্গিস খান
“চেঙ্গিস খান ছিলেন শক্তিমান, প্রজ্ঞাবান, কুশলী, সম্ভ্রম-জাগানিয়া, কসাই, ন্যায়বান, দৃঢ়চেতা, শত্রুর বিনাশকারী, অকুতোভয়, আশাবাদী ও নির্মম এক মানুষ। ’’
– পারসিক এক ইতিহাসবিদ
১.
গত ২০ বছরে তথ্যের জগতে অবিশ্বাস্য একটা পালাবদল হয়েছে। যেকোনো ব্যাপারে জানতে চাইলে গুগল সার্চবারে লিখলেই চিচিং ফাঁক। চোখের নিমেষে হাজারটা তথ্য (কিংবা অপতথ্য) আপনার সামনে হাজির হয়ে যাবে। কিন্তু, অজ্ঞানতা খানিকটা কমল কি ?
অন্তর যন্তর অথবা জাদুর শহর
অদ্ভুত জাদুগন্ধময় এক পরাবাস্তব উৎসব ছিল তার শৈশবের ঈদ।
স্কুল কমিটির ফান্ড ক্রাইসিস, বেতনের এরিয়ার আর সোনালী ব্যাংক এর চেক এর চক্কর কে আম্মা কেমন করে যেন চান রাতে বানিয়ে ফেলতেন চকচকে বাটার জুতো অথবা বাচ্চামিয়া কাপুড়িয়ার দোকান থেকে কেনা নতুন নতুন “বাশনা-আলা” শার্ট। ইব্রাহীম খাঁ এর পুটূ গল্পের মত প্রতি বছরই নিজের সন্তানতুল্য পোষা খাসি কুরবানী দিয়ে সারাদিন কাঁদতেন বড় মা।
কোন এক সোনার কাঠি রুপোর কাঠির বলে তার সাম্যবাদী বাবা আর ধর্মবাদী বড় চাচা খেতে বসতেন একসাথে ওই এক দিনই।
বিস্তারিত»বুমেরাং
একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভিন্ন ডিপার্টমেন্টে অনেক ছেলেমেয়ের সাথে দুটো ছেলে মেয়ে পড়তো।
একজন জগৎ সংসার ভোলার জন্য রাতদিন নেশায় ডুবে থাকতো। অন্যজন সংসার করবে বলে সবার অমতে বিয়ে করে অকূলে পড়লো। এরা একদিন সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সিড়িতে এক আড্ডায় বন্ধুদের ভীড়ে পড়ে পরিচিত হলো। ছেলেটার লাল চোখ, ফর্সা মুখ আর আরো কী কী ব্যাপারের কম্বিনেশন মেয়েটার কেমন যেন লাগলো। বান্ধবীর কাছে সে জানলো ছেলেটা অসুখী,