দ্য আউটসাইডার

রাসেল এবং তিশা দুজনে আধুনিক উচ্চশিক্ষিত। দুজনেই উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে। একই ইউনিভার্সিটি থেকে দুজনে পড়ালেখা শেষ করেছে। ওরা চট্টগ্রামে বড় হয়েছে। রাসেলের বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। সে ওর খালার বাসায় থেকে চট্টগ্রামেই পড়ালিখা শেষ করেছে। ভার্সিটির অঙ্গনে কাছাকাছি-পাশাপাশি থাকবার সময়ে দুজনের ভিতরে বন্ধুত্ব হয়। একজন অন্যজনের কাছে আসে। ভালোলাগা থেকে ভালবাসার দিকে পথটি ঢালু হয়ে যায়। তবে এটা রাসেলের দিক থেকে একটু বেশী নিচুতে ধাবিত হবার মত হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

এইসব দিনরাত্রি এবং আমার ভাবনাগুলো (প্রাক-কথন)

দিনগুলো কেটে যাচ্ছে ভিষণ ব্যস্ততার মাঝে। জীবনের, আরো নির্দিষ্ট করে বললে ক্যারিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। ফলে, ইচ্ছা-থাকা সত্বেও সিসিবিতে লিখতে পারিনা আগের মতো করে। এমনকি প্রতিদিনকার হাজিরাটাও মাঝে মধ্যে মিস করে ফেলছি। কি আর করা……

ফ্রান্সে ইসলামী-টেরোরিষ্ট এটাকের প্রেক্ষিতে আমার কিছু ভাবনা সিসিবিতে শেয়ার করতে চাই। তবে সেটা গুছিয়ে নিতে আরো কয়েকদিন লাগবে। ইত্যোবসরে আমি জেনে নিতে চাই এই ঘটনা নিয়ে সিসিবি’তে লোকজন কে কি ভাবছে।

বিস্তারিত»

আবোলতাবোল বাজনা

নতুন বছরে নতুন অত্যাচার দিয়ে শুরু করলাম।
রাগ ভূপালি বাজানোর মিথ্যে প্রচেষ্টা।
ক্ষমাপ্রার্থনাসহ।
যন্ত্র – মোহন বীণা

বিস্তারিত»

কেবিন নাম্বার ৩১৮

হাসপাতালের দরজা পার হয়ে ভিতরে ঢোকার পর থেকে আনাম নিজের হার্টবীট অনেক জোরে শুনতে পাচ্ছিলো। দেখলো বাবা শুয়ে আছেন শান্তভাবে। আনামের মনে হল, শব্দে ভরা পৃথিবীটা হঠাৎ নিরব হয়ে গেছে। শব্দটা আচমকা থেমে গিয়ে অদ্ভুত অনুভুতি সৃষ্টি করল আনামের সারা শরীর মনে। মনের ভিতর নি:শব্দ আবেগ সাড়া দিল, ‘ আব্বা! ‘

বাবা কি সেই কথা শুনলেন! চোখ খুললেন। বাচ্চাদেরকে নিয়ে রুমু আনামের আগেই কেবিনে ঢুকেছিল।

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তি

ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,

বিস্তারিত»

চুল সমাচার

ছোটবেলা থেকেই চুল আর চুল কাটানো আমার কাছে অনেক ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। পাড়ার সেলুনে চেয়ারের উপর টুল পেতে বসার সময়টা থেকেই নাপিতের অভিযোগ আমি নাকি অনেক নড়াচড়া করি,আমার চুল নাকি অনেক শক্ত ইত্যাদি ইত্যাদি। সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত বাবার সুবাদে প্রতিমাসে অন্তত একবার নিয়ম করে চুল কাটাতে হতো আমাদের দুই ভাইকে,তা আবার যেমন তেমন চুল কাটা নয়,একেবারে সেন্টিমিটার স্কেলের চুল কাটা। প্রত্যেকবার চুল কাটানোর পর আমাকে সজারুর মতো লাগতো,মনে মনে কষ্ট পেলেও ভয়ে কিছু বলতে পারতাম না।

বিস্তারিত»

ফেসবুক কি এখন আমাদের নিউজরুম ?

নিউজরুম‘ ‘নামের এক টিভি সিরিজ ফলো করতাম, সিরিজটা কিছুদিন আগে শেষ হয়ে গেছে । মুলত একটি নিউজ স্টেশনের নিউজম্যানদের পার্সোনাল এবং প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে চমৎকার এক সিরিজ। এর শেষ সিজনে ‘বোস্টন বম্বিং‘ নিয়ে একটা চমৎকার এপিসোড ছিল, এই এপিসোডে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর কারনে ‘ক্রাউড সোর্সিং‘ সৃষ্ট যে সমস্যাটা এখন তৈরি হচ্ছে সেটা চমৎকার ভাবে তুলে আনা হয়েছে,

বিস্তারিত»

ফিরতি পথে

” এতো রাতে ফোন করলি কেন? তোর হাজব্যান্ড কোথায়? ” তারিকের আওয়াজে বিরক্তির ঝাঁঝ।

” আনহ্যাপি মহিলারাই এত রাতে এইভাবে ফোন করে ”

মিলার মুখ গাল কান থেকে গরম ভাপ উঠতে লাগলো, কঠিন গলায় বললো,

” রাত সাড়ে দশটা, তুই তখন বললি বলেই ফোন করলাম। যাকে তাকে রাত্রে ফোন করি না আমি। রিসিভ ও করি না। ”

তারিকের মেজাজ একই রকম খারাপ ”

বিস্তারিত»

মহান বিজয়ের দিনে আমার মিশ্র অনুভুতি; প্রসঙ্গঃ ইসিএফ-এর প্রথম এক্সজিভিএল

ডিস্ক্লেইমারঃ আজ ঘন্টা দুয়েক আগে এই লেখাটা আমি ইসিএফ (এক্স-ক্যাডেটস ফোরাম)-এর ফেসবুক পেইজে দিয়েছিলাম। অনলাইনে আমার লেখালেখি কেবল সিসিবিতেই। এই প্রথম এমনটা হলো যে মনে কিছু মিশ্র অনুভুতি হয়েছে কিন্তু সিসিবিতে সেটা প্রকাশ করিনি। তাই লেখাটাকে প্রাসঙ্গিক ভাবে কিছুটা এডিট করে এখানে আবার পোস্ট দিলাম। তবে যেহেতু আজকেই ইসিএফ আয়োজিত প্রথম এক্সজিভিএল (এক্স গার্লস ক্যাডেটস ভলিবল লীগ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাই সঙ্গত কারনেই আমার অনুভুতি আমি ইসিএফ-এই প্রথম শেয়ার করেছিলাম।

বিস্তারিত»

উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি – ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারেরই কুফল

অতি ক্ষুদ্র পরিসরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেহারাটি সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আজ অনেকেই ভারতের দালাল বা চর, আবার অনেকে একে পাকিস্তানের দোসর বা ভূত ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করেন। যে কেউই যে কারোরই যে কোনো উন্নত চিন্তা, চেতনা, নীতি-আদর্শ বা পদ্ধতি সানন্দচিত্তে গ্রহণ করতে চায় করুক। কিন্ত তার মানে এই নয় যে, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশকে নিজের স্বকীয়তা ও আত্মসম্মানবোধ টুকুকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেই অন্য কারোরো দাসত্ব্য বা দালালী করতে হবে।

বিস্তারিত»

বিজয়ের দিনে বিজয়ীর কথাঃ বিস্মৃত এক সুপারহিরোর গল্প

………………………রাআদ রহমান এবং মাসরুফ হোসেন

শুরুর কথাঃ

“What is it that makes these boys have no fear”???

আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- ভারতীয় একটি মুভিতে এই সংলাপটি শুনে কেন জানি বিশাল একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এবং তাঁর সংগীসাথীরা যখন ফাঁসির মঞ্চে হেঁটে যাচ্ছেন-তাঁদের দৃপ্ত পদচারণা দেখে ব্রিটিশ জেলার মিস্টার ম্যাককিনলে বিড়বিড় করে নিজেকেই এ প্রশ্নটি করছিলেন ।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৮: মাই নেম ইজ খান)

পূর্বের পর্ব: প্রবাসে প্রাকৃতজন (পর্ব ০.৫)

 

আমার শহরের বেশিরভাগ ট্যাক্সি ড্রাইভারই পাকিস্তানি। কখনো কখনো ফোন করে ট্যাক্সি ডেকে আনলে ড্রাইভার এসে সালাম দিয়ে উর্দুতে কথা বলা শুরু করেন, সেলামালেকুম খাঁসাব, ক্যায়সি হেয় আব? কাঁহা যাইয়ে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলি আমি বাঙালী, তেমন একটা উর্দু জানিনা। তাঁরা তখন আকাশ থেকে পড়েন, বলেন, আমরা আর তোমরা তো প্রায় একই –

বিস্তারিত»

শেষ ট্রাক কিংবা একটা উপন্যাসের বই

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ড্রাফটিং হচ্ছে। এবার সরাসরি ক্যাডেট কলেজ থেকে ক্যাডেটদের নেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুব দ্রুত ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে আবার রেডি-ও হচ্ছি। আমরা কয়েকজন আবার মাত্র জার্মানী থেকে একটা মহড়া দেখে আসলাম তাই আর নতুন করে কাপড় পাল্টাতে হচ্ছে না। হাউজের সামনে নিচে সবাই ফল-ইন আকারে দাড়িয়ে যাচ্ছে — কোন এক কারণে সবাই হাউজের দিকে হাত নাড়াচ্ছে যেন এইমাত্র তারা একটা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে আসছে!

বিস্তারিত»