হ্যাটস অফ টু এমেক সিস্টারস – সাথে কিছু প্রস্তাব

কত কিছু নিয়েই না ব্লগ লিখার তাগিদ থাকে।
কখনো নিজের দিক থেকে আবার কখনো অন্যদের কাছ থেকেও।
অথচ এক এক সময় এমন এক একটা বিষয়ের মুখোমুখি হই যে সব তাগিদ পিছনে ফেলে সেটা নিয়েই বসে যেতে হয়।

এই রকমের একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম আজ আবার।
বলছিলাম এমেকের বোনদের আয়োজনে আজ অনুষ্ঠিত ও আমার অংশ নেয়া “জরায়ু মুখ ক্যান্সার” সম্পর্কিত এওয়ারনেস জাগানো প্রোগ্রামটির কথা।

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ এডিবল এরেঞ্জমেন্ট

দেশে মা খালাদের দেখেছি কেউ অসুস্থ হলে আতপ চালের ভাত, কচি মুর্গির ঝোল, আর সুপ রাঁধতে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পরেন। সাথে কাঁচা পেঁপে সহযোগে শিঙ্গি মাছের সুরুয়া অথবা জাম আলু আর মাগুর মাছের জড়াজড়ি কোন প্রেপ থাকে। অসুস্থতার কারণ যা’ই হোকনা কেনো ঝোলে ভাতে মাখামাখি আয়োজনে রোগীর প্রতি উপচানো ভালবাসা দেখাতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। আর কেউ মারা গেলে তো বাঙ্গালী বাড়িতে উনুনই জ্বলেনা পাঁচদিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি থেকে প্রতিবেলা খাবার থেকে শুরু করে থারমোফ্লাস্কে চা অবধি পৌঁছে যায় সেই বাড়িতে।

বিস্তারিত»

এ কেমন জীবন

জীবনে সুখ থাকে, সুখের সম্পর্ক থাকে,

থাকে ভালোবাসার মানুষ;

ছোট্ট একটা শান্তির নীড় থাকে,

সেই নীড়ে থাকে কমলতার পরশ ।

বিস্তারিত»

ভাল ধারাভাষ্যকার হবার কিছু দিকনির্দেশনা!

কয়েক বছর আগেও ধারাভাষ্যকারদের গুরুত্বের ব্যাপারে অনেককেই হয়ত অনেক কিছু বুঝিয়ে বলতে হত। তবে, বর্তমানে ধারাভাষ্যকারদের তারকা খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা এটাই প্রমাণ করে যে এখনকার দর্শকেরা এঁদের অবদানের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। সত্যি কথা বলতে কি- যে কোন খেলাকে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য করতে খেলোয়াড়, খেলার মান, মাঠের দর্শক, সম্প্রচারের পাশাপাশি দক্ষ ধারাভাষ্যকারের গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিই! বাংলাদেশে এখনো তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও পৃথিবীর অনেক দেশেই ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার বেশ লোভনীয় পেশা!

বিস্তারিত»

মা

মা কে নিয়ে দিবস কিসের
মা তো প্রতিদিনের
দিবস পালন করে কি আর
কমবে বোঝা ঋণের?

মা আমার পাশে থাকুক
এই তো আমি চাই
মায়ের পায়ের নিচে যেন
হয়গো আমার ঠাই ।

বিস্তারিত»

চলে যায়…

চলে যায়, উড়ে যায়..
শাবকেরা বড় হলে উড়ে যায়,
তাদের শাবকেরাও উড়ে যায়,
পক্ষীমাতার বুক খালি করে উড়ে যায়…
নীড় খালি পড়ে থাকে, পক্ষীমাতার চোখে ভাসে
দু’ফোঁটা নীর, আর বুকে বাজে শুন্যতার হাহাকার!

যে বুকের উষ্ণতা দিয়ে সে তাদের ঢেকে রাখে,
পরম আদরে ঠোঁটে তাদের আধার ধরে রাখে,
সেই বুক খালি হয়ে আসে, একদিন নিমেষে,
যখন তারা চলে যায়,

বিস্তারিত»

চলমান সময়টাকে জানতে হলে ……..

আমার লেখার কিছু নেই। যশমান লিখিয়ে+বলিয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের চলমান সময়টাকে তৈরী করছেন, তা’ রেকর্ড করে রাখার জন্য প্রথম আলো থেকে একটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করে নিলাম আমার ব্লগে………

সময়ের চিহ্ন

বিস্তারিত»

আমি বেয়ে চলেছি (অনুবাদ)

আমি বেয়ে চলেছি, আমি বেয়ে চলেছি,
সাগর পাড়ি দিয়ে আবার বাড়ী পানে
আমি বেয়ে চলেছি উত্তাল ঢেউ ধেয়ে,
তোমার কাছাকাছি যেতে, মুক্ত হতে!

আমি উড়ে চলেছি, আমি উড়ে চলেছি,
পাখির মত আকাশ চিড়ে উড়ে চলেছি,
উত্তুঙ্গ মেঘমালা ভেদ করে উড়ে চলেছি,
তোমার সাথে সাথে থাকতে, মুক্ত হতে!

শুনতে কি পাও, তুমি শুনতে কি পাও?
রাতের আঁধারে গভীর তিমিরে,

বিস্তারিত»

একটি খাকির আত্মকাহিনী

ক্যাডেট লাইফের খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে লিখলাম । জানি না কেমন হয়েছে। তবে এত বড় লেখার প্রচেষ্টা এটাই প্রথম। আশা করি ভুল ত্রুটী গুলো শুধ্রে দিবেন।


আমি খাকী।খাকী বলতে শুধু খাকী রং বুঝবেন না।খাকী শার্ট ও প্যান্ট। লোকে আমাকে আদর করে ছোট্ট নাম খাকী বলে ডাকে। লোক বললে ভুল হবে।যাদের সাথে আমার আনাগোনা তারা অন্য এক জাতি।ক্যাডেট জাতি।আমার জন্ম কোন হাইফাই টেইলার শপে নয়।ছোট্ট একটা ঘরে অনেক সহোদর ভাইয়ের সাথে অনেকটা তাড়াহুড়া মুডে আমাকে বানাতে দেখেছি।

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ ক্রোধ অথবা অভিমানের সুর

বাড়ির মোড়ে একাকী দাঁড়ানো ম্যাগনোলিয়া ফুলের সাথে তার অভিমান হয়েছিল বড়। ছড়ানো ছিটানো খয়েরী পাইন কোনে পা মাড়িয়ে চলে এসেছে একাকী। সুগারবেরীর বাকলে চিবোনো সাদা চুইং গামের শব অথবা সিকামোর গাছের ডাল জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনে পুড়েছে আক্রোশে।

লাল বুকের কাঠঠোকরা কাঁচের ভারী জানালায় ঠুকরে গেছে নিয়ম করে, চারদিকে তাকিয়ে বাদামী থ্রেশার চকিতে ডুব দিয়েছে নালার জলে। ক্লান্ত দিনের শেষে রাত নেমে এলে শোবার ঘরের একলা আকাশ আর নিভু নিভু তারার সাথেও অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়েছে কিশোরী বালিকা।

বিস্তারিত»

ধানসিঁড়ি সমাচার

মায়াভরা ধানসিঁড়ি বেয়ে

জীবনানন্দ চলে গেছে বহুদূর

মায়াবতী ললনারাও

চলে গেছে সাথে।

 

আজ তার বালুময় বুকে

কোন প্রেম নেই,

এ নদীর উদোম বুকে

কি খোঁজে মাছরাঙা আজ?

 

এক আকাশ দূরে জীবনানন্দ

তার ধানসিঁড়ি বুকে নিয়ে

বেঁচে আছে বেশ,

তার অনেক নীচের দেশে

ধানসিঁড়ি মরে গেছে কবে

শঙ্খচিল,

বিস্তারিত»

নৈঃশব্দের কথকতা

দুটি ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝ দিয়ে
যখন ভালবাসার কোন নদী প্রবাহিত হয়,
দেবতারাও তখন কান পেতে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের সকল কথা।

প্রেমিক যুগল যখন হাতে হাত রেখে
ভালবাসার নদীতীরে এক লয়ে পথ চলে,
নদীর কুলুধ্বনি তখন থেমে যায়, কারণ
নদীও তখন শোনে নৈঃশব্দের কথা বলা।

অন্ধকার অরণ্যেও যদি প্রেমাকুল দুটি হৃদয়
একান্তে বসে চুপিসারে বলে কিছু হৃদয়ের কথা,

বিস্তারিত»

কোথায় আলো, কোথায় আঁধার

পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুরটুকু ভালো লাগে।
সোনালী সূর্যটা রক্তিমাভা ধারণ করার আগেই,
দখিনের থাই এলুমিনিয়াম জানালার পাশে দাঁড়াই,
দৃষ্টি মিলিয়ে দেই সবুজ বৃক্ষাদির শাখা প্রশাখায়।
নিবিষ্ট মনে দেখি ক্লান্ত পাখিদের ঘরে ফিরে আসা,
সবুজ টিয়াদের ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সবুজ গাছে বসা।

গোধূলির শেষ আলোটুকু দেখতে বড় ভালো লাগে,
দিনান্তের শেষ আয়োজনে প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয়।
ক্লান্ত মানুষের ন্যায় পাখিরাও নিজ ঘরে ফিরে আসে,

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ পোড়া কপাল অথবা পোড়া বেগুণের গল্প

একঃ

ডগউড, ক্যামেলিয়া, আর নানান বর্ণের আজ্যালিয়াতে কনে বউটি সেজে আছে আমাদের শহর। শনিবারের ঘুম ঘুম সকাল। ফ্লাফি আর তারা জাগার আগেই বাইরে বেড়িয়ে পরি হাঁটবো বলে। দু’চারজন পাড়া প্রতিবেশী জেগে উঠেছেন সবে। চাইনিজ সুন্দরী লিয়ানা তার ধবধবে সাদা মল্টিস নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন দেখি। ওর বোকা বোকা চেহারার ছেলেবন্ধুটি বোধকরি ঘুমোচ্ছে এখনো, তাই লিয়ানা পিঙ্কির লিশ হাতে একাই হাঁটছেন কানে হেডফোন লাগিয়ে। প্রায় বিকেলেই দেখি এই যুগল কথা বলতে বলতে জোর পায়ে হাঁটেন আমাদের এই ওয়াকিং ট্রেইলে।

বিস্তারিত»

কয়েকটি অণু কবিতা

~ মোম (এক) ~
অতোটা শখের সুদৃশ্য মোম
কি করে কতোটা পোড়াবে তারে
অপেক্ষা অনল কিছুটা হলেও তা জানে ।
১৯৮৯

~ মোম (দুই) ~
মোম হয়ে জন্মেছো যখন, পুড়ে তো যেতে হবেই ।
কেনো মিছেমিছি তবে রোদ-বৃষ্টি, সকাল-সন্ধ্যা
আর সময় অসময়ের দোহাই !
১৯৮৯

~ হোম (এক) ~
মোমশিখা জ্বালায়ে আমি
চেয়ে দেখি স্থির মন করি ।

বিস্তারিত»