আমার লেখার কিছু নেই। যশমান লিখিয়ে+বলিয়েরা কিভাবে বাংলাদেশের চলমান সময়টাকে তৈরী করছেন, তা’ রেকর্ড করে রাখার জন্য প্রথম আলো থেকে একটা সংবাদের লিঙ্ক যোগ করে নিলাম আমার ব্লগে………
বিস্তারিত»আমি বেয়ে চলেছি (অনুবাদ)
আমি বেয়ে চলেছি, আমি বেয়ে চলেছি,
সাগর পাড়ি দিয়ে আবার বাড়ী পানে
আমি বেয়ে চলেছি উত্তাল ঢেউ ধেয়ে,
তোমার কাছাকাছি যেতে, মুক্ত হতে!
আমি উড়ে চলেছি, আমি উড়ে চলেছি,
পাখির মত আকাশ চিড়ে উড়ে চলেছি,
উত্তুঙ্গ মেঘমালা ভেদ করে উড়ে চলেছি,
তোমার সাথে সাথে থাকতে, মুক্ত হতে!
শুনতে কি পাও, তুমি শুনতে কি পাও?
রাতের আঁধারে গভীর তিমিরে,
একটি খাকির আত্মকাহিনী
ক্যাডেট লাইফের খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে লিখলাম । জানি না কেমন হয়েছে। তবে এত বড় লেখার প্রচেষ্টা এটাই প্রথম। আশা করি ভুল ত্রুটী গুলো শুধ্রে দিবেন।
১
আমি খাকী।খাকী বলতে শুধু খাকী রং বুঝবেন না।খাকী শার্ট ও প্যান্ট। লোকে আমাকে আদর করে ছোট্ট নাম খাকী বলে ডাকে। লোক বললে ভুল হবে।যাদের সাথে আমার আনাগোনা তারা অন্য এক জাতি।ক্যাডেট জাতি।আমার জন্ম কোন হাইফাই টেইলার শপে নয়।ছোট্ট একটা ঘরে অনেক সহোদর ভাইয়ের সাথে অনেকটা তাড়াহুড়া মুডে আমাকে বানাতে দেখেছি।
অডিও ব্লগঃ ক্রোধ অথবা অভিমানের সুর
বাড়ির মোড়ে একাকী দাঁড়ানো ম্যাগনোলিয়া ফুলের সাথে তার অভিমান হয়েছিল বড়। ছড়ানো ছিটানো খয়েরী পাইন কোনে পা মাড়িয়ে চলে এসেছে একাকী। সুগারবেরীর বাকলে চিবোনো সাদা চুইং গামের শব অথবা সিকামোর গাছের ডাল জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনে পুড়েছে আক্রোশে।
লাল বুকের কাঠঠোকরা কাঁচের ভারী জানালায় ঠুকরে গেছে নিয়ম করে, চারদিকে তাকিয়ে বাদামী থ্রেশার চকিতে ডুব দিয়েছে নালার জলে। ক্লান্ত দিনের শেষে রাত নেমে এলে শোবার ঘরের একলা আকাশ আর নিভু নিভু তারার সাথেও অভিমানে ঠোঁট ফুলিয়েছে কিশোরী বালিকা।
বিস্তারিত»ধানসিঁড়ি সমাচার
মায়াভরা ধানসিঁড়ি বেয়ে
জীবনানন্দ চলে গেছে বহুদূর
মায়াবতী ললনারাও
চলে গেছে সাথে।
আজ তার বালুময় বুকে
কোন প্রেম নেই,
এ নদীর উদোম বুকে
কি খোঁজে মাছরাঙা আজ?
এক আকাশ দূরে জীবনানন্দ
তার ধানসিঁড়ি বুকে নিয়ে
বেঁচে আছে বেশ,
তার অনেক নীচের দেশে
ধানসিঁড়ি মরে গেছে কবে
শঙ্খচিল,
বিস্তারিত»নৈঃশব্দের কথকতা
দুটি ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝ দিয়ে
যখন ভালবাসার কোন নদী প্রবাহিত হয়,
দেবতারাও তখন কান পেতে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের সকল কথা।
প্রেমিক যুগল যখন হাতে হাত রেখে
ভালবাসার নদীতীরে এক লয়ে পথ চলে,
নদীর কুলুধ্বনি তখন থেমে যায়, কারণ
নদীও তখন শোনে নৈঃশব্দের কথা বলা।
অন্ধকার অরণ্যেও যদি প্রেমাকুল দুটি হৃদয়
একান্তে বসে চুপিসারে বলে কিছু হৃদয়ের কথা,
কোথায় আলো, কোথায় আঁধার
পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুরটুকু ভালো লাগে।
সোনালী সূর্যটা রক্তিমাভা ধারণ করার আগেই,
দখিনের থাই এলুমিনিয়াম জানালার পাশে দাঁড়াই,
দৃষ্টি মিলিয়ে দেই সবুজ বৃক্ষাদির শাখা প্রশাখায়।
নিবিষ্ট মনে দেখি ক্লান্ত পাখিদের ঘরে ফিরে আসা,
সবুজ টিয়াদের ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সবুজ গাছে বসা।
গোধূলির শেষ আলোটুকু দেখতে বড় ভালো লাগে,
দিনান্তের শেষ আয়োজনে প্রকৃতির অপূর্ব সমন্বয়।
ক্লান্ত মানুষের ন্যায় পাখিরাও নিজ ঘরে ফিরে আসে,
দিনলিপিঃ পোড়া কপাল অথবা পোড়া বেগুণের গল্প
একঃ
ডগউড, ক্যামেলিয়া, আর নানান বর্ণের আজ্যালিয়াতে কনে বউটি সেজে আছে আমাদের শহর। শনিবারের ঘুম ঘুম সকাল। ফ্লাফি আর তারা জাগার আগেই বাইরে বেড়িয়ে পরি হাঁটবো বলে। দু’চারজন পাড়া প্রতিবেশী জেগে উঠেছেন সবে। চাইনিজ সুন্দরী লিয়ানা তার ধবধবে সাদা মল্টিস নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন দেখি। ওর বোকা বোকা চেহারার ছেলেবন্ধুটি বোধকরি ঘুমোচ্ছে এখনো, তাই লিয়ানা পিঙ্কির লিশ হাতে একাই হাঁটছেন কানে হেডফোন লাগিয়ে। প্রায় বিকেলেই দেখি এই যুগল কথা বলতে বলতে জোর পায়ে হাঁটেন আমাদের এই ওয়াকিং ট্রেইলে।
বিস্তারিত»কয়েকটি অণু কবিতা
~ মোম (এক) ~
অতোটা শখের সুদৃশ্য মোম
কি করে কতোটা পোড়াবে তারে
অপেক্ষা অনল কিছুটা হলেও তা জানে ।
১৯৮৯
~ মোম (দুই) ~
মোম হয়ে জন্মেছো যখন, পুড়ে তো যেতে হবেই ।
কেনো মিছেমিছি তবে রোদ-বৃষ্টি, সকাল-সন্ধ্যা
আর সময় অসময়ের দোহাই !
১৯৮৯
~ হোম (এক) ~
মোমশিখা জ্বালায়ে আমি
চেয়ে দেখি স্থির মন করি ।
এইবার দুই এক্সক্যাডেটের “প্রয়াস” নিয়ে পুর্নাঙ্গ ব্লগ……
১৪ মার্চ ইভেন্ট নটিফিকেশন পেলাম, প্রয়াস নামে একটা যৌথ আর্ট এগজিবিশন হবে দুই এক্সক্যাডেটের।
একজনকে চিনি, সাবিহা জিতু – কিন্তু দীর্ঘ্যদিন যোগাযোগ নাই। অন্যজন ম্যাক্স মাজেদ চিনি তো না ই, চেনার কোন সুযোগও ছিল না।
তারপরেও এই নটিফিকেশনটা আমাকে ছুঁয়ে গেল।
দারুন ছুঁয়ে গেল।
মুহুর্তের মধ্যে আমি আমার ক্যাডেট কলেজ জীবনে ফিরে গেলাম। চোখে ভেসে উঠলো কত কত অসাধারন গুনি আঁকিয়ের মুখ।
অন্বিত স্মৃতি

স্মৃতি আসলে কোন এক সুখ স্বপ্ন
যা বহু কাল পরেও মনে পড়ে যায়।
মনে পড়ে সেই ত্রিমহিনীর গাবতলা,
কলেজ রোডের পথ প্রান্তরের নিমতলা।
আমি যৌবনের ফেলে আসা দিনের কথা ভেবে
আনমনা হয়ে যাই, খুঁজে ফিরি সেই পথ।
যে তুমি আমার কৈশোরের হেঁটে যাওয়া
পথ ধরে প্রতিদিন জেগে ওঠা কোন রথ।
বিস্তারিত»সালতামামি ১৪২১
সালতামামি ১৪২১
ঋতুভেদে বাংলাদেশের রুপবৈচিত্র্য কেমন ? প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে পদ্য বা গদ্য নিয়ে সালতামামি ১৪২১ লেখলে কেমন হয় ? ভেবেছিলাম ১৪২১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। ওপর আলার রহমতে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় , শ্রাবণ ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ,ফাল্গুন , চৈত্র পেরিয়ে অবশেষে পৌছালাম আরেক বৈশাখে । বৈশাখ ১৪২২। বছরের প্রথম দিনেই সালতামামি প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আলসেমিতে কাজটা হয়ে ওঠেনি। এদিকে কালবৈশাখী অজুহাতে লোডশেডিং আরও ঝামেলা তৈরী করছে।
বিস্তারিত»গণতন্ত্রের নতুন মডেল ‘বাংলাদেশ’!
প্রায় দেড়যুগ ধরে দেশে+বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া+পড়ানো+পড়ার মধ্যে আছি। গণতন্ত্রের প্রায় সব সংজ্ঞা, তাদের বৈশিষ্ট্য ও বাস্তব চেহারা সম্পর্কে জেনেছি, বেশ কয়েকটা দেখেছিও।
আমি পর্যাপ্ত তথ্যসহ বলতে পারি যে, বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছে, তা’ সারা বিশ্বে প্রচলিত গণতন্ত্রের থেকে আলাদা। আমরা মানব সভ্যতাকে একটা সম্পূর্ণ নতুন মডেলের গণতন্ত্র উপহার দিতে যাচ্ছি। এজন্য একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্বিত।
আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার নের্তৃত্বাধীন সরকার,
বিস্তারিত»কারো কারো অভিমান
কারো কারো অভিমান
বর্ষার কালো মেঘ হয়ে শুধু বারি ঝরাতেই থাকে।
কারো কারো অভিমান
চাপাকান্নার আওয়াজ হয়ে শুধু ফিরে ফিরে আসে।
কারো কারো অভিমান
বুকের মাঝখানটাতে ঝনঝন করে বাজতেই থাকে,
কারো কারো অভিমান
মৃদু বাতাসের মর্মর ধ্বনি থেকে তীব্র তুফান ডাকে।
কারো কারো অভিমান
তপ্ত প্রশ্বাসের মত শুধু আবৃত মুখে উত্তাপ ছড়ায়,
কারো কারো অভিমান
ক্ষণিক বৃষ্টির অবসানে বর্ণিল রঙধনুর দেখা পায়।
আমি এক মানুষ

আমি এক মানুষ
চরম আত্নকেন্দ্রিক লোভীদের মাঝে
নির্লোভ থাকার চেষ্টায় রত,
অথচ প্রকৃতিতে ফলজ বৃক্ষ প্রসব বেদনার পর ,
শ্রাবনের প্রতিক্ষণেই সিক্ত;
আলো বাতাশ আর বৃষ্টির ত্রিমাত্রিক প্রেমে হাবুডুবু,পাতাদের হাস্য উজ্জল নৃত্য।
আমিতো মানুষ, আমার সমাজ আছে, আমি বেঁচে আছি
তাই পাওয়ার আশা না করে কল্পনাকে ভালবেসেছি।
যৌবনের উষা লগ্ন থেকে জীবনের শেষ র্পযন্ত
প্রতেকেই ভালবাসার নৌকাই পাল তুলে একাধিকবার;
তবু ভরেনা মন ভরেনা হৃদয়ের প্রান্ত।