একঃ
ডগউড, ক্যামেলিয়া, আর নানান বর্ণের আজ্যালিয়াতে কনে বউটি সেজে আছে আমাদের শহর। শনিবারের ঘুম ঘুম সকাল। ফ্লাফি আর তারা জাগার আগেই বাইরে বেড়িয়ে পরি হাঁটবো বলে। দু’চারজন পাড়া প্রতিবেশী জেগে উঠেছেন সবে। চাইনিজ সুন্দরী লিয়ানা তার ধবধবে সাদা মল্টিস নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন দেখি। ওর বোকা বোকা চেহারার ছেলেবন্ধুটি বোধকরি ঘুমোচ্ছে এখনো, তাই লিয়ানা পিঙ্কির লিশ হাতে একাই হাঁটছেন কানে হেডফোন লাগিয়ে। প্রায় বিকেলেই দেখি এই যুগল কথা বলতে বলতে জোর পায়ে হাঁটেন আমাদের এই ওয়াকিং ট্রেইলে। বুড়ো মিঃ জনসনও চুরুট হাতে ধীর পায়ে পায়চারি করছেন দেখি। কপালে দশ ভাঁজ ফেলে বাড়ীর সামনে ঘুরে ঘুরে আসছেন তিনি। চারপাশের রংবাহারী রূপ তাকে মুগ্ধ করতে পারেনি বলাই বাহুল্য।
কত যে পাখি আছে আমাদের পেছনের বনে! কত বিচিত্র যে তাদের ডাক আর কত যে রূপ তাদের। চিপচিপ, শুশু, করর রবে ডেকে যায় এরা হামেশাই। অনেক বাড়ির আঙ্গিনাতে এখানে পাখিদের জন্য খাবার রাখা থাকে। পাখিরাও জানে কোথায় গেলে খাবার মেলে বিনা পরিশ্রমে। দল বেঁধে তারা খেতে আসে বার্ড ফিডার থেকে, কিচিরমিচির করতে করতে কেউ কেউ একটা ডুবও দিয়ে নেয় পাশে রাখা বার্ড বাথে। সপ্তাহ দুই আগে একদিন ময়মনসিংহে কল করলে আমি কোকিলের ডাক শুনতে পেয়েছিলাম স্পষ্ট। মাকে বললাম, চুপ, চুপ! কোন কথা বলো না, মামনি! ঐ শোন, কোকিল ডাকছে ধারেকাছে! বহুদিন পর ইথারে ভেসে আসা কুউউ শুনে শিহরণ লেগেছিল গায়ে!
আমার বন্ধু প্রিয়াঙ্কার কল এলো ওয়াকিং ট্রেইল ধরে অনেক দূর এগিয়ে যাবার পর। দুই বন্ধুর কল কাকলিতে আশপাশ না জাগলেও আমার হাঁটার গতি যে বেড়ে গিয়েছিল সেটা নিশ্চিত। প্রিয়াঙ্কা সরকার বিশিষ্ট পন্ডিত মানুষ, নানান ধর্মের কেচ্ছা কাহিনী বলেন সুযোগ পেলেই। প্রিয়াঙ্কা শিক্ষক হলে ছাত্ররা ক্লাস পালাতো না আমি নিশ্চিত। ওর গল্পে আমার শনিবারের প্রভাত ঝলমলিয়ে উঠলো বলাই বাহুল্য। সবেমাত্র বৃন্দাবনে রাধা কিষাণের প্রেম লীলা শুরু করেছেন আমার প্রিয়ভাষিণী বন্ধু। গোপিনীর দল কোমর দুলিয়ে কিষাণের মন ভুলাতে কত রকম ফিকিরই না করছেন! লর্ড কৃষ্ণের বাঁশীর সুরে একটু বেশীই হয়তো আচ্ছন্ন হয়ে পরেছিলাম তাই শেষ রক্ষা আর হলোনা, হঠাৎ পপাত ধরণীতল হয়ে কোঁকাতে থাকি সশব্দে! আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল বেশ, ছোটখাটো একটা জলের ধারা লাফ দিয়ে পেরুতেই ডাম্বেল হাতে বেমক্কা আছাড় খেলাম একটা। প্রিয়াঙ্কা ওপারে ‘আর ইউ ওকে’ ‘ক্যান ইউ হিয়ার মি’ বলে গলা ফাটাচ্ছেন শুনতে পাচ্ছি আর আমি গড়িয়ে পরা পারপেল রঙা ডাম্বেলের পাশে ব্যাথায় কাতরাচ্ছি সজল চোখে।
খুঁড়োতে খুঁড়োতে কোন মতে বাড়ি ফিরে দেখি ফ্লাফি লিভিং রুমে গিটারের ওপর বসে একা একাই টুইট টুইট করছে আর আমার কন্যারত্ন তখনো উপরতলায় ঘুমোচ্ছেন নাক ডেকে। হাঁটুর কাছে ছিঁড়ে যাওয়া জিন্স দেখিয়ে তারার রুমে বসে ফোঁপাতে থাকি আমি। নিউস্পোরিন লাগাতে গিয়ে বজ্জাত মেয়ে কুলকুল করে হেসে বলে, স্যাটারডে মরনিংস আর মেন্ট ফর স্নোরিং, মাম্মা! যারা এর বাইরে চলতে চায় তাদের কপালে ব্যান্ডএইড লাগাতে হয়, জানো না তুমি?
দুইঃ
সোমার রেফ্রিজারেটরে খাবার থাকেনা প্রায়শই। সপ্তাহে কতবার যে সে বাইরে খায় তার কোন হিসেব নিকেশ নেই। সকালের সাদামাটা স্ক্রাম্বেল্ড এগ আর বেকন থেকে শুরু করে রাতের সুপ অথবা হ্যামবার্গার সবই অপরের হেঁশেলে চলে তার। এই নিয়ে আমাদের দুই বন্ধুতে নিত্যদিনের খুনসুটি চলে। আমি তাকে কুসুমবিহীন ডিমে ফিয়েস্তা অমলেট অথবা পালং শাকে কিনওয়া রাঁধতে শেখাতে চাইলে ও মাসেলস লিঙ্গুইনি খাবার গল্প বলে উইকেন্ডে। আমি দুপুরের খাবার শেষে গ্রিন টি এর সাথে সোনালী মধুর গল্প করলে ও আমাকে ডিনারে রেড ওয়াইনের উপকারীতা নিয়ে রিসার্চড আর্টিকেল পাঠায় ই-মেইলে! গেল সপ্তাহে আমার বাড়িতে ভেজি মালাইকারি আর তিলের তেল ছিটানো সিলভার ফিশ খাওয়ানোর প্রতিশোধ নিতে সোমা রেয়ার স্টেক খাবার নেমন্তন্ন করেছিল আমাদের সবাইকে।
কাল সন্ধ্যায় হার রয়াল হাইনেস সোমা রহমান কল করে জানতে চাইলো আমরা কি খেলাম ডিনারে। নিরামিষভোজী না হলেও আমাদের রাতের আহার শাক সবজি আর ফলমূল দিয়েই চলে মূলত। আমি ট্রেতে গারলিক সল্ট আর ইটালিয়ান সিজনিং দিয়ে থাই এগপ্ল্যান্ট মাখিয়ে রেখেছিলাম অলিভ অয়েলে। সন্ধ্যেবেলা ওভেনে সেই ট্রে চালান করে দিয়ে খানিক সালাদ বানাতে হাত লাগাই। জুলিয়ান কাট শশার সাথে টমেটো আর স্ট্রবেরি কিউব করে কেটে নিয়েছিলাম ধারালো ছুরিতে। দেশী স্বাদ আনতে এক চিমটি চাট মাসালার সাথে কুচোনো সিলানট্রো আর এভোকাডো চটকে দিয়েছি। মনে মনে ভাবি, ঘরে ফেটা চিজ বাড়ন্ত নইলে ফেটা চিজও ছড়িয়ে দেয়া যেতো সালাদে। তারাকে মোৎসারেলা দিয়ে একখানা স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিলাম, সাথে মারগারিটার গ্লাসে বরফ কুচি আর কয়েক টুকরো হানি ট্যাঞ্জারিনের ওপর ঢেলে দিয়েছি গোলাপি বাতাবি লেবুর জুস।
সোমা তখন সবেমাত্র শেনানিগ্যানস থেকে বন্ধুদের সাথে ব্রয়েল্ড স্যামন আর বুনো মাশরুম খেয়ে বাড়ি ফিরেছে। ফুরফুরে মেজাজে ফেসবুকে তাদের হট্টগোলের ছবি আপলোড করছিল টিভি দেখার ছলে। আমার ডিনারের মেন্যু তাকে সবিশেষ মুগ্ধ করতে পারলো বলে মনে হলোনা। হাসতে হাসতে শেষ অবধি বলেই ফেলল, সাহেবী কেতায় যা’ই বলোনা কেনো মেম সাহেব, খেয়েছো তো ঐ বেগুণ পোড়া!
এখন সুস্থ্য তো, তুমি?
বেগুন পোড়াই ভাল। কি হবে এত খেয়ে?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
আমি এখন ভালো আছি, ভাইয়া! কুশল সংবাদ জানতে চাইবার জন্য অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
সবই খাই আমি, জানো। তবে বেগুণ পোড়া, কচু ঘেঁচু আর আলু, মূলো, পালং শাকে মন বেশী এই যা!
হা হা। 'খেয়েছ তো ওই বেগুন পোড়া' --
একবন্ধু পোড়া বেগুন দেখিয়ে দিচ্ছে আঙুল তুলে, আরেক বন্ধুর কারণে পপাত ধরণীতল।
তোমার বন্ধুর নাকটি সবিশেষ উঁচু বলে মনে হচ্ছে! আমার তো বেগুনপোড়া বেশ লাগে।
🙂 🙂 🙂 🙂
আমিতো প্লাম অথবা আনারস থেকে শুরু করে আলু বেগুন সবই পুড়িয়ে খেতে ভালবাসি, কবি! একদিন বিচ্ছিরি স্বাদের পাকা আমও পুড়িয়ে নিয়েছিলাম জুকিনির সাথে। আমি অলস মানুষ তাই চুলোয় আগুন না জ্বেলে বাড়িতে কাঁচা কিছু পেলে নুন আর গোল মরিচে মাখিয়ে ওভেনে চালান করে দিই!
গুণীজন বন্ধুদের নাক যে খানিক উঁচা হবে এ আর নতুন কী বলো?
--------- সুকুমার রায় (সম্পাদিত)
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
🙂 🙂 🙂 🙂
দেশে মুখিকচু বলতাম যাকে তার সাহেবী নাম ট্যারা রূট, জানো! ফারমারস মার্কেট থেকে এই ট্যারা রুট এনে রান্না করেছিলাম একদিন চিংড়ি মাছের সাথে। কফি গ্রাইন্ডারে ভাজা কিউমিন গুড়ো করে নিয়েছিলাম, সেই সাথে কুচোনো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম শেষে। সাদা ভাতের সাথে অমৃত লেগেছিল খেতে। সেই একই স্লাইমি একটা স্বাদ... আহ!
আপু, থামেন।
আমার মুখে পানি এসে গেছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
দেশে থেকে তোমার মুখে জল চলে এসেছে? আহা! আমাদের কী হয় তবে বুঝতে পারো?
আমার মায়ের সাথে কথা বলছিলাম। কল রিসিভ করে কেমন আছো বলার আগেই জানতে চাইলেন কি খেলাম আজ। বাইরে ঝলমলে রোদের মাঝে এক ঘন্টা হেঁটে/জগ করে ঘরে ফিরেছি তখন। আমাদের মোটে দুপুর একটা বাজে। আমি বললাম, কাল রাতে মেডিটেরানিয়ান গ্রিলে নাক ডুবিয়ে চিংড়ি আর জাফরানি ভাত খেয়েছিলাম, সাথে তারার প্লেট থেকে তাজিকি সসে পিটা ব্রেডও, তাই আজ খাওয়া দাওয়ার সব বিলাসিতা বন্ধ। আজ আমার ওয়াটার ফাস্টিং ডে। বললাম, আজ জল ছাড়া কিছুই খাবো না। মামনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, কি দরকার এসবের বলো? মায়ের কথার উত্তর দিতে পারিনি। কিন্তু উইকেন্ডে কারো বাড়ি বা বাইরে খাওয়াদাওয়ার কোন প্রোগ্রাম না থাকলে আমি হামেশাই করি এটা। দিন শেষে খুব ঝরঝরে লাগে নিজেকে। মা ছাড়া এই জগতে কেউ আমাকে বলেনা 'কি দরকার এসবের' অথবা ফোন রিসিভ করে কেউ জানতে চায় না কি খেলাম আজ!
"মা ছাড়া এই জগতে ... ... ... ... কেউ জানতে চায় না কি খেলাম আজ!"
আজকাল অনেককেই খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করাটা বেশ ঝুকিপুর্ন, জানো?
ধরে নেয়, তার মোটা হয়ে যাওয়া নিয়ে অথবা ডায়েট করা নিয়ে আবার খোচাটোচা দিচ্ছি না তো?
খুব কাছের কেউ না হলে তাই এই প্রসঙ্গ না পারতে তুলি না।
😛 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাইয়া, ব্লাড প্রেশার আর কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছি প্রায় ৫/৬ বছর ধরে। এখন বলতে পারেন সবজি আর লেবুর উপরে আছি।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
বড় লেখকদের দু'টি খুব বড় গুন তোমার আছে এক নম্বর হচ্ছেঃ
স্যাটারডে মরনিংস আর মেন্ট ফর স্নোরিং, মাম্মা! যারা এর বাইরে চলতে চায় তাদের কপালে ব্যান্ডএইড লাগাতে হয়, জানো না তুমি?
দুই নম্বর হচ্ছে নানান রকম রেসিপি। কাল সারাদিনে শেষ করেছি 'বাদশাহ নামদার'। সেখানেও রেসিপির কমতি নেই
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
🙂 🙂 🙂 🙂
তোমার প্রশংসা পেয়ে আমার শনিবারের প্রভাত রঙবাহারী হয়ে উঠেছে, সাইদুল ভাইয়া! রেসিপিও যে কারো ভাল লাগতে পারে সেটি তো মাথাতেই আসেনি কখনো। আমার বরাবর মনে হয়েছে বাঙালীরা বড্ড কিপটে, প্রশংসা করতে জানেন না, অথবা এটি আমাদের কালচারেই নেই। পিঠ চাপড়ানো সাবাস দেয়া এটলিস্ট সিসিবিতে চলে কম সেটি আমি জানিগো, ভাইয়া! তোমাদের আস্কারা পেয়েই না আমার আবোলতাবোল লেখা!
অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য!
:tuski: 😡
:tuski: :tuski:
বাদশাহ নামদার? ছোটদের জন্য হুমায়ূন আহমেদের লেখা নাকি এটি, ভাইয়া? কোথায় যেন শুনেছি এই নামটা মনে করতে পারছিনা।
সম্রাট হূমায়ুনকে নিয়ে লেখা বই বাদশা নামদার। সম্রাটের পাশাপাশি সমাজও এসেছে খানিকটা। একই ধরণের বই বাবর কে নিয়ে লিখেছেন পিরিমকুল কাদিরভ।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
🙂 🙂 🙂 🙂
তোমার পড়াশুনোর গল্প খুব শুনতে পাই তোমার ছাত্রদের থেকে, ভাইয়া! বাড়ি ভর্তি নাকি বই আর বই তোমার! আমার এক জুনিয়র বন্ধু অপার মুগ্ধতায় তোমার গল্প বলেছিলো একদিন, জানো। এডজুটেন্টরাও যে ছাত্রদের প্রিয়পাত্র হতে পারে সেটি জানা গেলো সেদিন। পিসিসিতে তোমার ফেয়ারওয়েলে তোমার বক্তৃতায় যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছিল সে। এতোকাল পরও শাহেদ কী যে শ্রদ্ধা আর ভালবাসার সাথে তোমার কথা বলল যদি জানতে।
বাদশাহ নামদার পড়া হয়নি আমার। দেশ থেকে এখন আর তেমন কেউ বই পাঠায় না। এই বছরের শুরুতে আমার আমার একজন গুণগ্রাহী (গুণ নাই তবুও গুণগ্রাহীর অভাব নাই 😛 ) ইউরোপ থেকে কিছু কবিতার বই পাঠিয়েছিল মেইলে, সেগুলোই যক্ষের ধনের মত আগলে আগলে রাখি। আমার মা আসছেন সামারে বেড়াতে, ভাইয়া। তার আগে তোমার লেখা বইটা সংগ্রহ করে নেবো কাউকে পাঠিয়ে।
খুবই মর্মস্পর্শি একটি মন্তব্য।
হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
এটায় প্রথম রেসপন্সের অধিকার সাইদুল ভাইর হবার কথা ছিল।
পড়ার পর ঘন্টাখানেক সময়ও দিলাম সেইজন্য।
কিন্তু কিছু আসছে না দেখে আমার কথাগুলো বলার লোভ আর সামলানো সম্ভব হলো না।
দুঃখিত!!
সিসিবিটা ভাই-বোনের আড্ডাখানায় রূপ নিচ্ছে দিন দিন।
আফসোস একটা আছেই, পারুল বোন যে একটাই.........
পারুলের সাথে আরও কিছু জবা, জুই, বেলি ইত্যাদি বোন পেলে মন্দ হতো না, তাই না? (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
জবা, কুসুম, রতন, দুলাল সবাইকে সিসিবিতে ডাকি আমি, ভাইয়া! কেউ আসতে চায়না। দুই চার জনকে পাকড়াও করে এনেছিলাম আমি। তারাও লিখতে চান না। আসলে কি জানো, জোর করে কিছু হয়না। ঐ যে গান আছে না, ইউ ক্যান টেক আ হসর্ টু দ্য ওয়াটার, বাট ইউ ক্যানট মেক ইট ড্রিনক!
"...সবাইকে সিসিবিতে ডাকি আমি, ভাইয়া! কেউ আসতে চায়না..."
এই না আসতে চাওয়ার একটা কারন আমি বুঝি। অনেকেরই ধারনা, ব্লগ মানেই একটা আতলামির জায়গা। বড়দের খাবার।
এখানে যে আমরা কত কত মজাও করি, সেটা জানলে মনে হয় আরও অনেকেই আসতো...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এটাও ঠিক ভাইয়া লেখালেখি সবাইকে দিয়ে হয় না। প্রাণের টান থাকতে হয়, আকুলিবিকুলি টাইপের উরাধুরা একটা ফিলিং থাকতে হয় মনে। ভাল লেখক যেমন দরকার আমাদের তেমনি ভাল পাঠকও কিন্তু আমরাই তৈরি করতে পারি।
চমৎকার বলেছো এই কথাগুলো।
"আকুলিবিকুলি টাইপের উরাধুরা একটা ফিলিং থাকতে হয় মনে" - অবশ্যই ঠিক কথা।
এই ব্লগের পাঠকদের মান লেখকদের চেয়ে কিছুটা উঁচুতে বলেই আমার মনে হয়। নির্বাক পাঠকদের মনোভাবটাও মাঝে মাঝে জানতে পারলে ভালো হতো।
দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে সিসিবিতে। একসময় জুনিয়র পোলাপানের কিচিরমিচিরে সিসিবিতে কান পাতা দায় ছিলো। এখন সেখানে বড় ভাইয়েদের কোলাহলে জুনিয়ররাই দিন দিন সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছে 🙁 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
প্রথমে পারভেজকে বলি, সাবিনাকে লেখা তোমার মন্তব্যে থেকে আমার মন্তব্য খুব বেশি আলাদা হতোনা। ভাইবোনের আড্ডাখানা হলেই ভালো।
আর জিহাদ, মানুষ মনে হয় দুই সময় কথা বেশি বলে যখন সে প্রথম কথা শেখে তখন ব্যপারটা জগতকে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আবার মানুষ যখন বুঝতে পারে তার সময়ের চেয়ে কথা বেশি বাকী, বড়রা শেষের দলে।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
"মানুষ মনে হয় দুই সময় কথা বেশি বলে যখন সে প্রথম কথা শেখে তখন ব্যপারটা জগতকে জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আবার মানুষ যখন বুঝতে পারে তার সময়ের চেয়ে কথা বেশি বাকী, বড়রা শেষের দলে।"
এক্সিলেন্ট পর্যবেক্ষণ, সাইদুল!
ভাইয়া, আমাদের মত মধ্যবয়স্কদের জন্য কি করণীয়। কথা বলতেই থাকব? নাকি মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকব? 😀
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
বয়েস না হয় একটু হলোই আহমদ, তাই বলে কি আমরা মানুষ নইগো? কুলুপ এঁটে বসে থাকার কোন কারণই নেই। কথা বলো, লিখো, লেকচার দাও, শেখো আর আমাদেরও শেখাও একটু একটু করে। তোমার লেখা উপভোগ করছি সিসিবিতে।
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
🙂 🙂 🙂 🙂
বড় ভাইয়াদের কলকাকলি আমি দারুণ উপভোগ করছি, ভাইয়া! বসন্ত দেখি কেবল প্রকৃতিতে নয় আমাদের সিসিবিতেও চলে এসেছে। তাঁদের কুহুতানে মুখরিত হয়ে আছে আমাদের ব্লগ। সাইদুল ভাইয়া, খায়রুল ভাইয়া, সহ পারভেজ ভাইয়াদের ব্যাচমেট ভাইয়ারা এসে দেখি সব দখল করে নিলেন। মাঝেমধ্যে তো মনে হয় আমিই বুঝিবা জুনিয়র মোস্ট লেখক এখানে আর তোমরা তো জন্মই নাওনি, জিহাদ!
সিসিবিতে কোন বড় ছোট সিনিয়ার জুনিয়ার ভেদাভেদ করা ঠিক না।
এখানে আমরা সবাই সমান সমান। কেবলই ফেলো-ব্লগার।
কি, ঠিক আছে না???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:boss: :boss: :boss: :boss:
গল্পের পরে যেনো এ আর এক ধারাবাহিক গল্প বলার আড্ডা ।
লেখা পড়ার পর মন্তব্যের স্রোতধারা ...
অনন্য ...
আর "জুলিয়ান কাট শশার সাথে টমেটো আর স্ট্রবেরি কিউব করে কেটে নিয়েছিলাম ধারালো ছুরিতে। দেশী স্বাদ আনতে এক চিমটি চাট মাসালার সাথে কুচোনো সিলানট্রো আর এভোকাডো ..." এমন করে কথারা যখন সাজে ... তখন পড়ে যাওয়া শেষ হয়ে যায় যেনো লহমায় ...
লেখা ভালো হলেও যেনো এক বিপত্তি ...
অন্য রকম দ্যুতি আছে যেনো তোমার লেখায় । 🙂
"লেখা পড়ার পর মন্তব্যের স্রোতধারা ..." - ঠিকই বলেছো লুৎফুল, এ স্রোতধারায় গা ভাসানোটা ভীষণ আনন্দের। অনেক সময় মূল লেখার চেয়ে এসব স্রোতধারা বেশী আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
🙂 🙂 🙂 🙂
আমার তো ভাইয়া হামেশাই মনে হয়, সিসিবিতে আমরা টি ব্রেকে আসি প্রতিদিন। :teacup: :teacup: অথবা ছুটির দিনের অলস বিকেলে গারডেনিং সেরে যেমন আমরা হাউসে বসে আড্ডা দিতাম ঠিক তেমনই অনুভূতি হয় আপনাদের সঙ্গ পেয়ে।
আমার জীবনের ট্রাজেডির কথা বলি, ভাইয়া! আমেরিকা আসবার আগে অবধি আমি কখনোই কোন বয়েস ক্যাডেটের দেখা পাইনি। যেন ছেলে ক্যাডেট দেখতেই এখানে আসা। জর্জিয়াতে এসেই দেখা হলো সিলেট ক্যাডেট কলেজের আমাদের একজন ইয়ারমেটের সাথে। দেখা হলেই ভাবী ভাবী বলে ডাকাডাকি করে চারপাশ সচকিত করে তোলে সে। কুড়ি বছর বয়েসে বিয়ে করে সমবয়েসী কারো মুখে ভাবী ডাক শুনবার মত বিড়ম্বনা আর কিছু নেই বলে মনে হলো। বললাম, তুমি আমার নাম ধরে ডাকতে পারো। সে আমার সামনে আসাই ছেড়ে দিল প্রায়।
আমার সামান্য লেখালেখি ধন্য হলো আপনাদের মত গুণীজনদের পদচারণে। ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
To the administrators of this august blog and the esteemed literati who write here, I am only posting in english because I cannot write in bengali. While I love bengali very much, and it is my mother tongue, it is still my second language with english being the first. I mean no disrespect, and I only visit to read the writings of my friend. Please accept my apologies in advance.
***************************************************************************************************************
"Very well, I will marry you if you promise not to make me eat eggplant."
No, no Madam Sabina, before you think that this is a proposal of sorts, I was merely quoting from Gabriel García Márquez famous novel “Love in the Time of Cholera". The last part of your short write up regarding the “ burnt eggplant” or “begoon poora" made me think of that book. As a matter of fact, it is a great love story, well written by a Nobel Laureate and made into a terrible movie.
As a matter of fact, many of your writings regarding food makes me feel like Charles Dickens’ Oliver Twist. From your food descriptions, I too like Oliver Twist, become “desperate with hunger and reckless with misery”. While your feast would be most unfit for a king (or your friend, The Queen, Her Royal Highness Soma), it would be good enough for a famished orphan, Oliver. I guess, that would include me as well.
And that tumble that you took on that gorgeous Saturday morning. Even though some might declare that that such mornings are best spent in bed snoring, you were out there, braving the wilderness of the walking trail with only just a dumbbell in hand to protect you. There was chatter of birds around you and there was your friend chattering away in your ear. And then it happened. You fell. The forest went silent as you yelped painfully. I believe the whole of Atlanta heard you that morning.
I even heard that the scrape on you knee looked like a strawberry! It was a traumatic and an emotional experience, no doubt.
Rudyard Kipling in his book, Captians Courageous, wrote, “After violent emotion most people and all boys demand food”. And now we know he was right!
Atlanta, Ga, USA
Dear Mr Pappu,
It's always a pleasure to read your comments, which more often than not appear to me to be well laid pieces of poetry. This one is a masterpiece.
Mr. Ahasan,
I truly appreciate your kind words. I also want to thank you for taking the time to read my post and deeply appreciate your endorsement. Your comments mean a lot to me as well.
Kind Regards,
Pappu
🙂 🙂 🙂 🙂
বাঙাল ছাড়াও আরো অনেকেই দেখি বেগুণ পোড়া খায়, পাপ্পু! আপনার মন্তব্য পাবার পর 'লাভ ইন দা টাইম অব কলেরা' নিয়ে পড়তেই হলো খানিক। ফ্লোরেন্টিনো আর ফারমিনার প্রেমকাহানী পড়লাম অশেষ আনন্দের সাথে। এখন তো মনে হচ্ছে, সিসিবিতে এসে আপনি দিব্যি আমাকে সেকেন্ড গ্রেডারের মত হোম ওয়ার্ক করিয়ে নিচ্ছেন!
সম্মানিত বোধ করছি আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে।
"সপ্তাহ দুই আগে একদিন ময়মনসিংহে কল করলে আমি কোকিলের ডাক শুনতে পেয়েছিলাম স্পষ্ট" - আমি যেখানে দক্ষিণমুখী হয়ে বসে ল্যাপটপে লেখালেখি করি, সেখানকার পর্দাটা সরিয়ে দিলে কিছু সবুজ গাছ গাছালির চূড়া দেখা যায়। আর প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটা কোকিলের একটানা ডাক শুনি। সৌভাগ্য আমার, কংক্রিট নগরী ঢাকার বুকে বসে এই লাক্সারী উপভোগ করতে পারছি।
সাবিনা, তোমার এই খাদ্য সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ে আমি সব সময়ই মুগ্ধ হই। খাদ্যের রান্না, পরিবেশনা আর বর্ণনা যে কতটা শৈ্ল্পিক হতে পারে, তা তোমার লেখা থেকে জানতে পারছি। বলাবাহুল্য, এসব চমৎকার বর্ণনা পড়ে আমার অবস্থাটাও অনেকটা আহমদ এর মতই হয় (তার দ্বিতীয় মন্তব্য দ্রষ্টব্য)।
বেগুন পোড়া ভর্তা আমার একটি অন্যতম প্রিয় খাবার।
🙂 🙂 🙂 🙂
প্রতিদিন ঘরে বসে কোকিলের লাইভ কনসার্ট শুনতে পেয়েছেন আপনি, ভাইয়া! কি বিলাসিতা আপনারগো! আমি খুব জেলাস হয়ে আছি আপনার লেখার আয়োজন আর তার পারিপার্শ্বিকতার বর্ণনায়!
কোকিলের গান ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে আপনি যে প্রেমের কবিতা লিখেছেন সেটি আমি হলফ করে বলে দিতে পারি, ভাইয়া! অপেক্ষায় রইলাম সদ্যোজাত সব লেখা পড়ার জন্য!
আপনার প্রশংসা পেয়ে আমার ওজন কিন্তু প্রতিদিন বেড়েই চলেছে, ভাইয়া! খুব সম্মানিত বোধ করছি আপনার মত গুণীজনের সদয় কমেন্টে!
আজ সকালে আমার ব্যালকনি থেকে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিও'র লিঙ্কঃ
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152761896127623&set=pcb.10152761908552623&type=1&theater
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152761896057623&set=pcb.10152761908552623&type=1&theater
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152761896162623&set=pcb.10152761908552623&type=1&theater
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10152761895887623&set=pcb.10152761908552623&type=1&theater
https://www.facebook.com/twilightadmirer/videos/vb.524172622/10152761897847623/?type=2&theater