মা কে নিয়ে দিবস কিসের
মা তো প্রতিদিনের
দিবস পালন করে কি আর
কমবে বোঝা ঋণের?
মা আমার পাশে থাকুক
এই তো আমি চাই
মায়ের পায়ের নিচে যেন
হয়গো আমার ঠাই ।
মা কে ছাড়া চলে না কারো
যখন ছোট থাকি
একটু বড়, দুষ্টামি চলে
মা কে দিয়ে ফাঁকি ।
আরও বড় হলাম যখন
কলেজ হল পাশ
মা খালি ঝামেলা করে
বলে কি ছাইপাঁশ ।
বিয়ে করে যখন হল
আলাদা সংসার
এখন তো বেশ ভালই আছি
মা কে আর কি দরকার?
যখন মা চলে গেল
না ফেরার দেশে
মাথায় আর কেউ বুলায় না হাত
আমার পাশে বসে ।
মা কে সবাই রেখ বুকে
মা যে অমূল্য ধন
দিবস করো ভাল কথা
করোনা প্রহসন ।
সেমিনার, বক্তৃতা
আর কথার ফুলঝুরি
ঘরে ফিরে দেখবে কখন
মা যে গেছে চুরি।
(এই কবিতা ২০১৩ এর মা দিবসে লিখেছিলাম, আজ এখানে সবার সাথে শেয়ার করছি)
খুব সুন্দর হয়েছে। আমরা সবাই যেন আমাদের মায়ের চক্ষুর শীতলতার উপকরণ হয়ে বাঁচি সারাজীবন।
বাহ । খুব সুন্দর সত্যের এক ক্যানভাস ।
দোয়া করবেন ভাই, যেন ভবিষ্যতেও ভাল লেখা সবার সাথে শেয়ার করতে পারি......... মা বেঁচে নেই, তাই মাকে নিয়ে লেখা কবিতাই আমার মা দিবসের আশ্রয়.........
এসব বুক মোচড়ানো কথা বার্তা না লিখলেই নয়! 🙁
লিখাটা আবেগময়, সন্দেহ নাই তবে মায়ের প্রতি ভালবাসা দেখাতে গিয়ে তাঁকে একটা সাবর্ডিনেটেড জীবনযাপনে বাধ্য করায় আমার আপত্তি আছে।
এই ধারনাটা আমি প্রথম পাই অধ্যাপক নাজমা চৌধুরীর (যিনি একাদিকে যেমন আমার মায়ের শিক্ষিকা ছিলেন আবার অন্যদিকে আমার বাবার বন্ধুত্বপূর্ন সহকর্মির স্ত্রী ছিলেন) এক সাক্ষাৎকার শুনে।
পরে আমার মায়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করি। তিনিও ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে ভালবাসা দেখানোর জন্য তাঁকে যেন তাঁর চেনা জানা ও ভাল লাগার পরিবেশ থেকে ততদিন বিচ্ছিন্ন না করা হয় যতদিন তিনি নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারছেন।
আমার মা এখনও নিজের বাজার নিজে করেন, নিজের রান্নাবান্না নিজে দেখেন।
পুরনো সহকর্মি, সহপাঠি, প্রতিবেশী নিয়ে তার নিজের একটি বিচরন ক্ষেত্র আছে।
আমার কি উচিৎ সেটা থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন কারা?
মোটেও না.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাকে যেভাবে দেখেছি সেভাবেই লিখতে চেষ্টা করেছি। ক্ষমা করবেন, আমি আসলে আপনার পয়েন্টটা ঠিকমত বুঝতে পারিনি।
তেমন সিরিয়াস কিছু না।
বিবিধ ভাবনা আর কি।
কবিতার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কিছু না।
মা-দিবসে অনেককেই জাজনেন্টাল হতে দেখি তো, যে কে নিজের মায়ের কত খোঁজখবর রাখছে, সেটা নিয়ে, তাই বলা আর কি।
এখন কিন্তু দিন বদলাচ্ছে।
আজকালকার সকল মায়েরা যে এই অতি খোঁজখবর রাখাটা পছন্দ নাও করতে পারেন, সেই সম্ভবনার কথাটা পাড়া আর কি।
একবারে বুঝাতে না পারায় দুঃখিত!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.