ক্লাশ সেভেনের বাচ্চা তখন।কলেজই ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। দুপুরে ক্লাশ লিডার জিজ্ঞাসা করল শবে বরাতে রোজা রাখব কি না!!! ক্যাডেট কলেজে রোজা!!! ক্যামনে কি??
বুকে দম নিয়ে মুন্না ভাই কে জিজ্ঞাসা করতে যাব যে ওইদিনের শিডিউল কি তার আগেই মুন্না ভাই নিজে থেকে বলল,
– মজা আছে বুজছ!! রোজা রাখলে সারাদিন ঘুমাবা।
আমার চোখ দুটা বড় বড় হয়ে গেল। কন্ঠে অনেক বিস্ময়।।
– ভাইয়া সারাদিন ঘুমাব!!!
– হুম
– ডাইনিং হল যেতে হবে না!!
– নাহ। সেহরি করবা। আর ইফতারে যেতে হবে। সেহেরী তেও খুব মজার মজার খাবার দেয়। হাত দিয়ে দুধ ভাত খাওয়া যায়।
চোখ চকচক করে উঠল। চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম, আমি সারাদিন ঘুমাচ্ছি। ডাইনিং হলে যেতে হচ্ছে না। খাবার সার্ভ করতে হচ্ছে না। কোন সিনিয়র কোন ফল্ট ধরতেছে না। আহ!! জীবনে এর চাইতে শান্তিময় আর কি হতে পারে। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম ” আমি রোজা রাখব।”
শবে বরাতের রাতে মাগরিবের নামাজের পর মিলাদ হল। বিল্লাহ স্যারের ঠিক ৪৪ মিনিতের বক্তৃতা শুনে বিদ্ধস্ত অবস্থায় হাউসে এসে তবারক জিলাপি খেলাম। রাতে ডিনার কম করে করলাম সেহরি তে কোপাব এই আশায়। রাতে নামাজ পড়লাম। সেহেরী র জন্য অনেক্ষন জেগেও থাকলাম। ফলাফল সেহেরীর পর হাউসে এসে রেস্ট নিতে যেয়ে ফজরের নামাজ মিস।।
গত বছর ও এইদিনটাতে রোজা ছিলাম। রাতে রাত মোনাজাতে চাইছিলাম আমরা ৫৬ টা যেন গোল্ডেন পাই। আরো অনেক কিছু চাইছিলাম
সব হয়ত পূরণ হয়নি। ওই অপূরণ অংশটাই জীবনের মানে। আর পূরণ টুকু বেচে থাকার প্রেরণা। মহান আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুক।
"ওই অপূরণ অংশটাই জীবনের মানে। আর পূরণ টুকু বেচে থাকার প্রেরণা। মহান আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুক।" - চমৎকার বলেছো।
ধন্যবাদ ভাইয়া
হারিয়ে যাইনি তবু এইত জরুরী খবর
আকাঙ্ক্ষা আর হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার কোন মানে নেই।
কলেজে রোজা রেখেছো তোমরা? আমাদের সময় আমরা জানতেই পারতাম না শবে বরাত কখন এলো, জানো! রোজা রাখার প্রশ্নই আসে না। সারাদিন ঘুমোবার আশ্বাস পেলে অবশ্য পুরো কলেজই বোধকরি রোজা রাখতো।
কলেজে রোজা মানেই কতো শিথিলতা।
সে এক আনন্দময় ব্যাপার ছিলো বটে এক খান।
বাহ!