আলাপচারিতার স্মৃতি, পাবলো নেরুদার সঙ্গে — দিয়েগো মুনিও

পাবলো নেরুদাকে নিয়ে নানান ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণের সংকলন এ বইটি। নেরুদাকে যাঁরা জানেন ও পছন্দ করেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে। গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় অনূদিত।

Pablo Neruda: Absence and Presence Pablo Neruda Absence and Presence
মূল:Luis Poirot
ইংরেজি অনুবাদ:Alastair Reid

১৯৭৩ এর গ্রীষ্মে আমি ও পাবলো পনের দিনব্যাপী এক আড্ডায় মেতেছিলাম। আমি ছিলাম El Tabo তে, Isla Negra থেকে সহজ হাঁটা দূরত্বে।পাবলো সিয়েস্তা থেকে ওঠার পরপরই প্রতিদিন নিয়ম করে সেখানে হাজির হতাম আমি।

বিস্তারিত»

প্রলাপ ১৪

Copy of DSC_0613

জাদু বাস্তবতার গল্পে কী থাকে? ঘর! …ঘর পেরুলেই নীল হ্রদ…যতদূর চোখ যায় নীল,নীল…নীলের পর আবার নীল পাহাড়ের সারি…দূরে আরেকটা নীল পাহাড়ের সারি…কাছেরটা গাঢ়,দূরেরটা ঝাপসা…ঝাপসা হতে হতে শেষে আকাশে গিয়ে মেশে নীল।সেখানে লাল আর কমলার এলোমেলো পোচ…হাওয়া লেগে ছড়িয়ে যাওয়া রঙিন মেঘ। এই রঙিন মেঘগুলোই ফড়িঙ হয়।

রঙিন মেঘ ফড়িঙ হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান

হলুদ রঙ পাখির গান
মাতাল সুর,

বিস্তারিত»

খাচ্ছি দাচ্ছি এবং ভালো আছি

মানুষের জীবনে হতাশাকাল কতোটা লম্বা হয়? আমি জানি না। তবে দীঘর্, বেশ দীঘর্ এমন এক বিরক্তিকর সময় পার করছি, যেখান থেকে বের হতেই পারছি না। নাকি বের হওয়ার উপায় জানি না?

এক. বেসিক ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নে জর্জরিত দুদক

দুই. সাংসদ লিটনকে ‘খুঁজে’ পাচ্ছে না পুলিশ

তিন. সোয়া দুই লাখ বিদেশির ‘নিরাপত্তার ব্যবস্থা’ নিচ্ছে সরকার

চার.

বিস্তারিত»

তিনটি ত্রিপদী

এক.
একাকী জলপিপি
হয়েছে ক্লান্ত
ফেরেনি এখনো, জীবনানন্দ …

দুই.
আনখসমুদ্দুর জানা চোখও
হয় বিষন্ন, অচেনা
এই গাঢ় পঞ্চমীর রাতে …

তিন.
রাত ক্রমশ নিস্তব্ধ হয়
তুমি আসছো ভেবে
লীলাবতী জ্বোনাকিরাও নিভেছে ..

হাইকু লেখার চেস্টা করি, কিন্তু হাইকু বলতে বাধে। তাই ত্রিপদী বলি।
এক এবং দুই ফেসবুকে প্রকাশিত

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ১৫

আন্তঃহাউস গার্ডেনিং প্রতিযোগিতাঃ
আন্তঃহাউস আর্টস এ্যন্ড ক্র্যাফ্টস প্রতিযোগিতার মত আরেকটা প্রতিযোগিতা যেটাতে দক্ষতা নির্বিশেষে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হতো, সেটা ছিলো আন্তঃহাউস গার্ডেনিং প্রতিযোগিতা। বাগান করার জন্য আমাদের হাউসের সামনে যে জমিটুকু বরাদ্দ করা হয়েছিলো, সে্খানে ছিল ইমারত নির্মাণকালীন সময়ে ইট সুরকি ইত্যাদির ভাগাড় আর পানি ধরে রাখার আধার। প্রতিদিন আমাদেরকে গেমস পিরিয়ডের পরে ঘন্টাখানেক সেখানে শারীরিক শ্রম দিতে হতো। মাটি ভীষণ শক্ত ছিলো, কোদাল চালালে শুধু ইট পাথর আর সুরকির কণা বেরিয়ে আসতো।

বিস্তারিত»

জিজ্ঞাসা

কখনো আধো ঘুমে কখনো আধো জেগে
তুমি চোখ মেলে আইফোনে দেখো খুঁজে
কেউ জানালো কিনা কোন কোমল কথা
যা আর্দ্র করে দেয় দেহ মন চোখ, অযথা।

যদি কোন বাণী থাকে তবে চোখ খুলে যায়,
অঙুলি চলে যায় কী বোর্ডের ছোট্ট লেখায়,
লিখে যাও কত চিরকুট রোমান্টিক আবেশে
কখনো ভারী মনে, কখনো বা মুচকি হেসে।

যদি কোন নতুন বাণী জ্বলজ্বল করে না ভাসে,

বিস্তারিত»

রশিদ খাঁ-র হংসধ্বনি শুনে

এই যে স্বচ্ছ জল
এই টলটল সরোবর
এখানে তোমাকে দেখি
প্রতিদিন।
প্রতিদিন সুর আসে
তোমার চাউনির
অবাধ্য বাতাসে;

যেন বা ব্যাকুল হাঁস তুমি
মরাল গ্রীবায়
আমাকে ডাকো —
এমন কোমল ভোরে,
শান্ত সবুজ তীরে
অবিরল
‘হংসধ্বনি’ শোনাতে থাকো

বিস্তারিত»

ভণিতি

একটা হাইকু Some of griefs are gone /when they come naturally/force and its a crap এর শিরোনাম দিতে গিয়ে দেইনি। দুটো কারণ। হাইকুতে শিরোনাম চলে না। পাঠকের সাথে মজা করতে ইচ্ছা হল। কেউ আমার চিন্তাটা ধরতে পারে কি না সেটা বোঝা। যাক গে, ইংরেজীটা বাংলা করলাম।সেটা হয়ে গেল একটা ভণিতা।

আসলে পরে সহজেতে
পালায় কিছু যাতনা
জবরদস্তি করলে ভায়া
বাড়ে শুধু আবর্জনা

ফেসবুক মন্তব্য- শব্দযুগল অপনয়ন আবশ্যক।

বিস্তারিত»

~ জেহরা ~

[ অনুবাদ ঃ ছোটগল্প ]

প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ী ফিরবার পথে গলির মোড়ের এক মাথায় লোকটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই আমার বুকের ভেতর এক রকম ভীতির সঞ্চার হতো। শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের স্রোত গড়িয়ে নামতে থাকতো। চলতে গিয়ে ঠিক জায়গায় পা ফেলতে আমার ভুল হতো। তাকে দেখলেই মনে হতো বহুকাল আগে মারা যাওয়া কোনো একটা লোক বুঝি কাকতাড়ুয়ার গায়ে প্রাণ নিয়ে প্রেতাত্মা হয়ে উঠে এসেছে।

বিস্তারিত»

কলেজ পালিয়ে

একেবারে শাদামাটা একটা ক্লাশ ইলেভেন কাটাচ্ছিলাম। ম্যাড়মেড়ে, নিস্তরঙ্গ। সেই কাক ভোরে ওঠোরে, পিটি করোরে, ব্রেকফাস্ট, ক্লাশ, মিল্কব্রেক, ক্লাশ, লাঞ্চ, আফটারনুন প্রেপ, টি, গেইমস, প্রেয়া্‌র, প্রেপ ডিনার, টিভি, রাত দশটা, লাইটস অফ, ঘুম।
এই যদি হয় জীবন তাহলে ইলেভেনে উঠলাম কেন? প্রতিবছর ক্লাশ ইলেভেন কত কিছু করে ! ইলেভেন্থ ইনটেকতো দেয়ালে চিকা টিকা মেরে কলেজ থেকেই বেরিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাঁচজনকে কলেজ ফিরিয়ে আনেনি।

বিস্তারিত»

হায় অস্ট্রেলিয়া! ওহ অস্ট্রেলিয়া!!

১।

আজকে অস্ট্রেলিয়ান সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় আপাদমস্তক কালো কাপড় পড়া এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে গুলিক করে একজন পুলিশ আইটি (IT) বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে সেখানে প্রহরার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল কনস্টবেলদের গুলিতে আক্রমণকারী প্রাণ হারায়। এটি কোন নাশকতার ঘটনা কি না- সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো কিছু জানে না। তদন্ত চলছে। আক্রমণকারীর পরিচয় এখনো জানা যায় নি। নিহত আইটি বিশেষজ্ঞের পরিচয়ও আপাতত মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয় নি।

বিস্তারিত»

আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা

স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded

হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,

বিস্তারিত»

~ পারমাণবিক অস্ত্রের পরের অস্ত্রটির কথা, যার নাম “ভয়” এবং প্রদীপের নীচে অন্ধকারের ঘটনা পরম্পরা ~

০১ অক্টোবর ২০১৫। যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ওম্পকুয়া কমিউনিটি কলেজে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত। ওখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে কিংবা হয়তো সে মৃতের তালিকায় আছে। ঘটনার সময় প্রথমে ৭ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত ছিলো। পরে দুপুর না পেরোতেই ১৩ জন বলে নিশ্চিত করা হয়। স্বল্প জনবসতিপূর্ণ ওরিগনের এই রোজবার্গ এলাকাটিতে এটাই একমাত্র কলেজ।

বিস্তারিত»

আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা

স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।

স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,

বিস্তারিত»

ধ্রুপদী ভাবনা

নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!

শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!

ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।

তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,

বিস্তারিত»