একেবারে শাদামাটা একটা ক্লাশ ইলেভেন কাটাচ্ছিলাম। ম্যাড়মেড়ে, নিস্তরঙ্গ। সেই কাক ভোরে ওঠোরে, পিটি করোরে, ব্রেকফাস্ট, ক্লাশ, মিল্কব্রেক, ক্লাশ, লাঞ্চ, আফটারনুন প্রেপ, টি, গেইমস, প্রেয়া্র, প্রেপ ডিনার, টিভি, রাত দশটা, লাইটস অফ, ঘুম।
এই যদি হয় জীবন তাহলে ইলেভেনে উঠলাম কেন? প্রতিবছর ক্লাশ ইলেভেন কত কিছু করে ! ইলেভেন্থ ইনটেকতো দেয়ালে চিকা টিকা মেরে কলেজ থেকেই বেরিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাঁচজনকে কলেজ ফিরিয়ে আনেনি।
হায় অস্ট্রেলিয়া! ওহ অস্ট্রেলিয়া!!
১।
আজকে অস্ট্রেলিয়ান সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় আপাদমস্তক কালো কাপড় পড়া এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে গুলিক করে একজন পুলিশ আইটি (IT) বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে সেখানে প্রহরার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল কনস্টবেলদের গুলিতে আক্রমণকারী প্রাণ হারায়। এটি কোন নাশকতার ঘটনা কি না- সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো কিছু জানে না। তদন্ত চলছে। আক্রমণকারীর পরিচয় এখনো জানা যায় নি। নিহত আইটি বিশেষজ্ঞের পরিচয়ও আপাতত মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয় নি।
বিস্তারিত»আমার বানানো সম্পুর্ন নকল একটি অসম্পূর্ণ কবিতা
স্বপ্নমঙ্গল ReLoaded
হবুরাজের চুলে ছিল উকুনের দল
স্বপ্ন দেখিবার কালে করে কোলাহল,
আসিলো মর্কটত্রয়ী নাশিতে উকুন
তাহাতে রাজার জ্বালা বাড়িল ত্রিগুণ।
নড়িলে মারিছে চড়, মুরুব্বি না মানে!
ব্যাকুল হইয়া হবু চায় আসমানে,
উপরে আছেন পিতা উর্ধলোকে বসি
রাজার যাতনা দেখে কয় দিয়ে হাসি –
“দেহের আজাবে যদি এত কষ্ট হয়,
মনের যন্ত্রণা কি তা জাননা নিশ্চয়!”
এ বলিয়া কল-কাঠি নাড়িলেন তিনি
নিমেষে বাঁদর হাওয়া,
~ পারমাণবিক অস্ত্রের পরের অস্ত্রটির কথা, যার নাম “ভয়” এবং প্রদীপের নীচে অন্ধকারের ঘটনা পরম্পরা ~
০১ অক্টোবর ২০১৫। যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ওম্পকুয়া কমিউনিটি কলেজে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় বন্দুকধারীর গুলিতে ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত। ওখানকার সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে কিংবা হয়তো সে মৃতের তালিকায় আছে। ঘটনার সময় প্রথমে ৭ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত ছিলো। পরে দুপুর না পেরোতেই ১৩ জন বলে নিশ্চিত করা হয়। স্বল্প জনবসতিপূর্ণ ওরিগনের এই রোজবার্গ এলাকাটিতে এটাই একমাত্র কলেজ।
বিস্তারিত»আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা
স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।
স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,
ধ্রুপদী ভাবনা
নিজ হাতে যবনিকা টেনে দিলে তুমি,
ওগো সুদূরিয়া!
ঝরাপাতার দিন শুরু হয়ে গেছে বলে,
তুমি তাকেও ঝরিয়ে দিলে!
শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি
সকাল দুপুর সাঁঝে,
যে বুকে সতত বাজে,
সেতো ঝরেই যাবে!
ঝরা পাতার মুখ তুমি মেঘের মাঝে
খুঁজতে যেয়োনা, সুদূরিয়া!
তুলো নাকো কোন দুখ জাগানিয়া গান
বিষন্ন পাঁজরের মত পিয়ানোর রীডে।
তোমার একটি মায়ামাখা কথা
বদলে দিতে পারে পৃথিবীর যত বিষন্ন সুর,
জীবনের জার্নাল – ১৪
একাকীত্বঃ
যারা দুষ্টুমি করে জ্বর এনেছিলো, তারা মহা আনন্দে বাড়ী চলে গেলো। আমার সত্যি সত্যি জ্বর এলো, তাই আমি রয়ে গেলাম শুনশান, ক্যাডেটবিহীন এমসিসি’র নিস্তব্ধ প্রান্তরে। বড্ডো একাকী বোধ করতে লাগলাম। দিন কাটেনা। আমি ছাড়া আর বাকী যে তিন চারজন ছিলেন, তারা সবাই সিনিয়র, কিন্তু খুবই ভদ্র। তারা আমার প্রতি অত্যন্ত সদয় ব্যবহার করতেন। আমার কাজ ছিলো তারা যদি কখনো কোন আলাপ শুরু করেন,
ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)
শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।
বিস্তারিত»গোয়িং বাটন
সকালে খবরের কাগজে চোখে পড়েছিল, আজ চৈত্রের ২৩ তারিখ।
রাস্তায় বেরিয়ে ‘চৈত্র’ শব্দটা আবার মাথায় উঁকি দিল। কাঠফাটা গরম পড়েছে। এমন আগুনগরম দুপুরে হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমুরা ঘোরের জগতে চলে যায়। আমি হিমু নই, এই নারকীয় মধ্যাহ্নের ভেতর মহাকাব্য খোঁজার চেষ্টা আমার কাছে অনাবশ্যক বিলাসিতা। অসহ্য লাগছে… একটা রিকশা পেলে মেয়েদের মত হুড তুলে চলে যেতাম।
অবন্তী মেয়েটা আসলে পাগল আছে!
বিস্তারিত»Too much Water in Wrong Place (চীনা বিড়ম্বনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – ১)
আমেরিকা আসার পর সবচেয়ে বেশি যা দেখেছি আর মাঝে চাইনিজ মানুষজন অন্যতম। তাদেরকে নিয়ে মনেহয় সবারই কম-বেশি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার কিছু শেয়ার করলাম।
ক্লাস শুরুর আগে একটা ইন্টারন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট অরিয়েন্টশন হয়। তা অরিয়েন্টশনের দিন, আমার পাশে বসেছিল এক চাইনিজ ছেলে, জনি (ইংরেজি নাম)। তা কথায় কথায় জানতে পারলাম সে পরিবেশ বিজ্ঞানে ০২ সেমিষ্টারের জন্য এসেছে, ট্রান্সফার ষ্টুডেন্ট বলে যাকে। তা নিজের ফীল্ডের কাছাকাছি বলে ভাবলাম কথা চালিয়ে যাই।
বিস্তারিত»আমি কেন ডঃ রমিত আজাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার — এডমিন সমীপে
গেল দুদিন খুব ঝক্কি গেল। ব্যাস্ততার কারণে অনেক প্রিয় লেখা পড়া হয় না, মন্তব্য করা হয় না।
মাঝেমধ্যে ঢুঁ মেরে চলে যাই। হঠাৎ ডঃ রমিত আজাদের সাম্প্রতিক একটি লেখায় অস্বাভাবিক ট্রাফিক লক্ষ্য করে কৌতূহলী হয়ে উঠি।
প্রসঙ্গৎ বলে রাখা ভালো, ইতোপূর্বে নানান কারণে তিনি সিসিবিতে হতাশার কারণ হয়েছিলেন দফায় দফায় – তা সেসবার বিস্তারে যাচ্ছিনা, অনেকে অবগত আছেন – প্রয়োজনে পুরনো লেখা উত্তোলন করে দেখয়ে নিতে পারেন (অবশ্য কোন ভায়াবহ দুর্যোগ যে নেমে আসবেনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারবোনা)।
ডক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা পর্ব)
ভানুঃ (গুনগুন করে নিজের মনে কীর্তন গাইছে)
ভজো দুহাত তুলিয়া ভজো কাঞ্চন গোঁসাই …
তাঁর জোরে সবাই তোমায় বাপ ডাকবে ভাই …
ওরে থাকলে তিনি ট্যাঁকের মাঝে বুকে বাড়ে বল …
স্ত্রী পুত্র ভাই বন্ধু তোমার পদতল …
ওরে টাকাই ধর্ম টাকাই কর্ম কলিযুগের সার …
সত্য নিষ্ঠা আইন কানুনের মাথায় ঝাঁটা মার …
ভজো দুহাত তুলিয়া…
আগন্তুকঃ আরে আরে দেখি,
বিস্তারিত»স্বার্থান্ধ ব্যাখ্যা আর চর্চাই ধর্মকে দেয় অন্ধত্বের ঠুলি ও পরিচিতি
বৌদ্ধ ধর্মের প্রাথমিক কথায় কলা হয়েছে পাঁচটা বিষয় থেকে দূরে বা বিরত থাকতে, আর চারটা বিষয়কে আত্মস্থ চর্চায় আনতে। বিরত থাকা বা দূরে থাকার বিষয় কয়টা হলো – ১. প্রাণীহত্যা – না করা, ২. আদিন্নাদানা – অর্থাৎ নিজে অর্জন না করে কোন কিছু ভোগে বা দখলে না নেয়া, ৩. মিথ্যাচার – থেকে বিরত থাকা, ৪. কামেসু মিথাচারা – অর্থাৎ কামের বশবর্তী হয়ে খারাপ কোনো কাজ না করা,
বিস্তারিত»নিশাতের গল্প
১
এক রাশ বিরক্তি নিয়ে ঘুম ভেঙ্গেছে আজকে নিশাতের। রুমে বড় বড় জানালা দিয়ে আসা রোদে চারিদিক আলোকিত, হাত বাড়িয়ে ফোন অন করতে গিয়ে মনে পড়লো আগের রাতে চার্জশূন্য হয়ে বন্ধ হয়ে গেছিল। কয়টা বাজে জানার উপায় নেই। রুমে কোন ঘড়ি নেই, না না আছে। কিন্তু মেরামতের অভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিকল পড়ে আছে। বিছানায় শুয়ে শুয়েই নিশাত ভাবতে শুরু করে ওর রুমে কোন ক্যালেন্ডারও নেই।
শিরোনামহীন প্রবাস কথন
কিছু একটা লেখার ইচ্ছে ছিল সবসময়। ইচ্ছেটা মাথা মাঝে মাঝেই জেগে উঠে, আবার তা হারিয়েও যায়। তেমন ভাবে লেখা হয় নি কখনই, বলাও হয়ে উঠেইনি। নীরব দর্শক হয়েই থেকেছি বেশিরভাগটা সময়।
সেই ২০১২ সালের অগাষ্ট মাসে পাড়ি জমিয়েছিলাম এই আমেরিকাতে। উদ্দেশ্য হাইড্রোলজি ও জিওস্পেশ্যাল টেকনলোজিতে উচ্চ্তর জ্ঞান আহরন। বাল্টিমোরের পাঠ চুকিয়ে বর্তমানে অ্যামারিলো নামক এক গ্রামে চাকুরির প্রয়োজনে স্থানান্তর। এই তিন বছরের কিছু বেশি সময়ে নানা রকম দেশি-বিদেশির সাথে পরিচয়-আলাপ হয়েছে।