১
উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?
প্রিয় বই- ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ আমাদের এ জীবন।প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র জীবন বৈচিত্র্য, নর-নারীর এক অমোঘ আকর্ষণ,যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা ভুয়োদর্শনের উপর অন্ধবিশ্বাস,সার্থক জীবনের নামে এক মরীচিকার পিছে ছুটে চলা এইসব মিলিয়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠা জীবনকে সঙ্গী করে আমাদের বেঁচে থাকা।
বইটিতে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন,এক গ্রাম্য যাপিত-জীবনের গল্প।আপাত দৃষ্টিতে যাকে বৈচিত্র্যহীন,সঙ্কীর্ণ স্বকেন্দ্রিক বলে ভুল হয়।কিন্তু মানিক দেখিয়েছেন এর মাঝেও আছে কত বৈচিত্র্য, কত রহস্য,ক্ষুদ্র-বৃহৎ ঘটনা প্রবাহের কত বিশাল প্রভাব সেখানকার মানুষগুলোর জীবনে।তারা বাস করে এক ঘোর লাগা জীবনে।সেখানে নিজেদের জীবন কেউ পরিবর্তন করতে পারেনা।নিজেদের সৃষ্ট সুতোর জালে নিজেরাই আটকে পড়ে অনেকটা পুতুলের মত নেচে যায় তারা অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।
সারফেস অ্যানাটমি
মৌসুমীর লগে দেখা হইলো চার বছর পর। লোকাল বাসে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো ঝুইলা ঝুইলা যাইতে ছিলাম। শাহাবাগ টু কাকরাইল। আট নাম্বার বাস। এই বাস গুলাতে সিট পাওয়া যায় না। অনেক সময় ধইরা ঝুইলা আছি দেইখা মৌসুমী ডাক দিলো।
ওই তুমি মাহফুজ না?? প্রথমে আমি মাহফুজ পরিচয় দিতে রাজি হই নাই। এই রকম ঝুইলা ঝুইলা যাওয়া একটা প্রেস্টিজের ইস্যু। এছাড়া মৌসুমীর লগে একবার আমি আকাম করছিলাম।
বিস্তারিত»একটা ‘ধন্যবাদ দিবস’ চালু করলে কেমন হয়?
কয়েক বছর আগেকার কথা। মতিঝিলে একটি অনেক উঁচু ভবনে লিফটে করে উঠে নামার সময় লিফট-ম্যানকে ‘ধন্যবাদ’ দিতেই তিনি আমার হাত খপ করে চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনাকেও ধন্যবাদ; আমার কুড়ি বছরের কর্ম-জীবনে আপনিই প্রথম আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন’। আমার এক ধন্যবাদে এই মানুষটির খুশি দেখে আমি ঠিক করেছিলাম মানুষকে আরও বেশি-বেশি করে ধন্যবাদ দিতে হবে। এই মানুষটির সঙ্গে আমার যেমন মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল, তিনি যেমন আমার মনের ইতিবাচক দিকটি দেখতে পেয়েছিলেন,
বিস্তারিত»অনেকদিন পর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে
অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। ভ্রমণ সঙ্গী সহকর্মী Monirul Karim । দু’জনেরই ইচ্ছে কাজের ফাঁকে রাজশাহী ঘুরে দেখা যতদূর সম্ভব, যতটুক সম্ভব। এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে এসেছিলো বিপুল। রাজশাহীর ছেলে। আমাদের মতলব শুনে বলল, ‘শার, আগে চলেন পুঠিয়া রাজবাড়ি যাই, ফেরার পথে পদ্মার পাড়, আর কালকেরটা কাল দেখা যাবে’। আমাদের সময় মোটে পরের দিনের বিকেলের ফ্লাইট পর্যন্ত। তার মধ্যে তিনটে অফিসিয়াল মিটিং সেরে, বিকাশের এজেন্টদের দু’একজায়াগায় ঢুঁ মেরে,
বিস্তারিত»প্রেম আমার প্রেম আমাদের
কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।
তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।
বিস্তারিত»প্রথম দর্শনের প্রেম
দিন পার করছি চরম ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করছি ছেলের পিছনে।ফলাফল হিসেবে অন্তর্জালিক জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন সিসিবির সাথেও। দু তিন দিন পরপর একটু চোখ বুলিয়ে যাই। আজ বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে একটা চাপমুক্ত সপ্তাহান্ত পাওয়ায় একটু সময় নিয়েই ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। এ মুহুর্তে ফেসবুকের আমার সবচেয়ে প্রিয় এপ On This Day’তে গিয়ে বিগত বছরের এই দিনের কর্মকান্ডে চোখ বুলাতে বুলাতে একদম শেষে এসে চোখ আটকে গেল,
বিস্তারিত»অডিও ব্লগঃ কে সে মোর
চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।
ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়!
বিস্তারিত»~ জলে জাগা ফসিলে প্রেমের তাগা ~
জলে, জুবুথুবু বৃষ্টিতে,
মরনধ্যান অর্ঘ্যে,
মেঘমগ্ন তারাতে,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত রাতে,
হৃদয়পুর শুনশান।
মৃম্ময়ী বৃষ্টির ঘ্রাণ
সোঁদা গন্ধ লোবান।
স্থবির জীবন জুড়ে
অকস্মাৎ শ্মশান !
শ্রাবণস্পর্শে জানি
পাথরেও নাকি জাগে প্রাণ।
প্রেমে না হোক ঘৃণায়
যখন মনে তোমার
স্মরণ হই কৃপায়,
ফসিল ভালোবাসায়।
আংগুল ছুঁয়ে উত্তাপ
মাপার সাধেরা,
প্রজাপতি
প্রজাপতি, তোমার রঙিন হাতে
ভাত খাবে বলে
মুখিয়ে আছে সারা বাগান —
বেগানা আঙুলে
আচার তুলে দেবে সবার মুখে মুখে
এমন মুখরোচক গুজব
রটে গেছে সর্বত্র
তারপর এলো জোনাকি
সবুজ চায়ের কাপ নিয়ে,
ইনিয়ে বিনিয়ে চাইলো কি
চোখের তারার মত
মদির কিছু ভেষজ –
সুঘ্রাণ মুখশুদ্ধি
আর এক বিটকেল কবি!
বিস্তারিত»তিনটি কবিতা
প্রতিভাকে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে,
মুখস্ত করি লেকচার শিট।
বিদ্যার দেবী উপহাস করে বলে,
তোকে জ্ঞান দিয়ে দিয়েছি
চর্চার জন্য, আর তুই অপচয় করলি!
২
আমাদের ঈশ্বর আলাদা,
তবুও আমরা আলাদা নই।
দুজন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাড়াই,
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দুজন আলাদা বালিশে ঘুমাই,
সাংসারিক…
অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।
অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো।
জীবনের জার্নাল – ১৩
আমাদের ক্লাসের প্রথম এক্সট্রা ড্রিলঃ
এমসিসিতে আমাদের প্রথম বছরের প্রথম টার্মের কথা। নজরুল হাউসের পেছনে ছিলো প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারী স্যারের বাসা। রাতের বেলায় নজরুল হাউসের রুমে লাইট জ্বালানো থাকলে কে কি করছে তা তিনি নিজ গৃহ থেকে বেশ দেখতে পেতেন। একদিন লাইটস আউটের আগে নজরুল হাউসের আমার তিন সতীর্থের খুব হাউস চাপলো বক্সিং বক্সিং খেলার। যথারীতি খেলা শুরু হলো। রুম ক্যাপ্টেন মনে হয় ঐ সময় বাথরুমে ছিলেন।
ছোটনের বাগধারা শেখা!
-‘সব জিনিসেরই ভাল-মন্দ দুটিই আছে!’
দার্শনিক পর্যায়ের এই কথা যে কোন বড় মানুষের মুখে মানায়, তবে ক্লাস থ্রি’তে পড়া ছেলের মুখে শুনলে তা একটু কানে লাগে। অবশ্য শ্রোতা যদি কোন অশিক্ষিত রাখাল হয় সেক্ষেত্রে সে অবাক বা বিরক্ত কোনটাই হবে না। কোন কিছু না বুঝেই গম্ভীরভাবে মাথা নাড়বে।
ছোটনের কথা শুনে মন্টুও কিছু না বুঝে মাথা নাড়ল।
ওর মাথা নাড়া দেখে ছোটন যেন আরেকটু উৎসাহ পেল।
বিস্তারিত»প্রেম – ২
লাল টি শার্টে
হাওয়ায় উড়িয়ে চুল
উদ্দাম গানে তেতে
শ্বেত মেঘ আর
নীল রোদ্দুর
উদযাপন
করবে বলে
পাহাড়ী পথ
ঘুরে ঘুরে
প্রেমের ভেতরে
নেমে
যেতে
যেতে
টের কি পাচ্ছো
স্টিয়ারিং হাতে
কনভার্টিবল নয়
ঢালের দিকে
গড়িয়ে
চলা
এক
পাথরই চালাচ্ছো?