~ বাসিনি ভালো ~

বাসবো বলেই বাসিনি ভালো
পৃথিবীর এতো আলো।
বাসবো বলেই বলিনি কখনো
বুকের প্রদীপ জ্বালো।

বাসবো বলেই
কথার বাগানে কখনো খুঁজিনি
ক্যাকটাস ফুলগুলি।
বাসবো বলেই করিনি উজাড়
রাতজাগা ঘুমগুলি।
চাইনি কখনো ফানুসে সাজানো
নিথর অন্তপুরী।

চোখের মাদল জলের ঢলে
রঙধনূ রঙ কাগুজে নৌকো
ভাসাইনি পাল তুলে।
বাসবো বলেই এক জোড়া কাপে
দেইনি চুমুক চুমুর নোটেশনে।

বিস্তারিত»

পুটু

 

নোটঃ ফেসবুকে প্রকাশিত। মুঠোফোনের বাংলায় অভ্যস্ত নই বলে বানান ভুল আছে। ঠিক করতে পারছি না। দুঃক্ষিত।

 

বছর পাচ ছয়েক আগে মামা কোরবানী ঈদের পর একটা খাসী কিনে আনলেন। পরের বছর ঈদে কোরবানী করবেন বলে। খাসী উনি পালন করা শুরু করলেন এমন ভাবে যেন খাসী নয় উনার আরেকটা সন্তান বড় করছেন। মামী নাম দিয়ে দিলেন পুটু। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম পুটু শুধু সাদা ভাত খায় না,

বিস্তারিত»

লাইবেরিয়ার ডায়েরি

লাইবেরিয়া এসেছি প্রায় ১ মাস হতে চলল। নতুন একটা দেশে আসলে কেন যেন আপনা থেকেই নিজের দেশের সাথে একটা তুলনা চলে আসে। লাইবেরিয়ার সাথে তুলনা করলে আমরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারি কিন্তু লাইবেরিয়া তুলনা করার মত কোন দেশ কিনা সে প্রশ্নটাই প্রথমে আসে, যে দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন চলছে সে দেশের সাথে তুলনা করা কোন কাজের কথা নয়।

লাইবেরিয়ার আবহাওয়া, ভূমি বৈশিষ্ট্যের সাথে বাংলাদেশের অসাধারণ মিল।

বিস্তারিত»

মলিন ঈদ মোবারকঃ দায় নিতে হবে সৌদি আরবকেই!

১। মুসলিম জাহানের অঘোষিত এবং স্বঘোষিত অভিভাবক সৌদি আরব ২০১৪ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছিল ৮০.৮ বিলিয়ন ডলার (৭৬.২ বিলিয়ন ইউরো)। যা কিনা আগের বছরের চেয়ে ১৭% বেশি।

সারা বিশ্বজুড়ে সিরিয়া শরণার্থী ইস্যুটি যখন ‘টক অব দ্যা মোমেন্ট’ তখন সৌদি বাদশাহ, যুবরাজ, আমির, উজির, নাজির…সবাই ভোগ বিলাসে ব্যস্ত। শুধু সৌদি আরবই নয়, মুসলমানদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও আই সি’র ও তেমন কার্যক্রম নেই। কেবল সিরিয়া ইস্যু নয়,

বিস্তারিত»

আমাদের কোরবানী হয়তো কবুল হতো

আমাদের কোরবানি বোধ হয় কবুল হতো। শৈশবের কোরবানি। আমাদের বাড়িতে ছিলো বারোটি ঘর। বারো ঘরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বারো রকম। কেউ চারটা গরু কোরবানি দিতো, আবার কেউ কোরবানি দিতে পারতো না অর্থাভাবে। গ্রামের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত মুসলিম বাড়ি। ঐতিহ্য ধরে রাখার খাতিরে অনেকেই ধার দেনা করে একটা গরু কোরবানী দিতো। কেউ কেউ ভাগে। দুই পরিবার মিলে একটা বা কখনো তিন চার ঘর।

বাড়ির অদূরেই ছিলো গরুর হাট।

বিস্তারিত»

কিছুদিন একা থাকো


কিছুদিন একা থাকো,এই ভালো;
নিজস্ব বৃত্তের কেন্দ্রে-প্রেমহীন মূর্খতায়
শীতল অনিমেষ দুঃখের মধ্যে নির্বাপিত হোক সকল প্রেমাগ্নি
তাতে ডুবে যেতে থাকুক তেজস্ক্রীয় সন্দেহ, তোমার অবিশ্বাস
তুমি একা থাকো, নীরব থাকো অথবা মুখরাও হতে পারো
নিতান্ত নিন্দা-স্তবে, আমাকে ঘৃণা বাক্য-ভর্ৎসনায়
পুরোনো মলাটে, তোমার স্ব-স্বীকৃত মিথ্যে স্বর্গে
যেখানে তোমাকে বিউটি পার্লারে ছুটতে হয় পেডিকিউরের জন্য,
সৌন্দর্যবর্ধক ভিটামিন আর ঢেউহীন ঝরঝরে চুলে খুঁজতে হয়
লোকের চোখের ঝলক,

বিস্তারিত»

দুঃসংবাদের জন্য দৈনিক পত্রিকা, সুসংবাদের জন্য ফেসবুক


উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?

বিস্তারিত»

প্রিয় বই- ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

এক অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ আমাদের এ জীবন।প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র জীবন বৈচিত্র্য, নর-নারীর এক অমোঘ আকর্ষণ,যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা ভুয়োদর্শনের উপর অন্ধবিশ্বাস,সার্থক জীবনের নামে এক মরীচিকার পিছে ছুটে চলা এইসব মিলিয়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠা জীবনকে সঙ্গী করে আমাদের বেঁচে থাকা।
বইটিতে মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন,এক গ্রাম্য যাপিত-জীবনের গল্প।আপাত দৃষ্টিতে যাকে বৈচিত্র্যহীন,সঙ্কীর্ণ স্বকেন্দ্রিক বলে ভুল হয়।কিন্তু মানিক দেখিয়েছেন এর মাঝেও আছে কত বৈচিত্র্য, কত রহস্য,ক্ষুদ্র-বৃহৎ ঘটনা প্রবাহের কত বিশাল প্রভাব সেখানকার মানুষগুলোর জীবনে।তারা বাস করে এক ঘোর লাগা জীবনে।সেখানে নিজেদের জীবন কেউ পরিবর্তন করতে পারেনা।নিজেদের সৃষ্ট সুতোর জালে নিজেরাই আটকে পড়ে অনেকটা পুতুলের মত নেচে যায় তারা অদৃশ্য কোন শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।

বিস্তারিত»

সারফেস অ্যানাটমি

মৌসুমীর লগে দেখা হইলো চার বছর পর। লোকাল বাসে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো ঝুইলা ঝুইলা যাইতে ছিলাম। শাহাবাগ টু কাকরাইল। আট নাম্বার বাস। এই বাস গুলাতে সিট পাওয়া যায় না। অনেক সময় ধইরা ঝুইলা আছি দেইখা মৌসুমী ডাক দিলো।

ওই তুমি মাহফুজ না?? প্রথমে আমি মাহফুজ পরিচয় দিতে রাজি হই নাই। এই রকম ঝুইলা ঝুইলা যাওয়া একটা প্রেস্টিজের ইস্যু। এছাড়া মৌসুমীর লগে একবার আমি আকাম করছিলাম।

বিস্তারিত»

একটা ‘ধন্যবাদ দিবস’ চালু করলে কেমন হয়?

কয়েক বছর আগেকার কথা। মতিঝিলে একটি অনেক উঁচু ভবনে লিফটে করে উঠে নামার সময় লিফট-ম্যানকে ‘ধন্যবাদ’ দিতেই তিনি আমার হাত খপ করে চেপে ধরে বলেছিলেন, ‘আপনাকেও ধন্যবাদ; আমার কুড়ি বছরের কর্ম-জীবনে আপনিই প্রথম আমার কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলেন’। আমার এক ধন্যবাদে এই মানুষটির খুশি দেখে আমি ঠিক করেছিলাম মানুষকে আরও বেশি-বেশি করে ধন্যবাদ দিতে হবে। এই মানুষটির সঙ্গে আমার যেমন মনের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল, তিনি যেমন আমার মনের ইতিবাচক দিকটি দেখতে পেয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

অনেকদিন পর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে

অনেকদিন পর রাজশাহী গিয়েছিলাম অফিসের কাজে। ভ্রমণ সঙ্গী সহকর্মী Monirul Karim । দু’জনেরই ইচ্ছে কাজের ফাঁকে রাজশাহী ঘুরে দেখা যতদূর সম্ভব, যতটুক সম্ভব। এয়ারপোর্টে গাড়ি নিয়ে এসেছিলো বিপুল। রাজশাহীর ছেলে। আমাদের মতলব শুনে বলল, ‘শার, আগে চলেন পুঠিয়া রাজবাড়ি যাই, ফেরার পথে পদ্মার পাড়, আর কালকেরটা কাল দেখা যাবে’। আমাদের সময় মোটে পরের দিনের বিকেলের ফ্লাইট পর্যন্ত। তার মধ্যে তিনটে অফিসিয়াল মিটিং সেরে, বিকাশের এজেন্টদের দু’একজায়াগায় ঢুঁ মেরে,

বিস্তারিত»

প্রেম আমার প্রেম আমাদের

কলা ভবন প্রাঙ্গণ আর রেজিষ্ট্রারের দাফতরিক ভবন, এই দুয়ের মাঝে সরু রাস্তার চেক চেক খোপ আঁকা একখান প্রান্তর, অসমান দূরত্বে বর্ষীয়ান বৃক্ষের বন্ধনে ছড়ানো ঘাসের ময়দান। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অবসরে পাঁপড়ির মতোন পেখম মেলে আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা সেই চত্ত্বরের এখানে ওখানে। আকাশ থেকে দেখতে পেলে দেখা যেতো যেনো, আড্ডায় মানুষ নয়, মেলে আছে থোকা থোকা গোলাপ পাঁপড়িরা।

তরুণীরা সংখ্যায় কম, উচ্ছ্বলতায় অধিক খলবল।

বিস্তারিত»

প্রথম দর্শনের প্রেম

দিন পার করছি চরম ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছি না, যাও পাচ্ছি তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করছি ছেলের পিছনে।ফলাফল হিসেবে অন্তর্জালিক জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন সিসিবির সাথেও। দু তিন দিন পরপর একটু চোখ বুলিয়ে যাই। আজ বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে একটা চাপমুক্ত সপ্তাহান্ত পাওয়ায় একটু সময় নিয়েই ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। এ মুহুর্তে ফেসবুকের আমার সবচেয়ে প্রিয় এপ On This Day’তে গিয়ে বিগত বছরের এই দিনের কর্মকান্ডে চোখ বুলাতে বুলাতে একদম শেষে এসে চোখ আটকে গেল,

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ কে সে মোর

চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।

ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়!

বিস্তারিত»

~ জলে জাগা ফসিলে প্রেমের তাগা ~

জলে, জুবুথুবু বৃষ্টিতে,
মরনধ্যান অর্ঘ্যে,
মেঘমগ্ন তারাতে,
তোমাকে খুঁজতে গিয়ে
চন্দ্রগুপ্ত রাতে,
হৃদয়পুর শুনশান।

মৃম্ময়ী বৃষ্টির ঘ্রাণ
সোঁদা গন্ধ লোবান।
স্থবির জীবন জুড়ে
অকস্মাৎ শ্মশান !
শ্রাবণস্পর্শে জানি
পাথরেও নাকি জাগে প্রাণ।

প্রেমে না হোক ঘৃণায়
যখন মনে তোমার
স্মরণ হই কৃপায়,
ফসিল ভালোবাসায়।
আংগুল ছুঁয়ে উত্তাপ
মাপার সাধেরা,

বিস্তারিত»