চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।
ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়! মেঘের মুখোশে ঢাকা হঠকারী বৃষ্টির ছাঁট অথবা স্প্যাগেটি জংশনের মাথায় রংধনুর বাহার চোখে পড়েনি কতদিন! সপ্তাহান্তে লেজার শো, পিনা কোলাডা, ছিপ হাতে বসে থাকা অপ্সরা কিংবা নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানীর শীতল চোখে রাজ্যের কথকতা! অট্টালিকার নগর ছাড়িয়ে ফুলবাড়িয়ায় ঠোঁটফোলানো কিশোরীর মান ভাঙাতে গ্ল্যাডিওলাস আসে স্বচ্ছতোয়া জলের ভাসে। লাভ জয় সিটিতে সাইরেন বাজানো শবের মিছিল চলে এরই মাঝে। লঁ’কমের কাজলে মোড়া হতবিহ্বল দৃষ্টি লেপ্টে থাকে স্বপ্নবাজ কবির চোখে! এবং অতঃপর তের নদীর ওপারে সুদূরিয়ার তিরতির কাঁপা ঠোঁটে টলমলে পিয়াস!
ভালবাসি বলেনি কেউ
চোখের তারায় বিরহ শতদল!
অসাধারন লাগছে।
আমিও কান পেতে থাকলাম......
কিন্তু
"ভালবাসি বলেনি কেউ
চোখের তারায় বিরহ শতদল!"
তাহলে কিভাবে হবে???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂 🙂 🙂
ভালবাসি টাসি সবাই মনেহয় বলতে পারেনা, ভাইয়া! চোখের তারায় কত কী লেখা যায়গো। কষ্ট করে ডিকোড করতে হয় এই যা B-)
এ যাবত তোমার যতগুলো অডিও ব্লগ আমি শুনেছি, নিঃসন্দেহে এটা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। বেশ বুঝা যায়, অন্তর বিগলিত সূরের মূর্ছনা। তাছাড়া এটা আমার অন্যতম প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীতও বটে। গানের কথা, সুর আর বাদ্যযন্ত্রের অনুপম সম্মিলন তোমার এ ব্লগটাকে অনবদ্য করে তুলেছে। আরও অনেকবার শুনতে হবে, বিনা দ্বিধায় তা বলতে পারি। আর এটা যে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, সে কথাও বলাই বাহুল্য।
কোন্ গোপনবাসীর কান্নাহাসির
গোপন কথা শুনিবারে বারে বারে...
ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি...
কিছু তার দেখি আভা
কিছু পাই অনুমানে
কিছু তার বুঝি না বা...
কোন্ রাতের পাখি গায় একাকী
সঙ্গীবিহীন অন্ধকারে বারে বারে...
কিছু তার দেখি আভা
কিছু পাই অনুমানে
কিছু তার বুঝি না বা...
ও সে আমায় জানি পাঠায় বাণী
গানের তানে লুকিয়ে তারে বারে বারে...
জগতে এসব কথা এতটা সুন্দর করে পাঠকের হৃদয় মরমে প্রবেশ করিয়ে তাকে ভাবাচ্ছন্ন করে তুলতে পেরেছেন তো কেবল একজনই!
অল ক্রেডিট গোস টু মাই ডিয়ার রবিকবি 😀
আপনার প্রশংসায় রংধনু হয়ে আছি। অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।
উইকেন্ডের এলে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের কাড়া নাকাড়া বাজে আমার শহরে!
আছেন?
হু! পাউটি ঠোঁটের ইমোটিকনে বলি তাকে।
ক্যামোমিলের পেয়ালা হাতে স্কাইপে আড্ডা এরপর। একথা সেকথার পর আমাদের গল্পের গরুটিকে চ্যাটাহুচি নদীর ধারে ঘাস খাওয়াতে রেখে পিয়ানোয় টুংটাং সুর তুলি আমি বরাবরের মত। বাজাতে বাজাতে টের পাই কালশিটে রাতের টেরাসে বসে ফোঁপাচ্ছে সে। কী অত বেদনা? কার কথা পড়েছে মনে তার? অতন্দ্র রাতের নিক্কণে মগ্ন হয়ে আমিও ঠাকুরের মত অনন্তের সন্ধানই তো করছিলাম। অনন্তের কথা রইল পড়ে। মাটির মানুষের অশ্রুকে উপেক্ষা করবার শক্তি কারোরই নাই। আপাতত টিস্যুর পাত্তা লাগাই।
অভিভূত!
:boss: :boss:
:boss: :boss: :boss:
কি অসাধারন!!! কি করো তৈরি করো এই আবহ ... আবারো বলছি অসাধারন, সাবিনা।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
তোমার সাথে আঁড়ি, অরূপদা 😛
কতদিন পর এলে তুমি সিসিবিতে! সবাই মিলে কত যে মিস করলাম, ডাকাডাকি করলাম তবুত্ত দুয়োর এঁটে ঠাই বসে রইলে তুমি। শিগগিরই জমজমাট একখানা ব্লগ নামাও দেখি এতোদিন কী করলে, দাদা 😀
ওয়েলকাম ব্যাক! অনেক ধন্যবাদ এই অধমের ব্লগে বেড়িয়ে যাবার জন্য।
আহা ! আহা !
সুর আর কথার কি অনবদ্য পিনাকোলাডা !
ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়! মেঘের মুখোশে ঢাকা হঠকারী বৃষ্টির ছাঁট অথবা স্প্যাগেটি জংশনের মাথায় রংধনুর বাহার চোখে পড়েনি কতদিন! সপ্তাহান্তে লেজার শো, পিনা কোলাডা, ছিপ হাতে বসে থাকা অপ্সরা কিংবা নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানীর শীতল চোখে রাজ্যের কথকতা! অট্টালিকার নগর ছাড়িয়ে ফুলবাড়িয়ায় ঠোঁটফোলানো কিশোরীর মান ভাঙাতে গ্ল্যাডিওলাস স্বচ্ছতোয়া জলে ভাসে ...
~ কি দারুন কথার মালা !!
🙂 🙂 🙂 🙂
আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে বরাবর, ভাইয়া!
অনেক ধন্যবাদ!
কিছু পাই অনুমানে, কিছু তার বুঝি না বা,
মাঝে মাঝে তার বারতা আমার ভাষায় পায় কি কথা রে......
মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...
🙂 🙂 🙂 🙂
ও সে আমায় জানি পাঠায় বাণী
গানের তানে লুকিয়ে তারে বারে বারে...
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!
আপা,
কি আর বলব দুঃখের কথা- আসলেই এখনো কেউ ভালবাসি বলল না... :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আলাভোলা ভাইটি আমার বলছে দেখি কী যে
দেখছি তোমার জীবনখানা ষোল আনাই মিছে 😛 😛
ন্ না... আ আ আ আ!
এ হতে পারে না... আ আ আ আ! :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মুভির ফাঁদে জুনা আমার বড্ড বেশী ঘুরতেসে
একশ কেজির 'লাইকা' দেখিস তোরেই শেষে পটাইসে 😛 (সম্পাদিত)
🙂 🙂 🙂 🙂
জুনা আমার কান্দা থামা
আইনা দিমু টুকটুকা বৌ 😀
চিকন চাকন গঠন তাহার
মিষ্টি যেন ফুলের মৌ 😀
কি সুন্দর কি সুন্দর কি সুন্দর! :boss:
খেয়া (২০০৬-২০১১)
চমৎকার উঠেছে সুরটা। বারবার শোনার মত।