তৃতীয় এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এ কাইয়ুম মালিক, আর্টিলারীঃ
ক্যাপ্টেন আনোয়ার আমাদের কলেজের এ্যাডজুট্যান্ট থাকা অবস্থাতেই মেজর পদবীতে উন্নীত হয়েছিলেন। পদোন্নতির পর তাঁর বদলির আদেশ আসে। আর্টিলারী কোর এর ক্যাপ্টেন এ, কাইয়ুম মালিক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। নতুন এ্যাডজুট্যান্ট দেখতে খুব ইয়ং লুকিং ও সুদর্শন ছিলেন, নম্রতা ভব্যতার দিকেও একটু এগিয়েই ছিলেন বলতে হয়। তার তুলনায় আমার মনে হয় ক্যাপ্টেন আনোয়ার একটু বেশী রাফ এ্যান্ড টাফ ছিলেন হয়তো এ কারণে যে তিনি আমাদের সিনিয়র ভাইদেরকে কাকুলস্থ পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীর কঠোর প্রশিক্ষণ পরিবেশের সাথে এখান থেকেই কিছুটা ধাতস্থ করে তুলতে চেয়েছিলেন।
~ প্যারিস থেকে স্ট্রসবার্গের সেই ফ্লাইট ~
[ দ্য টরান্টো ডেইলী স্টার-এ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২২-এ প্রকাশিত আর্ণেস্ট হেমিংওয়ের কলামের অনুবাদ ]
আমরা বসে ছিলাম সস্তারও সস্তা সেই রেস্টুরেন্টে। যেটা কিনা তীব্র কোলাহলময় সামান্য সেই গলিটাকে আরো সস্তা করে তুলেছিলো। প্যারিসের ‘রু দ্য পেটি চ্যাম্পস’ নামের সেই গলিটার কথাই বলছি।
আমরা মানে মিসেস হেমিংওয়ে, উইলিয়াম ই. ন্যাশ, ন্যাশের ছোট্ট এক ভাই আর আমি। লবস্টার আর ফ্রায়েড সোল মুখে চালান করার ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে থেমে থেমে কথা বলে যাচ্ছিলেন মি.
বিস্তারিত»লেখাচুরি (plagiarism) নিয়ে কিছু দরকারি কথা
১
এবছরের মে মাসে আমেরিকার একাডেমিয়াতে বেশ একটা ঝড় বয়ে গেছে University of California Los Angeles (ইউসিএলএ) থেকে সদ্য পলিটিক্যাল সায়েন্স এ পিএইচডি সমাপ্ত করে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা মাইকেল লা’ক (Michael LaCour) এর লেখাচুরি বা প্লাজিয়ারিজম এর কাহিনী উম্মোচিত হলে। গত ডিসেম্বরে সুপ্রসিদ্ধ একাডেমিক জার্নাল ‘Science’ মাইকেলের একটা আর্টিকেল প্রকাশ হয়েছিল কিভাবে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান কন্টাক্ট মাইনরিটিদের প্রতি কুসংস্কার (prejudice) হ্রাস করে এই বিষয়ে।
বিস্তারিত»হেই জ্যুড!, তোমার এপিটাফে দ্যাখো Ode to Joy!
সো ফ্রেন্ডস, কালকে যেমনটি বলেছিলাম, আমার মাথার উপর পাহাড়সম কাজ উঠে বসে আছে। সেই ব্যাটা আজকেও বসে আছে আগের মত পা ঝুলিয়ে। আর আজকেও তাকে ঘাড় ধরে কিছুক্ষণের জন্য নামিয়ে রাখলাম। তবে আজকে আর ব্লগ লিখার বেদনা না, রেকর্ডানোর বেদনা উঠেছে। ভুলেভালে তিনটি গান হারমোনিকা বাজিয়ে রেকর্ড করে ফেললাম। ১০০তম পোস্ট হোক ভুলেভালে ভরা গান ডেডিকেট করে। To err is Human. মানুষ মাত্রই মরণশীল।
বিস্তারিত»হযবরল
আমি মানুষ। অন্যান্য মানুষদের মতই আমারও দুইখান হাত, দুইখান পা ইত্যাদি ইত্যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে একখান মাথাও আছে। আর সেই মাথার উপর বর্তমানে একখানা বড়সড় আকৃতির পাহাড় উঠে বসে আছে। পাহাড়খানা কাজ দ্বারা নির্মিত । বড়ই নাছোড়বান্দা সেই পাহাড়। তবে আমিও কি কম যাই। পাহাড়টারে ঘাড় ধরে মাথা থেকে নামায়ে ব্লগ লিখতে বসলাম। কারণ হঠাৎ মনে হইলো আমার একখান ব্লগ লিখতে হবে। কেন লিখতে হবে সেই ব্যাপারে আমার একমাত্র মাথাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া গেলোনা।
বিস্তারিত»যেভাবে লিখি
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।
পেস লাইক ফায়ার!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ পোস্টটি কিন্তু বি শা ল বড়। একাধিক পর্বে দিলে ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে একবারেই দিলাম। বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!
————-
১ ডিসেম্বর, ১৯৭৯।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। দুটো কারণে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল- কেরি প্যাকার ওয়ার্ল্ড সিরিজের পর এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পূর্ণ শক্তিতে ফিরেছে এবং প্রথমবারের মতন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আক্রমণভাগে বিখ্যাত চারজন ত্রাস পেসারের সমন্বয় ঘটেছে,
বিস্তারিত»আমার চায়ের দোকান
প্রায়ই ভাবি, আমার একটা অফিস থাকবে, অফিসে দেরাজ থাকবে… দেরাজ ভর্তি যুক্তি থাকবে … কিছু যুক্তি টেবিলের ড্রয়ারেও রাখবো। কে জানে কখন দরকার হবে, ঘ্যাচ করে বের করে এনে আশেপাশের সব ঘ্যাচাং করে দিবো…
লক্ষ টেরাবাইটের একটা হার্ড ড্রাইভ থাকবে, কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি চেপে কুপোকাত করে দিবো সবাইকে… এগুলি শুধুই ভাবনা মাত্র…
কিন্তু স্বপ্নটা একটু ভিন্ন,
একটা চায়ের দোকান দিবো।
~ গ্যাছি গত কাল ~
শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।
পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় ছড়িয়ে
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছো সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।
তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।
পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।
সাম্প্রতিক কবিতা
সিসিক্যামেরায় ধারণ হচ্ছে আমাদের যা কিছু গোপন,
এমনকি পবিত্র প্রণয়ের সিনারিও,
আর ইনবক্স হিস্ট্রির শত শত স্ক্রিনশট
প্রযুক্তির এক্সিবিশনে ঝুলে আছে ইন্টারনেট দেয়ালে।
অথচ আমাদের প্রাইভেট ফিলিংস মুঠোফোন কোম্পানির
জানার কথা ছিলো না।
ভেবে দেখেছ
প্রযুক্তির কাছে পাচার করছি আমাদের গোপনীয়তা।
০৮.১০.১৫
২
বাফারিং বিলুপ্ত হবার সাথে
অপেক্ষাও বিলুপ্ত হয়ে গ্যাছে,
জীবনের জার্নাল – ১৬
ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব এম এ ওয়াহাবঃ
আমাদের সময় এমসিসি’র ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন জনাব এম এ ওয়াহাব। তিনি ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স মাস্টার্স করেছিলেন। তবে অন্যান্য কারিশমাটিক স্যারদের তুলনায় তাকে বেশ ম্লান মনে হতো। তাকে যতদিন কলেজে পেয়েছিলাম, ততদিন তার কোন উজ্জ্বল বা উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। তিনি ভালো ইংরেজী জানতেন, তবে তা ছিল নিতান্তই বুকিশ। মাঝে মাঝে তিনি আমাদের দুই একটা ইংরেজী ক্লাস নিতেন,
ভালোবাসা
সবুজ পাতারা হেসে হেসে সূর্যের কাছে
কিছু আলো চেয়েছিলো,
কিছু তাপ চেয়েছিলো,
আর কিছু ভালোবাসা চেয়েছিলো।
সূর্য মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গেলে
পাতাগুলো হলুদ হয়ে ঝরে পড়েছিলো।
সাতরঙা রঙধনুটা ঝিলিমিলি হেসে হেসে
রৌদ্রের কাছে কিছু রঙ চেয়েছিলো।
মেঘের কাছে জলকণা চেয়েছিলো।
রৌদ্র নিমেষে হারিয়ে গেলে,
মেঘ নিমেষে জলশুন্য হলে,
রঙিন আকাশটা ধূসর হয়ে গিয়েছিলো।
স্কুবা ডাইভিং ইন দ্য ক্লাসরুম
লেকচার হলে বসে আছি …
কিংবা ভাসছি বায়বীয় মাইলাম সাগরে।
প্রফেসর!
কুয়াশায় অস্পষ্ট হে মহাত্মন!
শীতাতপ কক্ষের হিমের সঙ্গে যখন
বিক্রিয়া ঘটে আপনার গমগম লেকচারের,
নিজের অজান্তেই মাকড়শার মত আপনি বুনে যান ঘুমের জাল।
হে সেপিয়া টোন প্রফেসর !
আপনি এক জলজ্যান্ত ডরমিকাম !
রিসার্চ মেথডোলজি, ইনডাকশন-ডিডাকশন,
অবজারভেশন-প্যাটার্ন-হাইপোথিসিস-থিওরী,
প্রফেসর, চেয়ার, টেবিল, রোস্ট্রাম, এসি……
অকবির অপ্রেমের অকবিতা
এক
ভালবাসি বলিনি কেউ
চোখের তারায় বিরহ শতদল
দুই
পশ্চিমে নির্ঘুম রাত, পূর্বে কাজলচোখে জল
তিন
তোমার অহংকারের রূপটি দেখিওনা, সুদূরিয়া
জানোতো, আমারও আছে অজগর একখানা!
চার
ওষ্ঠে তোমার দ্বিধা কেন?
দ্বিধা নয়তো!
চুম্বনে আর আশ মেটেনা, একলা জেগে রই!
~ সিরিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের খেলা আর ক্ষমতার একক বলয় ভেঙ্গে দেবার পথে পুতিনের বিস্ময়কর পদক্ষেপ এবং অনাগত দুর্মর দিনের সম্ভাব্যতা ~
০৫ অক্টোবর ২০১৫। জাতিসংঘের সাহায্যপুষ্ট আরো বৃহত্তর জোট নিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর জেহাদীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বার প্রস্তাব রাখলেন তিনি। গত এক দশকের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় তার এই প্রথম ভাষণে গঠনমূলক, অর্থবহ আর অবাক করা খোলামেলা বক্তব্যে স্পষ্ট ভাষায় মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসী হস্তক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করলেন। তিনি বললেন, “এর ফলেই গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে আজ তৈরী হয়েছে এক নৈরাজ্যবাদী অঞ্চল। যা খুব দ্রুতগতিতে লাগাতারভাবে ওই এলাকায় তৈরী করে যাচ্ছে চরমপন্থী আর সন্ত্রাসী।
বিস্তারিত»