পূর্ব প্রতিজ্ঞাস্বরুপ আজ ক্যাডেট কলেজে আমার প্রিয় ১টি প্রসঙ্গ নিয়ে হাজির হলাম। আর এই লেখাটি উত্সর্গ করছি নওরীন আপুকে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝরঃ
রুটিনবদ্ধ ক্যাডেট জীবনে সামান্য কিছু ছুটির আকাঙ্ক্ষায় প্রাণটা হয়ে থাকতো ব্যকুল। বাঁশির তালে তালে প্রতিটি মুহূর্ত যেন একটা পিছুটান হয়ে রইতো। আর সেই অসহ্য ক্লান্তিতেও যখন কেউ দরদভরে এগিয়ে আসেনি, ঠিক তখনি প্রকৃতির দয়া হয়ে ঝরে পড়তো এক পশলা বৃষ্টি।
কখনো সকালে জেগে যদি দেখেছি বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি ঝরছে, কীযে আনন্দ তখন আমাদের। খুশির ঝিলিক দেখতাম প্রতিটি চোখে, আনন্দের বন্যা বইতো পুরো হাউসে- সিনিয়র জুনিয়র নির্বিশেষে। যেন গ্রীষ্মের দাবদাহে ফেটে চৌচির হচ্ছিলাম আমরা, যেন একমুঠো মেঘের প্রতিক্ষায় জমেছিলো হৃদয়-ক্ষত, যেন চাতক পাখির করুণ রোদনে টনক নড়লো বিধাতার।
পিটি কিংবা ক্লাস টাইম অথবা গেমস কিংবা প্রেপটাইম কখনোই বৃষ্টির আগমনে বিরক্ত হতে দেখিনি কাউকে। নিত্যদিনকার রুটিন মুছে একটু বেমানান হতেই যেন ভালবাসে সবাই। পিটি টাইমে বৃষ্টি হলে এ-সুযোগে আরো আধঘন্টাখানেক ঘুমিয়ে নেয়া যেত, ক্লাসটাইমে বৃষ্টি হলে আর মার্চ করে মেসে যাওয়া লাগতো না- কলেজ পিকআপে করে মিল্কব্রেক পৌঁছে যেত একাডেমিক ব্লকে, ক্লাসশেষেও বৃষ্টি না থামলে কলেজ বাসে করে ফেরা যেতো হাউসে- দুপুরের কড়া রোদে ঘেমে-নেয়ে পা মিলিয়ে যেতে হতোনা আর। গেমস টাইমে বৃষ্টি হলে দুপুরের ঘুমটাকে আরো দীর্ঘায়িত করা যেতো অথবা করিডোরে ক্রিকেট খেলে নেয়া যেতো একপ্রস্থ, সন্ধ্যায় বৃষ্টি হলে মসজিদে যাওয়া লাগতো না- হাউস মস্কেই মাগরিব পড়া হতো- অথবা কেউ না চাইলে না-ও পড়তে পারতো। এরপর প্রেপটাইমে বৃষ্টি হলে হাউস প্রেপের নাম ভাঙ্গিয়ে আড্ডা বা ঘুম বা গল্পের বই পড়া যেত। এ-সকলি যে বৃষ্টির কল্যাণে, তাইতো আমরা আকাশপানে চেয়ে রইতাম কখন নামবে বৃষ্টি প্রত্যাশায়।
অনেকসময় এমনও হয়েছে, দু’একফোঁটা বৃষ্টির স্পর্শ পেতেই আমরা মরিয়া হয়ে উঠেছি, স্টাফদের সাথে দরকষাকষি হচ্ছে প্রিফেক্টদের, সবাই মিলে আল্লা আল্লা করছি “শালার বৃষ্টিটা জোরে নামে না ক্যান”, আমাদের প্রার্থনায় অনেকসময়েই সোনা ফলতে দেখেছিও, ঝরঝর বারিধারায় সিক্ত হয়ে ফিরে গেছি হাউসে- এমন অনেক হয়েছে।
একবার কী হলো, পিটির বাঁশি বাজছে, ক্লাস এইট বলে আমরা নিচে নেমে গেছি, সিনিয়রেরা তখনো নামেনি, এমন সময় আকাশে মেঘের ঘনঘটা। অবস্থা সন্দেহজনক দেখে ধুরন্ধর স্টাফ আমাদেরকে জোরপূর্বক নিয়ে গেলেন গ্রাউন্ডে। ঠিক সেই মুহূর্তে নামল বৃষ্টি, সিনিয়রেরা তখনও হাউসে রয়ে গেছে, আর আমাদেরকে নিয়ে ব্লকের নিচতলায় ইনডোর পিটি শুরু করালেন জনাব ‘ওস্তাদজী’। আমাদের তখন সেকি আফসোস, বৃষ্টিটা আর ৫ মিনিট আগে নামলেইতো পারত। :((
আরেকদিনের কথা বলি। গেমসের ফলিন হয়ে গেছে, এখুনি “কলেজ সাবধান” হবে, ঠিক সেসময় আকাশ আঁধার করে “নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে” সিচুয়েশন। কলেজ প্রিফেক্ট মুনীম ভাই CHM তাহের স্টাফকে কী যেন বললেন, আর তাহের স্টাফ গর্জে উঠলেন, “তোমরা এসবের কী বুঝ? আমি গ্রামের ছেলে, আমি আকাশ দেখলে বলতে পারি বৃষ্টি হবে কিনা। যাও, আজকে বৃষ্টি হবেনা, যাও।” আমরা ভীষণ ভেঙ্গে পড়লাম, ঠিক সেই মুহূর্তে লাফিয়ে নামলো বৃষ্টি।.. 😛
কৈশোরের দামাল চিত্তে বর্ষার প্রভাব অভাবনীয় বেশি। ঝড়ের দিনে আম কুড়ানো কিংবা বাদলের জলে অবগাহনের সেই সোনালী সময়টা আমরা ফেলে রেখেছি দূরে, এখানে কেবল জানালায় বসে বৃষ্টির ছন্দপতন দেখা যায়- আর কিচ্ছু না। টিনের চালে রিমঝিম শব্দে বৃষ্টির আওয়াজ শোনা হয়না আর। তবু এ-যে আমাদের সখের আস্বাদন, সামান্য কিছুটা অবসরের যোগানদাতা।
এই সখের বৃষ্টিটা সুখকর না হবার মতো কিছু সুখস্মৃতিও আছে বৈকি। যেমন, একবার দুপুরে রেস্ট আওয়ারে ঝড় নামলো। আমরা তখন এইটে, তিতাস হাউসের (নিচতলার) ক্লাস টেনের ভাইয়ারা হাউসের বাগানে নেমে গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে। কিছুক্ষণের মাথায় ওঁদেরকে দেখলাম করিডোরে ফ্রন্টরোল দিচ্ছে, কলেজ প্রিফেক্ট আহসান ভাইয়ের ক্রোধের শিকার হয়েছে ওঁরা।
আরেকবার, আমরা তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী, সেসময় নামলো ভীষণ ঝড়; শিলাবৃষ্টি। আমাদের ক’জন শিলা সংগ্রহে নেমেছিলো হাউসের বাগানে, এমন সময় কোথা থেকে হাজির ছাতা মাথায় রাজ্জাক স্টাফ। ব্যস আর কি, পরদিন ডাক পড়লো বসের চেম্বারে।
একবার টানা বর্ষণ হলো দুদিন, পরবর্তী পিটিতে এডজুটেন্ট এলেন ভিসিটে। আমাদের ক্লাসকে পানিশমেন্টের অর্ডার হলো, কামরুল স্টাফ আমাদের মাঠে নিয়ে গেলো। ফ্রন্টরোল শুরু করতেই আমাদের পরিষ্কার গেঞ্জি এবং হাফপ্যান্টের পেছনদিকটা বৃষ্টিস্নাত ঘাসে হয়ে গেল কর্দমাক্ত।.. :((
আজো আকাশ কালো করে নামে বৃষ্টি, আজো উল্লসিত হই বৃষ্টির সুরেলা তানে। তবে সেদিনের প্রত্যাশার বৃষ্টিটা কতো যে মধুর ছিলো…তা আর খুঁজে পাইনা। সেদিনের সীমাবদ্ধ প্রাপ্তিটাকে আজ তাই মনে পড়ে বড়ো বেশি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই ফিরে যেতে চাই সেইসব দিনগুলোয়।
আলম, ‘৯৭-‘০৩, ককক।
বৃষ্ট ভাল্লাগেনা।
বর্ষা ভাল্লাগে? 😉
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কোন বর্ষার কথা কস? তুই যার লগে চ্যাটাস সে নাকি? সে হইলে ভাইবা দেখি। 🙂
ইয়ে মানে বর্ষার ফুন নাম্বার কি দেয়া যাবে! 😐
গুরু আস্তে...জিহাদ ভাই আমাগো দুই জনরে ব্যান কইরা দিলে আর কিচ্ছু করার থাকবে না। 😀
তাও ঠিক! ওরে একদিন দোকানে নিয়া লাল ছা খাওয়াইয়া দিয়েন আমার তরফ থাইকা! 😀
বর্ষা হলো সেই মেয়েটা যাকে রাতের বেলা জিহাদ চাদ দেখিয়ে বলে...
"দেখছ, চাদটা কি সুন্দর না? ওই চাদটা আজকে রাতে তোমার গিফট"
কপাল ভালো পাশে মহিব ছিল সেই সময়,ও শুরে ফেলছে। তা না হলে আমরা এই কথাটা আমরা জান্তেই পারতাম না। 😀
আমি এই ব্লগে কয়েকদিন মাত্র আসিনাই তার মধ্যেই আমার নামে এত অপবাদ !!
আল্লাহ তোদের মত গুনাহগার বান্দাদের যারা এক লাইনের মধ্যে দুই লাইন মিথ্যা কথা কয় তাদের কে হেফাজত করুন। আমিন...
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ছুম্মা আমিন।।
জিহাদ, কষ্ট পাইওনা। চাদ হইলো আফ্রিকা মহাদেশের একটা দেশ, তুমি আস্তা একটা দেশ গিফট করসো বর্ষারে, তাও মাত্র এক রাতের বিনিময়ে! তুমিই পারবা।
"তাও মাত্র এক রাতের বিনিময়ে!"
আস্তাগফিরুল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আপ্নেরেও হেফাজত দান করুক !!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মাত্র এক রাইত কইছেন দেইখা মাইন্ড করছে...
আরো যে কত কি গিফ্ট দেয়... কে জানে...
চান্দ গিফ্ট দিয়া শুরু হইছিল। কি দিয়া যে শ্যাষ করবো কে জানে...
খাইছে! জিহাদ এই কথা বলছে! 😀 😀
পোলাডা কিপটা মনে হইতেছে! চান্দ তারা গিফট করে! B-)
হি হি হি হি
কমেন্ট পইড়া পুরা পিরা গেলাম।
আহা !!!! :gulti:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বৃষ্টি জিনিস্টা আসলেই বিরক্তিকর। অনেক আগে ভালো লাগতো, এখন দেখলেই মেজাজ গরম হয়!
যতই বড় হচ্ছি, বৃষ্টির মজাটা ব্যাস্তানুপাতিকভাবে কমে যাচ্ছে। হয়তোবা মাথার উপর নানা টেনশন ঝক্কি-ঝামেলা আসার কারণে এমনটা হচ্ছে।
যাইহোক, আমরা আলোচনা করছিলাম যে, কলেজের রুটিনমাফিক জীবনে সামান্য একটা ছুটি ম্যানেজ করার কারণে বৃষ্টিটা আমাদের "প্রিয় সমাচার", অন্য কোন কারণে নয়। 😀
গেমস আওয়ারে বৃষ্টি হলে কখনই ভালো লাগেনি কারন সারাদিনের বোরিং টাইমের পর ঐ গেমসের টাইমটা অনেক শক্তি দিত।
যতই বৃষ্টি হোক আমাদের মার্চআপে ঠিকই যেতে হতো এবং সকালে একাডেমী ব্লকে পিটি করতে হতো।
কেবল প্যারেডের টাইমে হাউসে চলে আসতাম অনেক সময় ।
একাডেমি ব্লক কাছে হওয়াতে প্রেপ ও আমাদের ঠিক মতই করতে হতো।
তাই বৃষ্টি আমাদের কলেজে খুব একটা আনন্দ নিয়ে আসতো না যতটা আনতো শীত,খুব শীত হলেই আমাদের সকালের মার্চ আপটা বাতিল হতো।
@আলম ভাই চালিয়ে যান ,ভালো লাগছে আপনার লেখাগুলো
কনক
ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো।
আসলে সমস্যা হলো যে, আমার লেখাগুলো একটু বোরিং টাইপ হয়ে যায়...। কী যে করি?
তাইলে ত সিলেটে কোনো মজাই আসিল না!!
প্রেপ, মার্চআপ, পিটি কিছুই মাফ নাই?? আহা, কী দুর্বিষহ জীবন! আল্লা বাঁচাইসে, সিলেটে ভর্তি হই নাই! শুকুর আলহামদুলিল্লা।
আলম ভাই,আমার মনে হয় বেশির ভাগ কলেজেই এই সিস্টেম কারন স্যাডো পথ থাকার কারনে বৃষ্টি খুব একটা সুবিধা করতে পারতো বলে মনে হয় না...কুমিল্লার একাডেমি ব্লক তো অনেক দূরে ছিলো যার কারনে আপনারা এই সুবিধা পেতেন।
Exactly.
তাইলে এইভাবে বলিঃ
আল্লা বাঁচাইসে যে কুমিল্লায় ভর্তি হইসিলাম। শুকুর আলহামদুলিল্লা।
এই জন্যই কুমিল্লার পোলাপাইন সিভিল ক্যাডেট।
তার মানে কুমিল্লার পোলাপাইন বাদে অন্যরা আন-সিভিলাইসড ??!!?? ৬ বছর cadet কলেজ পইরা ক্যাডেট কলেজর এই অবমাননা আপনি করতে পারেলন???
রায়হান,মাইর খাবি শালা।কলেজ নিয়া কথা।
দেখছেন? কেমনে কথা কয়?
কথায় কথায় মাইর দিতে চায়।
রায়হান ! সাবধান !
আইছে... আরেকটা...
রায়হান সাবধানেই আছে, তুই আরামে দাড়া।
আলম,
আলম উতসর্গের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
একবার গেম্স টাইমে বৃষ্টি তে ভিজে আমরা কিছু ক্লাসমেট বাস্কেট বল খেলছিলাম। পানিশমেন্ট হইতে হইতেও হয়নাই। আমাদের হাউসের ওস্তাদজী বাঁচায় দিছিলো। আজ আলমের এই লেখাটা পড়ে অই দিনের কথাটা মনে হয়ে গেলো। গেমস্ টাইমের মধ্যেই বৃষ্টি পড়া শুরু হইছে। সবাইরে হাউসে পাঠায় দেয়া হইছে।নিয়মমতো। আমরা কয়জন বাস্কেট বল কনটিনিউ করতে ছিলাম। আসলে বৃষ্টির মধ্যে গ্রাউন্ড, বল আর আমাদের পিটি সু পুরা স্লিপারি হয়ে গেছলো তো। খেলতে মজা লাগতেছিলো। দৌড়ানোর কষ্ট কম। পিটি সু দিয়ে স্কেইট করে করে খেলা যাচ্ছিলো আর কেউ বল বেশিখণ নিজের কাছে রাখতেই পারছিলো না। ফ্রন্ট ড্রিব্লিং করলে বলটা সুইং করে মিস হচ্ছিলো বারবার...এগুলা নিয়ে হাসাহাসি করে খেলতেসিলাম...ম্যান! ঝুম বৃষ্টির মধ্যে। সবার-ই। একবার অন্ততো জীবনে বাস্কেট বল খেলা উচিত্।
ইশ...। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম!!
😛 😛
"ইশ…। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম!!" --...XX হিসাবে না XY হিসাবে আলম???
কলেজের একটা গেমস আওয়ার পাওয়ার জন্য আমি এক উইক সকালে মার্চ আপ করতে রাজি আছি। গেমস আওয়ার বাদ হয়ে যাওয়া আমার জন্য বিশাল পানিশমেন্ট মনে হইত। আমার জীবনের প্রথম ইডি খাইছি গেমস করার জন্য। সকাল বেলা সিক রিপোর্ট করছি কিন্তু যখন আমাকে এক্সকিউজ দিবে তখন বললাম যে আমার এক্সকিউজ লাগবে না আমাকে ওষুধ দেন শুধু কারণ বিকেলে আমাদের ফুটবল ম্যাচ ছিল। সেদিনই প্রিন্সিপ্যাল ধরল সবাইকে যাদের যাদের এক্সকিউজ ছিল না তাদের সবাইকে ২টা করে ইডি। তাও মজা পাইছি কারণ ঐ দিন আমাদের এ ফর্ম আর বি ফর্মের খেলায় আমরা জিতছিলাম।
কেউ কি একটা দিন কলেজ গ্রাউন্ডে আমার পুরান বন্ধুগুলাকে ফিরিয়ে দিবা একটা গেমস আওয়ার বাস্কেটবল কিংবা ফুটবল ... ইশশ..................
আলম...তোমার লিখাটা খুব-ই ভালো হয়েছে। বৃষ্টি যে কত আনন্দের হত্বে পারে এটা আমাদের কলেজেই মনে হয় সবচেয়ে ভালো করে বোঝা যায়।অনেক কথা মনে করিয়ে দিলারে ভাই......
এরকম সুন্দর করে লিখতে থাক সবসময়।
ভাই... আমি অবশ্যি কুমিল্লার প্রেক্ষাপটে বৃষ্টির ভূমিকাটা তুলে ধরার চেষ্টা করসি। তাই কেবল কুমিল্লার ক্যাডেটরাই বুঝতে পারবে, এই বিষয়টা আমাদের কাছে কতোটা "প্রিয় সমাচার"।
বৃষ্টির আর কোন ঘটনা মনে থাকলে আপনিও লিখেননা। আপনিতো লিখেনইনা।
থ্যাংকু আবারো।
Thanx 4 inspiring comments:
তানভীর ভাই
নওরীন আপু
কামরুলতপুদা
মিঃ রাশেদ
শাহেদ
কনক
মঞ্জুর
জিহাদ
ইশতিয়াক
রায়হান আবীর
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা।