১.
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইসহাক আলী সরকার স্যার কে আমরা ডাকতাম ‘সেক্স আলী সরকার’ । সোমবার ফোর্থ পিরিয়ডে স্যারের ক্লাস ছিল। সেদিন আমদের স্পেশাল প্রিপারেশণ থাকতো। আমরা অনেকে ডাবল আন্ডারঅয়ার পরে ক্লাসে যেতাম। যারা আন্ডারঅয়ার পরতো না তাদেরও এটলিস্ট একটা আন্ডারঅয়ার পরতে হতো। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যেকোনও বিষয়কে স্যার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেক্সের দিয়ে নিয়ে যেতেন এবং তারপর এতো গভীর ভাবে ওইটা নিয়ে আলোচনা করতেন যে আমাদের প্যান্টের জিপারের জায়গায় তাঁবু হয়ে যেতো। স্যার ক্লাস শেষ করে চলে যেতেন কিন্তু সেই তাঁবু আর নামতো না। কি মুশকিল! ফরম থেকে বের হওয়া যায়না, কারো সামনে যাওয়া যায়না। বড়ই সমস্যার কথা। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য যে যার মতো ডাবল আন্ডারঅয়ার, টাইট আন্ডারঅয়ার পদ্ধতি বের করলাম। এইবার একটু আরামে স্যারের ক্লাস করা শুরু হলো।
স্যার ‘নাগরিক অধিকার’ পড়াতে পড়াতে বলতেন ‘এই দেশে আমাদের কোনো নাগরিক অধিকার নাই। রাস্তায় সবার সামনে বান্ধবীরে চুমা দেওয়া যায় না। ফ্রি সেক্স করা যায় না, ওপেন সেক্স তো দূরের কথা। অথচ ইউরোপে দেখো, খোলা রাস্তায় শীতের মধ্যে প্রেমিক-প্রেমিকা সেক্স করতেছে, কেও তাকাইয়াও দেখে না। পুলিশ আইসা ওদেরকে কম্বল দিয়া ঢাইকা দিয়া যায়, যাতে শীতে কষ্ট না হয়।’ আমরা শক্ত খুঁটি দিয়া তাঁবু গাইড়া মুগ্ধ হইয়া শুনতাম আর মনে মনে জীবনে একবার হইলেও ইউরোপ যাওয়ার কথা ভাবতাম।
এইরকম আরো অনেক গল্প স্যার আমাদের শুনাতেন। মণিকা লিওনিষ্কি নীল গাউন পরে হোয়াইট হাউসে কিভাবে হামাগুড়ি দিয়ে থাকতেন আর বিল ক্লিনটন সেই নীল গাউনে কি কি ফেলতেন সেই গল্প শুনে আমাদের শরীর থেকে আগুন বের হতো।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলতে গিয়া স্যার একদিন বললেন ‘ইসলাম জন্ম নিয়ন্ত্রণ সাপোর্ট করে না। ইসলাম বলে মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।’ এই কথাটা আমাদের সুব্রত’র পছন্দ হইল না।
‘স্যার কিন্তু এতো মানুষ হইলে এতো খাবার কই থেইক্কা আসবে?’
‘জঙ্গলের বাঘের খাবার কই থেইক্কা আসে? বাঘের তো বছর বছর বাচচা হয়। নাকি বাঘেরও মায়া বড়ি আছে বাবা সুব্রত ?’
এইবার সুব্রত আর কিছু বলে না।
২.
শফিক (২) স্যার কে আমরা সবাই ডাকতাম ‘বাম্পার’
আমাদের কলেজে দুইজন শফিক স্যার ছিলেন। দুইজনেরই পুরো নাম শফিকুল ইসলাম, দুইজনই ইংরেজির। বিশাল সমস্যা। নাম বললে আলাদা করে চেনা যায় না। স্যাররা এইজন্য দুইজনকে নাম্বার দিয়া দিলেন। দেখতে যিনি ছোটখাটো কিন্তু সিনিয়র তিনি হইলেন শফিক(১)। আর দেখতে বড়োসরো কিন্তু জুনিয়র তার নাম শফিক(২)। আমরা অবশ্য শফিক(১) কে ডাকতাম ‘বোতল’। এই নাম টা স্যার কে খুব মানাইতো। সেভেন-আপ এর ২৫০ মি.লি. বোতল যেই রকম স্যারও দেখতে ঠিক সেই রকম ছিলেন। কিন্তু শফিক (২) এর নাম কেন ‘বাম্পার’ হইল এইটা আমরা কেউ জানিনা। কোন ব্যাচের কে কেন এই নাম দিছিল সেইটা আমরা উদ্ধার করতে পারিনাই।
‘বাম্পার’ স্যারের অভ্যাস ছিল কথায় কথায় ‘লাগাইয়া দিমু’ বলা।
কেউ ক্লাসে ঘুমাইতেছে স্যার দেখলে বলতেন, ‘এই ছেলে ঘুমাইতেছ কেন? একটা লাগাইয়া দিলে কিন্তু ঘুম চইলা যাবে।’ কেউ ডাইনিং হলে দেরি করে আসছে, বলতেন ‘দেরি কইরা আসছ কেন? একটা লাগাইয়া দিলে তো ডাবল কইরা চইলা আসবা।’
স্যার ইংরেজি বক্তৃতার ক্লাস নিতেন। নিয়ম ছিল যার যেইদিন বক্তৃতার ডেট সেইদিন সে তার বিষয়ের উপর স্ক্রিপ্ট করে রাখবে। আমিনের ডেটে আমিন স্ক্রিপ্ট ছাড়া বক্তৃতা দিতে চইলা গেলো। লেকচার ডায়াসের সামনে গিয়া ‘respected sir and my dear classmate…’ এই টুকু বলে আর কিছু বলতে পারে না। স্যার রেগে গিয়ে বললেন
‘স্ক্রিপ্ট করছ?’
‘না স্যার’
এবার স্যার আমাদের দিকে তাকাইয়া বললেন
‘ওরে এখন কি করা উচিত?’
আমরা সবাই একসাথে বললাম
‘লাগাইয়া দেন স্যার, একটা লাগাইয়া দেন’
স্যার একবার আমাদের দিকে তাকান একবার আমিনের দিকে তাকান। তারপর বললেন
‘থাক আজকে আর ওরে লাগাইলাম না।’
"পুলিশ আইসা ওদেরকে কম্বল দিয়া ঢাইকা দিয়া যায়, যাতে শীতে কষ্ট না হয়।" 😆
জটিল পুরা। কামরুল ভাই, এই এপিসোড বহুদিন চালাইয়া যান। কাহিনীর তো আর অভাব নাই। তাড়াতাড়ি শেষ করবার চাইলে খবর আছে কিন্তু 😉
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এইতো একটা লাগাইয়া দিলা..
:> jotil mamu, chalaya jan 😛
হাহাহাহাহ...খুব মজা পাইলাম রে দোস্ত!
এতদিন কই ডুব দিয়া ছিলি?
আরো বেশি বেশি করে লিখ।
আমি ডুব দিছিলাম নাকি তুই ডুব দিছস?
হারামজাদা এমন কইরা কেউ কাউরে ভুইলা যায় ?
কঠিন একটা লেখা। কামরুল ভাই আসলেই গুরু।
আইচ্ছা এইটা কি সেই শফিক স্যার যাকে আমরা শেষ দিকে পাইছিলাম? উনার নাম ছিল পায়খানা শফিক। প্যাথিটিক একটা লোক।
জোটিলহৈছে....
ম্যালাদিনপরেক্টালেখাদেইক্ষা মজাকপ্লাম।
😛
জটিল হইছে!!!!
ব্লগ এ নয়া একটা বিভাগ খুললে কেমন হয়? "adult section"
এই লেখা টা ওই বিভাগের জন্য। বিশেষ করে প্রথম অংশ।
ওই বিভাগে লেখার মত কাহিনী সবারই কিছু কিছু আছে।
না কি মিছা কইলাম??
মিছা কইবা কেন?
ক্যাডেটরা কি মিছা কথা কয় নাকি?
কাহিনী যেই রকমই হোক, লেখতে হবে। কিচ্ছু করার নাই।
যত অশ্লীলই হোক, বলতে হবে।
আমার তো মনে হয়, একটু স্ল্যাং কাহিনী গুলোই বেশি মজার। 😀
সাইট তো ঠিক হয়ে গেছে। সবাই আসছে না কেন?
তাড়াতাড়ি আসেন সবাই। বেল দিয়ে দিছে অনেক আগেই।
আমি সাব্বির ভাইয়ের সাথে একমত।
Adult section নামে কোনো বিভাগ খোলা যায়, আমরা এতোদিনের না-বলা কথাগুলো সেখানে শেয়ার করবো।
ওখানে সবাই নিজের রিস্কে ঢুকবে। পরে যেন সামিয়ার মতো রাগ না করে।
(বিপক্ষেঃ
এই ব্লগের পাঠক সবাই ১৮+, অতএব এজাতীয় লেখার জন্য restricted placeএর দরকার নাই। :wink:)
মজাক পাইলাম।
Seirokom hoise.....Tabu hoiya thaka......hihihihi....
jotil hoise dosto...;-)
দোস্ত তোরে কতদিন দেখি না।
কেমন আছস ?
valo asi dost...inshallah next month e deshe ashtesi..dekha hobe tokhn..shon, protidin akta kore post dibi ekhane....tor jonne aita compulsory...:-)
apni to mia pura lagay dilen.. 🙂
আমি লাগাইতে চাই নাই। জিহাদ জোর কইরা আমারে দিয়া লাগাইছে.
jUNIOR HOY SENIOR DIA LAGAYTE CHAI!!!!SAHOSH TO KOM NA....MASHROOF VAI..ED ER JHOLA TA VAIR KOREN....
ঐ এত কথা কস্ ক্যান?? তুই কোণায় গিয়া লং আপ হয়া থাক... >:)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
aihai ami ED dimu keno?ken je tora shob akam kukam amare diya koraite chas....
jotil...........
গত ঈদে ইসহাক স্যার মারা গেছেন...রংপুর ক্যাডেট কলেজ ছিলেন
সত্যি নাকি? জানতাম না তো। আমি শুনিনাই। স্যার আমাকে খুব আদর করতেন।
যেখানেই থাকুন স্যার ... ভালো থাকুন।
লেখাটা আবারো পড়তে এসে মনে হলো এইভাবে লেখা কি ঠিক হলো? স্যার দের নাম উল্লেখ করে।
আসলে আমি কোনকালেই লেখক না। ফলে নিয়মিত লেখকরা যেসব নিয়মনীতি মাথায় রেখে লিখেন সেগুলি আমার মনে ছিলনা। খুবই দুঃখিত।
আমার মনে হয়েছিল ঘুরে ফিরে এই স্যাররাইতো সব কলেজে পড়ান। নাম বললে হয়তো অনেকে চিনতে পারবে। তাতে গল্পের মজাটা আর একটু বাড়বে। এখন মনে হচ্ছে ভুল হয়েছে।
আশা করছি ক্ষমা পাওয়া যাবে। শিক্ষকরা সর্বদাই ক্ষমাশীল এবং সর্বাবস্থায় শ্রদ্ধেয়।
জিহাদ এবং তারেক কে ধন্যবাদ ব্যাপারটা ধরিয়ে দেবার জন্য।
কামরুল তোর নাটক দুই একটার নাম বল। ইউটিউবে সার্চাইয়া দেখি পাই কি না।
আমি তো বলুমই না। তুইও খুইজা পাইলে দেখিস না।
সব ফালতু। আমার নিজেরই পছন্দ না। টাকার জন্য বানাইসি।
ভালো কোনোটা বানাইতে পারলে তারপর বলুম।
"আমি তো বলুমই না। তুইও খুইজা পাইলে দেখিস না।"
:))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ঐ মিয়া তুমি হাস কেন ?
বড়দের কথা মাঝখান থেকে শুনে ফেলার যে কি যে মজা সেইটা আর আপনে বুঝবেন ক্যাম্নে?? আপ্নে তো বড় হয়া গেসেন :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তারেক
জিহাদরে একটা লাগাইয়া দে তো..
get together er somoy lagaiya dimu chinta koiren na mamu....
শফিক (২) স্যার কে আমরা সবাই ডাকতাম ‘বাম্পার’
আমার মনে আছে...মঙ্গল্ বার আমরা মিল্ক ব্রেকে ডাইনিং এ সেমাই দিত ক্যাডেটদের(পোলাপান এর মেজাজ খারাপ থাকত)...আর স্যার দের দিত তেহারি। ৫ম পিরিওডে শফিক (২) স্যার আসত আমাগো ক্লাস এ...দাত খোচাইতে খোচাইতে কইত যে আজকের তেহারি তা খুব ভাল হইছে...
তাও ভালো! আমি তো মনে করসিলাম পুলিশ চান্স পাইলে গরম তাওয়ায় পরটা ভাইজা ফেলে 😀