এমজিসিসি এর কাহিনি পড়ে আমারও কিছু ঘটনা মনে পরে গেলো।
তখন আমরা ক্লাস XII এ মাত্র উঠেছি। ICCFM এর জন্য ৭দিন অতিরিক্ত ছুটি পেলাম। তো ময়মনসিংহে আমরা বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৭-৮ জন ছিলাম। আমরা আবার আড্ডা দেয়ার জন্য একত্রিত হতাম এমজিসিসি তে। কারন এমসিসি এর তানভির এর বাসা ছিল সেখানে। আবার প্রিঞ্ছিপাল এর ছেলে আমাদের ফ্রেন্ড হওয়াতে আমাদের কেউ কিছু বলতনা।
ঘটনা-১; আমরা ১দিন সন্ধ্যার পর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডা বেশ জমে উঠেছে।তো আড্ডা দিতে দিতে কখন যে ডিনার এর টাইম হয়ে গেছে খেয়াল করি নাই। হঠাৎ শুনি ডিনার এর বাশিঁ। সাথে সাথে সব এসে ডাইনিং এর সামনে ফল ইন করতেছে। (বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ছিল ডাইনিং এর ঠিক সামনে)।
কি করব বুঝতে পারছিলাম না। ঠিক করলাম বসে থাকি। অন্ধকার এ দেখা যাবে না।বসে আছি আর একে একে সব ক্লাস এসে ফল ইন করছে। হঠাৎ ১ জন বলে “ধুর, এতোখন বসে থাকা যায়? চল, যাই”।আমরাও চিন্তা করলাম তাই তো। এর পরের সিন যা হল, আমরা ফল ইন এর পাশ দিয়ে হাটাঁ শুরু করলাম। প্রায় পার হয়ে গেছি, তখন আমাদের ১ ফ্রেন্ড (এমজিসিসি এর) ডাক দিয়ে বল্ল, “কিরে খবর কি? কই যাস? “আর যায় কই? ডি.এম ডাক দিল আমাদের। কোথা থেকে আসলাম, কিভাবে অইখানে গেলাম এইসব। বেচে গেলাম সাথে প্রিঞ্চিপাল এর ছেলে থাকাতে।পরে অবশ্য তাকে কিছু ঝারি খেতে হয়েছিল।
ঘটনা-২; আমাদের সাজ্জাদুল (এমসিসি) এর সাথে তখন সাদিয়া এর নতুন অ্যাফেয়ার। আর তানভির এর বাসা ছিল এমজিসিসি এর একাডেমিক ব্লক এর পাশেই। যার ফলে ক্লাস টাইম এ দেখা যেত, ১ জন লাইব্রেরী এর বারান্দায় আরেকজন তানভির এর ছাদে। শুধু তাকিয়ে থাকা। কি গভীর প্রেম। তো ১দিন ঠিক হলো, লাঞ্চ এর পর আমরা থাকব ওদের হসপিটাল এর পাশে আর সাদিয়া আসবে হসপিটাল এ ।ওরা ২ জন দেখা করবে আর আমরা প্রিঞ্চিপাল এর বাসা থেকে গার্ড দিবো।
তো লাঞ্চ এর পর সাদিয়া আসলো। সাথে আমাদের বাকি ফ্রেন্ডরাও আসলো।কিসের গার্ড দেয়া। সবাই মিলে আড্ডা শুরু। ফলাফল সরাসরি প্রিঞ্চিপাল এর হাতে ধরা। যথারীতি ঝারি খেলো প্রিঞ্চিপাল এর ছেলে (বেচারা )।
ঘটনা-৩; আরেকদিন গেলাম দেখতে এমজিসিসি এর গেমস দেখতে। মসজিদের পাশ দিয়ে গিয়ে দেখি, সবাই মাঠে বসে আড্ডা দিছে। হাতে গোনা কয়েক জন ভলিবল খেলছে। আর কয়েকজন খাকি পরে বসে আছে। অনেক্ষন পর বুঝলাম ওরা ই.ডি তে আছে (সম্ভবত এমজিসিসি তে ওটার নাম ডি.আর।)
….. আরো কিছু কাহিনি আছে। কিন্তু একসাথে এত বাংলা লিখতে পারি না। আরেকদিন।
“ধুর, এতোখন বসে থাকা যায়?"---MGCC এর ফলইন দেখতে দখতে বোর হয়ে গেছিলেন?? সময় তো ফুরুৎ করে চলে যাবার কথা...ভেরী
আন-ক্যডেট-ফুল।
ভাই, অনেক দেখসিলাম ত। তাই ফলইন দেখতে আর ভালো লাগত না। 😀
সাজ্জাদুল ভাই কি আর্মিতে এখন?
আর তানভীর ভাই নেভী??
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সাজ্জাদুল আর্মি তে আর তানভীর মেরিন এ।
দুই জনই আমার হাউসে ছিল। 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
লেখা পড়ে মজা পাইসি। দুনিয়ায় এত প্রেম শালার আমি কিছু করতে গেলেই দশ মাইল দূরে যায়গা সবকিছু :((
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তাই নাকি? মিছা কতা কশ ক্যান! আমি তো তোরে সারাটা দিন মোবাইলে কতা কইতে দেখি।
তুই মেসেঞ্জার আর mig33 ছাড়া আর কোন দিকে তাকাবার টাইম পাস?? ঝানতাম না তো!! 😮
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
না ভাই, তোমরা ভাই ... মোবাইলে মেয়েদের চাঁদ দেখতে বল ভাই.... আমরা তো ভাই... চাঁন্দ দেহি না ভাই....
মহিবের বাচ্চা!!! সব দোষ ঐটার x(
আর তুইও এইরকম আজগুবি মার্কা কথা ছড়াইতেসিস >:)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ঝগড়া কইরো না ভাইরা।
চোরে চোরে মাসতুতো ভাইরা!!
আহেম, আপনেও লাইনে খাড়াইলেন নাকি?? 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভাই হাউসে যাওয়ার কাহিনীটা কবে বলবেন? 😉
সাদিয়া জন্য এই ইমো![Free Smileys & Emoticons at Clipart of.com](http://www.clipartof.com/images/emoticons/thumbnail2/2422_boy_serenading_a_girl.gif)
ভাই, খালি হাউস না, ওদের ডাইনিং হল, ব্লক আর বাকি সব খানেই গেছি কিন্তু ছুটিতে। :D:D:D
কী আফসোস কী আফসোস...
ইমো টা জটিল
জিহাদ ধরা খাইলি মনে হয়???? 😉 😉
আবার কয়