[ বিষয়টি ক্যাডেট কলেজের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। একসময় প্রথম আলোতে কাজ করতাম। তাই প্রথম আলোর জন্মদিনে আজ প্রথম আলো ব্লগে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। ভাবলাম তোমাদের সঙ্গেও শেয়ার করি। কারো ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় জানিও।]
প্রথম আলোর আজ জন্মদিন। বেশ সশব্দে এবং সগৌরবে দিনটি আজ পালন করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ও আলোচিত সংবাদপত্রটি। অভিনন্দন প্রথম আলো, অভিনন্দন প্রথম আলোর সব সাংবাদিক-কর্মীকে।
এই উত্সবের দিনে আমিও আজ প্রথম আলোর সবার সঙ্গে থাকতে পারতাম। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। আমি আজ খানিকটা দুরে দাঁড়িয়ে আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য উপভোগ করছি। যেমন রাজপথ দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছে আমার সাবেক সহকর্মীরা। আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তাদের করতালি দিয়ে উত্সাহিত করছি। মিছিলে শরিক হতে পারছিনা, কারণ আমি আজ ওদের একজন নই। তবে আমি জানি প্রথম আলোর ওপর কোনো আঘাত এলে আমি কমরেডদের পাশে দাঁড়াবোই।
আমি আজ আরেকটি গণমাধ্যমে কাজ করছি। প্রথম আলোরই সহযোগি। আমাদের সহকর্মীরা গত দুদিন অনেক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। আমাদের সহকর্মীরা জানতে চেয়েছেন, ‘মনে করুন প্রথম আলো নেই, তাহলে আপনি কি হারাতেন?’
সাধারণ মানুষ বলেছেন, বাংলাদেশ তাহলে জঙ্গিদের কব্জায় চলে যেতে পারতো। যুদ্ধারাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন এতো জোরালো হতো না।
অসত্য নয় এতটুকুও। প্রথম আলো সোচ্চার বলেই মানুষ আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক বেশি সরব; গণতন্ত্রের জন্য উচ্চকিত; জঙ্গিবাদকে ঘৃণা জানায়। প্রথম আলো এইসব মানুষের মুখে কথা দিয়েছে, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছে। মানুষ তাই আরো গণতন্ত্রের জন্য আজ এতো উদগ্রীব।
এখন সমাজটাকে বদলাতে চায় প্রথম আলো। তার এই দাম্ভিক উচ্চারণে অনেকের ভ্রু আকাশে উঠবে, নাক সিটকাবে প্রচুর। যাদের এই পরিবর্তন আনার কথা তারা কেউ নিজের কাজটি করেনি। বরং প্রগতিকে তারা আটকে দিয়েছে, বিকাশের পথকে রুদ্ধ করেছে।
এদের গায়ে জ্বালা ধরানোর জন্য প্রথম আলো বারবার এভাবে মানুষের পক্ষে দাঁড়াবে, ভাষা দেবে অগনিতর কণ্ঠে। এদেশের মানুষ চিত্কার করবে পরিবর্তনের জন্য। বলবে, “বদলে যাও, বদলে দাও”।
বিষয়টি ক্যাডেট কলেজের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত হোক বা না হোক, আমার মনে হয় সিসিবি'র সবাই-ই ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।
আপত্তি জানানোতো বহুত দূরকি বাত 🙂
প্রথম আলোর এই সাফল্যমন্ডিত দশক পূর্তিতে পত্রিকাটিকে এবং এর একজন কর্মী হিসাবে সানাউল্লাহ ভাইকেও :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমিতো তোমার বস না, যেই ভাষায় কইলা :shy: হইলাম।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ক্যাডেট কলেজের সাথে সম্পর্কিত নয় বলে আমার দিক থেকে কোন অসুবিধাই নেই। আমি মনে করি, এক্স-ক্যাডেটরা লিখছেন এটাই মূল কথা, কি নিয়ে লিখছেন সেটা মুখ্য নয়।
প্রথম আলো ও এর সকল সাংবাদিকদের অভিনন্দন। আবারও প্রমাণিত হলো, প্রথম আলোই সবচেয়ে এগিয়ে, তার ধারে-কাছেও কেউ নেই।
সহমত।
অভিনন্দন প্রথম আলো।
দেড় বছর আগেও প্রথম আলোর জনপ্রিয় লিড হেডিংগুলো আমিই দিয়েছিলাম। যেমন, অষ্টেলিয়াকে হারানোর পর "বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ্ব"। আমার ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান সে উদ্ধৃতিটি দিয়েছিলেন, যেটা চে'র উদ্দেশে বলেছিলেন ক্যাষ্ট্রো- "আবার দেখা হবে কমরেড অন্য কোনো আকাশের নিচে।"
ধন্যবাদ ফৌজিয়ান, মুহাম্মদ এবং কামরুল।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এখনও চোখের সামনে ভাসতেছে: “বাঘের গর্জন শুনেছে বিশ্ব” :boss:
প্রথম আলো কে অভিনন্দন, অভিনন্দন আপনাকেও।
প্রথম আলো কে অভিনন্দন, সাফল্যের সংগে ১০ বছরের জন্য, আপনাকে অভিনন্দন এর সংগে থাকার জন্য।
@Sanaullah Bhai,that heading is still alive in my heart and whenever I remember it my chest swells with pride....I get enormous inspiration and the courage to overcome even the most immobile stumbling block....
Such heading is given by one of my brothers....I guess I will keep my feet above ground just thinking of that!
সানা ভাই, আপনে তো দেখি বিরাট লোক। বাঘের গর্জন পৃথিবী শুনুক বরংবার।
প্রথম আলো ও আপনাকে :salute: (এইটা কিন্তু ব্লগীয়া ধারা অনুসরণ কইরা না, রীতিমতো চেক মাইরা দেওয়া জিনিস।)
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
প্রথম আলো কে অভিনন্দন এবং আপনাকে সশ্রদ্ধ :salute:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ফয়েজ, মাসরুফ, তৌফিক, টিটো রহমান, জুনায়েদ কবীর - তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইজান এইটা কেন ক্যাডেট্ কলেজ সম্পরকিত না ? আমাগো এক বড় ভাই যেইটার সাথে সম্পরকিত...।
ধন্যবাদ তৌহিদ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"