মিলা ফিভার

গত মার্চ মাসে লাইবেরিয়া আসার মাস দেড়েক পরে বাংলাদেশী অফিসার সৈনিকদের প্রথম একটা ভালোরকম গ্যাদারিং হল। সেখানে সাউন্ড সিস্টেমে অন্যান্য অনেক বাংলা গানের পাশাপাশি বাজানো হচ্ছিল মিলার “বাবুরাম সাপুড়ে” ও “যাত্রাবালা” গানদুইটা। গানের আবেদন নিবেদন আর মাদকতার প্রথম ধাক্কাতেই আমরা যার যার জায়গায় কাইত হয়ে পড়ে গেলাম।

লাসা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি বাইপাস করে মহামারী আকারে শুরু হলো ‘মিলা ফিভার’। সিনিয়র জুনিয়র, ছোট বড় সবাই কম বেশি আক্রান্ত হল এই জ্বরে।

বিস্তারিত»

রিক্সা পাথরায়…(রিক্সা রক্‌স!!!)

যানবাহনের মধ্যে রিক্সার কোন তুলনা নাই। বেনিয়ারা (সাদা চামড়া) যতই বলুক, ‘ও মাই গড, দ্যাট ইজ সো ইনহিউম্যান!!!’- রিক্সায় উঠে আয়েস করে সিগারেটে টান দিতে দিতে চলার সময় নিজেরে কেমন লর্ড লর্ড লাগে…আশপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে চলার জন্য রিক্সা এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দী…
ঝড়-বৃষ্টি হলে অবশ্য একটু ঝামেলা পোহাতে হয়, তারপরও রিক্সা ইজ দি বেস্ট! রিক্সায় করে চলার পথে অনেক মজার মজার ঘটনাও ঘটে…আজকে দুইটা ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছা করছে।

বিস্তারিত»

ঈশপের গল্প

ক্লাশ নাইনে আমাদের ব্যাচের একজন ছুটিতে বাসায় গেছে, যথারীতি পরদিন তার মা, তার খাকি ড্রেস নিয়ে ধুতে গেল, তার মা শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ভাঁজ করা কাগজ পেল, কাগজটা খুলে তার মা চোখ কপালে তুলে ” কি রে …… এটা তোর পকেটে আসলো কিভাবে?”
ও: ভাজা মাছ না খেতে পারার ভান করে” মামনি, ছুটিতে আসার সময় আব…… এটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিল। আসি পড়ার সময় পায়নি,

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : শুভকামনা

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য

মাকসুদ স্যারের সাথে আমাদের ইন্টার‌এ্যাকশনটা বেসিক্যালি হত সায়েন্স গ্যালারিতে। অন্যান্য কলেজে কিরকম জানিনা তবে আমাদের সায়েন্স গ্যালারি হল একটা বড় ক্লাসরুম যেখানে দুটো ফর্মই একত্রে বসে ক্লাস করতে পারে। এখানে স্যার আমাদের দুটো ফর্মকেই একসাথে নিয়ে বসিয়ে আংফাং নানান বিষয়ে বকবক করতেন। আমাদের আগ্রহটা বেশি ছিল সামনের আইএসএসবি নিয়ে।

বিস্তারিত»

পূর্ণ সাধ আর অপূর্ণ ইচ্ছা –

পাখি হইতে চাই নাই কখনো৷ এমনকি সুপারম্যানও না৷
তবে ডেভিড কপারফিল্ডের একটা জাদু দেখেছিলাম৷ মঞ্চ থেকে বেরিয়ে দর্শকদের মাথার উপর দিয়ে খানিকক্ষন উড়ে বেড়িয়েছিলেন৷
এইটা দেখে … , না না, জাদুকর না, উড়তে সাধ হয়েছিলো ভীষন৷ একদম- মানুষের মতন- উড়তে- -৷

ছোট্ট থাকতে একটা পাহাড়ের কথা কল্পনা করতাম৷ অনেক উঁচু! সেইটার উপরে থাকবে একটা ঘর৷ প্রত্যেকদিন সকালে সেই ঘর থেকে বের হইলে –

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (যোবায়ের-কথন)

পর্ব-সাজ্জাদ
ফারজানা তাবাসসুম বলছি

০০০০০০০
– হ্যালো যোবায়ের সাহেব বলছেন।
– বলুন
– দেখুন, আমি …… বলছি। গত দশদিন ধরে আপনি যেখানে যেখানে যান, ক্যান্টিন, দুলু ভাইয়ের দোকান, হল, হলের ক্যান্টিন, সবখানে আমরা একটা মেসেজ দিয়েছি, আপনি কি এটা পাননি। আপনার হলের প্রভোষ্ট এবং ডিন কেও মেসেজ দেয়া ছিল।
– পেয়েছি, কিন্তু দরকার মনে করিনি,

বিস্তারিত»

আজিজের বৌ-ভাত

গত রবিবার প্রচন্ড কাজের চাপে মাঝেও বসকে বলে আমরা কয়েকজন আবার ছুটে চললাম সিলেট শহরে। উদ্দেশ্য, আজিজের বৌ-ভাত আজ। অফিস শেষ করে বের হতে হতে প্রায় আড়াইটা বেজে গেল, এবং ফলশ্রুতিতে আমরা যখন গিয়ে পৌছালাম, তখন অন্যান্য মেহমানরা অলমোষ্ট সবাই-ই চলে গেছে। সে যাই হোক, সবকিছুর পরেও আমরা আমাদের মত মজা করেছি।

আজিজকে এবং নতুন ভাবীকে আপনাদের সবার শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা পৌঁছে দিলাম।

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

দিন যায়, আমরা স্যারের সাথে অভ্যস্ত হতে থাকি।

ইত্যবৎসরে স্টাফদের রুমের চারপায়ার নিচটা ভাঙ্গা গাছের ডালে ভর্তি হয়ে গেছে। ওগুলো ক্যাডেটের পশ্চাৎদেশে প্যাদানির কাজে চাহিবামাত্র সরবরাহ করা হত মাকসুদ স্যারকে। একদিন আমাদের কয়েকজন দুপুরের কড়া রোদ্রে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে শুয়ে মাছ ভাজা হল (পরে বিএমএ’তে শুনেছি এটাকে বলে “জিসি ফ্রাই”)। ফুটবল খেলতে নেমে কিছু হলেই ফ্রন্টরোল দেয়া অভ্যাস হল।

বিস্তারিত»

আবহাওয়া খারাপ!

দ্যাশের আবহাওয়া মনে লইতাছে সত্যিই খারাপ। ব্লগএ এত পোলাপাইন/মাইয়াপাইন আগে দেহি নাই।
অনলাইনে আছেন
সদস্যঃ 15 জন অতিথিঃ 3 জন
মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
মাহমুদুল আলম

বিস্তারিত»

গাছিওবায়োগ্রাফি!!!

দুইদিন ধরে মনটা খারাপ হয়ে আছে, আবহাওয়ার কারনে…বৃষ্টি-ঝড়। শুধু বৃষ্টি হলে সমস্যা ছিল না…যত নষ্টের গোঁড়া সাথের ওই ঝড়ো হাওয়া।
আহারে! না জানি আমার কত ছোট-বড় ভাই কষ্ট পাচ্ছে…অনেকের নিশ্চয়ই হাত-পাও (ডাল-পালা?) ভেংগে গেছে…গত বছরও এই সময়টা আমাদের জন্য খারাপ গেছিল…’সিডর’ এর কারনে…টিভিতে যখন দেখতাম নাম না জানা আমার হাজার হাজার ভাই পড়ে আছে…চোখ ফাইট্যা কান্না
আসত!!! :((
এবার তাও মন্দের ভাল…..

বিস্তারিত»

একটি বিবাহ সংক্রান্ত পুরাতন কিন্তু কম-শ্লীল ঘটনা

তখন ঢাবি-তে পড়ি, ফিজিক্সে।
আমাদের ডিপার্টমেন্টের দুই বড় ভাই- চয়ন ভাই আর মেহেদী ভাই। দুইজনেই বাদরামীতে একদম সেইরকম!
এর মধ্যে চয়ন ভাই-র মুখ আবার একটু বেশি আলগা।
একদিন শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে চয়ন ভাই একা একা উদাস মুখে বসা। মেহেদী ভাই পাশে বইসা কয়- কী রে, কী এত ভাবোস? বিয়া-র কথা নাকি?
চয়ন ভাই দীর্ঘশ্বাস ফেইলা কয়, আরে গরীবের আবার বিয়া!

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

ক্লাস টুয়েলভে আমাদের যখন এ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া হয় তখন এ্যাক্টিং এ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মনোয়ার স্যার। তার দিন কয়েক পরেই আমাদের টার্মএন্ড লিভ শুরু হয়। ছুটি থেকে এসে হাউসের সামনে যাবতীয় ফর্মালিটিজ পুরা করার সময় দেখি স্যারদের সাথে এক অপরিচিত ভদ্রলোক বসে বসে তামাশা দেখছেন। কোন কথা বলছেন না। তাকে আলাদা করে খেয়াল করার কোন কারণই ছিল না। খালি যেটা নজর কেড়েছিল তা হলো সামনের দিকে চোখ পর্যন্ত নেমে আসা লম্বা চুল।

বিস্তারিত»

সিয়াটলের শীত – ১

ধুর হালা, শুইয়া শুইয়া থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা হয়া গেল মাগার তাও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তুক কিছুক্ষন আগে মনঃস্থির করিয়াছি, আইজকা কিছু একটা লিখুম ই লিখুম। পরথমে ভাবছিলাম ইকটু আতলামি কইরা টেকনিক্যাল কিছু লিখুম নাকি, পরে ভাব্লাম, ধুর কি না কি লিখুম পরে পোলাপাইন আবার ভুল ভাল ধইরা ফালাইব, শেষে ইজ্যত নিয়া টানাটানি। ব্লগে টেকি পোলাপাইনের তো অভাব নাই। জাউজ্ঞা, আপাতত অই বিষয় বাদ।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি ও মেঘমালা (গান)

ধরি কোনো সোনারোদ বিকেলে
মেঘ করেছে তোমার পিছু ধাওয়া
পালাবার পথ খোঁজ তুমি
মেঘ পাঠালে বসন খোলা হাওয়া

বিস্তারিত»

পানিশমেন্ট-১

কলেজ আর পানিশমেন্ট দুজনে দুজনার। আমরা যখন বের হয়ে আসি তখন আমরা প্রায়ই আফসোস করতাম আহারে কলেজে সিনিয়রদের জুনিয়রদের দেওয়া পানিশমেন্টের হার কমে যাচ্ছে, পোলাপান কামনে সোজা থাকবে। তো সেই পানিশমেন্ট এর কিছু ঘটনা এখানে বলি –

ক্যাডেট কলেজের প্রথম পানিশমেন্ট খাইসিলাম বের হই হই করা ক্লাস টুয়েলভের কাছে। ব্যাপার আর কিছুই না দুই দিন আগে মাত্র কলেজে জয়েন করসি ট্রাডিশন অনুযায়ী হাউসের বিভিন্ন ক্লাস আমাদের ডাকবে,

বিস্তারিত»