এইচএসসির পর কোচিং করতে আমরা যারা ফরেইনার, মানে , ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসি, থাকার জন্যে এক টুকরো জায়গার খোঁজে আমাদের যে কি ঝককি পোহাতে হয় সে শুধু আমরাই জানি। ঐ যে বলে না, কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কীসে…., সত্যিই সে এক বিষময় যাতনা।
তো, ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, … থুককু, বাসা নয় মেস। সেই মেস খোঁজার জন্যে আমি আর আমার বন্ধু চপল পুরো ফার্মগেট এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।
ছাপার আগে-২
নতুন টাকার পাঁচকথা
১.
ভাই টাকাটা ভাংতি হবে?
দোকানদার রাগত দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকালনে। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ইস! শখ কত? পাঁচশ টাকাই ভাংতি হয় না আবার উনি এসেছেন এক হাজার টাকা নিয়া।
আসলেই। ভাঙতির বড় আকাল। ভাংতি নিয়ে কত যে হয়রানির মধ্যে পরতে হয় তা আমাদেও প্রত্যেকেরই জানা। আপনি একটি নোটের পরিবর্তে কয়েকটি নোট নিয়ে যাবেন এটা য়েন কারোই সহ্য হয় না।
ক্যাট ক্যাট
ক্যাম্পে এসেই প্রথম যেই জিনিসটা চোখে পড়ল তা হলো অনেক অনেক বিড়াল। গাড়ি থেকে নেমে একটা বিড়ালকে দাবড়ানি লাগাতেই আমার এক সৈনিক হা হা করে বলে উঠল, “স্যার এগুলো তো পালা বিড়াল। ইঁদুর মাইরা সাফ কইরা রাখে”। বুঝলাম যেখানে ইঁদুর বাহিত লাসা ফিভারের প্রচন্ড ভীতি (যাতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দেশে ফেরত নেয়া হয় না পর্যন্ত এবং স্টিলের কফিনে কমপক্ষে ৪০ ফুট নিচে সমাধিস্থ করা হয়) সেখানে এই বিড়াল সম্প্রদায় জামাই আদরেই আছে।
বিস্তারিত»রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়
সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।
বিস্তারিত»নব্বইয়ের হ্যামলেট (পর্ব-সাজ্জাদ)
ঠিক সূর্য্য উঠার আগে আগে, যখন মসজিদ থেকে লোকজন নামাজ পরে বের হয়, সেইসময়টায় রাস্তা দিয়ে হাটতে আমার খুব ভালো লাগে। সব কিছু সুনসান, একটা কেমন নিরব পরিবেশ, প্রকৃতিতে আর একটা ব্যাস্ত দিনের প্রস্ততি, মাঠের ঘাস গুলো ভেজা ভেজা, পাখির ডাক, আমি বেশ অনুভব করি। দিনের আলো গলে গলে পরে আমার উপর, আমি যান্ত্রিক আর একটা দিনের প্রস্তুতি নেই।
কাল চলে যাব এখান থেকে,
বিস্তারিত»দন্ত-কাহিনি
মিষ্টিপ্রীতি আছে তীব্র রকমের। জিভ সামলাতে পারি না দেখলে,হাতও না। অবশ্য সামলানোর ইচ্ছেও মনের মধ্যে তেমন একটা জোরালো নয়।দেশে থাকার সময় ইচ্ছেমতন খেতাম। কুমিল্লা গেলেই মাতৃভান্ডারের রসমালাই আর জলযোগের স্পঞ্জ নিয়ে বসে যেতাম বন্ধুরা গোল হয়ে, আয়েশ করে খেতাম। আমরা অবশ্য খাওয়া বলতাম না, বলতাম সাধনা করা।
তো যা হয়, পরবাসী হবার পরে সেই সাধনায় ব্যাঘাত ঘটলো। এখানে এসে টিন কেটে মিষ্টি খেতে জুত পাই না।
বিস্তারিত»সোফির জগৎ
সোফির জগতের কথা প্রথম শুনেছিলাম ২০০৪ সালে। এক শনিবার, এসেম্বলিতে প্রিন্সিপাল তার বক্তৃতায় বলেছিলেন। নরওয়েজীয় ভাষায় মূল বইটির নাম “সোফিস ভার্ডেন”, লেখক ইয়স্তেন গার্ডার। পলেট মোলারকৃত ইংরেজি অনুবাদের নাম “সোফিস ওয়ার্ল্ড”। আর ইংরেজি থেকে বাংলা করেছেন জি এইচ হাবিব, নাম দিয়েছেন “সোফির জগৎ”। জি এইচ হাবীব আমাদের কলেজের (মির্জাপুর) প্রাক্তন ছাত্র, প্রথমে মনে হয়েছিল বিশেষভাবে এই বইয়ের নাম বলার কারণ বোধহয় এটাই। পরে কলেজ লাইব্রেরিতে বই হাতে নিয়ে দেখি,
বিস্তারিত»গাধা জহির, মাস্তান রাজিব- শেষ পর্ব
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৪
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৫
রাজিব
আমরা পুলিশের কাছে যাব।
এসো আমিই পুলিশের লোক।
কিন্তু আমরা সত্যি সত্যি পুলিশের কাছে যেতে চাই।
আমি সত্যি সত্যিই পুলিশ।
জহির বোকার মতো জিজ্ঞেস করে,
পাবলিক এক্সজামিনেশনঃ ক্যাডেট কলেজ ভার্সান
এইচ.এস.সি.
আমাদের এইচ.এস.সি. পরীক্ষার সময় এডজুট্যান্টের শুরু হইল বিরাট তৎপরতা। চারিদিকে কড়া নজরদারি, ক্লাস টুয়েলেভের পোলাপান কই যায়, কি করে। আমাদের সিনিয়ার ব্যাচের কয়েকজন এইচ.এস.সি.-র সময় কলেজ পালাইছিলেন। চোর পালানোর পরে বুদ্ধি বাড়ে কিনা, এডজুট্যান্ট স্যারেরও বাড়ছিল। ফলাফল হইল গিয়া, আমাদের বিড়ির সাপ্লাই গেল বন্ধ হয়া। বই ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারুম, বিড়ি ছাড়া অসম্ভব। প্রিপারেশন নিমু ক্যামতে! আল্লাহ চান নাই আমাদের পরীক্ষা খারাপ হোক,
বিস্তারিত»রেটিং, শেষ পর্ব
(১। কয়েকদিন থেকেই মনটা অন্ধকার হয়ে আছে। ব্লগে আসি আর চলে যাই। কমেন্ট করতে মন চায় না। কিছু ভালো লাগে না, লক্ষন খুব খারাপ।
২। লেখাটা লিখেছিলাম সচলায়তনের জন্য। আমার ৪/৫ মাস ব্লগিং জীবনের শুরুটা সচলায়তন দিয়ে। সিসিবি এর দেখা পাবার পর সচল এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই পোষ্টটা এখানে টেনে আনলাম। দেখি পোলাপাইনের কথা বার্তা শু্নে মুড ঠিক হয় কিনা)
খুব কাছের বন্ধু বলতে যা বুঝায় আমার সাথে জাফর এর সম্পর্ক সে রকম।
বিস্তারিত»নপুংসকের আত্মকথন
বিশেষ কারণে ( :gulli: ) এই লেখাটি উত্সর্গ করা হলো IUTর তুহিনকে (আমাদের অতি পরিচিত কুচ্ছিত হাঁসের ছানা)।
কেমন আছো মেয়ে?
খামের গায়ে ঠিকানা দেখে চিনতে পারোনি নিশ্চয়?
আমি এখন অনেক উঠেছি,
ঢের বেড়েছি বিত্তভবে।
তোমার কী খবর?
বড় ছেলেটা ইস্কুলে যেতে শুরু করলো কি?
আর মেয়েটা?
আমার কোলে উঠেই যার কান্না থেমে গেছিল?
সকলেই ভালো থাকুক
এই আমার প্রার্থনা।
নর সুন্দর
সানাউল্লাহ ভাইয়ের চুল নিয়ে মন্তব্য ধরে কামরুলের সম্ভুদা’র চুল কাটা’র প্রসঙ্গেই আমার এই লেখাটি লেখার ইচ্ছে জাগলো। ঘটনাটি আমার দুই বন্ধুকে কেন্দ্র করে। দুজনেই ছিলো শরীয়তউল্লাহ হাউসে। ঘটনাটি ছিল বোধ হয় আমরা যখন ক্লাশ নাইনে পড়ি তখনকার। কলেজে আমরা এমন একটা বয়স পার করে এসেছি যেটা হলো কৈশোর এবং যৌবনের সন্ধিঃক্ষন। এই বয়সটা বড়ই জটিল। এই বয়সে সবাই একটু নিজেকে আলাদা করে ভাবার চেষ্টা করে।
বিস্তারিত»ছাপার আগে-১
[বহুদিন পর আবার অনুরোধে ঢেকি গিলছি। ফলাফল একটি ফান ম্যাগাজিনে আবারো লিখতে শুরু করেছি। ভাবছি লেখাগুলি চামে এই ব্লগে শেয়ার করব, প্রকাশের আগে]
আহা! মেলামাইনের কি সোয়াদ!
১.
ইত্যাদিতে দেখেছিলাম একবার এক ভদ্রলোক কচ কচ করে কাচ খাচ্ছেন। কাচ সম্পর্কে আমার ধারণা সেদিনই কাচের টুকরার মত ভেঙে যায়। কাচ খুবই সেনসেটিভ জিনিস। তার সাথে একটু আধটু ইতরামি করলেই রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যায়।
অনুঘটনা-২
ছোটখাট কিছু ঘটনা নিয়ে আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম। অনুঘটনা-১ আজ কিছু লেখতে গিয়ে দেখি কিছু মনে পড়ছেনা।ক্যাডেট কলেজের সব কাহিনী বলা হয়ে গেছে। ছোটখাট ২/১ খানা বাকি আছে।
১
আমরা কলেজে ঢুকেছিলাম ৪ঠা জুন।সেদিন ছিল মঙ্গলবার। আমাদের কলেজে মঙ্গলবার রাতের মেনু ছিল রুটি আর সাথে গরুর মাংস।আমরা প্রথমদিন ডিনারে ডাইনিং হলে গিয়ে দেখি ভাত নাই। বাসায় থাকতে দিনে দুইবার ভাত খাওয়া হবে না সেটা কখনো চিন্তা করিনি।
স্বপ্নের অনেকগুলো দিন
কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম লিখব, মাগার কি নিয়ে লিখব এইটা বুইঝা উঠতে পারতেছিলাম না। এইমাত্র কামরুল এর সাথে অনলাইন এ কথা হচ্ছিলো। অফিসে বইসা অর ব্লগ পরতাছিলাম আর ভাবতাসিলাম কি লিখি। শেষ পর্যন্ত অর টাইটেলটাই চুরি করলাম (একটু পরিবর্তন কইরা আরকি, আবার কপিরাইট আইনে মামলা না খাই)। তবে উলটাপালটা লেখার সম্ভাবনাই বেশি। পাঠক সাবধান!
কামরুল এর লেখা দেইক্ষা মনে পরলো এমন স্বপ্নতো আমিও মেলা দেহি।
বিস্তারিত»