এষান ভাই প্রসঙ্গে আগের লেখাটায় বলেছি যে “আমাদের মাঝেও কিছু মহান (!!!) ক্যাডেট থাকে। যারা তাদের স্বীয় মহিমায় নিজেকে কিংবদন্তির পযর্য়ে নিয়ে যান। পুংটামিকে যারা শিল্পের পযর্য়ে নিয়ে গেছেন । তো সাধারণভাবে মনে করা হয় যে দীর্ঘদিনের অক্লান্ত ঘাওড়ামি, রগড়ানি, “মাস্তানি “ এইসবই হল কিংবদন্তী হউয়ার মূলমন্ত্র। কিন্তু তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। মন্ত্র ছাড়াও কেউ কেউ কিংবদন্তী হয়ে যান। আৎকা কোন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘটানো অনেক ঘটনাই হয়ে যায় হিট, নায়ক হয়ে যান হিরো। সিলেটের ১৭তম ব্যাচের ওবায়েদ ভাই “হিট” হয়ে গিয়েছিলেন এভাবেই।
আমাদের কলেজের প্রতিটি ক্যাডেট আর অন্যান্য সকল প্রণীকূলকে সুখের সাগরে ভাসাইয়া দিয়া সোহরাব আলী স্যার বদলী হয়ে গেলেন। তার চলে যাওয়া আমাদের মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি চলে যাবেন এই খবরটা শুনার আমরা সবাই যাকে বলে ত্যাব্দা মেরে গিয়েছিলাম। আমাদের প্রায় ১ সপ্তাহ লেগেসিল এই সুন্দর সত্যকে হজম করতে।
তারপর যখন সেই মহেন্দ্র ক্ষণ এলো অর্থাত তিনি চলে গেলেন তখন অনেক ডেয়ারিং কাজ হয়ে গেল ডাল ভাত, অনেক গুডি বয় হয়ে গেল কিছুটা ডেয়ারিং। যাকে বলে আউলা একটা অবস্থা। এই সময়ই কিংব্দন্তীর রংমঞ্চে ওবায়েদ ভাইর আগমন । তিনি তখন ক্লাস ১২ ছিলেন। কলেজ প্রিফেক্ট তামিম ভাইর রুমমেট। ওবায়েদ ভাই মূলত ওই গ্রুপের মধ্যে পড়েন যারা পরিবর্তিত পরিস্থিতে গুডি বয় থেকে নিজেকে কিছুটা ডেয়ারিং পর্যায়ে উন্নীত করেছেন। তো তার ডেয়ারিং ঘটনাটার শুরু সেই রাতেই যেদিন সোহরাব আলী স্যার কলেজ থেকে চলে গেলেন এবং তা অব্যাহত থাকে পরবর্তী ২ টার্ম। তার ডেয়ারিং কাজ টা হ্ল রাতে লাইটস অফ-এর পর নাইট ড্রেস-এর বদলে লুঙ্গী পড়া। সুরমা হাউসের ক্যাডেটরা বিশেষত জুনিয়র পুলাপানই ছিল ওবায়েদ ভাইএর মূল টারগেট। ডেয়ারিং কাজটা করে তিনি যতটা আনন্দ , আরাম পেতেন আমার ধারণা জুনিয়র পুলাপানদের দেখিয়ে তিনি তার চেয়ে বেশী সুখ পেতেন। কারণ দেখা যেত প্রতিদিনি লাইটস অফ-এর পর দশ মিনিট পর পর তিনি ১২ এর ব্লক থেকে জুনিয়র ব্লকের টয়লেটে আসতেন হিসু করতে। তিনি যে নাইট ড্রেস-এর বদলে লুঙ্গী পড়েন এটা দেখানোই তার উদ্দেশ্য। জুনিয়র ব্লকের টয়লেট, ও তার রুমের অবস্থান একটা মানচিত্র দিলে হয়ত আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন লুঙ্গী প্রদর্শনীর ব্যাপারে কতটা শ্রম দিতে হত ওবায়েদ ভাইকে।
পুনশচঃ ওবায়েদ ভাই তার লুঙ্গীটা এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছেন Reunion গিয়ে পড়েন আর আমাদের সাথে গল্প করেন।
লুংগি ওবায়েদ এখন ডাক্তার ......
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বস ভুল ওবায়েদ কে চিনসেন। আমার জানামতে উনি ঢাবিতে আই ই আর এ পড়তেন তবে লুঙ্গি পড়ে কখনো ক্লাসে এসেছেন কিনা তা বলতে পারি না।
samiur, vulta tumi korcho. wabiad bhai ekhon doctor.
তাইফুর ভাই, আপনারা কি ব্যাচমেট নাকি? 🙁
মানচিত্র দেইখাই তো ভড়কায়া গেলাম 😮 ।
সাবাশ....।
Life is Mad.
আরররে সাবাশ!!!মানচিত্র শুদ্ধা ব্লগ এই পরথম!!!ফরিদ+ওবায়েদ ভাই জিন্দাবাদ!!!
লুঙ্গী জিন্দাবাদ।
:clap: :hug:
ফরিদ তোর লেখার হাত তো ভাল। কম লিখিস ক্যান?
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
মান ধরে রাখার স্বার্থে। :shy: হাহাহাহাহাহ
😉 😉 😉
ওবায়েদ ভাই প্রেপ গার্ড হইয়া আসলে আমরা খুব খুশি হইতাম। উনি আমাদেরকে বিশেষ স্নেহ করতেন। 😀
মানচিত্র হেভি হইছে। :)) :))
ব্যাপারটা কেমন জানি 😕 রহস্যময় লাগতাসে।
ব্যাটা অফ যা...পরে আবার কেঁচো খুঁড়তে ডাইনোসরের কংকাল বাইর হবার পারে... 😉
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সহমত। অফ গেলাম। 🙁
আসলেই কামরুল ভাই... আপনাকে দেখে তো তা মনে হয় না! "বিশেষ স্নেহ" সন্দেহ জনক!
মানচিত্রটা ভাল হইছে।বুঝায় যায় তোর ভূগোল ভাল । :gulli2: :goragori: