আমরা দু’জনে বসেছিলাম। রাত অনেক, প্রায় এগারটা বাজে। একটু দুরে স্ট্রীটল্যাম্পেরা ছাড়া আর কেউ নাই। আমরা দুজন বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বসেছিলাম। চারপাশে বেশ দমকা বাতাস আজকে। আমি আর তুই কংক্রিটের মাঠে পা ছড়িয়ে বসছিলাম চুপচাপ। আমাদের মাঝে খালি অনিশ্চিত নীরবতা।
তোর সাথে আমার বিরাট ঝগড়া চলতেছে। আমি অনেক নাড়া খেয়েছি ভিতরে ভিতরে। তুই আমার সাথে এরকম করতে পারলি?
ঝামেলাটা কী নিয়ে লেগেছিলো ভুলে গেছি। আমার শুধু ঐ রাতের আধঘন্টার কথা মনে আছে। তুই আমার খারাপ দিকগুলোর কথা বলতেছিলি। বলছিলি আমি একগুঁয়ে, ঘাড়ত্যাড়া, বদমেজাজি, কোন কথা বুঝার চেষ্টা করি না। খামাখা গ্যাঞ্জাম লাগাই। আমার কারণেই এই ঝামেলাটা লেগেছে। এখন তোকে দু’দিক সামাল দিতে হবে। এই উটকো কাজটা তুই আমার জন্য করবি। রাগের মাথায় তুই এরকম কতকিছু বলছিলি!!
আমি শুধু মাথা নিচু করে বসে বসে ভাবছিলাম তুই এত বাজে ব্যবহার কেন করছিস আমার সাথে? মনে হচ্ছিল তুই খুব স্বার্থপর হয়ে গেছিস, অযথা রিঅ্যাক্ট করছিস। এমন কিছু হয়নি যে তোকে সামাল দিতে হবে। হ্যাঁ ঝামেলা পাকাইছি, তো কি হইছে? আমার ঝামেলা আমি নিজেই ট্যাক্ল করতে পারি, তোর হেল্প কেন লাগবে? এসব টুকরা টুকরা কথা আমার মাথায় পাক খাচ্ছিল।
তোর মনে পড়ে দোস্ত? আমরা কী দুর্দান্ত ছিলাম! কী ডায়নামিক ছিলাম। পুরা ক্লাসে এরকম আর কয়টা দোস্তি ছিল? একটাও কি ছিল? সেই ক্লাস এইটে একবার সিটপ্ল্যানে স্যার তোকে আর আমাকে পাশাপাশি বসিয়ে দিল। তার আগে তেমন কোন খাতিরও ছিল না। আর তারপর থেকে কীভাবে কীভাবে জানি তোর সাথে দারুন একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেল! একসাথে পড়তাম আমরা মনে আছে। আমি তোরে ঠেলতাম, “ঐ বলদ! এইডা পড়, ফোর্টনাইটে আসবে। আজাইরা টাইম লস করিসনা!”
তুই কম পড়াশোনা করতি। কী কী নিয়ে ভাবতি। হাউসের নানা ফালতু ঝামেলায় জড়াইতি। কে কাকে কি বলছে, কেন বলছে এগুলা নিয়ে গুড ফর নাথিং পোলাগুলার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘোঁট পাকাইতি। একটা সময়ে আবার আমার ঝাড়িতে কাজ হত, ওসব বাদ দিয়ে পড়তে বসতি। এভাবে ক্লাস নাইন, টেন, এসএসসি!
মনে আছে তোর, একবার স্যার সিটপ্ল্যানে আমাদের পাশাপাশি সীট না দিয়ে সামনা-সামনি দিয়েছিল। আমরা দুইজন গিয়ে স্যারকে ধরেছিলাম ঠিক করে দেয়ার জন্য! স্যার একটা দাবড়ানি দিয়ে বললেন, “সারাদিন দেখি দুইটা বকর বকর করতেছিস! সামনা-সামনি বস্, তাইলে বদমায়েশি একটু কমবে তোদের! হা হা!” …কমেছিল কি দোস্ত?
এসএসসির পুরা তিনমাস ছুটি আমার কী যে বাজে কাটল! এলাকায় একটা ফ্রেন্ড নাই। গল্পের বই শেষ, টিভি দেখতে দেখতে মুখস্ত হলো “কহো না প্যায়ার হ্যায়”-এর গান! তোর সাথে কথা বলবো তার একটা মাধ্যম নাই। কলেজে ফিরলাম ২২শে জুন, মনে আছে? রেজাল্ট নিয়ে কী আনন্দ! আর তার চেয়ে বড় আনন্দ তোর সাথে এতদিন পরে দেখা, কত গল্প! ছুটির মধ্যে ঈদে তোর সেই ফোনালাপী মেয়েটা, সেই ঈদের শুভেচ্ছা দেয়া। কলেজে এসে সেই মেয়েটাকে কী লেখা যায় তাই নিয়ে আমার সাথে তোর কত পরামর্শ!!!
কী সব দিন গেছে! আর সেই তুই আমার সাথে এরকম করলি? আমার না হয় মাথা গরম, পাগলা থাকি। তুই তো শান্ত-শিষ্ট, মাথা ঠাণ্ডা, আমারে বুঝাইলেও পারতি। রাগের চে’ বেশি জন্মাইছিলো অভিমান। তুই আমারে ক্যামনে ভুল বুঝলি? আজকে আমারে ভূতে পাইল যে আমি এইসব ভাবতেছি। কত বছর আগের কথা সেই বাস্কেটের গ্রাউন্ড? মনে হয় আগের জন্মের স্মৃতি বিধাতা কৌতুক করে ভইরা দিছে মাথায়। সেগুলো আজকে বড় কাঁদায়!
কলেজ ছেড়ে আসার আগে দিয়ে তোর উপর দিয়ে ঝড় যাচ্ছিল। প্রিন্সিপ্যাল, অ্যাডজু’ সবাই তোরে বাঁশ দিতেছিল। পড়তে পারতি না, টাইম পাইতি না। সেই তুই মাঝেমাঝে আমাকে এসে বলতি, “একটু পড়ায়ে দে দোস্ত, এইটা বুঝতেসি না”। আজকে মনে হয়, “আর তো কেউ কোনদিন এভাবে বললো না!” কলেজ ছেড়ে বের হয়ে তুই গেলি আর্মিতে, আর আমি গেলাম বুয়েটে। তাও ভর্তির আগে তবু ঢাকায় ছিলি, ডিসেম্বরে চলে গেলি চিটাগাং। কত দুরে! তোর সাথে দেখা হইতো না, কথা হইতো না, কিন্তু তুই ছিলি। এমন কতদিন গেছে তোর কথা মনেও পড়ে নাই! কিন্তু আড্ডার মধ্যে কেউ বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে কথা তুললে আমার ঝাঁ করে তোকে মনে পড়ত। তারপর আর কিছুই ভাল লাগত না, ঐ আড্ডা, ঐ হৈচৈ। আমি তখন সেখানে অপাংক্তেয়!
তোর পোস্টিং হলো বগুড়ায়। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতি। দুই একদিনের জন্য। আমি কাজ ফেলে যাইতাম বিকালে বা সন্ধ্যায়, তোর সাথে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতাম! কী অদ্ভুত লাগত তখন বাস্তবতা! আমার মাঝে মাঝে মনে হত এ কেমন জীবনে ফেঁসে গেছি তুই আর আমি! একটা দিন দেখা হলেই মনে হত অনেক পেলাম!!
এখন তুই তো আরো দুরে। কোন সুদুরে আইভরি কোস্টে। কবে ফিরবি রে? তোরে দেখিনা বহুদিন, বহুদিন!!
একটা জীবনে মানুষ কয়টা বন্ধু পায়? কয়জন তাকে পুরোপুরি বুঝে? রেগে গেলে শান্ত করে, ক্ষমা চাওয়ার আগেই ক্ষমা করে দেয়? তোকে একদিন বলেছিলাম, (কবে মনে নাই) “আমি তোর উপরে আর কোনদিন রাগ করবো না। চ্যাত দেখাবো না।” তুই বলেছিলি, “ক্যান?” আমি মুখে বলেছিলাম, “কারণ লাভ নাই, তুই একটা টিউবলাইট। বুঝবিও না যে আমি চ্যাতছি। হুদাহুদি আমার রাগ নষ্ট করমু ক্যান। তুই হালায় একটা ফাউল!”
আসল কারণটা হইল আমি তোর উপ্রে ক্যামনে রাগ দ্যাখাই? তুই যে আমার না জন্মানো ভাই! ভাল থাকিস। আমার এলোমেলো জীবনের সবটুকু ভাল জিনিশ দিয়ে তোর জন্য দোয়া করি, তুই ভাল থাকিস, বন্ধু!
—-
[লেখাটার জন্ম ৩রা আগস্ট, ২০০৮। এ বছর বন্ধু দিবসে। আমার প্রিয় বন্ধুটির জন্মদিন ছিলো তার তিনদিন পরেই। তাকে লেখাটা পড়তে দেয়ার পরে সে কী অনুভব করেছিলো দেখতে পারি নাই। ম্যাসেঞ্জারের মধ্যে দিয়ে আর কতটুকুই বা আবেগ আসে?…]
এই অসীম সৌভাগ্যবানটা কে?
প্রথম সুযোগেই দেখা করতে চাই।
ডিসেম্বরে আইভোরি কোস্ট যাব ইনশাআল্লাহ।
হিংসা হচ্ছে তার জন্য।
হিংসা হচ্ছে লেখককে - এই জন্য যে বন্ধুকে নিয়ে এমন করে প্রকাশ করতে পারি না।
জয়তু.... :salute:
Life is Mad.
আমি আড়ালে আপনেরে কইয়া দিমুনে-আন্দালিব ভাই লজ্জা পাইতে পারে 😉
লজ্জা পামু কেন? 😛 তয় কলেজেও এরকম হইতো, অনেক কাহিনী শুনতাম যেগুলার মানুষগুলাকে চিনতে পারতাম না। সেইরকমই নাহয় হইলো! 😉
সায়েদ ভাই, হিংসা করেন না। আপনার প্রিয় বন্ধুটা নিশ্চয়ই টের পায়! সেটাই অনেক বড়ো ব্যাপার! প্রকাশে কী যায় আসে?
আন্দালিব ভাই,আপনার প্রিয় বন্ধু আমারো খুব,খুব প্রিয় একজন সিনিয়র।সহজ সরল আর বিশাল হৃদয়ের এই মানুষটার সাথে অনেক শঠতা করা হলেও বিধাতাপুরুষ আপনার মত একজন বন্ধু দিয়ে তার সবটাই যেন পূরণ করে দিয়েছেন!
শঠতা হলেও সেটা ধারণ করার শক্তি তার মাঝে ছিলো। আমি সেই সময়ে শুধু তাকে বলতাম যে এই দুঃসময়টা সাময়িক, অতি শিঘ্রি কেটে যাবে। 🙂
দুরো মিয়া আর ৬ দিন পরে উত্তর দিতেন! 😕
আমার আসলেই রসবোধ কম! 🙁
বাহ, চমৎকার প্রকাশ করেছ তো, কোন লজ্জা পাও নি। আমরা তো এইগুলা বলতে লজ্জাই মরে যাই।
তোমাকে, তোমার বন্ধুকে এবং তোমার লেখনিকে :salute:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কী ভূতে পাইছিলো, কে জানে, ফয়েজ ভাই! আমি লেখার সময়ে এতো কিছু ভাবি নাই। এই অনুভূতিগুলো সামনা সামনি কাউকে বলা সম্ভব না। ইন্টারনেট ভালো জিনিস, এখন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। 😀
এক বছর দেরি হলো, তবু আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
অসাধারন লেখা। মনে হয় না আমাদের এরকম অনূভুতিগুলো এভাবে প্রকাশ করতে পারতাম।আমারো সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু নিয়ে অনূভুতি গুলো একি রকম। লেখার প্রেরনা পেলাম
লিখছিলেন নাকি? আমার পড়া হয় নাই। এইটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ রবিন ভাই।
বাহ!চমতকার
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
'ইশ', আমারে নিয়া কেউ যদি লিখত এমন কইরা ... :dreamy:
আন্দালিব, আমার মনের এই 'ইশ'টাই লেখকের প্রাপ্তি।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
হুম, কাউকে আফসুসে ফেলে দেয়াটা লেখকের জন্যে বিরাট কৃতিত্ব! ;;;
তাইফুর ভাই, টিটো , আন্দালিব
আপনারা তো মিয়া মানুষ খারাপ। :grr: :grr: এতোদিন সিসিবিতে ধুনফুন লেইখা পাবলিকরে বহুত ঘোল খাওয়াইছি। কিন্তু আপনারা দিলেন তো আমার জারিজুরি সব ফাঁস কইরা।
এতো ভালো না লিখলে কি এমন ক্ষতি হয়। :grr: :grr:
ধুর , ক্যাম্নে কী। এইরম করলে খেলুম না কইলাম। 🙁
এই লেখাটা ব্লগে প্রথম দিকে লিখেছিলাম, তখন মন্তব্য করা, জবাব দেয়ার বিষয়গুলো ঠিক বুঝতামও না।
কামরুল ভাই, যেই কমেন্ট করছেন! আমি এক্সট্রা কিসু কইতে গেলে ডিগবাজি দেওন লাগবো। হা হা হা ;;;
হাহাহা কইরা চোখ মারতেছোস, ডিগবাজির জন্যতো এইটাই যথেষ্ট :grr: :grr:
কি আন্দালিব, নিজে ডিগবাজি দিবি না জামাইরে :frontroll: :frontroll: দেওয়াইবি 😀 :))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তুমি মামা ঘোল খাওযার মতই লেখ.....শুধু শুধু বিনয় দেখাইতাছোস :chup: :chup: :chup:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
লাজুক মানুষতো। নিজের ঢোল নিজে পিটাইতে পারেনা। এই জন্য মনে হয় এই ধান্দা ধরসে। 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সিনিয়রকে ধান্ধাবাজ বলায় জিহাদের জামা কাপড়, প্যান্ট, শার্ট ,খেতা, বালিশ শুদ্ধা ব্যান চাই। :grr: :grr:
কামরুল ভাই-আসেন ব্লগে এট্টা এন্টি জিহাদ সমিতি খুলি x-( x-( x-(
চমৎকার লাগলো পড়ে। এরকম করে লিখতে পারাটাও দারুণ। আন্দালিবকে অভিনন্দন।
www.tareqnurulhasan.com
অনেক ধন্যবাদ তারেক ভাই।
বন্ধু নিয়ে লেখা সব কিছুই আমার কাছে অসাধারণ লাগে। এইটা অসাধারণ টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোমাকে থ্যাঙ্কু টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি। 😀
ভাই মন ছুয়া লিখা। অনেক ভাল লাগল পড়ে।
আমারও ভালো লাগলো এক বছর বাদে তোমার কমেন্টটা দেখে! 🙂
অসাধারণ বল্লেও কম হবে!
খুব খুব ভালো লাগল।
:clap: :clap: :clap:
তানভীর ভাই, "পথে হলো দেরি"। তখনকার এই কমেন্টটার জবাবে আমার শুভেচ্ছা নেন। ভালো থাকেন!
ওি আন্দা জবাবটা আড় ছয়দিন পরে দিতি। তাইলে কমেন্ট পাও্যার এক বছর পূর্তি হইতো। 😀 😀 😀
এক বছর অপেক্ষা করাইছি। আরও ছয় দিন ওয়েট করাইতে চাইলাম না! ;;; 😀
this is a great quote....
lekhata pore kub valo laglo..
bondur jonnoo :salute: :salute:
সিরাজ ভাই, বন্ধুটা আমার আসলেই অনেক ভালো। এমন বন্ধু জীবনে আর পাবো না, এটা আমি নিশ্চিত!
আমরা কলেজে এই রকম বেস্ট ফ্রেন্ডগুলারে বাটারবন বইলা ডাকতাম। কারণ বাটার আর বনের মতোই এরা একজন আরেকজনের সাথে লাইগা থাকত। :grr:
লেখা ভালো হইছে আন্দালিব। 🙂
হা হা হা! বাটার বন!! ভালো নিকনেইম তো! 😀
চমৎকার!!
তোমাকে, তোমার বন্ধুকে এবং তোমার লেখনিকে :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
একবছর পরে কী বলেন কাইয়ূম ভাই?? :))
একবছর পরে,
চমৎকার!!
তোমাকে, তোমার বন্ধুকে এবং তোমার লেখনিকে :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:boss: :hatsoff:
ভীষণ ভালো লাগলো। তুমি ও তোমার বন্ধুর জন্য শুভকামনা। :gulli: :gulli2:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অনেক ধন্যবাদ সানাভাই! :hatsoff: :hatsoff:
কি অসাধারণ একটা লেখা। অনেকক্ষণ পর পড়লাম।
আমিও অনেক অনেক ক্ষণ পরে জবাব দিলাম! 😛
🙂 🙂 🙂 🙂
অদ্ভুত সুন্দর লিখাতো।
একবছর পরে কমেন্ট পেলে কেমন লাগে! এই অনুভূতিটাকেই বোধহয় অনির্বচনীয় বলে। ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না আয়েশা আপু।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভাশীষ রইলো আপনার জন্যে।
তোমার এই লেখাটা কিভাবে চোখ এড়িয়ে গেলো, তাও বন্ধু নিয়ে লেখা,
আসোলেইতো এক বছর পর প্রায়।
অসম্ভব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছো তোমাদের বন্ধুত্ব, এমন বন্ধু পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার।
যদিও সিটপ্ল্যানে না বসালে, হয়ত তুমি তাকে বুঝতেও না এমন করে 🙂
অবশ্য আমিও অনেক ভাগ্যবতী কারন আমি এমন একজন বন্ধু পেয়েছি যাকে খুব কাছের বন্ধু করতে আমার সিটপ্ল্যান বা ৬ বছর একসাথে সুখ দুঃখে থাকতে হয়নি। 😀
দেরীতে হলেও তোমার আর তোমার বন্ধুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সব কৃতিত্ব আয়েশা আপুর। উনি কমেন্ট করলেন বলে আমারও চোখে পড়লো যে সেসময়ে কারো কমেন্টেরই জবাব দেয়া হয় নাই।
সিট প্ল্যানে না বসালে হয়তো আসলেই এই বন্ধুত্বটা হতো না। আলাদা হাউসের ছেলেদের মাঝে সবসময়েই একটা প্রতিযোগী মনোভাব কাজ করে। হাউসের বন্ধুদের সাথে এজন্যে একাত্মতাও বেশি ঘটে। একমাত্র ক্লাসেই দেখা যায় দিনের একটা লম্বা সময় হাউস ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসাথে থাকে। তাই সেই সীট প্ল্যানটার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ! 😀
আপনার বন্ধুর জন্যেও শুভকামনা দিহান আপু। সকলে ভালো থাকেন।
সবাই দেখি ভাগ্যবান এবং ভাগ্যবতী। কেউ সিট প্ল্যান সহ, কেউ সিট প্ল্যান ছাড়া 😛
এনিওয়েইজ, আমিও ভাগ্যবান এবং হ্যা, সিট প্ল্যান ছাড়াই 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তা যা বলেছেন, কাইয়ূম ভাই =))
এইবার তুইও লিইখ্যা ফেল, তোর সিট প্ল্যান ছাড়া বন্ধুরে নিয়া ;))
হ, কাইয়ূম ভাই আর লিখছেন! আপনি বইসা থাকেন সেই আশায়! :grr:
সেমিষ্টার সিষ্টেম মাইনা চলে দেইখ্যা লেখা দেরিতে আইতাসে, 😛
তুমি দেইখো, আমার ভাই লেখা দিবেই 😀 B-)
ঈশ্.......এমন করে যদি লিখতে পারতাম........
😀
এমন করে না লিখলেও নিজের মতো করে লিখতে পারবা। লিখে ফেলো, আমরাও পড়ে এরকম আফসুস করি।
এটা আপনার সবচেয়ে ভালো লেখা....(আমার বোধগম্য!!!!! 😀 কবিতা গুলো সব মাথার উপর দিয়ে যায় কিনা!!!!!!!! )
হুম। হতে পারে। সম্ভবত এটাই আমার সবচেয়ে ভালো লেখা। 🙂 :hatsoff:
কেমনে কি...... 🙁
এই রকম একটা লেখা আগে দেখলাম না ????
:bash: :bash: :bash: :bash: :bash: :bash:
মাথা তো ঠুকে ঠুকে ভেঙেই ফেলবা দেখি! 😕
যাক এখন তো দেখলে, পড়লে। এটাই বা কম কীসে? 🙂
খুব সুন্দর হয়েছে ভাইআ।নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
:boss: :boss:
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ফারহানা। ভালো থেকো। 🙂
আন্দালিব,
চ্যালেঞ্জ রইলো...(ইমো নাই ক্যান??) :dreamy: :dreamy:
পারলে এই রকম আরেকটা ভালো লেখা লিখে দেখা তো!!! (অবশ্যই আমারে নিয়া!!!)
সম্ভব নয়... :no: :no: :no:
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :salute: :salute: :salute:
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
জুলহাস ভাই, আগেই স্বীকার করে নিয়েছি যে এটাই আমার সবচেয়ে ভালো লেখা আর এর চাইতে ভালো লেখা আমার দ্বারা লেখাও হবে না হয়তো।
:no:
তার মানে কি রে? 🙁 🙁
তুই আমারে নিয়া তাইলে কবে লিখবি!!!! :no: :no: :no:
মেরা নাম্বার কাব্ আয়েগা রে ছুড বৃক্ষ !!! 😕 😕 😕
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
আইবো আইবো, অতি শিগগিরি 😛
জুলহাস ভাই, দিহান আপু কনফিডেন্ট। নিশ্চয়ই লেখা আসবে! ;))
;;) ;)) ;))
আমিও আপনের বন্ধু সিপি ভাইরে মিস্করি 🙁 🙁
সিপি এখন ঢাকায় আছে। পিলখানায় পোস্টিং। মাঝে মাঝে এখন ওর সাথে দেখাও হয়! :awesome:
অবশ্য লগে টু-বি-পত্নী থাকে বলে খাইস্টা জুক্স গুলা বলতে পারি না! :thumbdown:
আন্দা,লেখা টা অসাধারন হইসে.পড়েই বুঝেসি সে কে ..তবে তোমার সেই প্রিয় বন্ধু খুবই ভাগ্যবান তোমার মত এমন বন্ধুর জন্য,যে এত সুন্দর করে মনের কথা প্রকাশ করতে পারে.. :hatsoff: .
আতিক ভাই, আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো বুঝতেছি না। আপনাদের সবাইকেই আমি এতো মিস করি। সেই সময়ের সবকিছুই এখন মনে হয় ফিরে পেলে অসামান্য হতো!
ভালো থাইকেন ভাই, যেখানেই থাকেন সুখে থাকেন! 🙂
আতিক ভাইকে সিসিবিতে মন্তব্য করতে ডেকে আঞ্ছি এই আমি,গতকালকে ফেসবুকে ফিনল্যান্ডের(আতিক ভাইয়ের বর্তমান বাসস্থান) ললনাবিষয়ক গুরুগম্ভীর আলোচনার সময় উনাকে সিসিবি নিয়ে অনুপ্রানিত করি :grr:
আতিক ভাইয়ের সাথে এর কাছাকাছি সময়ে আমারও কথা হইতেছিলো!! হা হা হা :))
সব কৃতিত্ব আয়েশা আপুর। 🙂
অবশ্যই!! :boss:
আপনি কমেন্ট না করলে আমার নিজেরও জানা হতো না যে এই পোস্টের এই অবস্থা! :))
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :clap: :clap: :clap:
আরে নির্ঝর! অনেক ধন্যবাদ ভাই। পড়ার জন্যে।
আন্দা ভাই,সিপি ভাইয়ের প্রোফাইল ঘুইরা আইসাই কেম্নে কেম্নে এই লেখা চোখে পড়ল 🙂 আবারো বলি- অ-সা-ধা-র-ণ লেখা। আর আপনার বন্ধুটাও অসাধারণ,আমার দেখা সেরা অলরাউন্ডারদের একজন।আপনাদের বন্ধুত্বকে আবারো সেলাম।
খুব সুন্দর হইছে ভাইজান।নস্টালজিক হয়ে গেলাম.......
সবাই সব কইয়া ফালাইসে তাই সবচেয়ে ভালো লাগায় আরেকজনের comment টাই copy-paste মাইরা দিলাম........(sorry, FARHANA আপু) 🙂 🙂
:boss: :boss: :boss: :boss:
কি চমৎকার একটা লেখা...আবার পড়লাম...
কি চমৎকার একটা লেখা…১ম পড়লাম… :boss:
একটা ইংলিশ গান শুনেছিলাম-
'Lean on me, when you're not strong, and I'll be your friend, I'll help you carry on, for it won't be long, 'til I'm going to need somebody to lean on'
কলেজের বন্ধুরা সব এমনই...একে অন্যের কাধে ভর করে চলতে হয়
বন্ধুদের অনেক মিস করি ......ভাই আমি আপনার প্রিয় বন্ধুর হাউসেরই ১জন...
আপনার লেখা পরে মন খারাপ হয়ে গেল...
এই লেখাটায় আমার কমেন্ট নাই দেহে অবাক হলাম, অনেক আগেই পড়েছিলাম, দারুন একজন মানুষ্কে নিয়ে দারুন একটা লেখা। ওর উপরে ভর করেই বলা যায় গত বছর পাঁচ মাসের একটা কোর্স পার করে এসেছি 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷