আইসিসি ফুটবল কম্পিটিশন ১৯৯৭ এর প্রস্তুতি পর্ব। অনেকটা সময় ছিল বলে তখনও মূল দল নির্বাচন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্যাপে আমরা বুট শিনগার্ড ইস্যু করে টুকটাক প্রাকটিস শুরু করেছি। কোন এক শুক্রবার সকালে ঘন্টা দুয়েক খেলাধুলা করে হাউসে আসতেই শুনি হাউস মাস্টার আর জনাদু্ই হাউস টিউটর মিলে আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির তফছড়া করছেন। ১৯৯২ এর পর থেকে এই পর্যন্ত কোন আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে নাটকের জন্য সিএডি’র মতোন যে সাজ সাজ রব পড়ে যাওয়ার কথা তার বিন্দুমাত্র উপস্থিত নেই। ব্যাপারটার দিকে মনোযোগ দেয়ার কোন কারণই ছিল না। কিন্তু জুমার নামাজ ও লাঞ্চ নাগাদ মনোযোগ দিতে বাধ্য হলাম। কারণ মোস্তাফিজ স্যার (ইংরেজি) আমাকে ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য মনোনিত করেছেন!
ব্যাপারটা আমার জন্য যতটা না বিস্ময়কর তার চাইতে বেশি বিরক্তিকর হয়ে দেখা দিল। একটা বিতর্ক আর একটা নির্ধারিত বক্তৃতা (যেটাতে একটা ইডি পর্যন্ত খেয়েছিলাম 😛 ) ছাড়া আর কিছুতে আমি নিজে কখনো কোন কিছু পারফর্ম করার জন্য স্টেজে উঠেছি এমনটা আমার শত্রুও বলতে পারবে না। স্টেজের পিছনেই আমার যত লমফঝম্ফ যত দৌড়াদৌড়ি। সেই আমাকেই যখন বলা হল আবদুল্লাহ আল মামুন রচিত “তোমরাই” নাটকের ‘টিকটিকি’ (পুলিশের গোয়েন্দা আর কি) চরিত্রে অভিনয় করতে হবে তখন সেটাকেই দুনিয়ার সবচাইতে পিকুলিয়ার প্রস্তাব বলে মনে হল। ক্যাম্নে কি নিজেই বুঝি না। মোস্তাফিজ স্যারসহ কয়েকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে ইহজনমে অভিনয় কাজটা আমি কখনো করি নাই। কিন্তু সময় নষ্ট ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হলো না।
যথারীতি হাউস কমন রুমে আমাদের নের্তৃত্বে রিহার্সাল শুরু হল। সারাদিনে দুটো সময়ে চলে এই রিহার্সাল। প্রথমটা আফটারনুন প্রেপ টাইমে আর দ্বিতীয়টা রাত দশটার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ক্লাস সেভেনে আসার পরপর যেই নাটক প্রতিযোগিতাটা পেয়েছিলাম সেটাতে আমাদের কারও অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি। পরবর্তী বছরগুলোতে কোন নাটক প্রতিযোগিতা হয়নি বলে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ঝুলিও ছিল শূন্য। কিভাবে কি করলে যে ভালো ফল পাওয়া যাবে তা ভাবতে ভাবতেই চলে গেল কয়েকদিন। মূল নাটকটির কয়েকটা দৃশ্য বাদ দিয়ে, কিছু নারী চরিত্র কমিয়ে দিয়ে আমাদের উপযোগী করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বন্ধু মোরশেদ হলো নায়ক – শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, শরীফ হলো ভিলেন – ৭১ এর রাজাকার, রিয়াজ হলো নায়কের মা, আর আমি ছিলাম পুলিশের টিকটিকি 😀 । দেখতে দেখতে অন্যান্য ক্লাসের ইসলাম, আনিসসহ মোট ১৫/১৬ জনের একটা টিম দাঁড়িয়ে গেল (বাকি সবার নাম মনে নেই বলে মাফ চাইছি…….)।
লাইব্রেরীতে “তোমরাই” এর যেই বইটা ছিল সেটা চলে আসল আমাদের হাতে। তখন ফটোকপি করানোও ছিল এক মহা ঝামেলার বিষয়। তাই আলাদা আলাদা প্রত্যেককে স্ক্রিপ্ট সরবরাহ করতে সাহায্য নেয়া হলো ভালো হাতের লেখাওয়ালা জুনিয়রদের। নিজের ডায়লগগুলো ভালো করে বোঝার জন্যই আমি মূল বইটা নিয়ে বসেছিলাম কপি করতে। পাম্ফলেট সাইজ কাগজে নিজের ডায়লগগুলো তুলে ফেলতেই পুরো নাটকটা একলাফে চোখের সামনে চলে আসল। সহ অভিনেতার কোন কথার পর আমার কোন কথা বলতে হবে তা নখাগ্রে চলে এলো। প্রতিটা ডায়লগ ধরে ধরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার সুযোগ হলো। কোথায় কি এক্সপ্রেশন দিতে হবে, কোন ডায়লগের সময় কার অবস্থান কোথায় হবে, আনুষাঙ্গিক কি কি জিনিসপত্র রাখতে হবে – স্যারদের পরামর্শ, নিজের ও টিমের সবার মতামত নিয়ে এসব ঠিক করা হলো।
এর মধ্যে মাথায় নতুন চিন্তা যোগ হলো শরীফকে নিয়ে। ও অভিনয় করবে না। মান অভিমান ভাঙ্গানোর লম্বা চেষ্টার পর আমরা সবাই গালে হাত দিয়ে বসে আছি। তখন কার মাথায় যেন এক বৈপ্লবিক চিন্তা খেলে গেল – আমার চেহারা, ভাবভঙ্গি নাকি ভিলেনের সাথে ভালো স্যুট করে! টিকটিকি চরিত্রে আমার যে পার্ফমেন্স তার থেকে নাকি আমি অনেক ভালো দেখাতে পারব ভিলেন চরিত্রে!! জুতসই কোনরকম প্রতিবাদ করার আগেই মোস্তাফিজ স্যারসহ হাউস মাস্টার পর্যন্ত এই সংশোধনী চলে গেল। নিজেকে একটা চরিত্রের সাথে সেট করে ফেলার পর আরেকটা চরিত্রে আবার কেঁচোগন্ডুষ করতে হল। আগে তো না হয় মাত্র দুইটা দৃশ্যে চেহারা দেখাতে হতো, এখন তো পাঁচ পাঁচটা দৃশ্য। আবার শেষ দৃশ্যে নায়কের গুলিতে মরতেও হবে! [নাটকটার আরেকটা যেই জট্টিল কমপ্লেক্স দিক ছিল তা হলো, নায়িকা সম্পর্কে ভিলেনের মেয়ে 😛 !!]
মোরশেদ, আমি আর রিয়াজ এই নাটক নিয়ে গল্প করি, পরিকল্পনা করি, ড্রেস আপ – গেট আপ ঠিক করি, স্টেজ কেমনে সাজানো যায় সেটা নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলি। চারু ও কারুকলার স্যারসহ অন্যান্য সিনিয়র স্যারদের কাছে দৌঁড়াই অভিজ্ঞতা জানার জন্য। রাতে প্রেপের পর মুহূর্তকাল দেরী না করে চলে যাই কমন রুমে। সেখানে চলে রিহার্সালের পর রিহার্সাল। অগ্রগতি দেখার জন্য সেখানে স্যাররাও থাকেন মাঝে মাঝে। মেটাল পালিশ ঘষে যেমন করে ক্যাপব্যাজ চকচকে হয়ে ওঠে আমরা সবাই তেমনি প্রাকটিসে প্রাকটিসে চকমকে হয়ে উঠি। এক পর্যায়ে প্রম্পট ছাড়াই আমাদের নাটক সাবলীলভাবে চলতে থাকে।
ফাঁকে ফাঁকে চলে মুড়ি চানাচুর খাওয়া আর অন্য হাউসের প্রিপারেশন দেখা। রহমানের “ড্রিম টিম” এর মতোন শরীয়তউল্লাহ হাউসের নাটকে বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীই ছিল আমার ক্লাসমেটরা। ওখানে যেয়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে য়েতে মোটেও বেগ পেতে হতো না। এমনও হয়েছে যে আমি যেয়ে ওদের নাটকের রিহার্সালের সময় প্রম্পট করছি, টুকটাক গ্রহণযোগ্য সাজেশন দিচ্ছি। এই করে করে রাত কাবার হয়ে যেত। [সরোয়ারকে গুঁতাচ্ছি ওদের গল্পটা লিখে সিসিবি’তে দেয়ার জন্য। একটা নাটক হয়েছিল বটে “ওরা কদম আলী” – আমার দেখা কলেজের শ্রেষ্ঠ নাটক।]
ততদিনে স্টেজে রিহার্সাল শুরু হয়ে গেছে। নাটক মঞ্চস্থ হবার মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললাম – ফুটবল মাঠে স্ট্রাইকার শাহাবকে আটকাতে যেয়ে কপাল ফাটায়ে ফেললাম। ফলাফল কপালে দুইটা স্টিচ (সেটা দেখে আতাউর স্টাফ চোখ টিপে কমেন্ট করেছিলেন, “তোমার বৌ এটা খুব পছন্দ করবে” 😡 )। এতে আমার যত না টেনশন তার চাইতে বেশি অস্থির হয়ে পড়লেন হাউস টিউটররা – বিশেষ করে মোস্তাফিজ স্যার, ওয়াহিদুজ্জামান স্যার (চারু ও কারুকলা) আর হাউস মাস্টার শিকদার স্যার (ইংরেজি)। সন্ধ্যার সময় সবাই অডিটোরিয়ামে একনজর করে দেখে গিয়েছিলেন আমাকে। দুই পায়ে চড়ে এবং করে খেতে পারছি দেখেই তারা সন্তুষ্ট। রিহার্সাল আমার জন্য আটকে থাকেনি (উভয় অর্থে)।
নাটকের দিন সকাল থেকেই স্টেজ তৈরীর হ্যাপা শুরু হলো। একটা মাত্র স্টেজে লাইটিং এর ভ্যারিয়েশন দিয়ে একাধারে রাজপথ, কাপড়ের দোকান ও ভিলেনের সুসজ্জিত ড্রইং রুম দেখানোর ব্যবস্থা হলো। নাটকের প্রয়োজনে স্যারদের বাসা থেকে আসল কাপড় চোপড় (সেলোয়ার কামিজ, শাড়ী, ধুতি, আলখাল্লা, জিন্নাহ টুপি ইত্যাদি), সোফার কুশন সেট, খেলনা পিস্তল থেকে শুরু করে অনেক কিছু। সন্ধ্যার আগে আগে স্টিচটাকে ডিসটার্ব না দিয়ে কপালের উপর থেকে ব্যান্ডেজটুকু তুলে ফেললাম। লম্বা আলখাল্লা গাযে চড়িয়ে বসে পড়লাম ওয়াহিদুজ্জামান স্যারের সামনে। স্যার এ্যায়সা করে দাঁড়ি লাগিয়ে দিলেন, চুল পাকিয়ে দিলেন। সেটা নিয়ে জিন্নাহ টুপিটা মাথায় দিয়ে আমি প্রস্তুত হয়ে গেলাম জীবনের প্রথম মঞ্চ অভিনয়ের জন্য।
স্টেজের পরোক্ষ আলোয় দর্শকদের চকচকে চারশ জোড়া চোখ দেখে নাটকের প্রথমে একটু তাব্দামতোন খেয়ে গিয়েছিলাম । কিন্তু সহঅভিনেতার ডায়লগে নাটকে ঢুকে যেতে দেরী হয়নি। কোনরকম বিপত্তি ছাড়াই নাটকে সবাই যার যার পার্টটুকু অভিনয় করে যায়। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে আমার স্মৃতিতে “তোমরাই” তোলা থাকে ‘অসামান্য’ রেটিং নিয়ে। গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে আবদুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে করতে ফিরে গিয়েছিলাম এগারো বছর আগের সেই মোহনীয়, আর কোনদিন ফিরে না আসার দিনগুলিতে।
1st :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
পরে টিকটিকি চরিত্র কে করেছিল?????
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
কে করছিল 😕 😕 ??? চেহারা মনে আছে - চুপচাপ পোলাডা :bash: :bash: :bash: :bash: ।
তুমি কিসে আছিলা যেন??
Life is Mad.
টিকটিকি হিসেবে সম্ভবত আমার ফার্স্ট ডায়লগ ছিল
ডায়লগ দেয়ার পর আপনেই তো কইছিলেন যে, তোমার এইটা গোয়েন্দা পুলিশের চরিত্র, মাতালের চরিত্র না। মাতালদের মত ডায়লগ দাও ক্যান?
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আবারও বলি....... 🙁 🙁
থ্যাংকস।
Life is Mad.
আপনিই তো মনে হয়......(খুব সম্ভবত...ভুল হইলে মাফ কইরা দিয়েন)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপনিই তো মনে হয়……(খুব সম্ভবত…ভুল হইলে মাফ কইরা দিয়েন)
টিটো ভাইকে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
নাহ! ঠিকই আছে
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
নাটক এর পরে অনেক হয়েছিল...আমাদের সময় আমরা ৪ টা নাটক করেছিলাম...পুরনো কথা মনে পরে গেলো...চমৎকার লিখেছেন... :clap: :clap: :clap:
ধন্যবাদ ব্রাদার।
Life is Mad.
সায়েদ,
যাক তোমার আরেকটি দিক সম্পর্কে জানলাম... আমি ভাবলাম তোমারে আবার নায়িকার চরিত্রটা দিল কিনা...
যাহোক, তোমার লেখাটি পড়ে ফিরে গিয়েছিলাম ১৯৮৮ সালে, যখন বরিশাল ক্যাডেট কলেজে প্রথমবারের মত আন্তঃহাউস বাংলা ও ইংরেজী নাটক প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছিলো। আমরাও ঠিক এমনটাই করতাম যেমনটা তুমি লিখেছ। সেবার শরীয়তউল্লাহ হাউস করেছিল "তোমরাই", শেরেবাংলা হাউস "ওরা কদম আলী" এবং সোহরাওয়ার্দী হাউস করেছিলো "সু-বচন নির্বাসনে"। তিনটি নাটকই ছিল অদ্ভূৎ সুন্দর।
সম্ভবত ১৯৯০ থেকে ইংরেজী নাটক বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আর ১৯৯৩ থেকে বাংলা নাটক ও বাদ হয়ে আন্তঃহাউস সাস্কৃতিক প্রতিযোগীতার শুরু হয়েছিল। নাটকে আমাদের অবস্থানটা এতই শক্ত ছিল যে আমরা মাঝখানে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজের সাথে সাস্কৃতিক বিনিময় ও শুরু করেছিলাম। ওরা আমাদের মঞ্চে আর আমরা ওদের মঞ্চে। খুবই মধুর ছিল সেই দিনগুলো।
খুবই ভালো লাগলো শুনে যে আবার নাটক প্রতিযোগীতার প্রচলন হয়েছিল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমধুর সেই দিনগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য।
ক্লাস টুয়েলভে উঠি উঠি করতেছে এমন কেউ নায়িকা হইলে তো....... 😀 😀 😀 😀 ।
ক্যাম্নে কি!!!!!
নাহ আর পারি না।
বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ আর বিএম কলেজের (যদি ভুল না হয়) সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিনিময় খুব ভালোভাবে মনে আছে। হারুন ভাইয়ের অসাধারণ গান শুনে ওরা যেভাবে ওয়ান মোর ওয়ান মোর করেছিল তা কলেজে বসেও টের পেয়েছিলাম। আর আপনের কথা নাই বা বললাম। বিএম কলেজ থেকে যেদিন ওদের সাংস্কৃতিক দলটা কলেজে এসেছিল সেদিন কলেজ এক্কেবারে রঙে রঙে রঙ্গিলা 😛 😉 😉 হয়ে গেছিল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আহসান ভাই।
Life is Mad.
নাটকের ড্রইং রুমে একটা ঝাক্কাস পোস্টার লাগানো হয়েছিলো, ওটাও মনে হয় কম হিট হয় নাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আফসোস সেই সময়ের কোন ছবি নাই আমার কাছে 🙁 ।
Life is Mad.
জামান স্যার আছে সেই আমাদের সময় থেকে। অডিটরিয়ামটা জামান স্যারের হাতেই করা।
সায়েদের প্রোফাইল পিক দেখে তো প্রথম মনে হইছিল নায়ক নায়ক চেহারা। এখন কেন জানি ভিলেন ভিলেন লাগতাছে 🙁
বরিশালে নাটক শুরু করেছিলাম আমরা প্রথম। মামুনুর রশীদের লেখা একটা নাটক। নামটা মনে পড়ছে না। আমি ছিলাম পথচারি। ২ লাইনের ডায়লগ ছিল, সেটাও ভুল করছিলাম। তারপর নিজে নিজে ডায়লগ বানাইয়া ছাইড়া আসছিলাম। x-(
বলেন কি মাসুম ভাই!!!! বরিশালের নাটকের ইতিহাসতো তাইলে বহুৎ পুরানা...
বস পাবলিকদের ব্যাপার স্যাপার ই আলাদা...
তাও ভালো........প্রথম দেখাতেই টিকটিকি টিকটিকি লাগে নাই :khekz: :khekz: ।
Life is Mad.
কলেজে থাকতে আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র রাজীব ভাইয়ের অভিনয় করা 'অবাক জলপান' নাটকটার কথা এখনো মনে আছে।
"আচ্ছা জল পাই কোথায় বলতে পারবেন"? 😀 😀 :)) :))
Life is Mad.
😀 :)) :))
ঠিক ধরছেন বস।
এইতো আমার স্বপ্নের চরিত্ররা বেরিয়ে আসছে। :boss:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:guitar: :guitar: :party: :party: :hug: :hug:
Life is Mad.
জটিল লিখছিস সায়েদ
মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে দেখেছি ঘটনাগুলো। জীবন্ত বর্ণনা দোস্ত :boss:
আমাদের কলেজে দেখা জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন আর অবাক জলপান এখনো যেন চোখের সামনে ভাসেরে।
আমরা একবার হাউসে আমাদের মাশেকের ডিরেকশনে খ্যাতির বিড়ম্বনা করেছিলাম। মজাই হয়েছিলো খুব 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
থ্যাংকু বন্ধু।
এর জন্য যত না আমার লেখা দায়ী তার চাইতে বেশি দায়ী "সব রসুনের...........এক জায়গায়" 😀 😀 😉 এই প্রবাদটা -
Life is Mad.
আমাদের সময় হিট নাটক হইছিলো নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের 'ভাড়াটে চাই'। আমি ওইটাতে লাস্ট সিনে একবার উকি দিছিলাম, নায়কের বন্ধু হইয়া। 🙁
আরেকবার এক নাটকে আমারে নৃত্য পরিচালক বানাইয়া দেয়া হইছলো। এমন নৃত্য পরিচালনা করছিলাম, পুরা অডিটরিয়াম কাইত হইয়া গেছিলো। :tuski: :tuski:
কি নৃত্য? কি নৃত্য?? 😀 😀
Life is Mad.
এই নাটকে আমিও আছিলাম। আমাদের আনিস ছিল নায়িকা 😀 । আমি আছিলাম কাপড়ের দোকান অথবা রেষ্টুরেন্ট এর কর্মচারী B-) । ২টা সিন আছিল আমার। মাগার এখন নাটকের পুরা কাহিনী ভুইলা গেসি :bash: :bash: ।
নিজের সামনে ঘটা ঘটনা গুলা ১১ বছর পর পড়ার যে কি অনুভুতি তা বুঝান সম্ভব না। :tuski: :awesome: :guitar: :tuski: :awesome: :guitar:
ননী বাবুর কাপড়ের দোকান........... 🙂 ।
ঐখানে তোমার এ্যাকটিং এর চাইতে তো 'মিস্টার বিন' সংক্রান্ত ব্যাপার স্যাপার আমার বেশি মনে পড়তেছে 😀 😀 😛 😛 :awesome: :awesome: ।
দূর্দান্ত হইতো :thumbup: :thumbup: ।
Life is Mad.
দোস্ত,
তোর এক অঙ্গে কত রূপ 😮 ??? আগেরবার বলেছিলি ক্লাস সেভেনে ছিল তোর রিনরিনে গলা 😉 ;;) যা দিয়ে সিএডি করলি, এরপর করলি বিতর্ক, বক্তৃতা, কলেজ ফুটবল টিমেও ছিলি, তার উপরে এখন আবার দেখছি তুই বিরাট অভিনেতাও। আর তোর লিখার হাতের ব্যাপারে (বিশেষ করে টুশকি :tuski: সিরিজ) নাই বা বললাম। সিসিবি পাঠকরাই ভাল জানে। তুই তো বহুরূপী দেখছি :thumbup: :thumbup:
ভাবী কি এখন সত্যিই খুব পছন্দ করে ;;) ???
নাহ তুই মানুষ চিনলি না 😕 । বিতর্কে হইছিলাম সিক্সথ =(( । আর বক্তৃতায় খাইছিলাম ইডি =(( =(( । কলেজ ফুটবল টিমে আবার কবে আছিলাম 😮 😮 ??
দুঃখ তো এইখানেই রে =(( .........আমার বৌ এইডা তো দ্যাখেই না উল্টা ঝামটার উপর থাকে :bash: :bash: ।
Life is Mad.
আমি আরও অনেক কিছু পারি যা তোরা এখনও জানিস না 😉 ।
এই যেমন আমি দাঁত ব্রাশ করতে পারি, জুতার ফিতা বাঁধতে পারি, নিজ হাতে শেভ করতে পারি।
তারপর ধর মোবাইল চার্জ করতে পারি, একা একা গোসল করতে পারি ..... এইরকম আরও অনেক কিছু পারি 😉 😉 😀 😀 😀 😛 😛 ।
Life is Mad.
হ বুঝছি, তাইলে ডিমও পারিস 😉 😀 😛
আমরা নাটক প্রতিযোগিতা পাই নাই। 🙁 🙁 🙁
স্যাড 🙁 🙁 ।
Life is Mad.
বরিশ্যাইলা গুলার বাটে পইড়া কি কমেন্টামু বুইজ্জে পাইতেছিনা।
আমদের সময় দুইটাই ছিল, নাটক, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মাঝখানে ইনটেক ওয়ারী (হাউস না) সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা চালু হইছিল, ওইটা বন্ধ হইয়া গেছিল।
পুরা ছয় বছর ড্রামা সোসাইটিতে ছিলাম মামু। "আকাশের উপরে আকাশ" আর ওইখানে "যেওনাকো তুমি বল নাকো কথা ওই যুবকের সাথে" রিহার্সেল দিতাম আর ক্যামনে খাশির গোস্ত চিবামু, কাবাম খামু এই প্ল্যান করতাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমাদের কলেজে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে একটা নাটক হত। পরিচিত মুখগুলোর ভিন্নরূপ দেখে সবাই পিরা যাইতাম।
:boss: :boss: :boss: :boss:
Life is Mad.
B-)
এত বস বস কওনের কিছু নাই বুঝছ। নিজের ইচ্ছায় ড্রামা করছি এইটা তো কই নাই। প্রতি বছর সোসাইটি চেঞ্জ করতাম আর শ্রদ্ধেয় জয়নুদ্দিন স্যার ধইরা নিয়া যাইত ড্রামাতে। পরে এমন অবস্থা হইছিল, অন্য সোসাইটিতে নাম দিলে অই সোসাইটির স্যার ডাইক্কা জিগাইত জয়নুদ্দিন স্যার পারমিশন দিছে কিনা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এইবার হাসি দেই 😀 😀 :)) :)) ।
জয়নুদ্দিন স্যারের কি খাশি আছিল নাকি 😀 😛 ???
Life is Mad.
আরে না টিউব লাইট, সোসাইটি হইত বৃহস্পতিবার ভুইলা গেছ? আর বৃহস্পতিবার ডিনারের স্বপ্ন দেখতাম রিহার্সেল টাইমে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
😛 😛 😛 😛 এইবার কিলিয়ার হইছে 😀 😀 😀 ।
Life is Mad.
দারুন স্মৃতিচারণ।
আমাদের লিডিং এ আমরাও একটা নাটক কম্পিটশন পাইছিলাম। আমাদের হাউসের নাটকটাতে আবার নারী চরিত্রও ছিল। সেই নারীকে ধরে একটা ডায়লগ ছিল এমন, চল! ঘাটে নাও বান্ধা আছে। :grr: :grr:
তবে কলেজে দেখা সবচে দারুন নাটক, ওরা কদম আলী। সেই রকম লাগছিল।
থ্যাংকু।
😀 😀 😀 এমআইএসটি'র একটা "হাস্য নাটিকা"য় ভিলেন আর নায়িকার মধ্যে কথোপকথন মনে পড়ে গেল:
ভিলেন (নায়িকাকে টানতে টানতে): চল সুন্দরী, আমার ডেরায় চল।
নায়িকা: তোর কি মা বোন নেই?
ভিলেন: বহুত আছে। কিন্তু তোর মতো তো নেই....।
নায়িকা: শয়তান, তুই দেহ পেলেও মন পাবি না।
ভিলেন: হা হা হা .... মন কখন চাইলাম????
[অন্য একটা ভার্সনে ভিলেনের শেষ ডায়লগটা ছিল: "....অতেই চলবে" 😀 😀 ।]
*** 'ওরা কদম আলী'তে "কদম" চরিত্রে কে অভিনয় করেছিল?? আমাদের ওমর শরীফ সেই বোবা চরিত্রে বেস্ট এ্যাকটরের পুরস্কার পেয়েছিল।
Life is Mad.
কদম চরিত্রে অভিনয় করেছিল সোহরাওয়ার্দী হাউসের এজাজ ভাই।
আর আমাদের লিডিং এ করেছিল আমিন।
দুই জনেই বেস্ট। 😀
:gulli2: :goragori: :gulli2: :goragori:
সায়েদ ভাইয়ের লেখায় অদ্ভূত একটা টান আছে 🙂
জীবনে জেনারেল নলেজ কম্পিটিশন ছাড়া কোনদিন স্টেজে উঠিনাই। অনভ্যস্ততার জন্যই কীনা জানিনা জায়গাটার উপরে আমার বেশ ভাল রকমের ভীতি ছিল। কামরুল ভাইয়ের মত নায়কের বন্ধু হয়াও কোনদিন উঁকি দেয়া হয়নাই। 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:shy: :shy: 😛 😛 :shy: :shy:
Life is Mad.
সায়েদ ভাই, চমৎকার বর্ণনা। একদম চোখের সামনে ভাসছিল সবকিছু।
আপনি ভাই বস্ মানুষ, এত কিছু পারেন! :boss: :boss: :boss: