২০০৯ এর জানুয়ারী মাসটা সিসিবি’র জন্য একটি মাইলস্টোনের মাস হতে চলেছে…প্রতিদিন যে হারে পোস্ট আসছে তাতে হাজারতম পোস্ট হতে খুব বেশি হলে আর ১০/১২ দিন লাগবে।
আমি সিসিবি’তে যোগদান করেছিলাম ২০০৮ এর মাঝামাঝি সময়ে, তখন দিনে মনে হয় দুই তিনটার বেশি পোস্ট হত না…ধীরে ধীরে সদস্যসংখ্যা বাড়তে লাগল, সিনিয়র ভাইদের আনাগোনা জোরাল হতে লাগল, সেই সাথে তাল মিলিয়ে জুনিয়ররাও…শুধুই স্মৃতিমূলক লেখা থেকে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের লেখা আসতে আরম্ভ করল…মূলতঃ এটিই ব্লগটাকে করে তুলল গতিশীল…
শীতের চাদর
ছেঁড়া ছালা গায়ে দিয়ে
ঠাণ্ডা মেঝেতে শুয়ে আছে সে,
গায়ে বিঁধছে সূঁচের মতো
বরফ শীতল ঠাণ্ডা বাতাস
– তবু শিশু শুয়ে থাকে
অভ্যস্ত ভঙ্গীতে, কাঁপতে কাঁপতে ঠক ঠক;
শান্তির মা বাড়ি ফিরে গেলেন
শান্তির মা এই বাড়ি ছেড়ে গেছেন। দু’দুটো বছর আদরে-শাসনে বাড়ির সবাইকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। পানি-বিদ্যুৎ যেমন, না থাকলে চলে না; শান্তির মা ছিলেন তেমনি- এই বাড়ির হৃদপিন্ড। গোটা পরিবারকে সচল রেখেছিলেন তিনি।
বাড়িতে তখন একজন কাজের লোকের ভীষণ প্রয়োজন। সকালের নাস্তা ঠিকমতো হয় না, রান্নার লোক নেই। ব্যবহার করা পেটিকোট, শাড়ি, ব্লাউজ থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, আন্ডারওয়্যারের স্তুপ জমেছে দিনের পর দিনে।
বিস্তারিত»শুধুই লেখা অথবা গল্প -২
পূর্ব প্রকাশের পর…..
শুধুই লেখা অথবা গল্প -১
সেই নর আর সেই নারীর মাঝে প্রথম যেদিন সাক্ষাত হলো তা খুব সাধারণ একটি দিন ছিল।অসাধারণ হবারও তেমন কোন কারণ নেই।জগত মানবের বড় কোন কল্যান কিংবা অকল্যান কোন দিন বয়ে না আনলে তাকে মহাকাল মনে রাখে না।সেই দিনটি মহাকালতো দূরে থাকুক সেই মানব মানবীদের ও ঠিকমতো স্মরণে নেই কোন বিশেষ দিন হিসাবে।কিন্তু আমাদের এই গল্পের জন্য দিনটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তার চেয়েও বড় কথা এই মানব আর মানবী যদি সাধারণ আর দশজনের মত হত তবে তাদের মাঝে কথা দূরে থাক সাক্ষাতও হতো না।কিন্তু সাক্ষাত হলো তাদের মাঝে নাটকীয় কিংবা অনাটকীয় ভাবে।
বিস্তারিত»ইচ্ছে ঘুড়ি ০৬…
১…
ভালো সিনেমা কিংবা বড়সড় ভালো বই পড়লে কিছুক্ষণ কোন ভাবেই কম্পিউটারের বসা উচিত নয়। বসলেই আমার একটা পোস্ট লিখে ফেলতে ইচ্ছা হয়। কি দেখলাম বা পড়লাম তার জ্ঞানী সমালোচনা নয়, আমি লিখি জিনিসটা দেখে কিংবা পড়ে আমার অনুভূতি। আমি তাই সিনেমা দেখা কিংবা বই পড়া শেষে চট করে ঘুম দিয়ে দেই- এবং সকালে উঠে সব কিছু ভুলে যাই। কিংবা একটা দুইটা সিগ্রেট খাই,
বিস্তারিত»ভাল ছেলে
আমি যে বদ এ ব্যাপারে আমার বাপ মা ছোট কাল থেকেই নাকি নিশ্চিত ছিল । আরো ভাল করে বললে আমার দুই বছর বয়সে যখন আমি আমার পাঁচ বছরে বড় বোন কে কামড়ে রক্ত বের করে দিলাম তখন থেকেই তারা আমার বজ্জাতির ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন । কিন্তু ব্যাপার হল বদ হিসেবে আমার সুনাম শুধু আমার বাবা মার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না আস্তে আস্তে এটা আত্মীয় স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবার মধ্যে ছড়িয়ে পরতে থাকল যাদের প্রধান কাজ হল তাদের ন্যাদা ন্যাদা পোলাপাইন গুলারে আমার কাছ থেকে যত সম্ভব দূরে রাখা ।
বিস্তারিত»Before the Rains…. তথাকথিত ক্লাসিক নাহলেও ভালো সিনেমা
ছুটিতে অনেক গুলো সিনেমা দেখার প্ল্যান ছিলো। দেখেছিও অনেকগুলো। কিন্তু সেরা সিনেমাটা দেখা হলো আজ ছুটির শেষদিনে। ঠিক করে রেখেছিলাম ছুটিতে দেখা সেরা সিনেমাটার অভিজ্ঞতা ccbতে শেয়ার করবো। কাল রাতে হঠাৎ করেই একটা সিনেমার রিভিও দেখলাম। আমিতো synopsis পড়ে অনেক আহলাদিত হয়ে উঠেছিলাম। ‘Mon Amoure’। বলা হয়েছে Sesher Kobita Revisited. শিলং দেখলে আবার সিলেটের কথা মনে হবে, ভেবেছিলাম লাবন্য আর অমিতের কি হলো দেখা যাক।
বিস্তারিত»কী মানি কেন মানি
(ইসলামী আমল-আখলাকের দিক দিয়ে খুব দুর্বল একজন মুসলমান আমি। কেবল ঈমানটা নিয়েই বেঁচে আছি। তবে সে ঈমান ঠুনকো কোনো ফিলিংস নয়, তাই নিয়েই এই লেখা। সঙ্গত কারণে লেখাটি মুহাম্মদ এবং সাদীদ ভ্রাতৃদ্বয়কে উৎসর্গ করলাম।)
বিশ্বাস ব্যাপারটা সবসময় যুক্তি-তর্কের গন্ডিতে আবদ্ধ না-ও হতে পারে। আমাদের চিন্তাজগতের সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্তির বাইরেও অনেক কিছু মেনে নিতে হয় আমাদেরকে। বাস্তবতা হলো, ঈমান বা বিশ্বাসের সাপোর্টে জ্ঞান অত্যন্ত আবশ্যক,
বিস্তারিত»প্রবাসে প্রলাপ – ০০১
একটা শীতের বন্ধ শেষ করলাম। আজ ছুটির শেষ দিন তাই মনটা বড়ই উশখুশ করছে। ছুটি শেষের অনুভূতি মনে হয় সবারই একরকমই হয়। কিন্তু ছুটি শুরুর অনুভূতিগুলো বিদেশে যারা থাকে তাদের একটু অন্যরকম। এবার যেমন ছুটি শুরু হবার আগে ভাবছিলাম কি যে করি। ছোট্ট একটা ছুটি খুব বেশি কিছু করার ও নেই। প্রতিটা ছুটির আগে যেমন নিজের টাকা পয়সা মিলিয়ে দেখি দেশে যাওয়া যাবে কিনা এবারও তেমন।
বিস্তারিত»সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দু’বছর পর
এই বেশ ভালো আছি –
শেষ হয়ে যাওয়া ভালোবাসার চর্বিত চর্বন নিয়ে
জাবর কাটছি শেষ হওয়া বলদের মতো।
যে যাই বলুক, ভালোবাসাহীনতার এক চরম আনন্দ আছে –
আর তা হলো দায়বদ্ধতাহীনতার সুখ, উপরি হিসেবে নতুন গাভীর স্বপ্ন।
আমার দীর্ঘ প্রেমময় জীবনের সুখস্মৃতিগুলো
কালের ধূলোয় হারিয়ে যাচ্ছে, যাবে;
দগদগে ঘা-এর মতো আরো উজ্জ্বল হবে
সেই সময়ের কষ্টগুলো – বর্তমানে সেগুলোই বেশী মনে পড়ছে।
পুরোনো দিনের গান, আজো ভরে মন প্রান
ক্লাস সেভেনে কলেজে গিয়েই আমরা প্রথম যে স্টেজ প্রোগ্রাম পেলাম সেটা ফাহিম ভাইদের (সুইস আল্পস খ্যাত ফাহিম ভাই) ব্যাচের কালচারাল শো। উনারা তখন সবেমাত্র এসএসসির ছুটি শেষ করে কলেজে এসেছেন। ক্লাস ইলেভেন। আর ইলেভেন মানে কলেজের রাজা। চলাফেরায় সব সময় মারদাঙ্গা ভাব। ফলে উনাদের কালচারাল শো’ও হলো সেই রকম মারদাঙ্গা।
শরীফ উদ্দিন নামে আমাদের একজন রসায়নের স্যার ছিলেন, ক্যাডেটদের যম বলা যেতো তাকে।
বিস্তারিত»কইনচেন দেহি
গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, ছড়া, নাটক, কাব্য, স্মৃতিকথা, আলোচনা, চলতি ঘটনা, ছবি ব্লগ, পড়াশোনা, খেলাধুলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, রম্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার সাহিত্য বা আরো অনেক রকম সিরিয়াস বিষয় নিয়ে ইদানীং সিসিবিতে লেখালেখি হচ্ছে। কইনচেন দেহি, এর পাশাপাশি একটু হালকার উপর ঝাপসা করে, বা আস্তে করে জোরে টাইপ কিছু, ইয়ে মানে একটু ব্যতিক্রমধর্মী বা অন্যরকম কিছু হলে কেমন হয়? এই ধরেন আমি যদি এই ব্লগে আপনাদেরকে কিছু ধাঁধা জিজ্ঞাসা করি,
বিস্তারিত»শুধুই লেখা অথবা গল্প
*এই লেখাটির সাথে ক্যাডেট কলেজের কোন সম্পর্ক নেই।কলেজ লাইফ শেষ করে বুয়েটে ঢোকার প্রাক্কালে অবসরের আঁকিবুকিতে লেখা কিছু পাতা থেকে তুলে দিলাম।(একই সাথে সামুতে প্রাকাশিত)
এটা গল্প না অগল্প বুঝা যায় না। কিন্তু এটা দুটি প্রাণের কথা এবং শুধুই দুটি প্রাণের কথা।এই গল্পের যেহেতু শুধুই দুটি চরিত্র তাই নায়ক নায়িকা ভিলেন খোজা গেল না বরং শুধুই দুজন নর আর নারী। আর যেহেতু তারা কেবলই দুজন তাই তাদের নাম অপ্রয়োজনীয়।
বিস্তারিত»সেরা চলচ্চিত্র: ২০০৮
নতুন বছরেরও তিন দিন পেরিয়ে গেল। আমার জন্য ২০০৮ সালটি ছিল মুভি বছর। সিনেমা দেখা শুরুই করেছি গত বছর। কিন্তু সে বছরেরই অনেক সিনেমা দেখা হয়নি। যা দেখেছি তার অধিকাংশই পুরনো। ভবিষ্যতে যেন হারিয়ে না যায়, তাই ২০০৮ এর সেরা সিনেমাগুলোর নাম লিখে রাখার চেষ্টা করলাম। নিজে নিজে কোন ড়্যাংকিং বানানো অসম্ভব। কারণ অধিকাংশ ভাল সিনেমাই তো দেখা হয়নি। তাই আন্তর্জাল ঘেঁটে ভাল মানের সব ড়্যাংকিং জড়ো করলাম।
বিস্তারিত»ICL এবং দেশপ্রেম!!
শুরুতে মন্তব্য হিসাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি অন্য কমেন্টগুলোর মত আরো অনেক কমেন্ট ট্র্যাক করতে পারবো না, তাই আলাদা রচনা হিসাবে দিলাম। আমি কামরুলের সাথে একদম একমত। ICL খেলতে যাওয়ায় কোন অংশেই আমি দেশপ্রেমের অভাব দেখি না। ভারতীয় বোর্ড শুরুতে IPL এ বেশ কিছু বাংলাদেশী ক্রিকেটারকে সুযোগ দেবার কথা বলেছিলো। কিন্তু সুযোগ মিলেনি। রফিকের কোলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার কথা, সুযোগ মিলেনি। আমাদের দেশী ক্রিকেটাররা কখনোই ভারতীয় ক্রিকেটারদের মতো স্পন্সরশীপ খুজে পায় না।
বিস্তারিত»