গত এক মাস ধরে এক ধরণের উত্তেজনার মধ্যে বাস করছি। বাসার অবস্থা বেরাছেড়া! সব লন্ডভন্ড, কোনো কিছু জায়গামতো নেই! অতিথি ঘরটা ফাঁকা পড়ে আছে। ভেতরের ঘরগুলোর অবস্থাও তাই। উত্তেজনায় টানটান হয়ে আছি একা আমি নই, বাসার সবাই। কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব। সব বাধাছাদা হয়ে গেছে। গাড়িতে, ঠেলায় করে হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, কাপড়-চোপড়, কিছু কিছু ফার্নিচার চলে গেছে আরেক বাসায়। আমাদের নতুন বাসায়। কবে যাবো সেখানে?
বিস্তারিত»জ্বরের ঘোরে!!!
১। সিসিবি তে কেমন জানি মরা অবস্থা চলছে। সহজে কেউ লেখা দিতে চায় না। ঘন্টার পর ঘন্টা সিসিবি খুলে বসে থাকি কেউ তো লেখা দিচ্ছে না বরং কারো কমেন্ট দেখে যদি একটু মনটা ভরে। কমেন্টের জাদুকর জুনা আরও গরীব হয়ে ফিরে আসছে, আশা করা যায় নতুন নতুন কমেন্টে সে আবার আমাদের মুগ্ধ করবে। কিন্তু কেম্নে কি? শেষ মেষ আমার মত ভাদাইম্মা লেখক ও লিখতে শুরু করল।
বিস্তারিত»এ শুধু গানের দিন…
অভিনেতা হিসেবে আফজাল হোসেনকে আমার কখনোই আহামরি কিছু মনে হয়নি যতটা ভার্সেটাইল মনে হতো তার সমসাময়িক হুমায়ূন ফরীদিকে। ‘হতো’ বলছি কারণ এখন হুমায়ূন ফরীদির অভিনয় দেখলে বুঝার উপায় নেই এক সময় তিনি ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’র মতো টিভি নাটক বা ‘দহন’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ববিতার সাথে ‘দহনে’ অভিনয় করে তিনি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
বিস্তারিত»রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিল্পায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নঃ পূর্ব-এশীয় অভিজ্ঞতা
নিও-লিবারেল ডিসকোর্সে জাতীয় উন্নয়নে রাষ্ট্রের অংশগ্রহনকে ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এতে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনাকাংখিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি দেখা দেয় যা’ শিল্পায়ন ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। বাস্তবতা হচ্ছে, যে কয়টি দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তারা সবাই জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পে রাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমেই হয়েছে, যেমন জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুর। এইসব পূর্ব-এশীয় দেশসমূহের উন্নয়নের পথটা তাহলে কি ছিলো? শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি,
বিস্তারিত»নীলা-৪র্থ পত্র
নীলা-৩য় পত্র
নীলা-২য় পত্র
নীলা
(পূর্ব প্রকাশনার পর…)
এতদিনের ব্যাস্ততায় কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। ২ সপ্তাহ আগে হঠাৎ খবর পাই,নীলা খুব অসুস্থ। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। ক্লাস বাদ দিয়ে ছুটে যাই ঢাকায়। জরুরি বিভাগের বেডে শোয়া ওর ছোট্ট মুখখানা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। ওর বেডের পাশে বসে জড়িয়ে ধরে ওকে।
বাজেট, সাদা-কালো টাকা আর মামলার গল্প
১.
১৯৯৬, সাল অনেক দিন পর আবার ক্ষমতায় আওয়ামি লীগ, হাসিনা আপা মন্ত্রী খুজছেন। প্রায় সব মন্ত্রনালয়ের লোক পাওয়া গেছে, বাকি শুধু অর্থমন্ত্রী । তো ইন্টারভিউ বোর্ড বসল, তোফায়েল, আমু, রাজ্জাক আর আপা নিজে। একেক জন আসে, আপা খালি একটা প্রশ্ন জিগায় … ” কনতো মিয়া, ৪ যোগ ৪ কত ? ” সবাই বলে, আপা, এইডা তো সবাই জানে, ৮। আপা মন খারাপ করে বলেন –
উন্নয়নের গল্পঃ নিও-লিবারেলদের আজাইর্যা প্যাচাল বনাম বাস্তবতা
ডিস্ক্লেইমারঃ ১। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো সিসিবি’তে উন্নয়ন-বিষয়ক একটা লেখা দেওয়ার। নানা ঝামেলায় তা আর হয়ে উঠছিলো না। আর ক’দিন ধরে এটা লিখতে গিয়ে বিশাল ঝামেলায় পড়েছি কি লিখবো আর কি বাদ দিবো তা’ই নিয়ে। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক বড় হয়ে গেল লেখাটা। তাই আপাতঃত তিন পর্বে এটা সিসিবি’তে পোষ্ট করবো।
২। এই লেখা বোঝার জন্য এন্টেনা আবশ্যক। 😀
বর্তমানে উন্নয়ন বিষয়ক প্রায় সকল আলোচনায় ‘সুশাসন’কে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
বিস্তারিত»স্বপ্নপূরণ……….অতঃপর কেম্নে কি??!!
আজকে একটা দিন গেল বটে। অসম্ভব রকমের গরমের মধ্যে অফিসের কাজে জীপে (নন-এসি অবশ্যই) দু’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়া খুব একটা আরামের কিছু না। তবে যাত্রা শুরু করার পর নিজের অজান্তেই একা একা মিটমিট হাসতে লাগলাম। আমার যাত্রাপথে ঝিনাইদহ পড়বে। ১৫ টা মিনিট সময় কি পাওয়া যাবে না? অবশ্যই যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সহযাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ দিয়ে প্রবেশ করলাম সেই গেট দিয়ে যেটা পার হলে আজ ২০ বছর পরেও মনে হয় এখনও ক্যাডেট আছি।
বিস্তারিত»এই লেখাটা পাক মন পেয়ার আর দাদা ভক্তদের জন্য
০।
কাইয়ূম ভাই আর কামরুল ভাইয়ের খোঁচা খেয়ে ঠিক করেছিলাম, যতদিন না এই সিসিবিতে একটা গল্প লিখে প্রথমে পোস্ট করতে পারছি ততদিন আর সিসিবিতে কোন লেখা দিব না। কিন্তু আমার এই কথা শুনে হয়ত সাত আসমান উপর থেকে একজন হাসছিলেন আর বলছিলেন- রোসো বাছা, এইবার একটু মজা দেখ। তাই গতকাল রাতে আর দিনে কয়েকটা ধমুন্ধার কান্ড ঘটে গেল। সারাদিন জার্নি শেষে ক্লান্ত আমি নেটে বসেই দেখি ফেসবুকে শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ,
দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – শেষ পর্ব
আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব
সিনেমার ভবিষ্যৎ কি একই সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নয়নের উপর নির্ভর করে না?
আমার মনে হয় না। মাঝেমাঝে তো মনে হয়, আমার দেশে যখন সামাজিক পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ছিল তখনই শিল্প সবচেয়ে বেশী এগিয়েছে।
বিস্তারিত»বাবা,কতদিন…কতদিন দেখিনা তোমায়…
“বাবা কতদিন…কতদিন দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়।
বাবা কতরাত…কতরাত দেখিনা তোমায়…
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়……”
আজ ২১শে জুন ,যদি ভুল না করি আজ ‘বাবা দিবস’। বিদেশ বিভূঁইয়ে বসে আজকাল দেশের সব ‘বিশেষ দিবস’ এর হিসাব অতোটা রাখা হয়ে উঠেনা। মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় দৃষ্টিগোচর হলে সেটা নিয়ে কম বেশি ভাবা হয়।
বিস্তারিত»আমি গরীব, কারন আমি অ নে ক গরীব…!!!
তাইফুর ভাইএর পোষ্টে কামরুল ভাই কমেন্ট করেছেন “আপনার আর জুনার উপর মেজাজ বহুত খারাপ আছে।” ভাবটা এমন আমি যেন আমি ইচ্ছে করে এখানে অনিয়মিত হয়েছি…আমি জানি, এখন যদি আমি আমার দুঃখের কথা বলা শুরু করি তাহলে এখানকার কোমলমতি বড় ও ছোট ভাই-বোনেরা কাঁদতে কাঁদতে পা ব্যাথা করে ফেলবেন…
কত বছর পর অনলাইনে আসলাম ঠিক করে বলা মুশকিল…যতদূর মনে পড়ে, শেষবার যখন অনলাইন ছিলাম তখন বৃটিশ সরকার উপমহাদেশ থেকে যাব যাব করতেছে…ন্ না…মনে পড়ছে…তখনো ব্লগের অনেকে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিত ‘ইটস কম্লিকেটেড’
বিস্তারিত»দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ৪
আব্বাস কিয়ারোস্তামির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন Bert Cardullo:
১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব
কবিতা ও চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি পার্থক্য হচ্ছে: মানুষ মনে করে এক বা দুইবার দেখেই যেকোন সিনেমা বোঝা সম্ভব, কিন্তু কবিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যরকম। আমরা সাধারণত একই কবিতা অসংখ্য বার পড়ি। মানুষ যেহেতু একই সিনেমা বারবার দেখতে অভ্যস্ত না, সেহেতু কাব্যিক চলচ্চিত্র দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা কি কোনদিন সম্ভব হবে?
বিস্তারিত»লাল তিল
বুদ্ধদেব গুহের কোজাগর বইটা পড়ার পর থেকে আমার মনের ভিতর একটা ফ্যান্টাসী কাজ করতো। আমার খুব ইচ্ছা বনের মধ্যে কোনো এক কোজাগরী পূর্নিমার রাতে, নদীর পাড়ে পাথরের উপর আমি কারো সাথে প্রেম করবো যার বুকে একটা লাল তিল থাকবে। কোন এক রাজকন্যার সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে রোমান্টিক মুহুর্তটার ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে এটাই কল্পনা করতাম। অবশেষে ৪/৫ বছর আগে আমি লাল তিলওয়ালা এক কন্যা খুঁজে পেয়েছিলাম। যদিও জীবনে খুব বেশী নারীর বুক দেখা হয়নি কিন্তু হঠাৎ করেই আমি ছিলাম আমি এমন একজনের সাথে যার বুকের মাঝখানে একটা লাল তিল আছে,
বিস্তারিত»দন্ডিতের সাথে, দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে …
অনেক দিন ধরে “ব্লগ লিখি, ব্লগ লিখি” করেও ব্লগ লিখা হচ্ছে না। সময়ের অভাব, টপিকের অভাব এবং সর্বোপরি “কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি”র চক্করে ঘুরপাক খেতে খেতে, কি-বোর্ড আর আঙ্গুলের শত্রুতা চিরস্থায়ী হওয়ার আগেই তাই উপস্থিতি জানান দেয়া টাইপ পোষ্ট … বিয়াপওক তাড়াহুড়ায় লিখা … তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করতেই পারি।
“দন্ডিতের সাথে, দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে,
শ্রেষ্ঠ সে বিচার”।