রাজশাহীর পোস্ট যখন ৭ টি মাত্র তখন আমি সিসিবিতে প্রথম আসি। আজ সেই পোস্ট সংখ্যা ১০০ তে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি অন্যান্য কলেজের তুলনায় এই সংখ্যা তেমন কিছুই না, কিন্তু আমার কাছে এর মূল্য অনেক বেশি। কারণ মধ্যে এমন সময় গিয়েছিল যখন আমি ছাড়া রাজশাহীর আর কেউই ব্লগে উপস্থিত ছিলেন না। আমি যখন ব্লগে আসি তখন সামি ভাই, তৌহিদ ভাই ব্লগে বেশ নিয়মিত ছিলেন। তৌহিদ ভাই হঠাৎ যেন হারিয়ে গেলেন।
বিস্তারিত»এশিয়ান হাইওয়ে ও বাংলাদেশ
এটি একটি তথ্যনির্ভর খুব সাধারন রচনা। যথাসম্ভব তথ্য নির্ভুল রাখার চেষ্টা করেছি। ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হলে আমাকে অবহিত করলে খুশি হব।
ভুমিকা = ১৯৫৯ সালে The Asian Land Transport and Infrastructure (ALTID) এবং Asian Highway পরিকল্পনার স্রস্টা Economic Commission for Asian and the Far East (ECAFE) নির্বাহী সম্পাদক উ ন্যুন। এশিয়ার দেশ সমুহের মাঝে বাধা ও বিরতিহিন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য এশিয়ান হাইওয়ের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
বিস্তারিত»দিনলিপি ০৪: আবোলতাবোল
১.১- ইদানিং কেনো জানি অফিস করতে একদমই ভালো লাগে না। বুঝতেছি না কেনো। এখনি এই কাহিনি হলে আরো তো সময় অনেক পড়ে আছে। কি যে হবে। প্রথমে ভাবতাম শুধু আমার। কিন্তু না, পরে অফিসে তানভীর বা অন্যান্যদের সাথে কথা বলে দেখি একি কথা সব দিকে। আগের দিনের মানুষ রাও কি এতো তাড়াতাড়ি বোরড হয়ে যেতো? কি জানি। নাকি যুগের অনূভুতি এটা। হতে পারে এক জায়গায় বেশকয়েক বছর চাকুরি করার ক্লান্তি।
বিস্তারিত»কলেজ ছুটিতে মস্ত বড় সারপ্রাইজ!
কলেজ থেকে ছুটিতে আসা আমার জন্য সবসময়েই একটা দারুণ আনন্দের ব্যাপার ছিল। সত্যি কথা বলতে, ক্লাস সেভেন থেকে টুয়েলভ এর প্রতিটা মুহূর্তেই আমি থাকতাম হোমসিক। ক্যাডেট লাইফটার অন্য একটা মজা ছিল, এটা ঠিক; মজাও করেছি – কিন্তু সেটা আমার বাড়ির প্রতি দুর্বলতাটাকে কখনও ম্লান করতে পারেনি। ছুটির দিনগুলো শেষ হয়ে আসলে আমি আস্তে আস্তে মনমরা হয়ে পড়তাম। ছুটির প্রতিটা দিনই আমি উপভোগ করতাম। যদিও বেশীর ভাগ সময় কাটাতাম ক্যাডেট কলেজের ফ্রেন্ডদের সাথেই।
বিস্তারিত»রাফখাতা (সাপ্তাহিক…১)
ক. আহ… বৃহঃস্পতিবার রাত। সেই কলেজ লাইফ থেকেই সপ্তাহের সেরা সময়। মাঝে শুধুমাত্র বিএমএ’র ১ম তিন টার্মের বৃহঃস্পতিবার রাত বাদ দিলে এই রাত আসলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। তবে এখন কোর্সে এসে এই ভাল লাগার মাত্রাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। ক্লাস, খাওয়া, পড়াশুনা, হোম এসাইনমেন্ট এই চক্করে পুরা যন্ত্র হয়ে গিয়েছি। তাই এখন বৃহঃস্পতিবার রাতগুলো আরো অসাধারন হয়ে উঠেছে।
খ. পুরো সপ্তাহের এই যান্ত্রিক জীবনের মাঝে মেন্টাল রিলিফের বিষয় আছে দুইটি…
বিস্তারিত»সঁর্দি, কাঁশি জিঁদাবাঁদ!
সৈয়দ মুজতবা আলীকে আমার ভাল লাগে। লোকটা মহারসিক ছিলেন। এত কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, এখন কেউ যদি চেপে ধরে, “কেমনে জানলেন, আপনি তো মুজতবা আলীকে দেখেনই নাই?” তাহলে আমিও বিগলিত হেসে বলবো, তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় জনাব। তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। আমাদের পাঠ্যেও তাঁর লেখা ছিল কি না মনে নেই, সদ্য পাশুরে ভাইয়েরা আমাকে কনফার্ম করো। তবে আমি পাঠ্যের পাশে তার বই রেখে বেমালুম পড়তাম।
বিস্তারিত»মুভি ব্লগ: তিন ভাষার তিন ছবি
আগে একটা গান শুনি। মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান
১.
হঠাৎ কেন মরণের কথা। এই বয়সে মৃত্যু ভাবনা সহজে আসার কতা না। মরিবার সাধও হয় নাই। তারপরেও ভাবলাম বিয়য়টি নিয়ে। একটা ছবি দেখে। জাপানের ছবি, ডিপারচারস (Departures)। এবার ছবিটা সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পেয়েছে।

আজকালকার জাপানি ছবি দেখা হয় না। কুরোসিওর বেশ ছবি দেখেছিলাম। সেগুলো ঠিক কালের বিচারে এখনকার বা তখনকার ছবি বলা যায় না।
এই লাইনে নতুন…
বাংলা সিনেমা কে কে পছন্দ করে ? কেউ না তাইনা ? কিন্তু যদি বলি গাবতলি (নাম মনে নেই) সিনেমা হলে তাহলে?এর পর তা যদি হয় ২ ইন ১ ?এইবার সবাই রাজি তাইনা …হা হা হা। আজকের গল্পটা আমার জনৈক এক ক্যাডেট বন্ধুকে নিয়ে । কলেজ ছুটির আগেরদিন রাতের প্ল্যান , গাবতলিতে বাস থেকে নেমেই সরাসরি মরনিং সো ধরবো , তখন আমরা ৯ এ।প্ল্যান মাফিক বাস থেকে নেমে যার যা পারসোনাল ড্রেস ছিল পরে নিলাম এরপর একজন গিয়ে টিকিট কাটল এবং ঢুকলাম ফ্যান্টাসির জগতে ।ঘটনাটা ঘটল সেকেন্ড মুভি যখন শুরু হল,
বিস্তারিত»বর্ষা মানে
ডিসক্লেইমার: আজকাল ডিসক্লেইমার দিয়াও তেমন কোন লাভ হয়না। পাবলিক খুব খ্রাপ হয়ে যাইতেসে। :no: এই ছড়াটা দুইদিন আগে লেখা। সানা ভাইয়ের চেইন পোস্টেরও আগে। কাজেই সেখানকার কোন ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছড়ার কোন লাইন লেখা হয়নাই। ড্রাফটে পড়ে ছিল। আরেক্টু বাড়ানোর খায়েশও ছিল। কিন্তু এডু স্যারের খসড়া ধমকানি শুনে পাবলিশ করে দিলাম । 😛
বিস্তারিত»আপুসোনাকে
আপুসোনা,
আজ তোর অপারেশন ছিল। আমি তোর অপারেশনের আগে ঠিকমত সময়ে ফোন দিতে পারিনি। কিভাবে পারব বল আমি তো জানতাম না যে আজই তোর অপারেশন হয়ে যাবে। তুই না আমাকে বলেছিলি ১৮ তারিখে হবে। তোর কথা খুব মনে পড়ছিল। তাই যখন তোকে ফোন দিলাম তখন শুনলাম তুই অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পড়েছিস। আমার এত খারাপ লাগছিল প্রায় কান্না চলে এসেছিল। শুনলাম অপারেশন এক ঘন্টা পরেই শেষ হয়ে যাবে আর তারও দুই ঘন্টা পরে তোর সাথে কথা বলা যাবে।
দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ২
এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য যত ধরণের সৌভাগ্য দরকার তার অনেকগুলোই যে কারণে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইরানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে সেই সেন্সরশিপের সম্পর্কটা কেমন?
গত দশ বছর ধরে সরকার আমার কোন সিনেমাই দেখাতে দিচ্ছে না। আমার মনে হয়, তারা আমার সিনেমা বোঝেই না। কি সেন্সর করতে হবে আর কি করতে হবে না এটা না বোঝার কারণে তারা সবকিছুই আটকে দেয়,
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজে মিছিল !!!
ক্যাডেট হিসেবে আত্নপ্রকাশ করার আগে থেকেই জেনে আসছি আমাদের কলেজের নাম ঐতিহ্যবাহী ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ । আমাদের কলেজের সবকিছুই ঐতিহ্যবাহী। যেকোন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বা প্রিন্সিপালের ভাষনে অথবা বার্ষিকীতে বাণী লেখার সময় ঐতিহ্যবাহী শব্দটা ব্যবহার করতে কার্পণ্য করতেন না কেউই। আমাদের একটা ঐতিহ্যবাহী দীঘিও আছে যেটির সাথে সব হাউসের বাথরূমের লাইনের কানেকশন। বলা বাহূল্য আমাদের গোসলের পানির সাপ্লাই আসতো দীঘি থেকেই। বিড়াট বড় শান্ত দীঘি এবং ভরপুর পানি।
বিস্তারিত»লাবলু ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও
এই পোষ্টটা ছবি নিয়া। কামরুল ভাই বলছে ছবিওয়ালা পোষ্ট দিলে প্রথম পাতায় কোন ছবি না দিতে, তাইলে নাকি লোড হৈতে কি কি হাইটেক সমস্যা হয়। তাই এখন কিছু প্যাচাল লিখতে হচ্ছে যাতে প্রথম পাতাটা ভরে উঠে ।
গ্রুপ মেইলের বদৌলতে এতক্ষণে অনেকেই হয়তো এই ছবিগুলা দেখে ফেলছেন, তারপরো share করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আর এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে সানা ভাই’র আজকের পোষ্টটা। ছবিগুলা দেইখা মনে হৈল দিয়া দেই আমিও।
স্মৃতিচারণ: পলাশীর আম্রকানন …
আমরা তখন ১১ এ। নতুন প্রিন্সিপাল এসে আমাদের ৪ বছরের সম্পত্তি আম বাগান লিজ দিয়ে দিল। গত ৪ বছরে গাছের একটা আমও পাকতে দেইনি আর এখন কিনা এই বেরসিক প্রিন্সিপাল আম পাকিয়ে বিক্রি করবে !!! সবার তো মাথা গরম । প্রতিটা গাছের নিচে একটা করে গাডঁ , কোন উপাই নাই আম পাড়ার । কি করা যায় এই নিয়ে প্ল্যান করতে থাকলাম। বুদ্ধি বের হল। কাউন্টার এ্যাটাক…প্রেপ টাইমে ঠিক করলাম সবাই একসাথে আমগাছে এ্যাটাক করব।
বিস্তারিত»দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ১
অনুভূমিকা
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় চলচ্চিত্র আন্দোলন বোধহয় ইরানী নিউ ওয়েভ বা ইরানী নবতরঙ্গ। এই মহান আন্দোলনের রূপকার হলেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আমরা জাপান সম্পর্কে জেনেছি আকিরা কুরোসাওয়ার মাধ্যমে, ভারতকে চিনেছি সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে আর ইরানকে বুঝেছি আব্বাস কিয়ারোস্তামির মাধ্যমে। ব্রাইট লাইটস ফিল্ম জার্নালে কিয়ারোস্তামির একটা সাক্ষাৎকার পেয়ে অনুবাদ শুরু করে দিলাম। এর একটা বাংলা অনুবাদ হয়ে ইতিমধ্যে বই হিসেবে প্রকাশিতও হয়ে গেছে। তারপরও আমি আবার অনুবাদ করলাম।
বিস্তারিত»