সঁর্দি, কাঁশি জিঁদাবাঁদ!

সৈয়দ মুজতবা আলীকে আমার ভাল লাগে। লোকটা মহারসিক ছিলেন। এত কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, এখন কেউ যদি চেপে ধরে, “কেমনে জানলেন, আপনি তো মুজতবা আলীকে দেখেনই নাই?” তাহলে আমিও বিগলিত হেসে বলবো, তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় জনাব। তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। আমাদের পাঠ্যেও তাঁর লেখা ছিল কি না মনে নেই, সদ্য পাশুরে ভাইয়েরা আমাকে কনফার্ম করো। তবে আমি পাঠ্যের পাশে তার বই রেখে বেমালুম পড়তাম।

বিস্তারিত»

মুভি ব্লগ: তিন ভাষার তিন ছবি

আগে একটা গান শুনি। মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান
১.
হঠাৎ কেন মরণের কথা। এই বয়সে মৃত্যু ভাবনা সহজে আসার কতা না। ‌মরিবার সাধও হয় নাই। তারপরেও ভাবলাম বিয়য়টি নিয়ে। একটা ছবি দেখে। জাপানের ছবি, ডিপারচারস (Departures)। এবার ছবিটা সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পেয়েছে।
200px-okuribito_2008
আজকালকার জাপানি ছবি দেখা হয় না। কুরোসিওর বেশ ছবি দেখেছিলাম। সেগুলো ঠিক কালের বিচারে এখনকার বা তখনকার ছবি বলা যায় না।

বিস্তারিত»

এই লাইনে নতুন…

বাংলা সিনেমা কে কে পছন্দ করে ? কেউ না তাইনা ? কিন্তু যদি বলি গাবতলি (নাম মনে নেই) সিনেমা হলে তাহলে?এর পর তা যদি হয় ২ ইন ১ ?এইবার সবাই রাজি তাইনা …হা হা হা। আজকের গল্পটা আমার জনৈক এক ক্যাডেট বন্ধুকে নিয়ে । কলেজ ছুটির আগেরদিন রাতের প্ল্যান , গাবতলিতে বাস থেকে নেমেই সরাসরি মরনিং সো ধরবো , তখন আমরা ৯ এ।প্ল্যান মাফিক বাস থেকে নেমে যার যা পারসোনাল ড্রেস ছিল পরে নিলাম এরপর একজন গিয়ে টিকিট কাটল এবং ঢুকলাম ফ্যান্টাসির জগতে ।ঘটনাটা ঘটল সেকেন্ড মুভি যখন শুরু হল,

বিস্তারিত»

বর্ষা মানে

ডিসক্লেইমার: আজকাল ডিসক্লেইমার দিয়াও তেমন কোন লাভ হয়না। পাবলিক খুব খ্রাপ হয়ে যাইতেসে। :no: এই ছড়াটা দুইদিন আগে লেখা। সানা ভাইয়ের চেইন পোস্টেরও আগে। কাজেই সেখানকার কোন ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছড়ার কোন লাইন লেখা হয়নাই। ড্রাফটে পড়ে ছিল। আরেক্টু বাড়ানোর খায়েশও ছিল। কিন্তু এডু স্যারের খসড়া ধমকানি শুনে পাবলিশ করে দিলাম । 😛

বিস্তারিত»

আপুসোনাকে

আপুসোনা,
আজ তোর অপারেশন ছিল। আমি তোর অপারেশনের আগে ঠিকমত সময়ে ফোন দিতে পারিনি। কিভাবে পারব বল আমি তো জানতাম না যে আজই তোর অপারেশন হয়ে যাবে। তুই না আমাকে বলেছিলি ১৮ তারিখে হবে। তোর কথা খুব মনে পড়ছিল। তাই যখন তোকে ফোন দিলাম তখন শুনলাম তুই অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পড়েছিস। আমার এত খারাপ লাগছিল প্রায় কান্না চলে এসেছিল। শুনলাম অপারেশন এক ঘন্টা পরেই শেষ হয়ে যাবে আর তারও দুই ঘন্টা পরে তোর সাথে কথা বলা যাবে।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ২

এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরতে চাই। শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য যত ধরণের সৌভাগ্য দরকার তার অনেকগুলোই যে কারণে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইরানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে সেই সেন্সরশিপের সম্পর্কটা কেমন?

গত দশ বছর ধরে সরকার আমার কোন সিনেমাই দেখাতে দিচ্ছে না। আমার মনে হয়, তারা আমার সিনেমা বোঝেই না। কি সেন্সর করতে হবে আর কি করতে হবে না এটা না বোঝার কারণে তারা সবকিছুই আটকে দেয়,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজে মিছিল !!!

ক্যাডেট হিসেবে আত্নপ্রকাশ করার আগে থেকেই জেনে আসছি আমাদের কলেজের নাম ঐতিহ্যবাহী ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ । আমাদের কলেজের সবকিছুই ঐতিহ্যবাহী। যেকোন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বা প্রিন্সিপালের ভাষনে অথবা বার্ষিকীতে বাণী লেখার সময় ঐতিহ্যবাহী শব্দটা ব্যবহার করতে কার্পণ্য করতেন না কেউই। আমাদের একটা ঐতিহ্যবাহী দীঘিও আছে যেটির সাথে সব হাউসের বাথরূমের লাইনের কানেকশন। বলা বাহূল্য আমাদের গোসলের পানির সাপ্লাই আসতো দীঘি থেকেই। বিড়াট বড় শান্ত দীঘি এবং ভরপুর পানি।

বিস্তারিত»

লাবলু ভাইয়ের দেখাদেখি আমিও

এই পোষ্টটা ছবি নিয়া। কামরুল ভাই বলছে ছবিওয়ালা পোষ্ট দিলে প্রথম পাতায় কোন ছবি না দিতে, তাইলে নাকি লোড হৈতে কি কি হাইটেক সমস্যা হয়। তাই এখন কিছু প্যাচাল লিখতে হচ্ছে যাতে প্রথম পাতাটা ভরে উঠে ।
গ্রুপ মেইলের বদৌলতে এতক্ষণে অনেকেই হয়তো এই ছবিগুলা দেখে ফেলছেন, তারপরো share করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আর এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে সানা ভাই’র আজকের পোষ্টটা। ছবিগুলা দেইখা মনে হৈল দিয়া দেই আমিও।

বিস্তারিত»

স্মৃতিচারণ: পলাশীর আম্রকানন …

আমরা তখন ১১ এ। নতুন প্রিন্সিপাল এসে আমাদের ৪ বছরের সম্পত্তি আম বাগান লিজ দিয়ে দিল। গত ৪ বছরে গাছের একটা আমও পাকতে দেইনি আর এখন কিনা এই বেরসিক প্রিন্সিপাল আম পাকিয়ে বিক্রি করবে !!! সবার তো মাথা গরম । প্রতিটা গাছের নিচে একটা করে গাডঁ , কোন উপাই নাই আম পাড়ার । কি করা যায় এই নিয়ে প্ল্যান করতে থাকলাম। বুদ্ধি বের হল। কাউন্টার এ্যাটাক…প্রেপ টাইমে ঠিক করলাম সবাই একসাথে আমগাছে এ্যাটাক করব।

বিস্তারিত»

দি অ্যাক্সিডেন্টাল ওটার – ১

অনুভূমিকা

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় চলচ্চিত্র আন্দোলন বোধহয় ইরানী নিউ ওয়েভ বা ইরানী নবতরঙ্গ। এই মহান আন্দোলনের রূপকার হলেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আমরা জাপান সম্পর্কে জেনেছি আকিরা কুরোসাওয়ার মাধ্যমে, ভারতকে চিনেছি সত্যজিৎ রায়ের মাধ্যমে আর ইরানকে বুঝেছি আব্বাস কিয়ারোস্তামির মাধ্যমে। ব্রাইট লাইটস ফিল্ম জার্নালে কিয়ারোস্তামির একটা সাক্ষাৎকার পেয়ে অনুবাদ শুরু করে দিলাম। এর একটা বাংলা অনুবাদ হয়ে ইতিমধ্যে বই হিসেবে প্রকাশিতও হয়ে গেছে। তারপরও আমি আবার অনুবাদ করলাম।

বিস্তারিত»

চেইন মেইল থেকে ছবি ব্লগ

চেইন মেইলকে ব্লগে রূপ দেওয়ার আইডিয়াটা রবিনের কাছ থেকে নিলাম। 😀 (রবিনের উপর দিয়া চালাইলেও স্পষ্ট মনে আছে আমিও এর আগে ডায়নোসোরের বিরানি নিয়া একটা পোস্ট মারছিলাম।) আসলে কয়েকদিন কিছু না লিখলে আঙুলগুলা নিশপিষ করতে থাকে!

আজ এরকম একটা ছবি ব্লগের চেইন মেইল পেয়ে মনে হলো, ধার করা মজাটা শেয়ার করে ফেলি। বলা হচ্ছে এগুলো ভারতের ছবি। কিন্তু প্রথম ছবিটা কেমন জানি শ্রীলংকার মনে হচ্ছে!

বিস্তারিত»

টেকি নিউজ ০৪: ডে লাইট সেভিং (আমাদের ঘড়ির কাটা পরিবর্তন)

আমরা সবাই জানি আগামী ১৯শে জুন, ২০০৯ থেকে আমাদের দেশের ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। যার ফলে ১৮ই জুন রাত ১১ টায় আমাদের ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে ১৯শে জুন ০০.০০ ঘন্টা করতে হবে।

অনেক তর্ক বিতর্ক চলছে এই নিয়ে। অনেকে বলছে পুরা দেশের সব হিসাব চেঞ্জ হয়ে যাবে, অনেকে বলছে কোনো দরকার ছিলো না। অনেকে বলছে এটা অনেকের বুঝতে সময় লাগবে।

বিস্তারিত»

এলোমেলো-৪: নাম ছিল না

১.
সকালে এলার্মের শব্দে ধরফর করে ঘুম থেকে উঠি। তারপর বিরক্ত মুখে বাথরুমের দিকে পা বাড়াই। বিরক্তির সেই যে শুরু, তা আর যেন থামতেই চায় না! অফিসে আসতেও বিরক্ত লাগে। সেই সিস্টেম থেকে ডাটা নেয়া, ডাটার উপর কোয়েরী লেখা, পার্ফরমেন্স ট্রেন্ড এনালাইসিস করা, আজাইরা সব মিটিং করা- আর কত! আমার গ্রুপ মেম্বাররা এই ডিপার্টমেন্টে নতুন। তাদেরকে মাঝে মধ্যে টুকটাক কাজ বুঝিয়ে দিতে হয়। এইটা করতেও কেন জানি এখন বিরক্ত লাগে।

বিস্তারিত»

পরিচয়

ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট । বাংলা টাইপের অভ্যাস নেই এইজন্য লিখতে ইচ্ছা করেনা । প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি গত ৮/৯ বছর প্রায় ।এখন দেশের জন্য খুব মন টানে। নিউজ পেপারে খবর দেখি অনেকউত্থান পতনের ,অনেক আশা নিরাশা আর অনেক স্বপ্নের খবর। ভাল খবরে ভাল লাগে কিন্ত যখন দেখি আমাদের এই দেশটাকে নিয়ে ওরা টানা হেঁচড়া করে তখন মাথা গরম হয়ে যায়। আমার মত যারা প্রবাসে আছে তারা বুঝতে পারবে আমার অনুভুতি।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – তুহিন, এই পোষ্টটা তোমার জন্য

অনেকদিন আগে, একটা চেইন গ্রুপ মেইল পেয়েছিলাম, বয়স অনুযায়ী গর্ব করার মত কাজের একটা লিষ্টি ছিল ওখানে। যতদূর মনে পড়ে অনেকটা এরকম ছিল

৩ বছরঃ প্যান্টে হিসু না করা।
১০ বছরঃ নতুন নতুন বন্ধু তৈরী করা।
১৮ বছরঃ নতুন নতুন বান্ধবী তৈরী করা।
৩৫ বছরঃ টাকা কামানো।
৫৫ বছরঃ নতুন নতুন বান্ধবী তৈরী করা।
৭০ বছরঃ নতুন নতুন বন্ধু তৈরী করা।

বিস্তারিত»