নীলা-৩য় পত্র
নীলা-২য় পত্র
নীলা
(পূর্ব প্রকাশনার পর…)
এতদিনের ব্যাস্ততায় কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। ২ সপ্তাহ আগে হঠাৎ খবর পাই,নীলা খুব অসুস্থ। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি। ক্লাস বাদ দিয়ে ছুটে যাই ঢাকায়। জরুরি বিভাগের বেডে শোয়া ওর ছোট্ট মুখখানা দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। ওর বেডের পাশে বসে জড়িয়ে ধরে ওকে। ওর চোখের পানিতে আমার বুক ভিজে যায়। ওর কষ্ট,ওর অসুখের জন্য নয়,আমাকে হারানোর ভয়। রাশেদ ওখানেই ছিল। দীন মোহাম্মদ স্যার কিছু আর্জেন্ট টেস্ট করাতে বলছে। ওকে খরচের চিন্তা না করে ব্যাবস্থা করতে বলি।
দুপুর ২টা। ডাঃ দীন মোহাম্মদ স্যারের রুমে আমি আর রাশেদ বসে। অসুধের তীব্র গন্ধে পেটের ভিতরটা গুলিয়ে উঠছে। গলার কাছে কি যেন একটা আটকে আছে। কি যে হয়!
ক্যান্সার…..খুব ছোট একটা শব্দ….তবুও নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারলাম না। ওর ব্রেস্টে অনেক আগেই বাসা বেধেছে। সেকেন্ডারি ইফেক্ট হয়ে মাথায়। আর্জেন্ট অপারেশন করতে হবে,সাথে কেমোথেরাপী।
নীলার বাবা ময়মনসিংহে মাঝারি গোছের একটা চাকরি করে। এত টাকা তিনি কিভাবে জোগার করবেন! আমার নীলা কি বাঁচবে না?!
আমি এখন কি করব? কোথায় পাব এত টাকা? আহসানকে ফোন করি,”দোস্ত,আমার অনেক টাকা লাগবে। যেভাবে পারিস,যোগার কর।” “কি হইছে,দোস্ত? খুলে বল।” “আমার নীলা…..”আর কিছু বলতে পারি না…..”কোন চিন্তা করিস না। আমি আইতেছি।”
আহসান ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে আসে। মহাখালী থেকে এত তারাতারি কিভাবে আসল,জিজ্ঞেস করা হল না। সব শুনে বলল,”খাড়া,আইতেছি।” “কই যাস?” “ফ্লেক্জি করতে।”
জরুরি বিভাগের বারান্দায় দাড়িয়ে আহসান একের পর এক ফোন করে যাচ্ছে। এক ফাঁকে বলল,”দোস্ত,কোন চিন্তা করিস না। টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তুই রাশেদরে বল,যত তারাতারি সম্ভব অপারেশনের ব্যবস্থা করতে।” বিশ্বাস করতে পারলাম না ওকে….এত টাকা!
বিকাল ৫টা। জরুরি বিভাগের বারান্দায় আমি দাঁড়িয়ে…..শুধু আমি না,আমার অনেক ভাই,অনেক বন্ধু…আমরা দাঁড়িয়ে…তুহিন,জিহাদ,শোয়ায়েব,ইকবাল,রায়হান,সানা ভাই,কামরুল ভাই,আদনান ভাই,মাসরুফ ভাই,সাকেব ভাই আরো অনেকে…….১৯৯৯ সালের ৩রা জুন ক্যাডেট হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য আরো এক বার গর্বিত হই। আরো একবার গভীর ভাবে উপলব্ধি করি,আমি একা নই। আমি আর ভয় পাই না। আমার নীলার কিচ্ছু হবে না। আমি হতে দেব না। আমার ভাইয়েরা হতে দেবে না।
“নীলাকে বাঁচান। ক্যান্সারে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী নীলাকে বাঁচাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। আপনার সামান্য ক’টি টাকা একটা মানুষকে বাঁচাতে পারে। তার স্বপ্ন বাঁচাতে পারে। একাউন্ট নম্বর-০১৪….”,রেডিও এবিসি।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল কলেজ,রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আমার বন্ধুরা ক্যাম্পেইন করছে…. “নীলাকে বাঁচান।”
প্রতিদিনই অনেক অর্থ জমা হচ্ছে একটা একাউন্টে…একাউন্ট নম্বর-০১৪…. তে।
এখন শুধু অপারেশনের অপেক্ষা…..
(চলবে…… 🙂 )
*******************************************************************************
গল্পটার অধিকাংশ আমার জীবন থেকে নেয়া হলেও কাল্পনিক।উল্লিখিত কোন চরিত্র কারো সাথে মিলে গেলে,তা অনভিপ্রেত ও কাকতাল মাত্র।লেখক দায়ী নয় 🙂
১ম......।। 😀 😀 😀
আগের লেখাগুলা তখন পড়া হয় নাই।মাত্র পড়লাম।চালায়া যা...।
ভাই নীলারে কি মাইরাই ফেলবি নাকি?ক্যান ভাই,তুই মর...।ওরে মারস ক্যান? 🙁 🙁
অপেক্ষা কর,জানতে পারবি...........................আমি কাউরে মারি না 😕
সবাই তো আপনার দোস্ত আর বড়ভাই; ছুডু ভাইগোর একটারো তো নাম দেন নাই :(( । আমারটা দিলে ভালো হইতো 😀
অনটপিকঃ ভাইয়া, এই গল্পের সাথে কি বাস্তবের কোন মিল আছে??
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সরি, ছুড ভাই.........আমার জানা মতে তুমি ওই টাইমে দেশের বাইরে ছিলে।তাই আসতে পারোনি।
আর,কোন গল্প,জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।তাই বাস্তবের সাথে মিল থাকলেও থাকতে পারে। 😀
লেখক এখানে নীরব...... 😐
:no:
😕
আমি প্রথম থেকেই ধারাবাহিক ভাবে পরছিলাম, কিন্তু এত দেরিতে কেন দিলে ভাইয়া?
আশা করছি পরের টা তাড়াতাড়ি পাব। 🙂
ভাবীপ্পু, আমি খুব সরি। অনেক ব্যস্ততার জন্য লিখতে পারিনি।পরডরটা খুব খুব তারাতারি পাবেন,ইনসাল্লাহ 🙂
স্যরি হওয়ার কিছু নেই ভাইয়া। পরের পর্ব টা তাড়াতাড়ি পেলে হল। 😀
অনেক অনেক সুন্দর হচ্ছে......।। =)) =)) =))
:shy: থ্যাঙকস
Tui khub tarahura kore likhtesis. Aro dhire lekh. Ei porbo ta likhe polapaner choukhe pani nia ashte parti.
Ashole eto taratari shesh koli kan :chup:
ঠিক কথা। কালকে শালারে কইলাম এত্ত ছোট ক্যান??
কী সব কইলো দেইক্ষা আর আর্গুমেণ্টে গেলাম না।
শালারে ব্যান চাই :bash:
এত্ত তাড়াতাড়ি ঘুরায়া দিছে কাহিনী :no: :no: :no:
আস্তে ধীরে লিখলে সত্যিই চোখে পানি আনা যাইতো 🙁 🙁
আমি কারও চেখে পানি আনতে চাই নাই। 🙁
Ar hothat koira nila (?) re ato boro oshukh badhaya deway tor ban chai :chup: :guli:
আমি অসুখ দেওয়ার কেডা?! 😕
পরের কিস্তি কি ২০১১ সালের মধ্যে পাবো???? :grr: :grr:
অ.ট. ভালো ছিলো, :hatsoff: :hatsoff: তবে ছোট ছিলো!! 😡 😡
Still working on it, dost. dnt wory. think u ll get it soon.
thnx 4 compliment. 🙂
এত সুন্দর সিরিজটার কী দ্রুত পরিসমাপ্তি :no: :no:
কষ্ট পেলাম 🙁
নীলারে বড়ই ভালা পাইছিলাম। মাগার শালা কোন ভালোলাগাই আমার জীবনে থাকে না :bash: :bash: :bash: নীলারে তুই মাইরা ফালাইতাছস...... 😡 😡
তুই দূরে গিয়া মর 😡
Nothing lasts for ever......even d cold November rain......
man is mortal,dost. we have to take it easy....... 😐 O:-)
কিরে এত ছোট কেন ? তুহিন আমার কথা বলে ফেলছে, তাছাড়া তোর গল্পে দেখি আমারো ছোট একটা পার্ট আছে । এ পর্বটা ভালো হলেও ছোট ছিলো ।
এটা লিখতে গিয়ে অনেক তাড়াহুড়ো করে ফেলছিস মনে হল গল্পটা পড়ে।
আমি খুব সরি, ছোট লেখা দিবার জন্য। আসলে এই লেখাটা লেখার সময় আমি খুব ইমেশোনাল হয়ে পড়ি,বিশেষ করে প্লটটা চিন্তা করে।তাই এক সাথে খুব বেশি লিখতে পারি না। 🙁
আসলে সিগারেটের খরচটা আমাকেই বহন করতে হয় কিনা! আর এটার যে দাম এখন! লেখাটা লিখতে ওটার খুব বেশী দরকার হয় ~x(
আর, অনিয়মিত লেখা দেবার জন্য আবার সরি। আর এমন হবে না। :no:
তুই তো দেখি আমাদের সবগুলারেই ব্লগের চরিত্র বানায়া দিলি রে!!!
কি করব, দোস্ত, এই চরিত্রগুলো আমার জীবনের সাথে যে ওতপ্রেতভাবে জড়িয়ে আছে... 🙂 ......এর থেকে ভাল চরিত্র আর কোথায় পাব? 🙂
সামন্য একটু কৃতজ্ঞতা, দোস্ত, আর কিছুই না 🙂