কোন এক ছুটির দিনে এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত। খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডার পরপর যেটা হয়, ডিভিডি কালেকশন নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। বন্ধুটির বড়ভাই বেশ উদার এবং কালেক্টিভ মানুষ। আমরা একটা ঢাউস ব্যাগ খুলে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ডিভিডি দেখছি। কোনটা দেখা হয়ে গেছে আর কোনটা দেখা লাগবে সেটাও হিসাব করছি। এমন সময় পরপর অনেকগুলো ডিভিডি দেখলাম একই। একজন কে জানি বললো, এটা একটা সিরিজ। আমি আগ্রহের বশে বললাম,
বিস্তারিত»সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট@মাইক্রোসফট – ১
ডিসক্লেইমারঃ প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলায় লেখাটা খুব মুশকিলের কাজ। কারন খুব কম প্রযুক্তি বিষয়ক শব্দেরই বাংলা প্রতিশব্দ আছে। আবার অনেক বাংলা প্রতিশব্দ আছে যা শুনতে এবং অর্থগতভাবে বেশ হাস্যকর। সুতরাং সেই দিকে যাবার আমার খুব একটা ইচ্ছে বা ক্ষমতা নেই। সুতরাং এই রচনায় প্রচুর ইংরেজি শব্দ থাকার সম্ভাবনা আছে(রোমান অথবা বাংলা হরফে)। আগেই ক্ষমাপ্রার্থি।

মাইক্রোসফট নামটা ইদানীং ইভিল এম্পায়ার এর সমার্থক হিসেবেই বেশি পরিচিত।
বিস্তারিত»ছবি ব্লগ
পারসনাল আউটিং।। আলমাস দিনার
আমাদের ব্যাচ যখন পানি সমস্যার জন্য কলেজে একা ছিলাম তখন বস্তুত ডিসিপ্লীন বলে কিছু ছিলনা । আমরা ইচ্ছামত কলেজের বাইরে যেতাম । শুধু খেয়াল রাখতে হত ডাইনিং হলে কাঊণ্ট করে কিনা । পিটি প্যারেড না থাকায় প্যারেড স্টেটমেণ্টের কোন ঝামেলা ছিলনা । আমি আমার আগের আর্টিকেলে ঊল্লেখ করেছি আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন মহামান্য বশীরুদ্দীন ভাইয়া । আমাদের কলেজে কোন বাঊণ্ডারী দেয়াল ছিলনা । আমাদের পিছনে সমহিমায় দাড়িয়ে আছে পাহাড় যার গায়ে লেখা আছে ‘কথা নয় কাজ’।এটি আমাদের কলেজ মটো ।
বিস্তারিত»অসমাপ্ত কবিতা
প্রতিটি গল্প, কবিতা কিম্বা উপন্যাসের পিছনে কিছু ঘটনা থাকে। দৈনন্দিন জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভালোলাগা-মন্দলাগাগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে অক্ষরের সুন্দর বিন্যাসে। এই কবিতাটি লিখেছিলাম ২০০৬ সালে, ভার্সিটিতে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার পড়াকালীন সময়ে। আমার খুব ক্লোজ এক বন্ধুর হৃদয়ের আর্তিকে অক্ষরের মাধ্যমে জীবন দিতে চেয়েছিলাম। তার ফলশ্রুতিতে এই কবিতার সৃষ্টি। সেই বন্ধুর কাছে ক্ষমা প্রার্থণাপূর্বক কবিতাটি এখানে উপস্থাপন করছি। কবিতাটি “বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিকী, ২০০৮” এ প্রকাশিত হয়।
বিস্তারিত»এসএসবিঃ সর্ষেয় ভূত!!! শেষ পর্ব
৭।
-‘স্যার, নিজাম বলছি।’
-‘বল নিজাম।’
-‘স্যার, লোকটার পিছু নিয়ে আমরা মিরপুর ২ এসেছি। প্রায় মিনিট বিশেক হল সে এক বাড়িতে ঢুকেছে। আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম ওটায় এক পরিবার থাকে। অনেক দিন ধরেই নাকি ওরা এখানে আছে।’
-‘তোমরা কতজন ওখানে আছ?’
-‘স্যার, এই মুহুর্তে তিনজন। অবশ্য অফিস থেকে আরো দুইজনকে আসতে বলেছি,
এসএসবিঃ সর্ষেয় ভূত!!! পর্ব-২
৪।
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে জামশেদ আলম এবং নাদিয়া ইসলাম। তাদেরকে বলা হয়েছে, কোন এক উচ্চপদস্থঃ কর্মকর্তা তাদের সাথে দেখা করবে। ওরা দুইজনেই যখন ‘আর কতক্ষণ লাগবে’ ভাবছে, এমন সময় দরজায় দেখা দিল কায়সার চৌধুরি।
-‘দুঃখিত, আপনাদেরকে বসিয়ে রাখার জন্য। আমি স্পেশাল এজেন্ট কায়সার চৌধুরি, এসএসবি।’
-‘আপনাকে দেখে খুব খুশি হয়েছি বলতে পারছি না।
দীর্ঘবিরতি-মার্জনামূলক পোস্টঃ কবিতা
[ডিস্ক্লেইমারঃ এই একটা জিনিশই আমি ভাল পারি! 😉 ]

দ্বিচরণ
তোমাকে আমার ভাল লাগে
এই নির্দোষ বাক্যে কারো রাগ বা ক্ষোভ
হওয়ার কথা নয়, যদিও আমার সামনে বসে
তুমি ক্ষেপে ওঠো, ভীষণ সুন্দরভাবে
আমি দ্বিধায় পরিমাপ করি
রাগের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা, মাত্রাসমূহ
আচার ০২০: পরবাসীর রোজনামচা
১।
মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। এস এস সি-র আগে অথবা ক্যাডেট কলেজে ইনটেক পরীক্ষার সময় এই বাক্যের ট্রান্সলেশান শিখছিলাম। Man proposes, God disposes. গত কয়েকমাস ধইরা আমার সাথে গড এই কামই করতাছে খালি। আমি প্রোপোজ করি, তিনি ডিসপোজ করেন। যা করতে চাই তার কোনকিছুই ঠিকমত হয় না। থিসিস শেষ করার ডেডলাইন মিস করতে করতে এখন ডেডলাইন সেট করাই বাদ দিছি। দাঁত খিচাঁইয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর মত মুখ কইরা পইড়া থাকুম ঠিক করছি,
আমার ক্যাডেট বেলা -৭ (ক্যান্ডিডেটস টাইম)
প্রথম পর্ব থেকে
কি তামাশা! মহান দয়াল আল্লাহ তাআলায় কৃপায়
আরেকটা ক্লাস রইয়াছে ক্লাস টেন-ইলেভেন চিপায়! 😮
উপ্রে যে তার ক্লাস ইলেভেন, ক্লাস টেন ও ঠিক নিচে
এই ক্লাসেতেই ইনভিজিবল পুচ্ছ গজায় পিছে! ;;;
দাগেই শেখা, দাগেই মজা – এই কথাখান ভুলে
শিখবো – আশায় এপুলেটের সবগুলা দাগ তুলে
মনটা থাকার চুক্তি ছিল পুস্তকে আর খাতায়
তা’
ভার্টিগোর ভালো মন্দ
ভার্টিগো আমার পিছু ছাড়তাছে না। সেই কবে হিচককের ভার্টিগো মুভি দেইখা মহামুগ্ধ হইছিলাম। কিন্তু ভার্টিগো অসুখটার প্রতি ঠিক মুগ্ধ হইতে পারতাছি না। যারা ভার্টিগো নামের রোগের নাম কখনো শোনেন নাই, তাদের জন্য আমি এক হাজার ওয়েব সাইটের ঠিকানা দিতে পারি। তারা এই ঠিকানায় যাইয়া একজন ভার্টিগো বিশেষজ্ঞ হইতে পারবেন। আর যাদের ওতো সময় নাই তাদের জন্য বললে বলতে হয় ভার্টিগো আর প্রেগনেন্সি সিমটমের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই।
বিস্তারিত»পোল-ভোল্ট রেকর্ড টা কি ভেংগেছে?
আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগের কথা!! ৯৬ সাল!! ঝিনাইদাহ ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম -ইন্টার ক্যাডেট কলেজ এথলেটিক্স মিটে। ক্লাস টেন-এ পড়ি তখন। ভীষণ উত্তেজনা, ভীষণ আনন্দ!! আজো স্মৃতিতে অম্লান।
সবাই জানি কলেজে এথলেটিক্স প্রতিযোগীতার সময় “পোল-ভোল্ট” আইটেম টা নিয়া কেমন ক্যারিক্যাচার হয়!নরমালি এই আইটেমটাতে কেউ ইন্টারেস্টেড হইত না। তখন বছরের শেষের দিক। ইন্টার হাউস ফাইনাল চ্যাম্পিয়নশীপ নির্ভর করছে এই একটা মাত্র আইটেমের উপর। এথলেটিক্স।
বিস্তারিত»লাইফ বিগিংন্স @ থার্টি ফাইভ
(সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরনঃ ১। এটা পুরুষ জাতির পোষ্ট। নারী জাতি নিজেদের সংগে মিলাতে পারেন, তবে নিজ দায়িত্বে।
২। যারা “কোয়ালিটি পোষ্ট চাই” বলে অনবরত টেবিল চাপড়াচ্ছেন, তাদের পোষ্টে ঢুকতে নিরুৎসাহিত করছি 😀 )
১।
আমি তখন ঢাকায়, গুলশানে-১ নম্বরে অফিস, বনানীতে বোনের বাসায় থাকি, গায়ে মোটামুটি টাইপের হাওয়া লাগিয়ে ঘুরি। আর বনানী গুলশান মানেই তো, মাশ-আল্লাহ, পুরাই সেই রকম জায়গা।
এসএসবিঃ সর্ষেয় ভূত!!! পর্ব-১
১।
রাত আটটা। বারিধারা ডিওএইচএস এর চার নম্বর রোড থেকে সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও গাড়ি নিয়ে বের হ্ল শামীম আহম্মেদ। কম্পিউটার প্রকৌশলী এই লোকটির বয়স ২৯, অবিবাহিত। বুয়েট থেকে প্রথমে গ্রাজুয়েশন করে পরবর্তীতে আমেরিকা থেকে ডেটাবেইজ তৈরির উপর উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বর্তমানে ‘ডিভাইন ডট কম’-এ কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশী হলেও বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্যও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। প্রতিদিনের মতন শামীম এখন অফিস থেকে বের হল।
কষ্ট
কষ্টরা বারেবারে আমার বুকে আঘাত পেয়ে যায়;
কষ্টরা আমাকে ভালবাসে তাই
আমাকে ছেড়ে যেতে তাদের কষ্ট হয়।
আমিও কষ্টকে ভালবাসি তাই কষ্টকে আমি কষ্ট দেই;
কেন না কষ্টরা আমাকে কষ্ট দেয়,
কষ্টের বদলে তাদেরকে সুখ কি করে আমি দেই!
আমি কষ্টকে ভালবাসি তাই কষ্টকে পেতে চাই,
কষ্ট আমার বুকে আছে তাই সুখকে ঘৃণা করে যাই।