এক শহরের রূপকথা

আমি যখন ছোটো ছিলাম
এক শহরে গিয়েছিলাম,
দেখি সেথায় দিন দুপুরে,
মানুষ রূপে খাসি চরে ।

ছুটছে সবাই ত্রস্ত পায়ে
এদিক ওদিক ডাইনে বায়ে
বুদ্ধি সেথায় মেলছে পাখা,
ভাবনাগুলো মিলিয়ে রাখা
হঠাৎ পেলাম বাচ্চাটাকে,
ক্রিংক্রিঙ্গিয়ে কেবল ডাকে,
তারে শুধাই, “সঙ্গে নিবি?”
অনেক অনেক লজেন্স পাবি ।

লাভ লজেন্সের লোভেই কিনা?
যায় না বাবু আমায় বিনা ।

বিস্তারিত»

আমেরিকায় আমার ছাত্রজীবনঃ অল্প-স্বল্প গল্প

অনেক দিন ধরে সিসিবিতে কিছু একটা লেখার তাগিদ বোধ করছি। কিন্তু ব্যস্ত আমেরিকান জীবনে সময় কোথায় একটু স্থির হয়ে বসে মনের মধ্যে ছড়ানো ছিটানো ভাবনাগুলো কাগজে কলমে তুলে ধরার? তবে গত সপ্তাহ থেকে আমার ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে। ইউনিভার্সিটিতে কোয়ার্টারব্রেক আর ক্রিস্টমাসের ছুটি একসাথে পড়ায় বেশ বড়সড় একটা ছুটি পেয়েছি এবার। সকালে ৬টার সময়, সূর্য ওঠারও আগে আজকাল উঠতে হয়না। আর রাতে টাইম-টেবিল ধরে ১০টার মধ্যে ঘুমাতেও হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

হতভাগা আমি ও আমরা

আজকাল পড়াশোনা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে কোথাও কিছু করে শান্তি নেই।তবুও আজ এই লেখাটা না লিখতে পারলে মরেও শান্তি পাবনা।সেদিন আমার কিছু সামনেই বোমা বিস্ফোরণে একজন মারা গেল আর যে ভাবে গুম হত্যা চলছে কবে যে আমার নাম্বার চলে আসে বলা মুস্কিল।তাই ভাবলাম লেখাটা লিখেই ফেলি, যদিও এই লেখাটার কোন উপকারিতা আছে কিনা আমার জানা নেই।

আপনাদের মনে আছে কিনা ইউরো জোনের দেশ গুলোতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে নাগরিকরা।

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – পাঁচ

আই, ইন দ্য মেম্বারশীপ অব মাই ডেস
ডিপার্টমেন্টের লাউঞ্জে একটি বুকশেলফ আছে। সেই শেলফে মানুষজন বই রেখে যায়। যার ইচ্ছা ভাল লাগলে যে কোন বই সেখান থেকে নিয়ে নিতে পারে। আমি একদিন গিয়ে সেখান থেকে তিনটি বই নিয়ে আসলাম। ভারতী মুখার্জির ‘দ্য টাইগার্স ডটার’, ডেনিয়েল মেসনের ‘পিয়ানো টিউনার’ এবং রিচার্ড হ্যারিসের ‘আই, ইন দ্য মেম্বারশীপ অব মাই ডেস’। প্রথম দুটি উপন্যাস এবং শেষটি কবিতার বই।

বিস্তারিত»

ভালবাসা (দুই)

দৌড়ে এসে আর এভাবে লাফ দিয়ে ভুঁড়ির উপর বসবি না। পিলে চমকে যাবে, ভুঁড়ি গলে যাবে।আরে এখন কি আর সেই বয়স আছে নাকি, দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে ভুঁড়ির উপর বসে পরা! ওজন বেড়েছে,বড় হয়েছিশ্ না, তুইতো দিনে পঞ্চাশবার বলিস বয়স হয়েছে। আরে তোর বয়সে আমার মা তিন তিনটি সন্তানের মা হয়েছিলেন। ধাড়ী খুকী!
আরাম করে পেটের ওপর সেটেল হয়ে বসে প্রশ্নের ঝাঁপি খুলে দিল আমার রাজকুমারী। 

বিস্তারিত»

শিশিরকবিতা

রাজু শিশির ভালোবাসতো।
প্রথম দেখার নীলচে শেষ বিকেলে
নগরের সাধাসিধে ব্যস্ততায়-
ডানে বাঁয়ে সামনে পেছনে সবখানে
যখন অজস্র মিনিবাস, অজস্র রিকশা
সারে সারে যন্ত্রদানবের অরণ্যে- কোথায়, মনে নেই ঠিক
একফোঁটা শিশির দেখেছিলো রাজু।
রাজু শিশির ভালোবাসতো।

ক্ষণ চলে যায়, মুহূর্ত, দিন-
রাজুর ভেতর বর্ষার দুপুর
এক হৃদয় বর্ষা নিয়ে, রাজু শিশির খোঁজে।
সিংহল সমুদ্র নয়,

বিস্তারিত»

ভালবাসা (এক)

হ্যলো তুই কোথায় ? রাত সাড়ে এগারটা শীতের রাত, আর কোথায় আবার চাট গাঁর বাসায়, লেপের নিচে! তুই কালকেই ঢাকায় চলে আয়, জরুরি দরকার!

জরুরি দরকার যে কি, তা মোটামোটি আমার জানা হয়েই গেছে। নিশ্চয়ই ধানমন্ডির ‘কড়াই গোশত’ এর ইলিশ সস অথবা গুলশান ২ এর ‘খাজানার’ মাটন দম বিরিয়ানী  বা উত্তরার ‘একুশে রেস্তোরার’ গ্রীল চিকেন বা ধানমন্ডির-বনানীর ‘স্টার’ হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব। নিদেন পক্ষে,

বিস্তারিত»

শেষ প্রান্তে

বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।

অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…

বিস্তারিত»

বেঁচে থাকার গল্প

ময়নার মা,ও ময়নার মা।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে মন্তাজ মিয়ার ডাক।রাত প্রায় দুইটা।ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল একটু আগে থেমে গিয়েছে।রাস্তার দু পাশে সোডিয়ামের বাতি গুলো ঝাপসা।সেখান থেকে যতটুকু আলো আসে তাও কুয়াশার সাথে মিশে অস্বচ্ছ এক আবহ তৈরি করেছে।পলিথিনের তৈরি অস্থায়ী ঘরের ফাঁক দিয়ে তার কিছুটা আলো ময়নার মার মুখে পরেছে।ষাটোর্ধ মন্তাজ মিয়া কাছে মনে অস্বচ্ছ এই আলোয় ময়নার মাকে আরো মায়াবী লাগছে।কল্পনায় চল্লিশ বছর আগে চলে যায় সে।ঢাকা শহরে নতুন এসেছে ।থাকার জায়গা নেই।একদিন কমলাপুর রেলস্টেশন অন্য দিন গাবতলী যাত্রী ছাউনি।মাঝেমাঝে দোতলা লন্চের ছাঁদে চড়ে সুদূর বরিশাল যাতায়াত করা হত।একসময় বুড়িগঙ্গার গন্ধযুক্ত পানিকে খুব বেশি আপন মনে হত।সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে।দেশের অবস্থা বেগতিক।একবেলা খাবার আশায় তাই শহরে পাড়ি জমানো।গ্রামে মন্তাজ মিয়াদের গেরস্থলি ছিল।গোয়ালে তিন চারটা গরু।পুকুরে মাছ।ক্ষেতে সবজি।সবমিলিয়ে একটা সাজানো সংসার।দিনকাল ভালোই কাটছিল।এর মাঝে হঠাত শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।ফরমান আলীর কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দেয় মন্তাজ মিয়া।সুঠাম দেহ আর লম্বা চওড়া শরীর থাকায় প্রায় সব অপারেশনেই মন্তাজ মিয়া নেতৃত্ব দিত।এভাবেই কেঁটে গেল অনেক দিন।একসময় যুদ্ধ শেষ হল।গ্রামে ফিরে নিজের ঘর বাড়ি খুঁজে পেলনা।পাকিস্তানী হানাদাররা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সব।বাড়ির সামনে কয়েকটা নতুন কবর দেখে বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠল।সেদিন ই শহরে পাড়ি জমাল মন্তাজ মিয়া।একরাশ বুক ভরা অভিমান নিয়ে।

বিস্তারিত»

মহাভারত

সাথীদের উদ্দেশ করে কহে দুঃশাসন,
আমা হস্তেই হৃত হোক এর বসন।

কেন নয়, কেন নয়! এক্ষুণি খোলো
কে আগে কে পরে — যুধিষ্ঠির বলো

অর্জুনই পয়লা যাক রেজিস্ট্রির জোরে
বাকী সবে পরে কোরো মনপ্রাণ ভরে

রাত্রির কি সাধ্য সে শ্রীকৃষ্ণ হয়
সদাঁত চাঁদ জেগে পুরোটা সময়

দ্রৌপদী রক্তে ভাসে পাটক্ষেত্র জুড়ে
ভারত-বীরেরা সব নাচে ঘুরে ঘুরে

বিস্তারিত»

এক বন্ধুর আর্তনাদ

ক্লাশ ফোরের ঘটনা। কি এক কারণে আমি কয়েকদিন ক্লাশে অনুপস্থিত থাকার পর একদিন উপস্থিত হয়ে জানতে পারি, আমাদের ক্লাশে নাকি হেভী ধুন্ধুমার এক ভালো ছাত্র এসেছে। সবার মুখে মুখে তখন ঐ একই কথা। আমার খুব কাছের বন্ধু মিল্টন এসে ফিস ফিস করে বললো, “জানিস, নতুন একটা ছেলে এসেছে আমাদের ক্লাশে। প্রচন্ড ভালো ছাত্র। মনে হয় তোর চেয়েও…।“ ক্লাশে তখন আমি সর্ব স্বীকৃত সেরা ছাত্র। এমনিতেই নিজের নতুন প্রতিদ্বন্দী’র কথা জানতে পেরে যথেষ্ট বিরক্ত,

বিস্তারিত»

পরকীয়া, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সমাজ বিষয়ে আমার ভাবনা

ডিস্ক্লেইমারঃ এই পোষ্ট সাইদ-রুমানা’র প্রসংগ থেকে শুরু হলেও এটা পরকীয়া বিষয়ে সাধারণ ধারণা নিয়ে আলাপ-সালাপ। কাজেই, এখানে ব্যক্তি সাইদ বা রুমানার বিচার কাম্য নয়।

হামীমের পোষ্টের আলোচনাটা এখন এমন একটা অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে যেখানে পরকীয়া ব্যক্তিগত নাকি সামাজিক, নৈতিক নাকি আইনগত, এইসব বিষয় নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। কারণ, উল্লিখিত পোষ্টে কিছু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে যে,আমরা দুইটা আলাদা আলাদা লেভেলে পরকীয়া বিষয়টাকে বিবেচনা করছি- নৈতিক এবং আইনগত।

বিস্তারিত»

ভাবনাপঞ্জি

ক’দিন আগেও এ ঘরটা বেশ খোলামেলা ছিল। লোকে তেমনটিই বলত । ক’দিন হল এ ঘরটাকে আমার গুমোট ঘুপচি মনে হচ্ছে। যেন চারপাশটা আমাকে ঠেসে ধরবে।শ্বাস রোধ হয়ে যাবে।ঘর নিয়ে গবেষণার পরিবর্তে এখন আমার অফিসের কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আর কথা ছিল ছ’টায় বাসায় ফেরার।ততক্ষণে বেলী – আমার স্ত্রীও অফিস থেকে ফিরবে ।ছোট মেয়ে ঝিনুক আরও আগেই স্কুল থেকে ফেরে।সারা দিনের খাটা-খাটুনির পর স্ত্রী-কন্যার সাহচর্যে সব ক্লান্তি-শ্রান্তি মুছে যা্বে।

বিস্তারিত»

ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার

কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।

বিস্তারিত»

যাচ্ছে জীবন – ৪

গত দশ পনের বছরে ঢাকা অনেক বদলিয়ে গিয়েছে। চারদিকে এত্তো এত্তো সব হাইরাইজ বিল্ডিং। কোন এক কালে সিদ্ধেশ্বরীতে আমাদের বাসার ছাদে উঠলে জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের আলো দেখা যেতো। সম্ভবতঃ ৯৪ এর সাফ গেমসের সময় ঢাকা স্টেডিয়ামে যে অসাধারণ আতশবাজীর প্রদশর্ণী হয়েছিল তা আমাদের বাসার ছাদ থেকেই দেখেছিলাম।

আমাদের বাসার সামনে বেশ বড় জায়গা আছে। আশেপাশের সব বাসা থেকে আমাদের ওই জায়গাতেই খেলতে আসত।

বিস্তারিত»